google01b5732cb2ec8f39 ভগবান বিষ্ণুকে ধর্ষণ করলো ভগবান শঙ্কর -ভাগবত পুরাণ ~ আর্যবীর आर्यवीर aryaveer

Recent News

ভগবান বিষ্ণুকে ধর্ষণ করলো ভগবান শঙ্কর -ভাগবত পুরাণ

ভগবান বিষ্ণুকে ধর্ষণ করলো ভাগবত শঙ্কর -প্রচারে ভাগবত পুরাণ! 



আমাদের পৌরাণিক অশ্লীল কাহিনী সম্পর্কে তো অনেক শুনেছেন কিন্তু আজ যে কাহিনীটি প্রকাশ করবো এমন কাহিনী জীবনেও কখনো  শোনেননি এইটা আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি। এই কাহিনীটি হলো 'ভগবান শঙ্কর করলেন ভগবান বিষ্ণুকে ধর্ষণ' আমার এই কথা শুনে অবাক হলেন কিনা ? সত্যি অবাক হওয়ারই কথা, এই অবাক করা অশ্লীল কাহিনীটি আছে আমাদের শ্রীমদ্ভগবত পুরাণের মধ্যে! আসুন দেখি ভাগবত পুরাণের এই মজার কাহানিটি____

এই কাহিনীটি রয়েছে ভাগবত পুরাণের ৮ স্কন্ধ, ১২ অধ্যায়, ১২ শ্লোক থেকে ৩৩ শ্লোক পর্যন্ত, এই ডেঞ্জারেস কাহিনী একেবারে বাইবেল, কুরআনের কাহিনীকেও হার মানায়! দেখুন____


ডাইরেক্ট ভাগবত পুরাণ থেকে বিস্তারিত ভাবে দেখে নিন 


ভাগবত পুরাণ ৮/১২/১২-১৮ শ্লোক

একসময় শঙ্করজী  বিষ্ণুজীকে বললেন যে - হে প্রভু! আপনি যখন লীলার করার জন্য অবতার গ্রহণ করেন তখন আমি আপনার সেই রূপ দর্শন করি এখন আমি সেই রূপকে দেখতে চাই যে রূপ দ্বারা আপনি দৈত্যদের মোহিত করে দেবতাদের অমৃত খাইয়ে ছিলেন, শঙ্করজীর এই প্রার্থনা শুনে বিষ্ণু রাজি হলেন। 




ভাগবত পুরাণ ৮/১২/১৯-২৫ শ্লোক

বিষ্ণুর সেই মোহিনী রূপ খুবই সুন্দর ছিল, তা দেখে শঙ্করজী সতী এবং তার গুণ কে ভুলে গেলেন এবং কামী হয়ে ওঠেন, একসময় মোহিনী দৌড়াতে শুরু করলেন, তার পিছে  শঙ্করজীও মোহিনীর পিছে পিছে দৌড়াতে শুরু করলেন, পেছনে ভগবান শঙ্করকে দেখতে দেখতে বাতাস দ্বারা মোহিনীর শাড়ি খুলে বিবস্ত্র হয়ে জান, মোহিনীর এক এক অঙ্গ খুবই রুচিকর ছিল, এই দৃশ্য দেখে ভগবান শঙ্করের মন আকৃষ্ট হয়ে যায়, বিষ্ণুর সেই মোহিনী রূপ শঙ্করজীর বিবেক কে হরণ করেন, সেই রূপ দেখে কভগবান শঙ্কর কামুক হয়ে  জান, তিনি সমস্ত লজ্জা ত্যাগ করে মোহিনীর কাছে চলতে থাকেন। 



ভাগবত পুরাণ ৮/১২/২৬-২৭ শ্লোক

মোহিনী জী তো পূর্ব থেকেই বিবস্ত্র ছিল, তাই ভগবান শঙ্করকে নিজের দিকে আসতে দেখে মোহিনী লজ্জিত হন, মোহিনী এক বৃক্ষের আড়ালে গিয়ে লুকিয়ে পড়েন আর হাসতে লাগল ভগবান শঙ্করের স্বভাব দেখে। ভগবান শঙ্করের ইন্দ্রিয় নিজের বশে ছিল না বরং তিনি কামবশে ছিল। মেয়ে হাতির পেছনে  ছেলে হাতির সাদৃশ্যে  তারা দৌড়াতে শুরু করেন। 

