google01b5732cb2ec8f39 আর্যবীর आर्यवीर aryaveer: বৈদিক জ্ঞান

Recent News

This is default featured slide 1 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 2 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 3 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 4 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 5 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

Showing posts with label বৈদিক জ্ঞান. Show all posts
Showing posts with label বৈদিক জ্ঞান. Show all posts

ব্যভিচারী পুরুষ ও মহিলার জন্য মনুস্মৃতির কঠোর দণ্ড! এই দণ্ড আজ ভারতে থাকলে ধর্ষণ আদি কোনো ব্যভিচার থাকতো না এই বিশ্বে

ব্যভিচারী পুরুষ ও মহিলার জন্য মনুস্মৃতির কঠোর দণ্ড! এই দণ্ড আজ ভারতে থাকলে ধর্ষণ আদি কোনো ব্যভিচার থাকতো না এই বিশ্বে!



আমাদের ভারতে এত পরিমানে ধর্ষণ হচ্ছে শুধু ধর্ষণই নয় ধর্ষণ কে মেরে ফেলা হচ্ছে নৃশংস ভাবে। কিন্তু ভারতের চামার সংবিধানে এর কোনো যথাযথ শাস্তি নেই! ভারতের সংবিধানের মতো বাজে সংবিধান বিশ্বে আর নেই, আজ যদি মহর্ষি মনু মহারাজের তৈরি বেদানুকূল সংবিধান থাকতো তাহলে কোনো প্রকারের ব্যভিচার করার কেউ সাহস পেতো না! কোটি কোটি বছর ধরে এই মনুস্মৃতিই ছিল আমাদের সংবিধান রামায়ণ এবং মহাভারতের সময়েও এই মনুস্মৃতিই ছিল আমাদের সংবিধান। শ্রীরাম বালি কে হত্যা করেছিল মনুস্মৃতিরই আইন অনুযায়ী দেখে নেবেন এই বিষয়ে আমার পোষ্টটি___
শ্রীরামও মনুস্মৃতির আইন কে মেনে চলতেন, জানুন বিস্তারিত


দেখেনিন মনুস্মৃতিতে ব্যভিচারী পুরুষ এবং নারীর বিষয়ে কিরূপ দণ্ডের বিধান আছে_____



পুরুষের ক্ষেত্রে____

মনুস্মৃতি ৮/৩৭২

যে পুরুষ স্ত্রীকে ত্যাগ করে পরস্ত্রী বা বেশ্যাগমন করে, সেই পাপীকে উত্তপ্ত লোহার পালঙ্কে শায়িত করে বহু লোকের সামনে জীবিত জ্বালিয়ে দেওয়া হবে।

আছে এমন আইন আজ শ্রীরাম, শ্রীকৃষ্ণের সেই আর্যবর্ত দেশে ?

এইবার মহিলার ক্ষেত্রে দেখুন____

মনুস্মৃতি ৮/৩৭১

যে স্ত্রী স্বজাতির অহঙ্কারে স্বামীকে ত্যাগ করে পরপুরুষের সাথে ব্যভিচার করে, সেই মহিলাকে বহু লোকের সামনে কুকুর দষ্ট(কুকুরের কামড়ের দ্বারা) করে হত্যা করা হবে।


এমন বিধান যদি ভারতে থাকতো তাহলে কোনো মহিলা বা পুরুষ ব্যভিচার করার সাহস পেতো না! এখন ভারতের এমনই অবস্থা যে এখানে ব্যভিচার করার জন্য আইন তৈরি করা হচ্ছে পরকীয়া, সমকামিতার মতো সুন্দর আইন। এই ভাবে চলতেই থাকলে একসময় এই ভারতেই পর্ণ ফিল্ম করাকেও বৈধ করবে সুপ্রিমকোর্ট আমার ধারনা!




