google01b5732cb2ec8f39 আর্যবীর आर्यवीर aryaveer: মূর্খতার সমাধান

Recent News

This is default featured slide 1 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 2 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 3 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 4 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 5 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

Showing posts with label মূর্খতার সমাধান. Show all posts
Showing posts with label মূর্খতার সমাধান. Show all posts

গাছের তো জীবাত্মা আছে তবুও আমরা তাকে কেন ভোজন করি ? আসুন জানি এই বিষয়ে

গাছের তো জীবাত্মা আছে তবুও আমরা তাকে কেন ভোজন করি ? আসুন জানি এই বিষয়ে



মুসলিম, শৈব, খ্রিস্টান, নাস্তিক আদি মাংসাশী প্রাণীরা শাকাহারিদের বিরুদ্ধে এই কথন ব্যবহার করে থাকে যে "গাছেরও তো আত্মা, প্রাণ আছে তবুও কেন এগুলোকে হত্যা করে খাওয়া হবে গাছেরও তো দুঃখ কষ্ট হয়"। ওদের কথার তাৎপর্য এই দাঁড়ায় যে গরু, ছাগল আদিকে হত্যা করলে যেমন দুঃখ কষ্ট হয় ঠিক তেমনি গাছেরও হয় তাই গরু, ছাগল, উট, মুরগি আদিকে হত্যা করে খাওয়া আর গাছ কে হত্যা করে খাওয়া একই।

গাছের যে প্রাণ, আত্মা আছে ইহা আধুনিকে সর্বপ্রথম তুলে ধরেন আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু, কিন্তু  আমাদের শাস্ত্রতে এই বিষয়টি কোটি কোটি বছর আগের থেকেই বর্ণিত ছিল, তা লিখে গেছেন মহর্ষি মনু মহারাজ, মনুস্মৃতি ১২/৯ তে লিখা আছে যে মনুষ্য যখন চুরি, পরস্ত্রীগমন আদি নানান পাপ আচরণ করে, তখন তার বৃক্ষ আদি স্থাবর জন্ম প্রাপ্ত হয়।

 আমাদের আর্য সমাজের এক মহান বিদ্বান আচার্য় অগ্নিব্রত নৈষ্টিক জী একটি গ্রন্থ লিখেছেন যার নাম "মাংসাহার" এই গ্রন্থে তিনি শাস্ত্রীয় প্রমাণ এবং নানান বৈজ্ঞানিক কথন - যুক্তি তুলে ধরেছেন প্রমাণ হিসেবে মাংস আহারের বিরুদ্ধে এবং শাক আহারের স্বপক্ষে। তিনি লিখেছেন যে "বৃক্ষের অবশ্যই জীবাত্মা আছে কিন্তু বৃক্ষ মহাসুষুপ্তি( মহান গভীর নিন্দ্রা) অবস্থায় থাকে, ইহার কারণে তার সুখ-দুঃখ অনুভব হয়না, বৈজ্ঞানিক জগদীশ চন্দ্র বসুর প্রয়োগের ফল অনুযায়ী এরূপ বলা যায় যে বৃক্ষকে কাঁটার ফলে উহাতে এক প্রকারের ক্রিয়া হয়, কিন্তু আমাদের মতো সুখ দুঃখের অনুভব হয় না।" গ্রন্থঃ মাংসাহার, পৃষ্ঠা ১৯ । উক্ত বিচার দ্বারা বলা যায় যে ছাগল, গরু আদিকে হত্যা করে খাওয়া আর গাছকে হত্যা করে খাওয়া দুইয়ের বিশাল পার্থক্য। সবচেয়ে জ্ঞানী জীব মনুষ্যের আহারের জন্যই পরমাত্মা গাছ কে অন্যান্য জীব কে ভিন্ন প্রকারের বানিয়েছে।

গীতা ৪/৭,৮ শ্লোক অনুযায়ী যদি কেউ বলে যে ঈশ্বরের অবতার হয় তাহলে এই দুই শ্লোক ১০০% মিথ্যা, জানুন বিষয়টি

