পৌরাণিক ভাইরা মহর্ষি দয়ানন্দ এবং আর্য়সমাজ কে কেন গালি দেয় ?
✍️যখন আমরা(আর্যসমাজিরা) ভণ্ড,ধুর্তদের বিরুদ্ধে লিখি তখন পৌরানিকরা মহর্ষি দয়ানন্দকে গালি দেয়।
✍️যখন আমরা ভাগবত আদি পুরাণের অশ্লীলতার বিরুদ্ধে বলি তখনও পৌরানিকরা মহর্ষি দয়ানন্দ কে গালি দেয়।
✍️ শ্রীরাম, শ্রীকৃষ্ণ মাংসাহারী ছিলোনা যখন আমরা এমন সিদ্ধ করি তখনও পৌরানিকরা মহর্ষি দয়ানন্দ কে গালি দেয়।
✍️যখন আমরা সিদ্ধ করি যে যোগীরাজ কৃষ্ণের প্রায় ১৬১০৮ স্ত্রী ছিলনা (তার শুধু একটি স্ত্রী ছিল যার নাম রুক্মিণী), তখনও পৌরাণিকরা মহর্ষি দয়ানন্দ কে গালি দেয়।
✍️যখন আমরা বেদের বিজ্ঞানকে তুলে ধরি তখনও পৌরানিকরা মহর্ষি দয়ানন্দ কে গালি দেয়।
✍️যখন আমরা সায়ণ, ম্যাক্সমুলার, রমেশচন্দ্র আদির বেদ ভাষ্যে থাকা গরু, ঘোড়া, মহিষের মাংস খাওয়া এবং নানান অশ্লীলতা যুক্ত বিকৃত বেদ ভাষ্য কে মিথ্যা বলে আর্যসমাজের সঠিক বেদ ভাষ্য কে তুলে ধরি তখনও পৌরানিকরা মহর্ষি দয়ানন্দ কে গালি দেয়।
✍️মহর্ষি দয়ানন্দ বলেছেন যে তিনি ঋষি ব্রহ্মা থেকে ঋষি জৈমিনি পর্যন্ত সব্বাই কে সম্মান করে এবং তাদের আদেশ মেনে চলে তবুও এই পৌরানিকরা মহর্ষি দয়ানন্দ কে গালি দেয়।
✍️যখন আমরা বৈদিক শাস্ত্র এবং যুক্তি তর্ক দ্বারা মূর্তি পূজা কে খণ্ডন করি তখনও পৌরানিকরা মহর্ষি দয়ানন্দ কে গালি দেয়।
✍️ভাগবত পুরাণ, বিষ্ণু পুরাণ, ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ আদি পুরাণে কৃষ্ণ কে লুচ্চা বানানোর হয়েছে তবুও এই সমস্ত পুরাণকে ইহারা মেনে চলে। কিন্তু মহর্ষি দয়ানন্দ বলেছিলেন যে কৃষ্ণ একজন আপ্ত পুরুষ ছিল অর্থাৎ কৃষ্ণ একজন এমন পুরুষ ছিলেন যিনি কখনোই কোনো ভুল কর্ম করেনি। তবুও পৌরাণিকরা মহর্ষি দয়ানন্দ কে গালি দেয়।।
✍️শুদ্ধি আন্দোলন শুরু করেছিল মহর্ষি দয়ানন্দ সেই আন্দোলন কে সারা ভারত ছড়িয়ে দিয়েছিল আর্যবীর স্বামী শ্রদ্ধানন্দ সরস্বতী,যে শুদ্ধির মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ মুসলিম খ্রিস্টান কে বৈদিক ধর্মে আনা হয়েছিল, আজও এই কাজ আর্যসমাজ করেই চলেছে দেশ বিদেশের বিভিন্ন স্থানে , তবুও পৌরাণিকরা মহর্ষি দয়ানন্দ কে গালি দেয়।
✍️মহর্ষি দয়ানন্দ সর্বপ্রথম বলেন যে মনুস্মৃতি কে বিকৃত করা হয়েছে, কারণ মনুস্মৃতির মধ্যে স্ববিরোধী শ্লোক পাওয়া যায়, প্রকরণ বিরুদ্ধে শ্লোক পাওয়া যায় আর এই সমস্ত শ্লোক গুলোতে শুদ্রদের,নারীদের ঘৃণা করা হয়েছে। তাই আর্যসমাজিরা মনুস্মৃতির প্রক্ষিপ্ত মিথ্যা শ্লোক কে মানেনা কাজেই আর্যসমাজের মনুস্মৃতি ভাষ্যতে কোনো প্রক্ষিপ্ত শ্লোক নেই, এবং মনুস্মৃতির কোন শ্লোক কেন প্রক্ষিপ্ত সেই বিষয় গুলোও তুলে ধরা হয়েছে বৈদিক শাস্ত্র দ্বারা, তবুও পৌরানিকরা মহর্ষি দয়ানন্দ কে গালি দেয়।