দেখুন মহর্ষি মনু মহারাজ মনুস্মৃতিতে ৪ বর্ণের করা কোনো পাপের শাস্তির কিরূপ বিধান করেছে, মনুস্মৃতি যে যারা শুদ্র বিরোধী বলে তারা যেন অবস্যই দেখে এই লিখা

দেখুন মহর্ষি মনু মহারাজ মনুস্মৃতিতে ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য এবং শুদ্রের করা কোনো পাপ কর্মের জন্য শাস্তির বিধান করেছে, মনুস্মৃতি যে যারা শুদ্র বিরোধী বলে তারা যেন অবস্যই দেখে এই লিখা




সকলে এইটি অবশ্যই জানে যে ডক্টর আম্বেদকর মনুস্মৃতিকে জ্বালিয়ে দিয়েছিল! যা খুবই দুঃখজনক, অনেকেই বলতে পারে যে আম্বেদকর মোল্লার দালাল ছিল বলেই হিন্দুদের ধর্মগ্রন্থ জ্বালিয়ে দিয়েছিল। এই ভাবনা যদি কেউ ভেবে থাকে তাহলে তার ভাবনা ভুল,   আম্বেদকরের জন্ম শুদ্র বর্ণের ঘরে ছোটো বেলায় তার ওপর অনেক অত্যাচার হয়েছে শুদ্র শুদ্র হওয়ার কারণে আর এই অত্যাচার করেছে পুতুল পূজারী নামধারী ব্রাহ্মণরা। আমি এদের নামধারী ব্রাহ্মণ এজন্যই বললাম যে ব্রাহ্মণ তাকেই বলে যিনি ব্রহ্মজ্ঞানী(বেদজ্ঞ) আর এই প্রকৃত ব্রাহ্মণ কখনোই শুদ্রদের ওপর অত্যাচার করবেনা, যিনি বেদ কে জেনেছে তিনি প্রতিটি জীব কে সমান চোখে দেখেছে। মহর্ষি দয়ানন্দই আধুনিকে এই প্রকার ব্যক্তি যিনি দলিত বা শুদ্রদের বুকে জড়িয়ে নিয়েছিল এবং তাদের আর্য বলে ডেকেছিল। মধ্যকালে শুদ্রদের ওপর যারা অত্যাচার করেছে তারা সবাই এই নামধারী মূর্তি পূজারী ব্রাহ্মণ! আম্বেদকর বড়ো হয়ে মনুস্মৃতিকে পড়েছিল মোটামুটি ভাবে আর মনুস্মৃতির ওপর তার খুবই রাগ ছিল কারণ মনুস্মৃতির মধ্যে বহু শ্লোক আছে যেখানে নারীদের ঘৃণা, শুদ্রদের ঘৃণা করা আদি নানান বিধান আছে । এগুলো দেখেই আম্বেদকর মনুস্মৃতি জ্বালিয়েছিল, এখন অবশ্যই প্রশ্ন    এক প্রশ্ন জাগতে পারে যে মনুস্মৃতি কি পূর্বেও এমন ছিল ? মনুস্মৃতি পূর্বে কখনোই এমন ছিলোনা, মহর্ষি দয়ানন্দ জী সর্বপ্রথম বলেছেন যে মনুস্মৃতি প্রক্ষিপ্ত অর্থাৎ মনুস্মৃতির মধ্যে অনেক শ্লোক ঢোকানো হয়েছে যা পুরোই বেদ বিরোধী, এবং দয়ানন্দ জী এই বেদ বিরোধী শ্লোক গুলোকে বাদ দিতে বলেছে। আমাদের আর্যসমাজের বিদ্বান ডক্টর সুরেন্দ্রকুমার মনুস্মৃতি নিয়ে গবেষণা করার পর তিনি মনুস্মৃতি থেকে বেদানুকূল শ্লোক ১২১৪ টি পেয়েছে এবং বেদ বিরোধী প্রক্ষিপ্ত শ্লোক ১৪৭১ টি পেয়েছে, মনুস্মৃতি মোট শ্লোক ২৬৮৫ টি অর্থাৎ বেশির ভাগ শ্লোকই প্রক্ষিপ্ত। আপনারা কেউ যদি মনুস্মৃতি সম্পূৰ্ণ ভাবে পড়েন কিনা তাহলে স্পষ্ট ভাবে বুঝতে পারবেন যে মনুস্মৃতিতে ১২১৪ শ্লোকের সাথে ১৪৭১ শ্লোক পুরোই স্ববিরোধী, ইহার দ্বারা স্পষ্ট বোঝা যায় যে মনুস্মৃতির মধ্যে এই বেদ বিরোধী শ্লোক গুলো ঢুকানো হয়েছে আর এই শ্লোক গুলোতে আছে মাংস খাওয়া, পশুবলি, শুদ্রদের ঘৃণা করা, নারীদের ঘৃণা করা এবং কিছু অশ্লীলতা আর অপর বেদানুকূল শ্লোক গুলোতে নারীদের এবং পুরুষ কে সম সম্মান, শুদ্রদের কোনো প্রকারের ঘৃণা করে হয়নি, জীব হত্যাকারীকে মহাপাপি বলেছে, গুণ ও কর্ম অনুযায়ী ৪ বর্ণ হয় জন্ম অনুযায়ী নয় আদি নানান বেদানুকূল বিষয়।  স্বার্থবাদী নামধারী ব্রাহ্মণরা নিজেদের ভালোর জন্য এই শ্লোক গুলো ঢুকিয়েছিল। মহর্ষি দয়ানন্দের অনুসারে মহর্ষি মনু মহারাজ ছিল জগতের প্রথম রাজা এবং তিনি মনুস্মৃতি রচনা করেছিলেন মানব জাতির জন্য, এই মনুস্মৃতির আইন রামায়ণের সময়েও, মহাভারতের সময়েও ছিল, কোটি কোটি বছর ধরে এই মনুস্মৃতিই ছিল আমাদের সংবিধান, এখন হিন্দু সমাজ মনুস্মৃতিকে গুরুত্ব না দিলেও আমাদের(আর্য) সংবিধান কিন্তু এই মনুস্মৃতিই। আসুন এইবার আসল বিষয়টি দেখি যে মনু মহারাজ ৪ বর্ণের কোনো পাপের জন্য কিরূপ শাস্তির বিধান করেছে মনুস্মৃতিতে, আসুন দেখি_______