গীতা ৪/৭,৮ শ্লোকের অর্থ যদি এমন হয় যে ধর্মের গ্লানির সময় ঈশ্বর অবতার নেয়, তাহলে এই দুই শ্লোক ১০০% মিথ্যা, আসুন দেখি যুক্তি তর্ক দ্বারা_____





আজ দেখে নেওয়া যাক গীতা ৪/৭,৮ এই দুই শ্লোকের প্রকৃত তাৎপর্য কি, এই দুই শ্লোকে ভগবান কৃষ্ণ বোঝাতে চেয়েছে যে যখনই ধর্মের গ্লানি ও অধর্মবৃদ্ধি হয় তখনই সাধুদের পরিত্রান ও দুস্কৃতকারীদের বিনাশ করার জন্য তাহাদিগের অর্থাৎ মনুষ্যদিগের আত্মাদিগকে সৃজন করেন অর্থাৎ ন্যায় অন্যায় বুঝার জ্ঞান দান করেন। আর এভাবেই যুগ যুগ ধরে শ্রীকৃষ্ণের মতো কোনো না কোনো মহাবীরের দ্বারা ধর্ম সংস্থাপন হয়েছে বারবার। কিন্তু হিন্দু তথা পৌরাণিক সমাজ এখানে তাৎপর্য খুঁজে পায় যে তাদের ঈশ্বর জন্ম নেয়, গীতা ৪/৭-৮ শ্লোকের তাৎপর্য যদি এমন করা হয় যে যখন ধর্মের গ্লানি হয় তখন ঈশ্বর অবতার নিয়ে অধর্মকে ধ্বংস করে ধর্মের প্রতিষ্ঠা করে, তাহলে গীতার এই দুই শ্লোক ১০০% মিথ্যা, আসুন আলোচনা করি যুক্তি তর্ক দারা____

ভাগবত পুরাণ অনুযায়ী  মহাভারতের যুদ্ধের সময় তিনটি অবতার বিদ্যমান শ্রীকৃষ্ণ, ব্যাসদেব, বলরাম। অথচ মহাভারতের যুদ্ধের কয়েকশো বছর পর বারবার ধর্মের গ্লানি হওয়া সত্ত্বেও কোনো অবতারের দেখা নাই! মুসলিম এবং খ্রিস্টানরা প্রায় ১১০০ বছর ধরে অত্যাচার করলো তবুও বিষ্ণুর কোনো অবতারের দেখা নাই! এমন কেন ? আপনাদের ঈশ্বর কি অবতার নিতে ভুলে গেছে ? তাহলে আপনারা যে গীতা ৪/৭,৮ শ্লোক অবতার অর্থে লাগান তা কৃষ্ণ মিথ্যাবাদী নাকি আপনারা পৌরানিকরা মহামূর্খ ? দুইটার মধ্যে একটা অবশ্যই হবে! ঠিক করুন পৌরানিকরা!


