google01b5732cb2ec8f39 April 2020 ~ আর্যবীর आर्यवीर aryaveer

Recent News

This is default featured slide 1 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 2 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 3 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 4 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 5 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

শঙ্কর আচার্যের অদ্বৈতবাদের খণ্ডন যুক্তি ও শাস্ত্রীয় প্রমাণ দ্বারা

শঙ্কর আচার্যের অদ্বৈতবাদের খণ্ডন যুক্তি ও শাস্ত্রীয় প্রমাণ দ্বারা




 আমি শঙ্কর আচার্য কে এই কারণেই শ্রদ্ধা করি কারণ তিনি জৈন মতবাদ কে ধ্বংস করে দিয়েছিল ভারত থেকে। কিন্তু আমি শঙ্কর জীর তৈরি অদ্বৈতবাদের কারণে তার অবশ্যই বিরোধিতা করি কারণ অদ্বৈতবাদ বৈদিক শাস্ত্র বিরোধী মতবাদ, শঙ্কর আচার্যের বেদান্ত দর্শনের ভাষ্য থেকেই এই অদ্বৈতবাদ বা মায়াবাদের উৎপত্তি। এই অদ্বৈতবাদ অনুযায়ী জগৎ মিথ্যা, একমাত্র ব্রহ্ম অর্থাৎ পরমাত্মাই সত্য। এই মতবাদ অনুযায়ী এই জগৎ হলো স্বপ্নের মতো মিথ্যা, রজ্জুতে সর্প আদির মতো। মানে মায়াবাদ অনুযায়ী একমাত্র পরমাত্মা সত্য বাদবাকি সবকিছুই ভ্রম, যেমন স্বপ্ন তে অনেক কিছুই দেখি তারপর জাগ্রত হওয়ার পর যেমন মনে হয় স্বপ্নের দৃশ্য গুলো মিথ্যা ছিল, তারপর রজ্জুতে সর্প অর্থাৎ দড়ি কে যেমন মাঝে মাঝে ভুল করে সাপ ভেবে ফেলি ঠিক এমনই হলো জগৎ মিথ্যা মায়াবাদ অনুযায়ী। হাজারও বছর পর সর্বপ্রথম এই বেদ বিরোধী অদ্বৈতবাদকে খণ্ডন করেন মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী, সত্যার্থ প্রকাশ, ১১ সমুল্লাস এবং ৮ সমুল্লাস।


এইবার একটু আলোচনা করে দেখি এই মায়াবাদ কতটা যুক্তি তর্ক সঙ্গত এবং শাস্ত্র অনুকূল। বেদান্ত দর্শন বা ব্রহ্মসূত্রের প্রথম দুই সূত্র দ্বারাই অদ্বৈতবাদের ধারণা খণ্ডন হয়ে যায়, দেখুন কি রকম____

ব্রহ্মসূত্র ১/১/১ -অথাতো ব্রহ্মজিজ্ঞাসা = এখন ব্রহ্ম কে জানার ইচ্ছা করি।

অর্থাৎ এখানে ব্রহ্ম কে জানার কথা বলছে সেই ব্রহ্ম কে বা কেমন, এখন পরের ২য় সূত্রে মহর্ষি ব্যাস লিখেছে______

ব্রহ্মসূত্র ১/১/২ -জন্মাদ্যস্য য়তঃ= এই সমস্ত সংসারের জন্ম, স্থিতি তথা প্রলয় যার দ্বারা হয়, তিনিই ব্রহ্ম।

অর্থাৎ যিনি এই জগতের সৃষ্টি, স্থিতি এবং প্রলয় করেন তিনিই ব্রহ্ম। এইবার একটু বিচার করে দেখি, যে জগতের সৃষ্টি হয় আবার স্থিতিতে থাকে আবার সময় মত ধ্বংস হয় সেই জগৎ কে কেউ যদি মিথ্যা বলে কথন করে তাহলে সেই কথন পাগলামি ছাড়া আর কিছুই নয়, অদ্বৈতবাদীরা উদাহরণ দেয় যে জগৎ স্বপ্নের মতো মিথ্যা। আমরা স্বপ্নে যা দেখি তা কি বাস্তবে কখনোই দেখিনি বা সেই সম্পর্কে কি কখনোই কোনো জ্ঞান হয়নি ? আমরা যে বিষয়ে স্বপ্ন দেখি, সে বিষয় অবশ্যই আমাদের জ্ঞাত বিষয়। স্বপ্ন যদিও ভেঙে গেলে মনে হয় যে স্বপ্নের দৃশ্য গুলো মিথ্যা ছিল কিন্তু স্বপ্নে যে বস্তুর বিষয়ে দেখা হয় তা কিন্তু বাস্তবে এক সময় বিদ্যমান ছিল বা এখনো আছে। ধরুন আজ আমি স্বপ্ন দেখলাম আমি আমেরিকায় গেছি, কাশ্মীরেও গেছি ঘুরছি সেখানে মজা করছি , হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেল আর আমার জ্ঞান হলো যে আমি বাড়িতেই আছি কোথাও যাইনি, স্বপ্নে দেখা আমেরিকা, কাশ্মীরে যাওয়ার দৃশ্যটি মিথ্যা, ইহার মানে কি এই যে আমেরিকা এবং কাশ্মীর বলে কোনো জায়গাই নেই ? বা এর মানে কি এই যে আমেরিকা, কাশ্মীর বলে কিছুই ছিল না ? তাই স্বপ্নের সাথে ওই জগৎ মিথ্যার উদাহরণটি পুরোই যুক্তিহীন, আবার এরা যুক্তি দেয় যে রজ্জুতে সর্প এর তাৎপর্য এই যে যেমন মাঝে মাঝে আমরা দড়ি কে ভ্রমের কারণে সাপ মনে করি ঠিক তেমনি হলো এই জগৎ মায়াবাদ মতে। এই উদাহরণও অযৌক্তিক! হা এইটা অবশ্যই ঠিক যে দড়িকে আমরা মাঝে মাঝে ভ্রমের কারণে সাপ ভাবি কিন্তু সাপ কি কোনো বস্তু নয় ? দড়ি টি সাপ নয় কিন্তু অন্য কোথাও কি সাপ নেই ? বাস্তবে সাপ আছে এবং সাপের বিষয়ে জ্ঞান হয়েছে বলেই আমরা দড়ি কে ভ্রমের কারণে সাপ ভাবি। এই বিষয়টি সকলের জানা উচিত যে বস্তু বা যে পদার্থের কোনো অস্তিত্বই নেই সেই বিষয়ে কখনোই জ্ঞান হয়না। 