মনুস্মৃতি ৮ অধ্যায়, ৩৩৭-৩৩৮ শ্লোক


এখানে বলা হয়েছে যে- কোনো শুদ্র যদি নিজের কিঞ্চিৎ বিবেক দ্বারা চুরি করে তাহলে তাকে আট গুণ শাস্তি দেওয়া হবে, এই একই চুরি যদি কোনো বৈশ্য করে তাহলে তাকে ষোলো গুণ শাস্তি বেশি দেওয়া হবে, এই একই চুরি যদি কোনো ক্ষত্রিয় করে তাহলে তাকে বত্রিশ গুণ শাস্তি বেশি দেওয়া হবে, আবার এই একই চুরি যদি কোনো ব্রাহ্মণ করে তাহলে তাকে চৌষট্টি গুণ অথবা একশ গুণ অথবা একশ আঠাশ গুণ শাস্তি বেশি দেওয়া হবে। অর্থাৎ এর তাৎপর্য এই যে শুদ্ররা (যারা শাস্ত্রীয় কোনো জ্ঞান রাখেনা, এবং সকল বর্ণের সেবা করে) মূর্খ হয় কাজেই তাদের জ্ঞান কম হয় সে ভুল কাজ করে ফেলে অজ্ঞানতায় যার তাই শুদ্র যদি চুরি করে তাহলে তাকে শাস্তি ৪ গুণ দেওয়া হবে। শুদ্রদের থেকে একটু বেশি জ্ঞানী হয় বৈশ্য (যারা ব্যাবসা-বাণিজ্য, কৃষিকাজ আদি করে) তাই বৈশ্য কে ৮ গুণ বেশি শাস্তি দেওয়া হবে, আর বৈশ্যের চেয়ে ক্ষত্রিয় বেশি জ্ঞানী হয়, কারণ ক্ষত্রিয়ের কাজ হলো দেশ কে শাসন করা, দেশ কে রক্ষা করে তো এই ক্ষত্রিয়ই যদি চুরি করে তাহলে তো দেশের পতন ঘটবে কাজেই ক্ষত্রিয় কে ৩২ গুণ শাস্তি দেওয়া হবে। আর ব্রাহ্মণ হলো সর্বশ্রেষ্ঠ জ্ঞানী যিনি বেদজ্ঞ হয়, তো যিনি সকল বৰ্ণকে শিক্ষা দেয় যিনি ধর্মকে সম্পূর্ণ রূপে জানে সেই ব্রাহ্মণই যদি চুরি করে তাহলে ৬৪ গুণ বা ১০০ গুণ বা ১২৮ গুণ শাস্তি দেওয়া হবে।