ভারতে এত হারে কৃষ্ণ ভক্ত থাকা সত্ত্বেও ইংরেজ মুসলিমদের অত্যাচার থেকে বাঁচানোর জন্য ঈশ্বরের কোনো অবতারের দেখা নাই! আমাদের পৌরাণিক ভাইরা তবুও অন্ধের মতো বিশ্বাস করে যে অধর্মের সময় তাদের ঈশ্বর অবতার নেয়! এমন মূর্খ কোথায় আছে আর ? পরাধীন ভারতে সর্বপ্রথম স্বরাজের আওয়াজ তুলেছিল মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী, আর এই মহর্ষি দয়ানন্দজীর রাস্তা ধরেই স্বামী শ্রদ্ধানন্দ, লালা লাজপত, বালগঙ্গাধর, রামপ্রসাদ বিসমিল, চন্দ্রশেখর আজাদ, ভগত সিং, শ্যামজী কৃষ্ণ বর্মা, পন্ডিত লেখরাম, লালা হরদয়াল, সাভারকার, সুভাস চন্দ্র আদি নানান বীর তৈরি হয়েছিল, তারপর এই দেশকে স্বাধীন করতে পেরেছিলাম আমরা। আমাদের মহাবীররা লড়েছিল বলেই অধার্মিক ইংরেজদের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিলাম। এখন কোনো পৌরাণিকগণ ত্যানা পেঁচানোর জন্য বলতেই পারে যে 'পুরাণ অনুযায়ী কল্কি অবতার আসবে কলিযুগের শেষে কিন্তু এখন নয়'। যাহারা এমন ত্যানা পেঁচানোর জন্য তৈরি থাকে তাদের বলছি যে আপনাদের ঈশ্বর অবতার নেবে কলির শেষে আর কলি যুগ শেষ হবার অনেক আগেই যদি অধর্ম বেড়ে যায় তাহলে কেন আপনাদের অবতার আসবে না ?  তাহলে গীতার ওই 'যদা যদা ধর্মস্য' শ্লোক কথন করে আপনারা কেন প্রচার করেন যে যখনই অধর্ম বাড়বে তখনই আপনাদের ঈশ্বর আসবে অবতার হয়ে ? বর্তমানেও তো অধর্মের সংখ্যা বেশি, কারণ সারা বিশ্বে প্রায় মনে করুন ৭০০ কোটির মতো লোক আছে, ইহাদের মধ্যে ভারত এবং বাংলাদেশের পৌরাণিকদের সংখ্যা হলো প্রায় ১২৫ কোটি, তা অধর্মের উত্থান এতো হারে বৃদ্ধি পাওয়া সত্ত্বেও কেন অবতারের দেখা নাই ? এখন আপনাদের ঈশ্বর অবতার নিলেই তো বিশ্বের সমস্ত লোকেরা আপনাদের ঈশ্বর কৃষ্ণের শরণাগত হতো এবং অধর্মের বিনাশ হতো। এই সামান্য বুদ্ধি কি আপনাদের ঈশ্বরের নাই ? এমন যুক্তি পূর্ণ জিজ্ঞাসা কি পৌরানিকদের মনের মধ্যে জাগে ? গীতার ৪/৭,৮ শ্লোকের যে অর্থ করেন তার সাথে বাস্তবের কোনো প্রকার মিল নেই কেন ? তা স্বীকার করুন কৃষ্ণ মিথ্যাবাদী ছিল নাকি আপনারা বৈদিক শাস্ত্র সম্পর্কে মহামূর্খ বলেই কৃষ্ণের ওই কথার(গীতা৪/৭,৮) তাৎপর্য বোঝার ক্ষমতা হয়নি ? উত্তর দিন! মোল্লারা যেমন কুরআনের বাণী দেখিয়ে বলে যে আল্লাহই সব কিছু ঠিক তেমনি এই কৃষ্ণ ভক্তরা গীতার বাণী দেখিয়ে বলবে কৃষ্ণই সব কিছু ।ইহারা না মানে তর্ক না মানে যুক্তি, শুধু মানে মূর্খতা!



গীতা অনুযায়ী শ্রীকৃষ্ণের পূজা যারা করে তারা তামসিক ব্যক্তি

গীতা অনুযায়ী শ্রীকৃষ্ণের পূজা যারা করে তারা তামসিক ব্যক্তি



প্রশ্নঃ গীতা অনুযায়ী কৃষ্ণের পূজা করা সাত্ত্বিক, রাজসিক নাকি তামসিক ? 

উত্তরঃ গীতা অনুযায়ী যারা শ্রীকৃষ্ণের পূজা করে তারা তামসিক ব্যক্তি! কৃষ্ণ একজন মনুষ্য ছিল, গীতা অনুযায়ী প্রমাণও হয় যে কৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল এবং মৃত্যুও হয়েছিল, দেখুন বিষয়টি____