এই জগৎ অবশ্যই পরমাত্মা বা ব্রহ্মের মতো নিত্য নয় কিন্তু মিথ্যাও নয়। কারণ এই জগৎ তৈরি হয়েছে সত্ত্ব, রজ, তম গুণের প্রকৃতি নামক উপাদান দ্বারা, এই প্রকৃতি পরমাত্মার মতো নিত্য সত্ত্বা। বৈদিক শাস্ত্র অনুযায়ী তিনটি সত্ত্বাকে অনাদি বা সনাতন বা অজন্মা বলা হয়েছে এক হলো পরমাত্মা যিনি এই সংসারের নির্মাণ কর্তা, আর এক হলো প্রকৃতি এই প্রকৃতি হলো জগতের উপাদান কারণ এর এক হলো সাধারণ কারণ জীবাত্মা। শ্বেতাশ্বতর উপনিষদ ৪/৫ এর মধ্যে বলা হয়েছে যে - 'সত্ত্ব, রজ, তম গুণের প্রকৃতি, জীবাত্মা এবং পরমাত্মা হলো 'অজ' অর্থাৎ অজন্মা, আর এই অজন্মা প্রকৃতি কে জীবাত্মা ভোগ করে'। যেখানে প্রকৃতি এবং জীবাত্মা কে অজ অর্থাৎ জন্ম রহিত বলেছে সেই প্রকৃতি নামক উপাদান দ্বারা তৈরি জগৎ কে যদি কোনো মায়াবাদীরা মিথ্যা বলে দাবি করে তাহলে সেটা তাদের অজ্ঞানতার পরিচয় ছাড়া অন্য কিছুই নয়। এই একই ধরণের বিষয় ভগবান শ্রীকৃষ্ণও গীতায় তুলে ধরেছেন, গীতা ১৩/১৯ তে বলেছেন যে -পুরুষ অর্থাৎ জীবাত্মা এবং প্রকৃতি এই দুই হলো অনাদি। কৃষ্ণজী এখানে আরও বলা হয়েছে যে পরিমাণ, বিকার এবং সত্ত্ব আদি যে গুণ আছে তা প্রকৃতি হতেই উৎপন্ন হয়। কৃষ্ণজী আবার ১৩/২০ শ্লোকে বলেছেন যে-   কার্য- কারণ উৎপন্নের কারণ প্রকৃতি, আর এই প্রকৃতিই জীবের সুখ দুঃখ ভোগের কারণ। মহর্ষি কপিলের লিখা সাংখ্য দর্শনে এই বিষয়কে আরও সুন্দর করে স্থাপন করেছে। সাংখ্যদর্শন ১/৬১, ৬২, ৬৩, ৬৪, ৬৫, ৬৬, ৬৭ সূত্র এবং আরও অন্যান্য সূত্রে আছে যেখানে প্রকৃতি উপাদান হতে জগৎ সৃষ্টির বর্ণনা করা হয়েছে। শুনেছি মায়াবাদীরা নাকি সাংখ্য দর্শনকে মানেনা এই দর্শন কে নাকি নাস্তিক দর্শন বলে, যদি এই কথিত বেদান্তিরা মহর্ষি কপিলের সাংখ্য দর্শনকে নাস্তিক দর্শন বলে  তাহলে তাদের যুক্তি অনুযায়ীই স্পষ্ট ভাবে বলা যায় যে গীতা জ্ঞানের দাতা শ্রীকৃষ্ণও একজন নাস্তিক ছিলেন! কারণ গীতা ১৮/১৯ শ্লোকে শ্রীকৃষ্ণ স্পষ্ট ভাবে বলছে যে তিনি অর্জুনকে সাংখ্য দর্শনের বাণী শোনাবে, গীতায় একবার নয় বহু বার সত্ত্ব, রজ, তম  বিষয়ে কথন আছে এই তিন গুণের কথাও কৃষ্ণজী সাংখ্য দর্শন থেকেই কপি করেছে, কারণ সাংখ্য শাস্ত্র ছাড়া পূর্বের কোনো শাস্ত্রেই প্রকৃতির এই তিন গুণ সত্ত্ব, রজ, তম এর কথন নেই অর্থাৎ উক্ত বিষয়ের তাৎপর্য এই বের হয় যে শ্রীকৃষ্ণ নিজেও মহর্ষি কপিলের সাংখ্য দর্শনকে মানতেন, আজ এখানেই শেষ করা হলো শঙ্কর জীর তৈরি অদ্বৈতবাদ বা মায়াবাদের সামান্য খণ্ডন। 



ওঁ নমস্তে

৬ উপাঙ্গ বা দর্শন শাস্ত্র PDF ডাউনলোড করুন

৬ উপাঙ্গ বা দর্শন শাস্ত্র PDF ডাউনলোড করুন 







   হিন্দি-সংস্কৃত সহিত যোগদর্শন, ভাষ্যকার মহর্ষি ব্যাসদেব
                    👇
   ডাউনলোড যোগদর্শন PDF সাইজ 2.4MB


   হিন্দি সাংখ্যদর্শন, ভাষ্যকার উদয়বীর শাস্ত্রী
                    👇

    ডাউনলোড সাংখ্যদর্শন PDF  সাইজ 14MB
  

   হিন্দি ন্যায়দর্শন, ভাষ্যকার স্বামী দর্শনানন্দজী সরস্বতী
                   👇
   ডাউনলোড ন‍্যায়দর্শন PDF সাইজ 20MB

   হিন্দি ন্যায়দর্শন, ভাষ্যকার উদয়বীর শাস্ত্রী 
                    👇
   ডাউনলোড ন্যায়দর্শন PDF সাইজ 49MB


   হিন্দি বৈশেষিক দর্শন, ভাষ্যকার উদয়বীর শাস্ত্রী 
                     👇
    ডাউনলোড বৈশেষিক দর্শন PDF সাইজ 30MB

    হিন্দি বৈশেষিক দর্শন, ভাষ্যকার পণ্ডিত রাজরাম 
                      👇
    ডাউনলোড বৈশেষিক দর্শন PDF সাইজ 5.2MB



দেখুন ভাগবত পুরাণে কিভাবে আমাদের যোগীরাজ কৃষ্ণকে কামী লুচ্চা বানানো হয়েছে!

দেখুন ভাগবত পুরাণে কিভাবে আমাদের যোগীরাজ কৃষ্ণকে কামী লুচ্চা বানানো হয়েছে! 



 আমি পূর্বেও বলেছি এবং এখনো বলছি যে যোগীরাজ শ্রীকৃষ্ণের চরিত্রকে খারাপ করার যদি কেউ সংকল্প নিয়ে থাকে তাহলে তারা হলেন পুরাণের ভণ্ড অসভ্য লেখকগণ, শুধু শ্রীকৃষ্ণ নয় যোগীরাজ শিব, মহর্ষি ব্রহ্মা আদি নানান মহাপুরুষদের চরিত্রকে লুচ্চা বানিয়েছে এই সমস্ত পুরাণ কাহিনী, বিশেষ করে শ্রীকৃষ্ণের উজ্জ্বল চরিত্রকে দুশ্চরিত্র করেছে দুটি পুরাণ একটি হলো ভাগবত পুরাণ এবং ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ, আজ জানুন এই ভাগবত পুরাণ কাহিনী কৃষ্ণ কে কিরূপ লুচ্চা বানিয়েছে_______