✍️যখন আমরা ভাগবত পুরাণে উল্লেখিত পিতা ব্রহ্মা এবং মেয়ে সরস্বতীর অশ্লীল যৌন লীলার বিরুদ্ধে কথা বলি তখনও পৌরানিকরা মহর্ষি দয়ানন্দ কে গালি দেয়।
✍️যখন আমরা শিব পুরাণে উল্লেখিত দারুবনে ঋষিদের অভিশাপে শিবের লিঙ্গ কেটে পড়ার কাহিনী কে মিথ্যা বলি এবং খণ্ডন করি তখনও ইহারা মহর্ষি দয়ানন্দ কে গালি দেয়।
✍️যখন আমরা কামাখ্যা যোনি পূজা করাকে অশ্লীলতা বলি তখনও পৌরানিকরা মহর্ষি দয়ানন্দ কে গালি দেয়।
✍️যখন আমরা পুরাণের অবৈজ্ঞানিক কাহিনী কে খণ্ডন করি জ্ঞান এবং যুক্তি দ্বারা তখনও পৌরানিকরা মহর্ষি দয়ানন্দ কে গালি দেয়।
✍️যখন আমরা বৈদিক শাস্ত্রের প্রমাণ দিয়ে তুলে ধরি যে আমাদের চার বর্ণ হলো গুণ এবং কর্ম অনুসারে কিন্তু জন্ম অনুসারে নয়। তখনও পৌরাণিক মহর্ষি দয়ানন্দ কে গালি দেয়।
✍️যখন আমরা উলঙ্গ কালী পূজার অশ্লীলতার বিরুদ্ধে কথা বলি তখনও ইহারা মহর্ষি দয়ানন্দ কে গালি দেয়।
✍️ আমরা মাংস খেকো বিবেকানন্দ কে সন্ন্যাসী মানিনা কিন্তু বিবেকানন্দ কে এক ভণ্ড পশু হিসেবে মান্য করি কারণ শ্রেষ্ঠ আচার্য্য চাণক্য বলেছেন যে মাংস ভক্ষণকারীরা হলো মনুষ্য আকারের পশু। চাণক্যনীতি ৮/২২। তবুও পৌরানিকরা মহর্ষি দয়ানন্দ কে গালি দেয়।
✍️আমরা বলি যে বেদ হলো সমস্ত জ্ঞানের মূল এবং সংষ্কৃত হলো সমস্ত ভাষার মূল তবুও পৌরাণিক মহর্ষি দয়ানন্দ কে গালি দেয়।
✍️যখন আমরা ভাগবত পুরাণে উল্লিখিত ভগবান শঙ্কর দ্বারা ভগবান বিষ্ণুর ধর্ষণ এর অশ্লীল কাহিনীর বিরুদ্ধে কথা বলি তখনও পৌরানিকরা মহর্ষি দয়ানন্দ কে গালি দেয়।
বলছি এই পৌরানিকদের কাজই কি মহর্ষি দয়ানন্দ কে গালি দেওয়া আর অপমানিত করা ? নাকি এই পৌরাণিক চায় যে তারা পুরাণ কাহিনীর মূর্খতা, অশ্লীলতার মধ্যে আরোই গভীর ভাবে প্রবেশ করবে ?
নাকি এই পৌরানিকরা প্রতিজ্ঞা করেছে যে তারা পুরাণের অশ্লীলতা, ভণ্ডামি এবং মিথ্যা কে সর্বদা সম্মান করবে ?
এই পৌরানিকরা কেন চায়না যে বেদের আলো পুরো বিশ্ব ছড়িয়ে পড়ুক ? আমার মনে হয় এই পৌরাণিক হিন্দুরা চায়না যে তারা পূর্বের নাম 'আর্য়' কে ধারণ করুক!
যদি এই পৌরানিকরা চাইতো যে পরমাত্মার 'বেদ' সমস্ত জায়গায় ছড়িয়ে পড়ুক তাহলে তারা সমস্ত অশ্লীলতা, অন্ধবিশ্বাসকে ত্যাগ করে এই ভারতকে পুনরায় বিশ্বগুরু বানানোর চেষ্ঠা করতো। আর বেদে দেওয়া পরমাত্মার এই জ্ঞান কে শরণ করে চলতো যে- 'कृण्वन्तो विश्वमार्यम्' ऋग्वेद ९/६३/५ অর্থাৎ এই বিশ্বকে আর্য় বানাও........
0 Reviews:
Post a Comment