গীতার ৪/৫ শ্লোকে কৃষ্ণজী বলেছে যে তার বহু জন্ম অতীত হয়েছে। এই শ্লোক অনুযায়ী প্রমাণ হয় যে কৃষ্ণজীর জন্ম হয়েছিল, গীতা ২/২৭ শ্লোকে কৃষ্ণজী বলেছে যে যার জন্ম হয় তার মৃত্যু নিশ্চিত এবং যার মৃত্যু হয় তার জন্ম নিশ্চিত। এই শ্লোক স্পষ্ট করে দেয় যে কৃষ্ণজীর জন্ম হয়েছিল এবং মৃত্যুও অবশ্যই হয়েছিল। গীতা ১৭/৪ শ্লোকে কৃষ্ণজী স্পষ্ট ভাবে বলেছে যে ভূত- প্রেতের পূজা করে তামসিক ব্যক্তিগণ । প্রেত অর্থাৎ মৃত্যু হওয়া ব্যক্তির পূজা যারা করে তারা তারা তামসিক, কৃষ্ণজীর মৃত্যু হয়েছিল কাজেই কৃষ্ণের পূজা করা ব্যক্তি সবাই তামসিক পূজারী।



নমস্তে 

শ্রীকৃষ্ণকে যদি ঈশ্বর ভাবা হয় তাহলে গীতার শ্লোক স্ববিরোধী এবং ভ্রান্তি পূর্ণ

শ্রীকৃষ্ণকে যোগী না ভেবে যদি ঈশ্বর ভাবা হয় তাহলে গীতার শ্লোক স্ববিরোধী এবং গীতা একটি ভ্রান্তি পূর্ণ গ্রন্থ হবে






শ্রীকৃষ্ণ ভক্ত অর্থাৎ বৈষ্ণব আদিরা গীতার সুবিশাল আকারের মাহাত্ম্য তুলে ধরে বলে যে গীতা শ্রেষ্ঠ, গীতাই সব, বেদের থেকেও নাকি গীতা শ্রেষ্ঠ। এরা এই প্রকারের যারা নিজের বাপকে বাদ দিয়ে কাকুকে শ্রেষ্ঠ বলে, গীতা অনুযায়ীই জানা যায় যে শ্রীকৃষ্ণ একজন যোগী ছিল গীতা ১১/৪,৯ শ্লোক এবং গীতার শেষের দিকে অর্থাৎ ১৮ অধ্যায়ের ৭৫ এবং ৭৮ শ্লোক দেখুন সেখানে সঞ্জয় কৃষ্ণ কে 'যোগেশ্বর' বলে কথন করেছে, আর যোগেশ্বর এর অর্থ যোগেন্দ্র, মহাযোগী, শ্রেষ্ঠযোগী। বেদ, উপনিষদ, দর্শনের জ্ঞান না থাকলে জানা যায়না যে যোগী কিরূপ হয়, এই সমস্ত কৃষ্ণ ভক্তরা বেদানুকূল কোনো শাস্ত্র মানেনা, এরা মানে অশ্লীল পুরাণ কাহিনী আর  গীতার  কয়েকটা শ্লোক পড়ে কৃষ্ণকে ঈশ্বর ঈশ্বর বলে চেল্লায়, গীতায় কৃষ্ণ যে শ্লোক গুলো যোগ যুক্ত মুক্ত আত্মা হিসাবে নিজেকে ঈশ্বর বলেছে সেই শ্লোক ধরে কৃষ্ণভক্তরা কৃষ্ণকে ঈশ্বর বানিয়ে দেয় আর যে শ্লোক গুলোতে কৃষ্ণ নিজেকে ঈশ্বর হতে ভিন্ন মেনেছে সেই সমস্ত শ্লোকের কোনো ব্যাখ্যা দেওয়ার ক্ষমতা তাদের নাই, কারণ তারা পুরাণ কাহিনী ছাড়া কোনো বৈদিক শাস্ত্র সম্পর্কে জ্ঞান রাখেনা। আজ শ্রীকৃষ্ণের ওই গাঢ় ভক্তদের একটু দেখিয়ে দেই যে কৃষ্ণকে ঈশ্বর ভাবলে গীতা কেমন স্ববিরোধী এবং ভ্রান্ত পূর্ন হয়। আসুন দেখি__________


গীতা ৪ অধ্যায়, ৫-৬ শ্লোক

 ভগবান বললেন -হে পরন্তপ অর্জুন আমার এবং তোমার বহুজনম অতিত হয়েছে, আমি সে সমস্ত জন্মের কথা মনে করতে পারি তুমি তা পার না।৫। 