যে মনুস্মৃতিতে এমন বিধান আছে সেই মনুস্মৃতিকে আজ ভারতের বহু সম্প্রদায় শুদ্র বা দলিত বিরোধী বলেই চেনে! যারা মনু বিরোধী তাদের চোখে এই সমস্ত শ্লোক গুলো  পড়েনা, কারণ তাদের কাজই হলো অপপ্রচার করা। আজ যদি এই মনুস্মৃতিই আমাদের সংবিধান হতো তাহলে এতো জাতিভেদ হিন্দু সমাজে কখনোই থাকতো না। 




নমস্তে

বৈদিক শাস্ত্রে নারী

।।ও৩ম্।।
পর্ব (১)
সৃষ্টির আদি থেকে মাতৃশক্তি



নারী তার পছন্দ মতো জীবন সঙ্গী বেছে নেবে-
ব্রহ্মচর্য়েণ কন্যা৩ য়ুবানং বিন্দতে পতিম্।
অনড্বান্ব্রহ্মচর্য়েনাশ্বো ঘাসং জিগীর্তি।।১৮।। (অথর্ব০ ১১/৫/১৮)
পদার্থঃ (ব্রহ্মচর্য়েণ) ব্রহ্মচর্য [বেদাধ্যয়ন আর ইন্দ্রিয়নিগ্রহ] দ্বারা (কন্যা) কন্যা [পছন্দের যোগ্য চেলে] 
(য়ুবানম্) যুবা [ব্রহ্মচর্য দ্বারা বলবান] (পতিম্) স্বামী [পালনকর্তা বা ঐশ্বর্বান পতি] কে (বন্দতে) প্রাপ্ত করেন। (অনড্বান্) [রথ নিয়ে চালনাকারী] দামড়া-ছিন্নমুষ্ক ষাঁড় আর (অশ্বঃ) ঘোড়া (ব্রহ্মচর্য়েণ) ব্রহ্মচর্যের সাথে [নিয়ম দ্বারা নৈষ্টিক ব্রহ্মচারী হয়ে] (ঘাসম্=ঘাসেন) ঘাস দ্বারা (জিগীর্ষতি) সিঞ্চন করে [গর্ভাধান করে] ইচ্চা করে।।১৮।।
ভাবার্থঃ কন্যা ব্রহ্মচর্য দ্বারা পূর্ণ বিদুষী আর যুবতী হয়ে পূর্ণ ব্রহ্মচারী বিদ্বান যুবা পুরুষের সাথে বিবাহ করবে আর যেরূপ দামড়া -ছিন্নমুষ্ক সাঁড়, ঘোড়া আদি বলবান আর শীঘ্রগামী পশু ঘাস তৃণ ভক্ষণ করে ব্রহ্মচর্য নিয়ম দ্বারা সময়ে বলবান সন্তান উৎপন্ন করে, ঐরূপই মনুষ্য পূর্ণ ব্রহ্মচারী, বিদ্বান যুবা হয়ে নিজের সদৃশ্য কন্যার বিবাহ করে নিয়ম পূর্বক বলবান, সুশীল সন্তান উৎপন্ন করবে।।১৮।।


ভাষ্যঃ পণ্ডিত ক্ষেমকরনদাস ত্রিবেদী

নারী নিজের জ্ঞানের দ্বারা সংসারকে সমৃদ্ধি করেন-
কুহূর্দেবানামমৃতস্য পত্নী হব্যা নো অস্য হবিষো জুষেত।
শৃণোতু য়জ্ঞমুশতী নো অদ্য রায়স্পোষং চিকিতুষী দধাতু।।২।। (অথর্ব০ ৭/৪৭/২)
পদার্থঃ (দেবানাম্) দেবের মধ্যে (অমৃততস্য) অমৃত ব্যক্তির (পত্নী কুহূঃ) পত্নী কুহূ, [বিচিত্র স্বভাবের স্ত্রী] (হব্যা) সৎকার পূর্বক আহ্বানীয়, (অদ্য) এই সময় (নঃ অস্য হবিষঃ) আমাদের এই হবিষ্যান্নর (জুষেত) সেবন করে, ভোজন করে। (শৃণোতু) আমাদের প্রার্থনা শুনে, (য়জ্ঞমুশতী) গৃহস্থযজ্ঞের কামনাকারী, (চিকিতুষী) তথা সম্যক-জ্ঞানবান বিদুষী, (নঃ) আমাদের (রায়স্পোষম্) নিজ জ্ঞানরূপী সম্পত্তি (দধাতু) প্রদান করে।।২।।

