আমি পূর্বেও বলেছি এবং এখনো বলছি যে যোগীরাজ শ্রীকৃষ্ণের চরিত্রকে খারাপ করার যদি কেউ সংকল্প নিয়ে থাকে তাহলে তারা হলেন পুরাণের ভণ্ড অসভ্য লেখকগণ, শুধু শ্রীকৃষ্ণ নয় যোগীরাজ শিব, মহর্ষি ব্রহ্মা আদি নানান মহাপুরুষদের চরিত্রকে লুচ্চা বানিয়েছে এই সমস্ত পুরাণ কাহিনী, বিশেষ করে শ্রীকৃষ্ণের উজ্জ্বল চরিত্রকে দুশ্চরিত্র করেছে দুটি পুরাণ একটি হলো ভাগবত পুরাণ এবং ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ, আজ জানুন এই ভাগবত পুরাণ কাহিনী কৃষ্ণ কে কিরূপ লুচ্চা বানিয়েছে_______
Home »
পৌরাণিক অশ্লীলতা
» দেখুন ভাগবত পুরাণে কিভাবে আমাদের যোগীরাজ কৃষ্ণকে কামী লুচ্চা বানানো হয়েছে!
দেখুন ভাগবত পুরাণে কিভাবে আমাদের যোগীরাজ কৃষ্ণকে কামী লুচ্চা বানানো হয়েছে!
দেখুন ভাগবত পুরাণে কিভাবে আমাদের যোগীরাজ কৃষ্ণকে কামী লুচ্চা বানানো হয়েছে!
আমি পূর্বেও বলেছি এবং এখনো বলছি যে যোগীরাজ শ্রীকৃষ্ণের চরিত্রকে খারাপ করার যদি কেউ সংকল্প নিয়ে থাকে তাহলে তারা হলেন পুরাণের ভণ্ড অসভ্য লেখকগণ, শুধু শ্রীকৃষ্ণ নয় যোগীরাজ শিব, মহর্ষি ব্রহ্মা আদি নানান মহাপুরুষদের চরিত্রকে লুচ্চা বানিয়েছে এই সমস্ত পুরাণ কাহিনী, বিশেষ করে শ্রীকৃষ্ণের উজ্জ্বল চরিত্রকে দুশ্চরিত্র করেছে দুটি পুরাণ একটি হলো ভাগবত পুরাণ এবং ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ, আজ জানুন এই ভাগবত পুরাণ কাহিনী কৃষ্ণ কে কিরূপ লুচ্চা বানিয়েছে_______
আমি পূর্বেও বলেছি এবং এখনো বলছি যে যোগীরাজ শ্রীকৃষ্ণের চরিত্রকে খারাপ করার যদি কেউ সংকল্প নিয়ে থাকে তাহলে তারা হলেন পুরাণের ভণ্ড অসভ্য লেখকগণ, শুধু শ্রীকৃষ্ণ নয় যোগীরাজ শিব, মহর্ষি ব্রহ্মা আদি নানান মহাপুরুষদের চরিত্রকে লুচ্চা বানিয়েছে এই সমস্ত পুরাণ কাহিনী, বিশেষ করে শ্রীকৃষ্ণের উজ্জ্বল চরিত্রকে দুশ্চরিত্র করেছে দুটি পুরাণ একটি হলো ভাগবত পুরাণ এবং ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ, আজ জানুন এই ভাগবত পুরাণ কাহিনী কৃষ্ণ কে কিরূপ লুচ্চা বানিয়েছে_______
ভাগবত পুরাণ ১০স্কন্ধ, ২৯ অধ্যায়, ৪৩-৪৮ শ্লোক
এখানে বলা হয়েছে যে- কৃষ্ণজী বৃন্দাবনে বিচরণ করতে লাগলেন, গোপীরা কখনো প্রিয়তম কৃষ্ণের গুণের এবং লীলার গান করছেন আর কখনো কৃষ্ণ গোপীদের প্রেম এবং সৌন্দর্যের গান করছেন, ইহার পর কৃষ্ণজী যমুনা নদীর চড়ায় গোপীদের সাথে ক্রীড়া শুরু করতে করলেন, কখনো গোপীদের গায়ের ওপর হাত ছড়িয়ে দিচ্ছেন, আলিঙ্গন করছেন, কখনো গোপীদের হাত টিপে দিচ্ছেন, কখনো গোপীদের স্তন কে স্পর্শ করছেন। এই রূপে বিনোদ করেই চলছেন কৃষ্ণজী এই সমস্ত ক্রিয়ার দ্বারা গোপীদের কামরস, পরম উজ্জ্বল প্রেম ভাব কে উত্তজিত করে ভগবান কৃষ্ণ গোপীদের ক্রীড়ার দ্বারা আনন্দ দিতে থাকেন।
এখানেই শেষ নয় আরও আছে দেখুন___
ভাগবত পুরাণ ১০ স্কন্ধ, ৩৩ অধ্যায়,১৭-১৯ শ্লোক
এখানে বলা হয়েছে যে যেমন ছোটো শিশু তার নিজের ছায়ার সাথে খেলা করে ঠিক এই রূপে রমণকারী ভগবান কৃষ্ণজী কখনো গোপীদের কে জড়িয়ে ধরলেন, কখনো হাত দিয়ে গোপীদের অঙ্গ স্পর্শ করছেন। এইভাবে ব্রজসুন্দরীদের সাথে ক্রীড়া, বিহার করছেন কৃষ্ণজী। কৃষ্ণের এই রাসক্রীড়া দেখে স্বর্গের দেবতারাও মিলনের কামনা হতে মোহিত হয়ে যান।
যে শ্রীকৃষ্ণ গীতার মতো জ্ঞান দিলেন, যে কৃষ্ণ সারাজীবন অধর্মের বিরুদ্ধে লড়ে গেলেন তার বিরুদ্ধে এমন কাহিনী লিখতে কি ওই ভণ্ড লেখকের একটুও লজ্জা করলো না ?