 যদিও আমি জন্ম রহিত এবং আমার চিন্ময় দেহ অব্যয় এবং যদিও আমি সর্ব ভূতের ঈশ্বর তবুও আমার অন্তরঙ্গা শক্তিকে আশ্রয় করে আমি স্বীয় মায়ার দ্বারা অবতির্ন হই।৬।

ওপরের দুটি শ্লোক স্ববিরোধী কারণ ওপরের শ্লোকে কৃষ্ণ বলেছে তার অনেক বার জন্ম হয়েছে , কিন্তু দেখুন পরের শ্লোকে কৃষ্ণ বলছে যে আমি জন্ম রহিত অর্থাৎ তার জন্ম হয়না।

গীতা ৯ অধ্যায়, ২৯ শ্লোক

আমি সর্বভূতে সমান ভাবে বিরাজ করি, কেউ আমার প্রিয় নয় ও অপ্রিয়ও নয়।২৯।

গীতা ১৮ অধ্যায়, ৬৫-৬৯ শ্লোক

তুমি আমাতে চিত্ত স্থির কর এবং আমার ভক্ত হও। আমার পুজা কর এবং আমাকে নমস্কার কর। তুমি আমার অত্যন্ত প্রিয়। এই জন্য আমি প্রতিজ্ঞা করছি যে এই ভাবে তুমি আমাকে প্রাপ্ত হবে।৬৫। 

 পৃথিবীতে মানুষদের মধ্যে তার থেকে অধিক প্রিয়কারি এবং আমার প্রিয় আর কেউ নেই এবং ভবিষ্যতে কখন হবেও  না।৬৯।

ওপরের শ্লোকে কৃষ্ণ বলছে তার কাছে কেও প্রিয়ও নয় এবং অপ্রিয়ও নয়। কিন্তু নিম্নের শ্লোকে কৃষ্ণজী অর্জুন কে প্রিয় বলছে এমন কেন ? কৃষ্ণ দুই ধরনের স্ববিরোধী কথা কেন বলছে গীতায় ? আবার নিচের শ্লোকে বলছে তার মতো প্রিয় কেও হবেনা, উত্তর আছে কি কোনো কৃষ্ণভক্তদের ? এখানেই শেষ নয় আরও আছে আসুন_____


গীতা ৭ অধ্যায়, ৬ শ্লোক


হে অর্জুন! সর্বভূত(জড় ও চেতন) এই উভয় প্রকৃতি হতেই উৎপন্ন বলে জানবে এবং  আমি সমস্ত জগতের উৎপত্তি এবং প্রলয়রূপ অর্থাৎ সমগ্র জগতের মূল কারণ।৬।


গীতা ১৮ অধ্যায়, ৪৬ শ্লোক

যে পরমেশ্বর হতে সমস্ত প্রাণীর উৎপত্তি হয়েছে, যিনি এই সমগ্র জগৎ পরিব্যাপ্ত আছেন, সেই পরমেশ্বর কে নিজের স্বাভাবিক কর্মের দ্বারা  অর্চনা করে মানুষ সিদ্ধি লাভ করে।৪৬।

ওপরের শ্লোকে কৃষ্ণ বলছে যে কৃষ্ণই সমগ্র জগতের মূল কারণ, কিন্তু পরের শ্লোকে কৃষ্ণ স্বয়ং বলছে যে 'যে পরমেশ্বর হতে সমস্ত প্রাণীর উৎপত্তি হয়েছে, যিনি এই সমগ্র জগৎ পরিব্যাপ্ত আছেন'। বলছি গীতায় ঈশ্বর সংখ্যা কয়টা ? আর কৃষ্ণ একবার নিজেই নিজেকে ঈশ্বর বলছে আবার কৃষ্ণ নিজেই ঈশ্বরকে 'যিনি, সেই' বলে কথন করছে, বলছি গীতার শ্লোক এমন উল্টো পাল্টা স্ববিরোধী কেন ?