ভাগবত পুরাণ ১০স্কন্ধ, ২৯ অধ্যায়, ৪৩-৪৮ শ্লোক


এখানে বলা হয়েছে যে- কৃষ্ণজী বৃন্দাবনে বিচরণ করতে লাগলেন, গোপীরা কখনো প্রিয়তম কৃষ্ণের গুণের এবং লীলার গান করছেন আর কখনো কৃষ্ণ গোপীদের প্রেম এবং সৌন্দর্যের গান করছেন, ইহার পর কৃষ্ণজী যমুনা নদীর চড়ায় গোপীদের সাথে ক্রীড়া শুরু করতে করলেন, কখনো গোপীদের গায়ের ওপর হাত ছড়িয়ে দিচ্ছেন, আলিঙ্গন করছেন, কখনো গোপীদের হাত টিপে দিচ্ছেন, কখনো গোপীদের স্তন কে স্পর্শ করছেন। এই রূপে বিনোদ করেই চলছেন কৃষ্ণজী এই সমস্ত ক্রিয়ার দ্বারা গোপীদের কামরস, পরম উজ্জ্বল প্রেম ভাব কে উত্তজিত করে ভগবান কৃষ্ণ গোপীদের ক্রীড়ার দ্বারা আনন্দ দিতে থাকেন।


এখানেই শেষ নয় আরও আছে দেখুন___

ভাগবত পুরাণ ১০ স্কন্ধ, ৩৩ অধ্যায়,১৭-১৯ শ্লোক


এখানে বলা হয়েছে যে যেমন ছোটো শিশু তার নিজের ছায়ার সাথে খেলা করে ঠিক এই রূপে রমণকারী ভগবান কৃষ্ণজী কখনো গোপীদের কে জড়িয়ে ধরলেন, কখনো হাত দিয়ে গোপীদের অঙ্গ স্পর্শ করছেন। এইভাবে ব্রজসুন্দরীদের সাথে ক্রীড়া, বিহার করছেন কৃষ্ণজী। কৃষ্ণের এই রাসক্রীড়া দেখে স্বর্গের দেবতারাও মিলনের কামনা হতে মোহিত হয়ে যান।

যে শ্রীকৃষ্ণ গীতার মতো জ্ঞান দিলেন, যে কৃষ্ণ সারাজীবন অধর্মের বিরুদ্ধে লড়ে গেলেন তার বিরুদ্ধে এমন কাহিনী লিখতে কি ওই ভণ্ড লেখকের একটুও লজ্জা করলো না ?
মহর্ষি দয়ানন্দ বলেছিলেন যে কৃষ্ণ একজন আপ্ত পুরুষ অর্থাৎ যে পুরুষ কখনোই কোনো ভুল কাজ করেনি। সেই যোগীরাজ কৃষ্ণের চরিত্র কে দুশ্চরিত্রের ব্যক্তি করেছে যে ভাগবত আদি পুরাণ, সেই সমস্ত পুরাণ কে আজ ধর্ম গ্রন্থ বলা হচ্ছে!

অনেক পৌরাণিক ভাই এই সমস্ত কাহানি দেখে ত্যানা পেঁচানোর জন্য বলেন -'এই সমস্ত পুরাণ কে মুঘল কালে বিকৃত করা হইয়াছে'। যাহারা এই কথা বলে আমি তাদের বলছি যে -মুঘল কালে মুসলিমরা আপনাদের পুরাণ কে বিকৃত করলো আর আপনার পৌরাণিক সমাজ কি তখন কি আঙ্গুল চুষছিল ? আর আপনারা যদি জানেনই যে পুরাণকে  বিকৃত করা হয়েছে তো আজও কেন এই সমস্ত অশ্লীল কথন কে পুরাণ থেকে বাদ দেননি ? মুখে বলেন পুরান বিকৃত অথচ রেখেই দিয়েছেন সেই সমস্ত অশ্লীল কাহিনীর ইহার দ্বারা স্পষ্ট প্রমান হয় যে মুসলিমরা আপনাদের পুরান বিকৃত করেনি, পূর্বে যেমন পুরাণ কাহিনী লিখিত ছিল ঠিক তেমন ই আছে। পৌরানিকরা যে অশ্লীল ছিল ইহার এক জলজ্যান্ত প্রমাণ হলো মধ্যপ্রদেশের 'খাজুরাহ মন্দির'।




 আজও যে মন্দির কে রেখে দেওয়া হয়েছে নিরাপত্তায়,  যে মন্দিরের গায়ে পশুর সাথে মনুষ্যের যৌন ক্রিয়ার মূর্তি, নারী পুরুষের যৌন ক্রিয়া, নারী পুরুষের যৌনাঙ্গ নিয়ে নানান অশ্লীল মূর্তি দ্বারা এই মন্দির তৈরি। পৌরাণিক রা যে কতটা অশ্লীল ছিল তার প্রমাণ পাওয়া যায় ইহার দ্বারা , অনেক পৌরাণিক হিন্দু ভাই এই মন্দিরের মূর্তির বিষয়ে ত্যানা পেঁচানোর জন্য বলে থাকেন যে 'এগুলো হলো শিল্প কলা, আর যৌন ক্রিয়া কি খারাপ নাকি! আমাদের পৌরানিকরা আমাদের যৌন বিষয়ে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য এমন মূর্তি তৈরি করে গেছে এগুলোতে খারাপের কিছু নেই' । আমি এই সমস্ত ভাইদের বলতে চাই যে পশুর সাথে যৌনক্রিয়া শিল্প কলা নাকি ? এই সমস্ত মূর্তি যখন আপনাদের কাছে শিল্প কলা মনে হয় খারাপের কিছু নয় তাহলে একটা কাজ করুন খাজুরাহ মন্দিরের ওই সমস্ত ছবি আপনাদের বাড়ির প্রথম দরজার সামনে টাঙ্গিয়ে রাখুন কারণ শিল্প কলা যা আপনাদের গর্ব!







গাছের তো জীবাত্মা আছে তবুও আমরা তাকে কেন ভোজন করি ? আসুন জানি এই বিষয়ে

গাছের তো জীবাত্মা আছে তবুও আমরা তাকে কেন ভোজন করি ? আসুন জানি এই বিষয়ে



মুসলিম, শৈব, খ্রিস্টান, নাস্তিক আদি মাংসাশী প্রাণীরা শাকাহারিদের বিরুদ্ধে এই কথন ব্যবহার করে থাকে যে "গাছেরও তো আত্মা, প্রাণ আছে তবুও কেন এগুলোকে হত্যা করে খাওয়া হবে গাছেরও তো দুঃখ কষ্ট হয়"। ওদের কথার তাৎপর্য এই দাঁড়ায় যে গরু, ছাগল আদিকে হত্যা করলে যেমন দুঃখ কষ্ট হয় ঠিক তেমনি গাছেরও হয় তাই গরু, ছাগল, উট, মুরগি আদিকে হত্যা করে খাওয়া আর গাছ কে হত্যা করে খাওয়া একই।

গাছের যে প্রাণ, আত্মা আছে ইহা আধুনিকে সর্বপ্রথম তুলে ধরেন আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু, কিন্তু  আমাদের শাস্ত্রতে এই বিষয়টি কোটি কোটি বছর আগের থেকেই বর্ণিত ছিল, তা লিখে গেছেন মহর্ষি মনু মহারাজ, মনুস্মৃতি ১২/৯ তে লিখা আছে যে মনুষ্য যখন চুরি, পরস্ত্রীগমন আদি নানান পাপ আচরণ করে, তখন তার বৃক্ষ আদি স্থাবর জন্ম প্রাপ্ত হয়।

 আমাদের আর্য সমাজের এক মহান বিদ্বান আচার্য় অগ্নিব্রত নৈষ্টিক জী একটি গ্রন্থ লিখেছেন যার নাম "মাংসাহার" এই গ্রন্থে তিনি শাস্ত্রীয় প্রমাণ এবং নানান বৈজ্ঞানিক কথন - যুক্তি তুলে ধরেছেন প্রমাণ হিসেবে মাংস আহারের বিরুদ্ধে এবং শাক আহারের স্বপক্ষে। তিনি লিখেছেন যে "বৃক্ষের অবশ্যই জীবাত্মা আছে কিন্তু বৃক্ষ মহাসুষুপ্তি( মহান গভীর নিন্দ্রা) অবস্থায় থাকে, ইহার কারণে তার সুখ-দুঃখ অনুভব হয়না, বৈজ্ঞানিক জগদীশ চন্দ্র বসুর প্রয়োগের ফল অনুযায়ী এরূপ বলা যায় যে বৃক্ষকে কাঁটার ফলে উহাতে এক প্রকারের ক্রিয়া হয়, কিন্তু আমাদের মতো সুখ দুঃখের অনুভব হয় না।" গ্রন্থঃ মাংসাহার, পৃষ্ঠা ১৯ । উক্ত বিচার দ্বারা বলা যায় যে ছাগল, গরু আদিকে হত্যা করে খাওয়া আর গাছকে হত্যা করে খাওয়া দুইয়ের বিশাল পার্থক্য। সবচেয়ে জ্ঞানী জীব মনুষ্যের আহারের জন্যই পরমাত্মা গাছ কে অন্যান্য জীব কে ভিন্ন প্রকারের বানিয়েছে।

যোগদর্শন, সমাধিপাদের ২৭ সূত্রের ব্যাখ্যা মহর্ষি ব্যাসদেব কৃত

যোগদর্শন, সমাধিপাদের ২৭ সূত্রের ব্যাখ্যা মহর্ষি ব্যাসদেব কৃত






সূত্রঃ তস্য বাচকঃ প্রণবঃ  য়োগ দর্শন/ সমাধিপাদ / সূত্র ২৭

সূত্রার্থঃ ওই ঈশ্বরের বোধক= নাম হলো ওঁ ।

ভাষ্যঃ 'প্রণব' এর বাচ্য হলো ঈশ্বর । প্রণব এবং ঈশ্বরের বাচ্য-বাচক সম্বন্ধ সঙ্কেতকৃত অথবা প্রদীপ এবং তার প্রকাশের সমান অবস্থিত। এই বাচ্য ঈশ্বরের বাচক প্রণবের সাথে সম্বন্ধ প্রথম থেকেই বিদ্যমান। এই সঙ্কেত ঈশ্বরের সাথে বিদ্যমান সম্বন্ধকে কথন করে। যেরূপ পিতা-পুত্রের সম্বন্ধ প্রথম থেকেই বিদ্যমান সঙ্কেত দ্বারা কথন করা হয় যে ইনি হলেন ওনার পিতা, আর ইনি হলেন ওনার পুত্র। ঠিক এই প্রকার ঈশ্বরের দ্বারা অন্য সর্গেও বাচ্যবাচকত্বের শক্তির অপেক্ষায় সঙ্কেত
করা হয়। সদৃশ ব্যবহার পরম্পরার প্রবাহরূপে নিত্য হওয়ার ফলে শব্দ তথা অর্থের বাচ্যবাচক সম্বন্ধ নিত্য, এরূপ আগম (বেদ শাস্ত্র) কে মান্যকারী বিদ্বানগণ কথন করেন।।

ভাষ্যকার মহর্ষি ব্যাসদেব 

নানান উপনিষদ ভাষ্য PDF ডাউনলোড করুন

উপনিষদ ভাষ্য PDF সংগ্রহ করুন 






  একাদশ উপনিষদ ভাষ্যকার সত‍্যব্রত সিদ্ধান্তলংকার 
  হিন্দি
  डाउनलोड एकादश उपनिषद PDF

যোগী অরবিন্দ ঘোষের উপনিষদ ভাষ্য 
ইংরেজি  
DOWNLOAD UPANISHAD PDF

ডাউনলোড করুন নানান বেদ ভাষ্যকারের বেদ ভাষ্য PDF






ডাউনলোড করুন নানান বেদ ভাষ্যকারের বেদ ভাষ্য PDF

                               ঋগ্বেদ ভাষ্যঃ 

 ভাষ্যকার মহর্ষি দয়ানন্দ ও আর্যমুনি ও ব্রহ্মমুনি 
         डाउनलोड ऋग्वेद प्रथम मण्डल PDF (महर्षि दयानंद भाष्य)
         डाउनलोड ऋग्वेद द्वितीय मण्डल PDF
         डाउनलोड ऋग्वेद तृतीय मण्डल PDF
         डाउनलोड ऋग्वेद चतुर्थ मण्डल PDF
         डाउनलोड ऋग्वेद पंचम मण्डल PDF
         डाउनलोड ऋग्वेद षष्ठ मण्डल PDF 
         डाउनलोड ऋग्वेद सप्तम मण्डल PDF ( १-६० सूः समाप्त) 
       डाउनलोड ऋग्वेद ७ मंडल PDF (६१-१०४ सुः आर्यमुनी भाः)
       ८ मंडल नहीं है ❌❌❌❌
       डाउनलोड ऋग्वेद ९ मंडल PDF
       डाउनलोड ऋग्वेद १० मंडल (१ भाग) PDF (व्रह्ममुनि भाष्य)

ভাষ্যকার পণ্ডিত হরিশরণ সিদ্ধান্তলঙ্কার 
হিন্দিতে ঋগ্বেদ সম্পূর্ণ ভাষ্য
             डाउनलोड ऋग्वेद भाग १ PDF
             डाउनलोड ऋग्वेद भाग २ PDF
             डाउनलोड ऋग्वेद भाग ३ PDF
             डाउनलोड ऋग्वेद भाग ४ PDF
             डाउनलोड ऋग्वेद भाग ५ PDF
             डाउनलोड ऋग्वेद भाग ६ PDF
             डाउनलोड ऋग्वेद भाग ७ PDF

ভাষ্যকার পণ্ডিত জয়দেব শর্মা 
হিন্দিতে ঋগ্বেদ সম্পূর্ণ ভাষ্য
         डाउनलोड ऋग्वेद भाग १ PDF
         डाउनलोड ऋग्वेद भाग २ PDF
         डाउनलोड ऋग्वेद भाग ३ PDF
         डाउनलोड ऋग्वेद भाग ४ PDF
         डाउनलोड ऋग्वेद भाग ५ PDF
         डाउनलोड ऋग्वेद भाग ६ PDF
         डाउनलोड ऋग्वेद भाग ७ PDF

ভাষ্যকার ধর্মদেব বিদ‍্যামর্তণ্ডঃ
ইংরেজিতে ঋগ্বেদ সম্পূর্ণ ভাষ্য
      Download Rigved part 1 PDF
      Download rigved part 2 PDF
      Download rigved part 3 PDF
      Download rigved part 4 PDF
      Download rigved part 5 PDF



                           
 য়জুর্বেদ ভাষ্যঃ 
                            
 ভাষ্যকার মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী 
 হিন্দিতে য়জুর্বেদ সম্পূর্ণ ভাষ্য
          डाउनलोड यजुर्वेद(अखंड) PDF

ভাষ্যকার পণ্ডিত হরিশরণ সিদ্ধান্তলঙ্কার 
হিন্দিতে য়জুর্বেদ সম্পূর্ণ ভাষ্য
           डाउनलोड यजुर्वेद भाग १ PDF
           डाउनलोड यजुर्वेद भाग २ PDF

ভাষ্যকার তুলসী রাম শর্মা 
ইংরেজিতে য়জুর্বেদ সম্পূর্ণ ভাষ্য
      DOWNLOAD YAJURVED PDF       
                      
ভাষ্যকার দেবী চাঁদ M.A
ইংরেজিতে য়জুর্বেদ সম্পূর্ণ ভাষ্য     
      DOWNLOAD YAJURVED PDF
           


                    সামবেদ ভাষ্যঃ 

ভাষ্যকার তুলসী রাম শর্মা
ইংরেজিতে সামবেদ সম্পূর্ণ ভাষ্য
DOWNLOAD SAMVED PDF

ভাষ্যকার পণ্ডিত হরিশরণ সিদ্ধান্তলঙ্কার 
হিন্দিতে সামবেদ সম্পূর্ণ ভাষ্য
डाउनलोड सामवेद प्रथम भाग PDF
डाउनलोड सामवेद द्वितीय भाग PDF  


       

                   অথর্ববেদ ভাষ্য

ভাষ্যকার পণ্ডিত হরিশরণ সিদ্ধান্তলঙ্কার 
 হিন্দিতে অথর্ববেদ সম্পূর্ণ ভাষ্য
          डाउनलोड अथर्ववेद भाग १ PDF
          डाउनलोड अथर्ववेद भाग २ PDF
          डाउनलोड अथर्ववेद भाग ३ PDF

মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতীর লিখা গ্রন্থ সমূহের pdf

মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতীর লিখা গ্রন্থ সমূহের বাংলা বা হিন্দি pdf ডাউনলোড করুন




ঋগ্বেদ ভাষ্য
हिन्दी  डाउनलोड ऋग्वेद प्रथम मण्डल PDF
         डाउनलोड ऋग्वेद द्वितीय मण्डल PDF
         डाउनलोड ऋग्वेद तृतीय मण्डल PDF
         डाउनलोड ऋग्वेद चतुर्थ मण्डल PDF
         डाउनलोड ऋग्वेद पंचम मण्डल PDF
         डाउनलोड ऋग्वेद षष्ठ मण्डल PDF
         डाउनलोड ऋग्वेद सप्तम मण्डल PDF

যজুর্বেদ ভাষ্য 
हिन्दी डाउनलोड यजुर्वेद भाष्य PDF

সত্যার্থ প্রকাশ 
বাংলা  ডাউনলোড সত্যার্থ প্রকাশ PDF
हिन्दी  डाउनलोड सत्यार्थप्रकाश PDF
English  Download satyarth prakash PDF

ঋগ্বেদাদীভাষ্য ভূমিকা 
বাংলা  ডাউনলোড ঋগ্বেদাদিভাষ্য ভূমিকা PDF প্রথম খণ্ড
          ডাউনলোড ঋগ্বেদাদিভাষ্য ভূমিকা PDF দ্বিতীয় খণ্ড

সংস্কারবিধি
বাংলা  ডাউনলোড সংস্কারবিধি PDF
हिन्दी  डाउनलोड संस्कारविधि PDF

আর্যোদ্দেশ্য রত্নমালা 
বাংলা  ডাউনলোড আর্যোদ্দেশ্য রত্নমালা PDF


ব্যবহার ভানু 
বাংলা ডাউনলোড ব্যবহার ভানু PDF

আর্য্যাভিবিনয়
বাংলা ডাউনলোড PDF

অথ গোকরুণানিধিঃ
বাংলা ডাউনলোড PDF


গীতা ৪/৭,৮ শ্লোক অনুযায়ী যদি কেউ বলে যে ঈশ্বরের অবতার হয় তাহলে এই দুই শ্লোক ১০০% মিথ্যা, জানুন বিষয়টি

গীতা ৪/৭,৮ শ্লোকের অর্থ যদি এমন হয় যে ধর্মের গ্লানির সময় ঈশ্বর অবতার নেয়, তাহলে এই দুই শ্লোক ১০০% মিথ্যা, আসুন দেখি যুক্তি তর্ক দ্বারা_____





আজ দেখে নেওয়া যাক গীতা ৪/৭,৮ এই দুই শ্লোকের প্রকৃত তাৎপর্য কি, এই দুই শ্লোকে ভগবান কৃষ্ণ বোঝাতে চেয়েছে যে যখনই ধর্মের গ্লানি ও অধর্মবৃদ্ধি হয় তখনই সাধুদের পরিত্রান ও দুস্কৃতকারীদের বিনাশ করার জন্য তাহাদিগের অর্থাৎ মনুষ্যদিগের আত্মাদিগকে সৃজন করেন অর্থাৎ ন্যায় অন্যায় বুঝার জ্ঞান দান করেন। আর এভাবেই যুগ যুগ ধরে শ্রীকৃষ্ণের মতো কোনো না কোনো মহাবীরের দ্বারা ধর্ম সংস্থাপন হয়েছে বারবার। কিন্তু হিন্দু তথা পৌরাণিক সমাজ এখানে তাৎপর্য খুঁজে পায় যে তাদের ঈশ্বর জন্ম নেয়, গীতা ৪/৭-৮ শ্লোকের তাৎপর্য যদি এমন করা হয় যে যখন ধর্মের গ্লানি হয় তখন ঈশ্বর অবতার নিয়ে অধর্মকে ধ্বংস করে ধর্মের প্রতিষ্ঠা করে, তাহলে গীতার এই দুই শ্লোক ১০০% মিথ্যা, আসুন আলোচনা করি যুক্তি তর্ক দারা____

ভাগবত পুরাণ অনুযায়ী  মহাভারতের যুদ্ধের সময় তিনটি অবতার বিদ্যমান শ্রীকৃষ্ণ, ব্যাসদেব, বলরাম। অথচ মহাভারতের যুদ্ধের কয়েকশো বছর পর বারবার ধর্মের গ্লানি হওয়া সত্ত্বেও কোনো অবতারের দেখা নাই! মুসলিম এবং খ্রিস্টানরা প্রায় ১১০০ বছর ধরে অত্যাচার করলো তবুও বিষ্ণুর কোনো অবতারের দেখা নাই! এমন কেন ? আপনাদের ঈশ্বর কি অবতার নিতে ভুলে গেছে ? তাহলে আপনারা যে গীতা ৪/৭,৮ শ্লোক অবতার অর্থে লাগান তা কৃষ্ণ মিথ্যাবাদী নাকি আপনারা পৌরানিকরা মহামূর্খ ? দুইটার মধ্যে একটা অবশ্যই হবে! ঠিক করুন পৌরানিকরা!


ভারতে এত হারে কৃষ্ণ ভক্ত থাকা সত্ত্বেও ইংরেজ মুসলিমদের অত্যাচার থেকে বাঁচানোর জন্য ঈশ্বরের কোনো অবতারের দেখা নাই! আমাদের পৌরাণিক ভাইরা তবুও অন্ধের মতো বিশ্বাস করে যে অধর্মের সময় তাদের ঈশ্বর অবতার নেয়! এমন মূর্খ কোথায় আছে আর ? পরাধীন ভারতে সর্বপ্রথম স্বরাজের আওয়াজ তুলেছিল মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী, আর এই মহর্ষি দয়ানন্দজীর রাস্তা ধরেই স্বামী শ্রদ্ধানন্দ, লালা লাজপত, বালগঙ্গাধর, রামপ্রসাদ বিসমিল, চন্দ্রশেখর আজাদ, ভগত সিং, শ্যামজী কৃষ্ণ বর্মা, পন্ডিত লেখরাম, লালা হরদয়াল, সাভারকার, সুভাস চন্দ্র আদি নানান বীর তৈরি হয়েছিল, তারপর এই দেশকে স্বাধীন করতে পেরেছিলাম আমরা। আমাদের মহাবীররা লড়েছিল বলেই অধার্মিক ইংরেজদের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিলাম। এখন কোনো পৌরাণিকগণ ত্যানা পেঁচানোর জন্য বলতেই পারে যে 'পুরাণ অনুযায়ী কল্কি অবতার আসবে কলিযুগের শেষে কিন্তু এখন নয়'। যাহারা এমন ত্যানা পেঁচানোর জন্য তৈরি থাকে তাদের বলছি যে আপনাদের ঈশ্বর অবতার নেবে কলির শেষে আর কলি যুগ শেষ হবার অনেক আগেই যদি অধর্ম বেড়ে যায় তাহলে কেন আপনাদের অবতার আসবে না ?  তাহলে গীতার ওই 'যদা যদা ধর্মস্য' শ্লোক কথন করে আপনারা কেন প্রচার করেন যে যখনই অধর্ম বাড়বে তখনই আপনাদের ঈশ্বর আসবে অবতার হয়ে ? বর্তমানেও তো অধর্মের সংখ্যা বেশি, কারণ সারা বিশ্বে প্রায় মনে করুন ৭০০ কোটির মতো লোক আছে, ইহাদের মধ্যে ভারত এবং বাংলাদেশের পৌরাণিকদের সংখ্যা হলো প্রায় ১২৫ কোটি, তা অধর্মের উত্থান এতো হারে বৃদ্ধি পাওয়া সত্ত্বেও কেন অবতারের দেখা নাই ? এখন আপনাদের ঈশ্বর অবতার নিলেই তো বিশ্বের সমস্ত লোকেরা আপনাদের ঈশ্বর কৃষ্ণের শরণাগত হতো এবং অধর্মের বিনাশ হতো। এই সামান্য বুদ্ধি কি আপনাদের ঈশ্বরের নাই ? এমন যুক্তি পূর্ণ জিজ্ঞাসা কি পৌরানিকদের মনের মধ্যে জাগে ? গীতার ৪/৭,৮ শ্লোকের যে অর্থ করেন তার সাথে বাস্তবের কোনো প্রকার মিল নেই কেন ? তা স্বীকার করুন কৃষ্ণ মিথ্যাবাদী ছিল নাকি আপনারা বৈদিক শাস্ত্র সম্পর্কে মহামূর্খ বলেই কৃষ্ণের ওই কথার(গীতা৪/৭,৮) তাৎপর্য বোঝার ক্ষমতা হয়নি ? উত্তর দিন! মোল্লারা যেমন কুরআনের বাণী দেখিয়ে বলে যে আল্লাহই সব কিছু ঠিক তেমনি এই কৃষ্ণ ভক্তরা গীতার বাণী দেখিয়ে বলবে কৃষ্ণই সব কিছু ।ইহারা না মানে তর্ক না মানে যুক্তি, শুধু মানে মূর্খতা!



বিবেকানন্দের অন্ধ চ্যালাদের কাছে ধর্ম এবং ভারত স্বাধীন হওয়া বিষয়ে কিছু প্রশ্ন!

বিবেকানন্দের অন্ধ চ্যালাদের কাছে ধর্ম এবং ভারত স্বাধীনতার বিষয়ে কিছু প্রশ্ন! 





যে যে ব্যক্তিরা স্বামী বিবেকানন্দের প্রশংসা করতে করতে মুখে ফেনা তুলে ফেলে আমি সেই সমস্ত ব্যক্তিদের কাছে কিছু প্রশ্ন রাখলাম, আমার প্রশ্নের উত্তর গুলো একটু নিয়ে আসবেন দয়া করে________


১) আপনারা চিল্লিয়ে বলেন যে বিবেকানন্দ আমেরিকার ধর্ম সভায় গিয়ে হিন্দু ধর্মকে শ্রেষ্ঠ প্রমাণ করেছিল, এই করেছে ওই করেছে এমন বলতে বলতে পঞ্চমুখি হয়ে জান তো বলতে পারেন যে ইহার দ্বারা আমাদের ধর্মের বা ভারতের কোন  লাভটি হয়েছিল ?বিবেকানন্দের ভাষণ শুনে কি ইংরেজরা পালিয়ে গিয়েছিল নাকি ? আপনাদের চিল্লানো দেখে তাই মনে হয় আমার!

২) বিবেকানন্দ এবং রামকৃষ্ণ মিশন নারী শিক্ষার জন্য  কোনো প্রচেষ্টা করেছিল কি ? 

৩) ভারতের স্বতন্ত্র আন্দোলনে বিবেকানন্দ এবং তার তৈরি রামকৃষ্ণ মিশনের কতটা যোগদান ছিল?

৪) গো রক্ষার জন্য বিবেকানন্দ ও রামকৃষ্ণ মিশন কি ব্যবস্থা করেছিল ? 

৫) বিবেকানন্দ ও রামকৃষ্ণ মিশন হিন্দু সমাজে জড়িয়ে থাকা নানান কুসংস্কার, ভণ্ডামি কে শেষ করার জন্য কতটা চেষ্ঠা করছিল এবং এগুলোকে কি কখনোই খণ্ডন করেছিল ? 

৬) বিবেকানন্দ ও রামকৃষ্ণ মিশনের সন্ন্যাসী বা ছাত্ররা আজ পর্যন্ত কয়টা মৌলবী এবং পাদ্রীর সাথে ডিবেট করে, ডিবেটে মৌলবী বা পাদ্রীকে হারিয়ে হিন্দু ধর্মকে শ্রেষ্ঠ সিদ্ধ করতে পেরেছে ? 

৭) আর্যবীর স্বামী শ্রদ্ধানন্দ লক্ষ লক্ষ মুসলিম, খ্রিস্টানকে শুদ্ধি আন্দোলনের মাধ্যমে বৈদিক ধর্মে ফিরিয়ে এনেছিল শেষে আব্দুল রশিদ নামক এক মোল্লা স্বামীজীকে হত্যা করে। আর্য পণ্ডিত লেখরাম একাই হাজারও ব্যক্তিদের মুসলিম হওয়া থেকে বাঁচাত পাঞ্জাবে, শেষে মির্জা গুলাম আহমেদের ষড়যন্ত্রে নিজেকে বলিদান দেয় পণ্ডিত লেখরাম। তা বিবেকানন্দ ও রামকৃষ্ণ মিশন কয়টা খ্রিস্টান আর মুসলিম কে হিন্দু ধর্মে এনে ছিল বা বিবেকানন্দের এবং রামকৃষ্ণ মিশনের আজ পর্যন্ত কি এমন প্রচেষ্টা আছে ? 