এই কাহিনী এখানেই শেষ নয়_____

ভাগবত পুরাণ ৮/১২/২৮-৩২

ইহার পর ভগবান শঙ্কর মোহিনী কে ধরে ফেলেন, আর তাকে দুই হাতে হৃদয় ভরে জড়িয়ে ধরেন , যেভাবে ছেলে হাতি মেয়ে হাতির সাথে আলিঙ্গন করে সেভাবে ভগবান শঙ্কর মোহিনী কে জড়িয়ে ধরেন, অনেক চেষ্টার পর মোহিনী শঙ্করের কাছ থেকে ছাড়া পান তারপর পুণরায় দৌড়াতে শুরু করে, ভগবান শঙ্করও সেই মোহিনী রূপধারী বিষ্ণুর পিছে চলতে থাকে, কামুক পুরুষ হাতির পেছনে মহিলা হাতির সমান সে মোহিনীর পিছে দৌড়াতে থাকে। ইহার পর ভগবান শঙ্করের বীর্য বেরিয়ে আসে।  


জীবনেও কি এমন হাস্যকর অশ্লীল কাহিনী দেখেছেন ? যদি না দেখেন তো দেখেনিন ভাগবত পুরাণের ডেঞ্জারেস কাহিনী,  এইবার এই কাহিনীর মধ্যেই মহা বিজ্ঞানের আবির্ভাব____

ভাগবত পুরাণ ৮/১২/৩৩

ভগবান শঙ্করের সেই বীর্য পৃথিবীতে যেখানে যেখানে পরে সেখানে সেখানে সোনা রুপার গহনা তৈরি হয়ে যায়।


আমাকে কোনো দাদারা বলবেন যে এগুলোকে কোন যুক্তিতে ধর্ম গ্রন্থ বলা হয় ? কি আশ্চর্য্য বিষয়! আর এগুলো যদি ধর্ম গ্রন্থ হয় তাহলে অধর্মের গ্ৰন্থ কেমন হবে ? আর এগুলো কি সাধারণ বিজ্ঞান নাকি মহা বিজ্ঞান ?  অনেক পৌরাণিক ভাই এই সমস্ত কাহিনী দেখে ত্যানা পেঁচানোর জন্য একটা কথা বলে থাকে যে -'এই সমস্ত পুরাণ কে মুঘল কালে বিকৃত করা হইয়াছে'। যারা এমন কথা বলে উক্ত প্রকারের অশ্লীল কাহিনীকে এড়িয়ে যায় আমি তাদের বলছি শুনুন, মুঘল কালে মুসলিমরা আপনাদের পুরাণ কে বিকৃত করলো আর আপনার পূর্ব পুরুষরা তখন কি আঙ্গুল চুষছিল ? আর আপনারা যদি জানেন যে পুরাণ বিকৃত তাহলে আজও কেন এই সমস্ত কাহিনী পুরাণে রেখেই দেওয়া হয়েছে ? বাদ কেন দেওয়া হয়নি ? মুখে বলেন পুরাণ বিকৃত অথচ এমন অশ্লীল কাহিনী রেখেই দিয়েছেন পুরাণের মধ্যে এর দ্বারা প্রমান হয় যে মোল্লারা আপনাদের পুরাণ কে বিকৃত করেনি পূর্বে যেমন ছিল ঠিক তেমনই আছে। নয়তো পুরাণ যদি বিকৃত হতো তাহলে এই সমস্ত বিকৃত পুরাণের বিকৃত অংশকে বাদ দিয়ে শুদ্ধ পুরাণ তৈরি করতো পৌরানিকরা, কিন্তু তা কখনোই করা হয়নি। পৌরানিকগণ যে অশ্লীল ছিল ইহার এক জলজ্যান্ত প্রমাণ হলো মধ্যপ্রদেশের 'খাজুরাহ মন্দির' যে মন্দির তৈরি হয় মুসলিম নামক প্রাণীরা আমাদের দেশে প্রবেশ করার পূর্বে, এই মন্দিরের গায়ে নানান মূর্তি আছে যেমন- পশুর সাথে মনুষ্যেরন ক্রীড়া করার মূর্তি এবং নারী পুরুষের গুপ্ত অঙ্গ নিয়ে নানান অশ্লীল আকারের মূর্তি আছে এই মন্দিরের গায়ে। কোনো পৌরাণিকরা আবার বলে থাকে যে এই মূর্তি গুলো নাকি শিল্পকলা, তা যারা এই সমস্ত মূর্তিকে শিল্পকলা বলে আমি তাদের বলবো যে, যখন এগুলো শিল্প কলা খারাপের কিছু নয় তাহলে একটা কাজ করুন খাজুরাহ মন্দিরের ওই সমস্ত প্রকারের ছবি(পশুর সাথে মানুষের যৌন ক্রীড়া, নারী পুরুষের গোপনাঙ্গতে মুখ আদি নানান ছবি) গুলো আপনাদের বাড়ির প্রথম দরজার সামনে টাঙ্গিয়ে রাখুন কারণ শিল্প কলা যা আপনাদের গর্ব!




নমস্তে


1 comment: