google01b5732cb2ec8f39 গীতা ৪/৭,৮ শ্লোক অনুযায়ী যদি কেউ বলে যে ঈশ্বরের অবতার হয় তাহলে এই দুই শ্লোক ১০০% মিথ্যা, জানুন বিষয়টি ~ আর্যবীর आर्यवीर aryaveer

Recent News

গীতা ৪/৭,৮ শ্লোক অনুযায়ী যদি কেউ বলে যে ঈশ্বরের অবতার হয় তাহলে এই দুই শ্লোক ১০০% মিথ্যা, জানুন বিষয়টি

গীতা ৪/৭,৮ শ্লোকের অর্থ যদি এমন হয় যে ধর্মের গ্লানির সময় ঈশ্বর অবতার নেয়, তাহলে এই দুই শ্লোক ১০০% মিথ্যা, আসুন দেখি যুক্তি তর্ক দ্বারা_____





আজ দেখে নেওয়া যাক গীতা ৪/৭,৮ এই দুই শ্লোকের প্রকৃত তাৎপর্য কি, এই দুই শ্লোকে ভগবান কৃষ্ণ বোঝাতে চেয়েছে যে যখনই ধর্মের গ্লানি ও অধর্মবৃদ্ধি হয় তখনই সাধুদের পরিত্রান ও দুস্কৃতকারীদের বিনাশ করার জন্য তাহাদিগের অর্থাৎ মনুষ্যদিগের আত্মাদিগকে সৃজন করেন অর্থাৎ ন্যায় অন্যায় বুঝার জ্ঞান দান করেন। আর এভাবেই যুগ যুগ ধরে শ্রীকৃষ্ণের মতো কোনো না কোনো মহাবীরের দ্বারা ধর্ম সংস্থাপন হয়েছে বারবার। কিন্তু হিন্দু তথা পৌরাণিক সমাজ এখানে তাৎপর্য খুঁজে পায় যে তাদের ঈশ্বর জন্ম নেয়, গীতা ৪/৭-৮ শ্লোকের তাৎপর্য যদি এমন করা হয় যে যখন ধর্মের গ্লানি হয় তখন ঈশ্বর অবতার নিয়ে অধর্মকে ধ্বংস করে ধর্মের প্রতিষ্ঠা করে, তাহলে গীতার এই দুই শ্লোক ১০০% মিথ্যা, আসুন আলোচনা করি যুক্তি তর্ক দারা____

ভাগবত পুরাণ অনুযায়ী  মহাভারতের যুদ্ধের সময় তিনটি অবতার বিদ্যমান শ্রীকৃষ্ণ, ব্যাসদেব, বলরাম। অথচ মহাভারতের যুদ্ধের কয়েকশো বছর পর বারবার ধর্মের গ্লানি হওয়া সত্ত্বেও কোনো অবতারের দেখা নাই! মুসলিম এবং খ্রিস্টানরা প্রায় ১১০০ বছর ধরে অত্যাচার করলো তবুও বিষ্ণুর কোনো অবতারের দেখা নাই! এমন কেন ? আপনাদের ঈশ্বর কি অবতার নিতে ভুলে গেছে ? তাহলে আপনারা যে গীতা ৪/৭,৮ শ্লোক অবতার অর্থে লাগান তা কৃষ্ণ মিথ্যাবাদী নাকি আপনারা পৌরানিকরা মহামূর্খ ? দুইটার মধ্যে একটা অবশ্যই হবে! ঠিক করুন পৌরানিকরা!


ভারতে এত হারে কৃষ্ণ ভক্ত থাকা সত্ত্বেও ইংরেজ মুসলিমদের অত্যাচার থেকে বাঁচানোর জন্য ঈশ্বরের কোনো অবতারের দেখা নাই! আমাদের পৌরাণিক ভাইরা তবুও অন্ধের মতো বিশ্বাস করে যে অধর্মের সময় তাদের ঈশ্বর অবতার নেয়! এমন মূর্খ কোথায় আছে আর ? পরাধীন ভারতে সর্বপ্রথম স্বরাজের আওয়াজ তুলেছিল মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী, আর এই মহর্ষি দয়ানন্দজীর রাস্তা ধরেই স্বামী শ্রদ্ধানন্দ, লালা লাজপত, বালগঙ্গাধর, রামপ্রসাদ বিসমিল, চন্দ্রশেখর আজাদ, ভগত সিং, শ্যামজী কৃষ্ণ বর্মা, পন্ডিত লেখরাম, লালা হরদয়াল, সাভারকার, সুভাস চন্দ্র আদি নানান বীর তৈরি হয়েছিল, তারপর এই দেশকে স্বাধীন করতে পেরেছিলাম আমরা। আমাদের মহাবীররা লড়েছিল বলেই অধার্মিক ইংরেজদের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিলাম। এখন কোনো পৌরাণিকগণ ত্যানা পেঁচানোর জন্য বলতেই পারে যে 'পুরাণ অনুযায়ী কল্কি অবতার আসবে কলিযুগের শেষে কিন্তু এখন নয়'। যাহারা এমন ত্যানা পেঁচানোর জন্য তৈরি থাকে তাদের বলছি যে আপনাদের ঈশ্বর অবতার নেবে কলির শেষে আর কলি যুগ শেষ হবার অনেক আগেই যদি অধর্ম বেড়ে যায় তাহলে কেন আপনাদের অবতার আসবে না ?  তাহলে গীতার ওই 'যদা যদা ধর্মস্য' শ্লোক কথন করে আপনারা কেন প্রচার করেন যে যখনই অধর্ম বাড়বে তখনই আপনাদের ঈশ্বর আসবে অবতার হয়ে ? বর্তমানেও তো অধর্মের সংখ্যা বেশি, কারণ সারা বিশ্বে প্রায় মনে করুন ৭০০ কোটির মতো লোক আছে, ইহাদের মধ্যে ভারত এবং বাংলাদেশের পৌরাণিকদের সংখ্যা হলো প্রায় ১২৫ কোটি, তা অধর্মের উত্থান এতো হারে বৃদ্ধি পাওয়া সত্ত্বেও কেন অবতারের দেখা নাই ? এখন আপনাদের ঈশ্বর অবতার নিলেই তো বিশ্বের সমস্ত লোকেরা আপনাদের ঈশ্বর কৃষ্ণের শরণাগত হতো এবং অধর্মের বিনাশ হতো। এই সামান্য বুদ্ধি কি আপনাদের ঈশ্বরের নাই ? এমন যুক্তি পূর্ণ জিজ্ঞাসা কি পৌরানিকদের মনের মধ্যে জাগে ? গীতার ৪/৭,৮ শ্লোকের যে অর্থ করেন তার সাথে বাস্তবের কোনো প্রকার মিল নেই কেন ? তা স্বীকার করুন কৃষ্ণ মিথ্যাবাদী ছিল নাকি আপনারা বৈদিক শাস্ত্র সম্পর্কে মহামূর্খ বলেই কৃষ্ণের ওই কথার(গীতা৪/৭,৮) তাৎপর্য বোঝার ক্ষমতা হয়নি ? উত্তর দিন! মোল্লারা যেমন কুরআনের বাণী দেখিয়ে বলে যে আল্লাহই সব কিছু ঠিক তেমনি এই কৃষ্ণ ভক্তরা গীতার বাণী দেখিয়ে বলবে কৃষ্ণই সব কিছু ।ইহারা না মানে তর্ক না মানে যুক্তি, শুধু মানে মূর্খতা!



0 Reviews:

Post a Comment