৮) বিবেকানন্দ ও রামকৃষ্ণ মিশন কতটা দলিত এবং শুদ্রদেরকে  ইসলাম, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ হওয়া থেকে থামাতে পেরেছিল এবং এগুলোর থামানোর জন্য তার কি কোনো প্রকারের প্রচেষ্ঠা করেছে আজ পর্যন্ত ?

 ৯) পুরাণ কাহানিতে লিখিত ঋষি ব্রহ্মা, ইন্দ্র, কৃষ্ণ আদি মহাপুরুষদের অশ্লীলতার বিরুদ্ধে জবাব দেওয়ার জন্য কি ব্যবস্থা করেছে বিবেকানন্দ এবং তার তৈরি রামকৃষ্ণ মিশন ? 

১০) বিবেকানন্দের কতটা শ্রদ্ধা ছিল স্বদেশ ভারতের ওপর কতটা শ্রদ্ধা ছিল ? আর যদি শ্রদ্ধা থেকেও থাকে তার ফল স্বরূপ কি ? 

১১) বিবেকানন্দ মাংসাহারের কতটা বিরোধিতা করেছিল ?

 ১২) ভারতে চলছে বিদেশিদের অত্যাচার, চলছে ধর্ম বিষয়ে নানান সম্প্রদায়ের ঝগড়া আর সেই অত্যাচার থেকে স্বদেশীদের মুক্ত করার কোনো প্রকারের চেষ্টা না করে, নিজের দেশে ঠিক ভাবে ধর্ম কে প্রতিষ্ঠা করার কোনো ব্যবস্থা না করে বিবেকানন্দ আমেরিকায় গিয়েছিল ধর্ম প্রচার করতে এইটা কোন জ্ঞানীর যুক্তি যুক্ত কর্ম তা একটু জানাবেন ? 



এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর গুলো বিবেকানন্দজীর ভক্ত এবং রামকৃষ্ণ মিশনের স্টুডেন্টদের নিশ্চয় দেবেন ।কারণ সবার ব্যক্তির জানা উচিত যে বিবেকানন্দকে আদর্শ কেন ভাবা হয়! আমাদের হিন্দু ভাইরা  বিবেকানন্দ কে এই কারণে আদর্শ মনে করেনা যে বিবেকানন্দ হিন্দুর জন্য কি করেছে, আমাদের অত্যাচারিত হওয়া দেশ বাঁচানোর জন্য কি করেছে বরং হিন্দুরা বিবেকানন্দ কে এই কারণে আদর্শ মনে করে যে তিনি আমেরিকা, ইউরোপে গিয়ে কতটা চিল্লা চিল্লি করেছিল, তার চিল্লানো কোনো জন ব্যক্তি শুনেছিল, তার চিল্লানো সভার পেছনে কতটা ভীড় ছিল! তার কথা শুনে কয়টা ব্যক্তি প্রশংসা করেছিল আদি আদি। 




গীতা অনুযায়ী শ্রীকৃষ্ণের পূজা যারা করে তারা তামসিক ব্যক্তি

গীতা অনুযায়ী শ্রীকৃষ্ণের পূজা যারা করে তারা তামসিক ব্যক্তি



প্রশ্নঃ গীতা অনুযায়ী কৃষ্ণের পূজা করা সাত্ত্বিক, রাজসিক নাকি তামসিক ? 

উত্তরঃ গীতা অনুযায়ী যারা শ্রীকৃষ্ণের পূজা করে তারা তামসিক ব্যক্তি! কৃষ্ণ একজন মনুষ্য ছিল, গীতা অনুযায়ী প্রমাণও হয় যে কৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল এবং মৃত্যুও হয়েছিল, দেখুন বিষয়টি____

গীতার ৪/৫ শ্লোকে কৃষ্ণজী বলেছে যে তার বহু জন্ম অতীত হয়েছে। এই শ্লোক অনুযায়ী প্রমাণ হয় যে কৃষ্ণজীর জন্ম হয়েছিল, গীতা ২/২৭ শ্লোকে কৃষ্ণজী বলেছে যে যার জন্ম হয় তার মৃত্যু নিশ্চিত এবং যার মৃত্যু হয় তার জন্ম নিশ্চিত। এই শ্লোক স্পষ্ট করে দেয় যে কৃষ্ণজীর জন্ম হয়েছিল এবং মৃত্যুও অবশ্যই হয়েছিল। গীতা ১৭/৪ শ্লোকে কৃষ্ণজী স্পষ্ট ভাবে বলেছে যে ভূত- প্রেতের পূজা করে তামসিক ব্যক্তিগণ । প্রেত অর্থাৎ মৃত্যু হওয়া ব্যক্তির পূজা যারা করে তারা তারা তামসিক, কৃষ্ণজীর মৃত্যু হয়েছিল কাজেই কৃষ্ণের পূজা করা ব্যক্তি সবাই তামসিক পূজারী।



নমস্তে 

বৈদিক শাস্ত্রে নারী

।।ও৩ম্।।
পর্ব (১)
সৃষ্টির আদি থেকে মাতৃশক্তি



নারী তার পছন্দ মতো জীবন সঙ্গী বেছে নেবে-
ব্রহ্মচর্য়েণ কন্যা৩ য়ুবানং বিন্দতে পতিম্।
অনড্বান্ব্রহ্মচর্য়েনাশ্বো ঘাসং জিগীর্তি।।১৮।। (অথর্ব০ ১১/৫/১৮)
পদার্থঃ (ব্রহ্মচর্য়েণ) ব্রহ্মচর্য [বেদাধ্যয়ন আর ইন্দ্রিয়নিগ্রহ] দ্বারা (কন্যা) কন্যা [পছন্দের যোগ্য চেলে] 
(য়ুবানম্) যুবা [ব্রহ্মচর্য দ্বারা বলবান] (পতিম্) স্বামী [পালনকর্তা বা ঐশ্বর্বান পতি] কে (বন্দতে) প্রাপ্ত করেন। (অনড্বান্) [রথ নিয়ে চালনাকারী] দামড়া-ছিন্নমুষ্ক ষাঁড় আর (অশ্বঃ) ঘোড়া (ব্রহ্মচর্য়েণ) ব্রহ্মচর্যের সাথে [নিয়ম দ্বারা নৈষ্টিক ব্রহ্মচারী হয়ে] (ঘাসম্=ঘাসেন) ঘাস দ্বারা (জিগীর্ষতি) সিঞ্চন করে [গর্ভাধান করে] ইচ্চা করে।।১৮।।
ভাবার্থঃ কন্যা ব্রহ্মচর্য দ্বারা পূর্ণ বিদুষী আর যুবতী হয়ে পূর্ণ ব্রহ্মচারী বিদ্বান যুবা পুরুষের সাথে বিবাহ করবে আর যেরূপ দামড়া -ছিন্নমুষ্ক সাঁড়, ঘোড়া আদি বলবান আর শীঘ্রগামী পশু ঘাস তৃণ ভক্ষণ করে ব্রহ্মচর্য নিয়ম দ্বারা সময়ে বলবান সন্তান উৎপন্ন করে, ঐরূপই মনুষ্য পূর্ণ ব্রহ্মচারী, বিদ্বান যুবা হয়ে নিজের সদৃশ্য কন্যার বিবাহ করে নিয়ম পূর্বক বলবান, সুশীল সন্তান উৎপন্ন করবে।।১৮।।