 গীতা ৯ অধ্যায়, ২৮ শ্লোক

 এই ভাবে, আমাতে সমস্ত কর্ম অর্পণ দ্বারা সন্ন্যাসযোগে যুক্ত হয়ে তুমি শুভাশুভ ফলরূপ দ্বারা কর্মবন্ধন হতে মুক্ত হবে এবং এ থেকে মুক্ত হয়ে আমাকেই প্রাপ্ত হবে।

 গীতা ১৮ অধ্যায়, ৬২ শ্লোক

হে ভারত! তুমি সর্বত্রভাবে সেই পরমেশ্বরই শরনাগত হও। তার কৃপায় তুমি পরমশক্তি এবং সনাতন পরমধাম প্রাপ্ত হয়।৬২।


ওপরের শ্লোকে কৃষ্ণজী বলছে যে 'আমাকেই প্রাপ্ত হবে'। কিন্তু নিচের শ্লোকটি দেখুন এখানে কৃষ্ণজী বলছে 'তুমি সর্বত্রভাবে সেই পরমেশ্বরই শরনাগত হও। তার কৃপায় তুমি পরমশক্তি এবং সনাতন পরমধাম প্রাপ্ত হয়'। এখানে কৃষ্ণজী 'সেই, তার' বলেছে ঈশ্বরকে অর্থাৎ কৃষ্ণজী এখানে ঈশ্বর কে নিজের থেকে ভিন্ন বলছে, কারণ কি ?  উত্তর আছে কোনো ইসকন পাদ ভক্ত ? গীতার মধ্যে কৃষ্ণ এমন স্ববিরোধী কথন করছে কেন ? আসুন আরও দেখি_____


গীতা ১৩ অধ্যায়, ১৪, ১৫,১৬ শ্লোক

তার সর্বদিকে হস্ত, পদ, চক্ষু, মস্তক, কান ও মুখ, কারণ তিনি সমগ্র জগতকে ব্যাপ্ত করে আবৃত বিরাজিত আছেন।১৪।

তিনি সমস্ত ইন্দ্রিয়ের বিষয় সমূহের জ্ঞাতা হয়েও প্রকৃত পক্ষে ইন্দ্রিয় রহিত এবং অনাসক্ত হয়েও সকলের ধারক ও পোষক, নির্গুণ হয়েও সমস্ত গুণের ভোক্তা।১৫। 

চর, অচর অর্থাৎ জঙ্গম ও স্থাবর সর্বভূতের ভেতর ও বাইরে এবং স্থাবর-জঙ্গম রূপেও তিনি বিরাজিত। অতি সূক্ষ্ম হওয়া সত্ত্বেও অবিজ্ঞেয়, তিনি জ্ঞানীর অতি নিকটে এবং অজ্ঞানীর অত্যন্ত দূরে।১৬। 


এখানে কৃষ্ণজী নিজেই ঈশ্বরকে 'তার' বলছে কৃষ্ণজী বলছে যে 'তার সর্বদিকে হস্ত, পদ, চক্ষু, মস্তক, কান ও মুখ, কারণ তিনি সমগ্র জগতকে ব্যাপ্ত করে আবৃত বিরাজিত আছেন'
অর্থাৎ ঈশ্বর সমস্ত দিকেই ব্যাপক আছে বলে কৃষ্ণজী এমন বলছে, পৌরানিকরা এই সমস্ত শ্লোক দেখে তো ঈশ্বর যে সাকার বানিয়ে দেবে কিন্তু দেখুন কৃষ্ণ ওপরের শ্লোকে বলেছে যে 'তিনি সমস্ত ইন্দ্রিয়ের বিষয় সমূহের জ্ঞাতা হয়েও প্রকৃত পক্ষে ইন্দ্রিয় রহিত ' এখানে কৃষ্ণজী বলছে যে ঈশ্বর প্রকৃত পক্ষে ইন্দ্রিয় রহিত অর্থাৎ ঈশ্বরের কোনো ইন্দ্রিয় নেই তিনি নিরাকার। তা কৃষ্ণ ভক্তরা উত্তর দিতে পারবে যে কৃষ্ণ যখন নিজেই ঈশ্বর তাহলে এখানে কৃষ্ণ কাকে 'তিনি' বলছে ? গীতা এমন কেন স্ববিরোধী উল্টো পাল্টা ?