মহর্ষি দয়ানন্দ বলেছিলেন যে কৃষ্ণ একজন আপ্ত পুরুষ অর্থাৎ যে পুরুষ কখনোই কোনো ভুল কাজ করেনি। সেই যোগীরাজ কৃষ্ণের চরিত্র কে দুশ্চরিত্রের ব্যক্তি করেছে যে ভাগবত আদি পুরাণ, সেই সমস্ত পুরাণ কে আজ ধর্ম গ্রন্থ বলা হচ্ছে!
অনেক পৌরাণিক ভাই এই সমস্ত কাহানি দেখে ত্যানা পেঁচানোর জন্য বলেন -'এই সমস্ত পুরাণ কে মুঘল কালে বিকৃত করা হইয়াছে'। যাহারা এই কথা বলে আমি তাদের বলছি যে -মুঘল কালে মুসলিমরা আপনাদের পুরাণ কে বিকৃত করলো আর আপনার পৌরাণিক সমাজ কি তখন কি আঙ্গুল চুষছিল ? আর আপনারা যদি জানেনই যে পুরাণকে বিকৃত করা হয়েছে তো আজও কেন এই সমস্ত অশ্লীল কথন কে পুরাণ থেকে বাদ দেননি ? মুখে বলেন পুরান বিকৃত অথচ রেখেই দিয়েছেন সেই সমস্ত অশ্লীল কাহিনীর ইহার দ্বারা স্পষ্ট প্রমান হয় যে মুসলিমরা আপনাদের পুরান বিকৃত করেনি, পূর্বে যেমন পুরাণ কাহিনী লিখিত ছিল ঠিক তেমন ই আছে। পৌরানিকরা যে অশ্লীল ছিল ইহার এক জলজ্যান্ত প্রমাণ হলো মধ্যপ্রদেশের 'খাজুরাহ মন্দির'।
আজও যে মন্দির কে রেখে দেওয়া হয়েছে নিরাপত্তায়, যে মন্দিরের গায়ে পশুর সাথে মনুষ্যের যৌন ক্রিয়ার মূর্তি, নারী পুরুষের যৌন ক্রিয়া, নারী পুরুষের যৌনাঙ্গ নিয়ে নানান অশ্লীল মূর্তি দ্বারা এই মন্দির তৈরি। পৌরাণিক রা যে কতটা অশ্লীল ছিল তার প্রমাণ পাওয়া যায় ইহার দ্বারা , অনেক পৌরাণিক হিন্দু ভাই এই মন্দিরের মূর্তির বিষয়ে ত্যানা পেঁচানোর জন্য বলে থাকেন যে 'এগুলো হলো শিল্প কলা, আর যৌন ক্রিয়া কি খারাপ নাকি! আমাদের পৌরানিকরা আমাদের যৌন বিষয়ে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য এমন মূর্তি তৈরি করে গেছে এগুলোতে খারাপের কিছু নেই' । আমি এই সমস্ত ভাইদের বলতে চাই যে পশুর সাথে যৌনক্রিয়া শিল্প কলা নাকি ? এই সমস্ত মূর্তি যখন আপনাদের কাছে শিল্প কলা মনে হয় খারাপের কিছু নয় তাহলে একটা কাজ করুন খাজুরাহ মন্দিরের ওই সমস্ত ছবি আপনাদের বাড়ির প্রথম দরজার সামনে টাঙ্গিয়ে রাখুন কারণ শিল্প কলা যা আপনাদের গর্ব!
0 Reviews:
Post a Comment