নারী যেন দুঃখ্য কষ্ট না পায়-
ইমা নারীরবিধবাঃ সুপত্নীরাঞ্জনেন সর্পিষা সংস্পৃশন্তাম্।
অনশ্রবো অনমীবাঃ সুরত্না আ রোহন্তু জনয়ো য়োনিমগ্রে।।৩১।। (অথর্ব০ ১২/২/৩১)
পদার্থঃ (অবিধবাঃ) না বিধবা অর্থাৎ জীবিত পতিশীল, (সুপত্নীঃ) উত্তম-পত্নিরা-(ইমাঃ নারীঃ) অর্থাৎ যে নারীরা (আঞ্জনেন-অঞ্জনেন) অঞ্জন, (সর্পিষা) আর দ্রব্যভূত ঘৃতের সাথে (সংস্পৃশন্তাম্) সংস্পর্শ করেন। (অনশ্রবঃ) অশ্রু থেকে রহিত অর্থাৎ সদা সুপ্রসন্ন, (অনমীবাঃ) রোগ রহিত, (সুরত্নাঃ) অলংকারের দ্বারা সুভূষিত, (জনয়ঃ)  সন্তানোৎপাদিকা এই নারীরা, (য়োনিম্) ঘরে (অগ্রে) পতিকে আগে-আগে হয়ে (আরোহন্তু) চড়ে, প্রবেশ করেন।।৩১।।
[আরোহন্তু=ঘরের ভিত পৃথিবীতল দ্বারা উচু আর সীড়িযুক্ত হওয়া উচিত। (য়োনিঃ গৃহনাম=নিঘ০ ৩/৪)। সংস্পৃশন্তাম্=অঞ্জন দ্বারা চোখের তথা সর্পিঃ দ্বারা শরীরে স্পর্শ]।
ভাষ্যঃ প্রো০ বিশ্বনাথ বিদ্যালঙ্কার

নারী বিদ্বার দ্বারা শোভা বাড়াবে-
রেভ্যাসীদনুদেয়ী নারার্সী ন্যোচনী।
সূর্য়ায়া ভদ্রমিদ্বাসো গাথয়ৈতি পরিষ্কৃতা।।৭।। (অথর্ব০ ১৪/১/৭)
পদার্থঃ (রৈভী) বেদবাণী (সূর্য়ায়াঃ) প্রেরণাকারী [বা সূর্যের উজ্জ্বলতার সমান তেজশালী] কন্যার (অনুদেয়ী) সহচর [তুল্য] আর (নারাশংসী) মনুষ্যের গুণের স্তুতি (ন্যোচনী) খাঁটি [ছোট সহজ-সরল তুল্য] (আসীত্) হয়। আর (ভদ্রম্) শুভ কর্ম (ইত্) ই (বাসঃ) বস্ত্র [সমান] হোক [কেননা সে] (গাথয়া) গাওয়ার যোগ্য বেদ বিদ্যা দ্বারা (পরিষ্কৃত) সজ্জিত হয়ে (এতি) চলতে থাকে।।৭।।
ভাবার্থঃ কন্যা বেদ আর ইতিহাসকে স্বাধ্যায় করে বিচার পূর্বক শুভ কর্মকরে উত্তম বিদ্যা দ্বারা নিজের শোভা বাড়াবে।।৭।।

ভাষ্যঃ পণ্ডিত ক্ষেমকরনদাস ত্রিবেদী

।।ও৩ম্ শান্তি শান্তি শান্তি।।


মনুষ্যের মতো দেখতে হলেই কি সে মনুষ্য ?