পৌরানিকরা গীতার ওই শ্লোক গুলো ধরে টানে যে যেখানে কৃষ্ণ বলেছে যে আমিই ব্যাসদেব, আমিই কপিলমুনি, আমিই নারদ, আমিই সামবেদ, আমিই ওঙ্কার, আমিই ইন্দ্র আদি আমিই জগতের ঈশ্বর। গীতার এই সমস্ত বাণী গুলোকে প্রয়োগ করে কৃষ্ণভক্তরা কৃষ্ণকেই ঈশ্বর বানিয়ে দেয়। 
 কৃষ্ণজী 'আমি' শব্দ দ্বারা বলেছে যে 'আমিই ঈশ্বর, আমিই জগতের মূল কারণ' অর্থাৎ কৃষ্ণই ঈশ্বর, এমন যুক্তি দ্বারা যদি কৃষ্ণকে ঈশ্বর ভাবা হয় তাহলে আমি এদেরই এই যুক্তিতেই ফেঁসে দেবো, দেখুন গীতা ১০/৩৭ শ্লোকে কৃষ্ণ বলেছে যে 'বৃঞ্চীনাম্‌ বাসুদেব অস্মি পাণ্ডবানাম্‌ ধনঞ্জয়ঃ' কৃষ্ণ বলেছেন যে 'পাণ্ডবের মধ্যে আমিই ধনঞ্জয়'। এই শ্লোকে কৃষ্ণ স্পষ্ট ভাবে বলেছে যে কৃষ্ণ নিজেই ধনঞ্জয় অর্থাৎ অর্জুন, তাহলে কৃষ্ণ যদি নিজেই অর্জুন হয় তাহলে ফালতু ফালতু যুদ্ধে  সময় নষ্ট করে গীতার এতগুলো বাণী অর্জুন বলার কি দরকার  কি ছিল ? এখানে তো অবশ্যই বলা যায় যে কৃষ্ণ নিজেই অর্জুন হওয়া সত্ত্বেও গীতার জ্ঞান দেওয়ার নাটক কেন করলো যুদ্ধের মাঠে ? যদি কেউ বলে যে 'কৃষ্ণ মানব জাতিকে জ্ঞান দেওয়ার জন্য এমন করেছিল'। এই কথা বলাও ভুল হবে কারণ কৃষ্ণ যখন নিজেই অর্জুন তাহলে যুদ্ধের মাঠে গীতার জ্ঞান দিয়ে যুদ্ধের সময় নষ্ট করার কোনো মানেই ছিলনা, এই জ্ঞান তো কৃষ্ণজী তাদের বাড়িতে এসেই দিতে পারতো, আর এই (গীতা ১০/৩৭) শ্লোক অনুযায়ী গীতার ওই বিশ্বরূপ দর্শন অধ্যায়টি পুরোই একটা নাটকের অধ্যায় তা  প্রমাণ হয় কারণ কৃষ্ণ যখন নিজেই অর্জুন তাহলে ফালতু কেন কৃষ্ণজী অর্জুন কে বিশ্বরূপ দেখাতে গেল ? বলুন কৃষ্ণভক্তরা কৃষ্ণকে ঈশ্বর ভাবলে তো গীতা একটা স্ববিরোধী এবং নাটক পূর্ণ গ্রন্থ হবে তাই না ? আবার দেখুন কৃষ্ণই যখন  অর্জুন তাহলে গীতা ২/২ শ্লোকে কৃষ্ণ নিজেই অর্জুনকে অনার্য অর্থাৎ অসভ্য, মূর্খ বলেছে। তাহলে যুক্তিটি তো এই দাঁড়ায় যে কৃষ্ণ নিজেই নিজেকে অনার্য অর্থাৎ মূর্খ, অসভ্য বলেছে ? এমন উল্টো পাল্টা কেন গীতা ? এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর কি ১০০০০ বছরে খুঁজে পাবেন কৃষ্ণভক্তরা ? বৈদিক শাস্ত্র সম্পর্কে যতদিন অজ্ঞ থাকবে কৃষ্ণভক্তরা ততদিন এই সমস্ত গীতার শ্লোকের যুক্তিপূর্ণ ব্যাখ্যা দেওয়ার ক্ষমতা হবেনা।


নমস্তে