![]() |
ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ, কৃষ্ণজন্ম খণ্ড, অধ্যায় ৮৮ |
গোপীগণ এসে কৃষ্ণকে স্তন এবং শ্রোণী দেখাচ্ছেন! (শ্রোণী বলতে নিতম্বদেশের আসে পাশে যে অঙ্গ গুলো থাকে যেমন যোনি, মলদ্বার এর পুরো সমষ্টি কে শ্রোণী বলা হয় ) , কোনো গোপিনী কৃষ্ণ কে সেই শ্রোণীতে স্থাপন করেছে , সেই লীলায় এক গোপিনী আর এক গোপিনী কে উলঙ্গ করছে, কৃষ্ণ কে নিয়ে তারা কাম কর্মে লিপ্ত হলো গোপীগণ, কৃষ্ণও লিপ্ত হলো, মনের আনন্দে কোনো গোপীগণ নিত্য করছে, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কৌতূহল ভাবে গোপিনীদের উলঙ্গ করতে শুরু করলেন , গোপীগণ তাদের কাপড় নিয়ে খেলা করছে। কৃষ্ণ রাধিকাকে বক্ষে জড়িয়ে ধরেন । নবীন সঙ্গমে তার হারায় চেতন, গোপীদের স্তনের ওপর নখ দিয়ে ক্ষত করেন কৃষ্ণ জী, শুধু তাই নয় যোনি ,মলদ্বার ইত্যাদিতেও নখ দিয়ে আঘাত করেছে কৃষ্ণজী আর এই ভাবে লীলা চালিয়ে যাচ্ছে। যে কৃষ্ণ গীতার মতো জ্ঞান দিয়েছে যে গীতার জ্ঞান শ্রবণ করে অর্জুন নিজের ক্ষাত্র ধর্মকে পালন করার জন্য যুদ্ধ করতে লেগেছিল, সেই কৃষ্ণ এমন লুচ্চামি করবে ?
![]() |
ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ, কৃষ্ণজন্ম খণ্ড, অধ্যায় ২৮ |
যোগীরাজ শ্রীকৃষ্ণ গীতায় বলেছেন ১৬ অধ্যায় ২১ শ্লোক- হে অর্জুন! কাম, ক্রোধ এবং লোভ হলো নরকের দরজা, এগুলো কে ত্যাগ করো। যে কৃষ্ণ এমন কথা বলেছে গীতায় যে কাম হলো নরকের দরজা এবং একে এড়িয়ে চলতে বলেছে সেই কৃষ্ণকে এমন এমন কুকর্মে লিপ্ত করেছে এই ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণের লেখক! এই মূর্খ ভণ্ড পুরাণ লেখকগণ তো কৃষ্ণকেই স্ববিরোধী বানিয়ে দিচ্ছে! যে কৃষ্ণ একজন মহাজ্ঞানী ছিলেন, গীতায় তাকে যোগী এবং যোগেশ্বর(মহাযোগী) বলা হয়েছে, সেই কৃষ্ণজীকে এই সমস্ত অশ্লীল পুরাণের লেখক হয় কামী বানিয়ে দিয়েছে, এই ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণকে তো বৈষ্ণবগণ খুবই মেনে চলে, কতটা নিলজ্জ অসভ্য হলে এই সমস্ত অশ্লীল বইকে ধর্ম গ্রন্থ বলা যায় তা ভাবার বিষয়, এগুলোই যদি ধর্ম গ্রন্থ হয় তাহলে অধর্মের গ্রন্থ কেমন হবে ? কিছু আবাল কৃষ্ণ ভক্ত আছে যারা এই সমস্ত কাহিনীকে সত্য বলে মনে করে, আবার আরও কিছু মূর্খ আছে যারা এই অশ্লীল লীলা গুলোকে আধ্যাত্মিক বলে কথন করে। কোনো বৈষ্ণবকে যদি এই অশ্লীলতা গুলো নিয়ে প্রশ্ন করা হয় তাহলে কি উত্তর দেয় জানেন, তাদের উত্তর এই যে "এই সমস্ত লীলা বোঝার ক্ষমতা তোমাদের হয়নি, একমাত্র সদা বৈষ্ণব হলেই এই অধ্যাত্মিক লীলা বুঝতে পারবে"। উক্ত অশ্লীলতার বিরুদ্ধে কিছু বললেই এমন ত্যানা পেঁচিয়ে পালিয়ে যায়, কারণ ভণ্ডের কাছে ভালো কিছু মিলে না। এই অশ্লীল লীলা গুলো লিখেছে সুবিধাবাদী ভণ্ড গোসাইরা এরা নিজেরা কুকর্ম চালাতো আর সেই কুকর্মকে সঠিক প্রমাণ করার শ্রীকৃষ্ণের মতো যোগী আপ্ত পুরুষের গায়ে দাগ লাগাতে ওই সমস্ত ভণ্ডরা একবারও ভাবেনি, এখনো অনেক এমন বৈষ্ণব আছে যারা এমন কথা বলে যে কৃষ্ণ যখন ভগবান হয়ে এমন করতে পারে তাহলে আমরা করলে দোষ কোথায় ? এইভাবেই ভণ্ড গোসাইরা লুচ্চামির বংশ পরম্পরা চালিয়ে যাচ্ছে শ্রীকৃষ্ণের দোহাই দিয়ে।
এই ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণের মধ্যে যেমন অশ্লীলতাই ভরপুর ঠিক তেমনি মহাবিজ্ঞানেও ভরপুর,দেখুন একটি মহাবিজ্ঞান_____
নাস্তিক
ReplyDeleteবাচ্চা
কুরানের কোথাই অশ্লীলতা আছে রেফারেন্স দাও
ReplyDelete