প্রশ্নঃ মনুষ্যের মতো দেখতে হলেই কি সে মনুষ্য ?


উত্তরঃ না কখনোই নয়, মনুষ্যের মতো দেখতে যদি সকল কে মনুষ্য বলা হয় তাহলে সেই কথা বেদ আদি শাস্ত্র এবং যুক্তি বিরুদ্ধ হবে। কারণ ঋগ্বেদের মধ্যে বলা হয়েছে যে  'मनुर्भव' অর্থাৎ 'মানুষ হও' ঋগ্বেদ ১০/৫৩/৬। এইবার ভাবুন তো মনুষ্য আকার সকল কে যদি প্রকৃত অর্থে মানুষ বলা হয় তাহলে বেদ শাস্ত্র কাকে  মানুষ হতে বলছে ? এই মনুষ্যের পরিভাষা করতে গিয়ে মহর্ষি যাস্ক বলেছেন যে - 'मनुष्यः कस्मात् मत्वा कर्माणि सीव्यति' निरूक्त ३/७ অর্থাৎ 'যিনি বিচার পূর্বক কর্ম করে তিনিই হলো মনুষ্য' নিরুক্ত ৩/৭। কাজেই সকল কে মনুষ্য বলা প্রকৃত অর্থে ঠিক না, একমাত্র যে ব্যক্তির মধ্যে  মনুষ্যের গুণ থাকে একমাত্র তাকেই মনুষ্য বলা যাবে।

কাজেই আচার্য্য চাণক্য মনুষ্য আকার অমানুষের সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলছেন যে -মূর্খকে দূর করা উচিত, কারণ ইহারা দেখতে মনুষ্যের মতো কিন্তু যথার্থ ভাবে দেখো তো দুই পায়ের পশু। চাণক্যনীতি ৩/৭। আচার্য্য চাণক্যজী মূর্খকে পশু বলেছে, কিন্তু  মূর্খ কে পশু বললে যদি কোনো ব্যক্তি বলে যে এইটা একটা গালি, তো সেই ব্যক্তিকেও পশু বলা যাবে কারণ তার কোনো এই বিষয়ে যোগ্যতা নেই তবুও মূর্খের মতো কথা বলতে এসেছে। এরূপ যোগীরাজ কৃষ্ণও অর্জুনের মূর্খতা দেখে তাকে অনার্য অর্থাৎ অসভ্য, অশ্রেষ্ঠ বলেছিল, গীতা ২/২।


নমস্তে
মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী

কোনো স্থানে যোগ্য উপদেশক থাকলে কি উপকার হয় আর না থাকলে কি ক্ষতি হয় ?

প্রশ্নঃ কোনো স্থানে যোগ্য উপদেশক থাকলে কি উপকার হয় আর না থাকলে কি ক্ষতি হয় ? 

উত্তরঃ এই বিষয়ে মহর্ষি কপিল কয়েকটি সূত্র দিয়ে গেছেন,,.....

उपदेश्योपदेष्ट्टत्वात् तत्सिद्धिः ।।सांख्यदर्शन ३/७९

অর্থঃ (উপদেশ‍্যোপদেষ্ট্টাত্) উদ্দেশ্যের উপদেষ্টা হওয়ার ফলে (তত্সিদ্ধিঃ) জীবন মুক্ত হওয়া সিদ্ধ হয়।। সাংখ্যদর্শন ৩/৭৯ 

इतरथाहन्धपरम्परा ।। सांख्यदर्शन ३/८१ 

অর্থঃ (ইতর) অন্যথা (অন্ধপরম্পরা) অন্ধপরম্পরা 
সমাজে চলবে।। সাংখ্যদর্শন ৩/৮১


অর্থাৎ যখন যোগ্য উপদেশক থাকে তখন ধর্ম,অর্থ, কাম, মোক্ষ ভালো ভাবে সিদ্ধ হয়, কিন্তু যখন কোনো যোগ্য উপদেশক থাকে না তখন সমাজে অন্ধপরম্পরা চলতেই থাকে। যেমন আমাদের হিন্দু সমাজে চলছে হাজারো বছর ধরে চলে আসছে অন্ধবিশ্বাস মূর্খতা এবং অন্ধভক্তি!