ভাষ্যঃ পণ্ডিত ক্ষেমকরনদাস ত্রিবেদী

নারী নিজের জ্ঞানের দ্বারা সংসারকে সমৃদ্ধি করেন-
কুহূর্দেবানামমৃতস্য পত্নী হব্যা নো অস্য হবিষো জুষেত।
শৃণোতু য়জ্ঞমুশতী নো অদ্য রায়স্পোষং চিকিতুষী দধাতু।।২।। (অথর্ব০ ৭/৪৭/২)
পদার্থঃ (দেবানাম্) দেবের মধ্যে (অমৃততস্য) অমৃত ব্যক্তির (পত্নী কুহূঃ) পত্নী কুহূ, [বিচিত্র স্বভাবের স্ত্রী] (হব্যা) সৎকার পূর্বক আহ্বানীয়, (অদ্য) এই সময় (নঃ অস্য হবিষঃ) আমাদের এই হবিষ্যান্নর (জুষেত) সেবন করে, ভোজন করে। (শৃণোতু) আমাদের প্রার্থনা শুনে, (য়জ্ঞমুশতী) গৃহস্থযজ্ঞের কামনাকারী, (চিকিতুষী) তথা সম্যক-জ্ঞানবান বিদুষী, (নঃ) আমাদের (রায়স্পোষম্) নিজ জ্ঞানরূপী সম্পত্তি (দধাতু) প্রদান করে।।২।।

নারী যেন দুঃখ্য কষ্ট না পায়-
ইমা নারীরবিধবাঃ সুপত্নীরাঞ্জনেন সর্পিষা সংস্পৃশন্তাম্।
অনশ্রবো অনমীবাঃ সুরত্না আ রোহন্তু জনয়ো য়োনিমগ্রে।।৩১।। (অথর্ব০ ১২/২/৩১)
পদার্থঃ (অবিধবাঃ) না বিধবা অর্থাৎ জীবিত পতিশীল, (সুপত্নীঃ) উত্তম-পত্নিরা-(ইমাঃ নারীঃ) অর্থাৎ যে নারীরা (আঞ্জনেন-অঞ্জনেন) অঞ্জন, (সর্পিষা) আর দ্রব্যভূত ঘৃতের সাথে (সংস্পৃশন্তাম্) সংস্পর্শ করেন। (অনশ্রবঃ) অশ্রু থেকে রহিত অর্থাৎ সদা সুপ্রসন্ন, (অনমীবাঃ) রোগ রহিত, (সুরত্নাঃ) অলংকারের দ্বারা সুভূষিত, (জনয়ঃ)  সন্তানোৎপাদিকা এই নারীরা, (য়োনিম্) ঘরে (অগ্রে) পতিকে আগে-আগে হয়ে (আরোহন্তু) চড়ে, প্রবেশ করেন।।৩১।।
[আরোহন্তু=ঘরের ভিত পৃথিবীতল দ্বারা উচু আর সীড়িযুক্ত হওয়া উচিত। (য়োনিঃ গৃহনাম=নিঘ০ ৩/৪)। সংস্পৃশন্তাম্=অঞ্জন দ্বারা চোখের তথা সর্পিঃ দ্বারা শরীরে স্পর্শ]।
ভাষ্যঃ প্রো০ বিশ্বনাথ বিদ্যালঙ্কার

নারী বিদ্বার দ্বারা শোভা বাড়াবে-
রেভ্যাসীদনুদেয়ী নারার্সী ন্যোচনী।
সূর্য়ায়া ভদ্রমিদ্বাসো গাথয়ৈতি পরিষ্কৃতা।।৭।। (অথর্ব০ ১৪/১/৭)
পদার্থঃ (রৈভী) বেদবাণী (সূর্য়ায়াঃ) প্রেরণাকারী [বা সূর্যের উজ্জ্বলতার সমান তেজশালী] কন্যার (অনুদেয়ী) সহচর [তুল্য] আর (নারাশংসী) মনুষ্যের গুণের স্তুতি (ন্যোচনী) খাঁটি [ছোট সহজ-সরল তুল্য] (আসীত্) হয়। আর (ভদ্রম্) শুভ কর্ম (ইত্) ই (বাসঃ) বস্ত্র [সমান] হোক [কেননা সে] (গাথয়া) গাওয়ার যোগ্য বেদ বিদ্যা দ্বারা (পরিষ্কৃত) সজ্জিত হয়ে (এতি) চলতে থাকে।।৭।।
ভাবার্থঃ কন্যা বেদ আর ইতিহাসকে স্বাধ্যায় করে বিচার পূর্বক শুভ কর্মকরে উত্তম বিদ্যা দ্বারা নিজের শোভা বাড়াবে।।৭।।

ভাষ্যঃ পণ্ডিত ক্ষেমকরনদাস ত্রিবেদী

।।ও৩ম্ শান্তি শান্তি শান্তি।।


ভাগবত পুরাণ কাহিনী


ভাগবতপুরাণ বিষ্ণুকে ধর্ষণ শঙ্কর পুরাণের ৮ স্কন্ধ, ১২ অধ্যায়, ১২ শ্লোক থেকে ৩৩ শ্লোক



ভগবান বিষ্ণুকে ধর্ষণ করলো ভগবান শঙ্কর -ভাগবত পুরাণ

ভগবান বিষ্ণুকে ধর্ষণ করলো ভাগবত শঙ্কর -প্রচারে ভাগবত পুরাণ! 



আমাদের পৌরাণিক অশ্লীল কাহিনী সম্পর্কে তো অনেক শুনেছেন কিন্তু আজ যে কাহিনীটি প্রকাশ করবো এমন কাহিনী জীবনেও কখনো  শোনেননি এইটা আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি। এই কাহিনীটি হলো 'ভগবান শঙ্কর করলেন ভগবান বিষ্ণুকে ধর্ষণ' আমার এই কথা শুনে অবাক হলেন কিনা ? সত্যি অবাক হওয়ারই কথা, এই অবাক করা অশ্লীল কাহিনীটি আছে আমাদের শ্রীমদ্ভগবত পুরাণের মধ্যে! আসুন দেখি ভাগবত পুরাণের এই মজার কাহানিটি____

এই কাহিনীটি রয়েছে ভাগবত পুরাণের ৮ স্কন্ধ, ১২ অধ্যায়, ১২ শ্লোক থেকে ৩৩ শ্লোক পর্যন্ত, এই ডেঞ্জারেস কাহিনী একেবারে বাইবেল, কুরআনের কাহিনীকেও হার মানায়! দেখুন____


ডাইরেক্ট ভাগবত পুরাণ থেকে বিস্তারিত ভাবে দেখে নিন 


ভাগবত পুরাণ ৮/১২/১২-১৮ শ্লোক

একসময় শঙ্করজী  বিষ্ণুজীকে বললেন যে - হে প্রভু! আপনি যখন লীলার করার জন্য অবতার গ্রহণ করেন তখন আমি আপনার সেই রূপ দর্শন করি এখন আমি সেই রূপকে দেখতে চাই যে রূপ দ্বারা আপনি দৈত্যদের মোহিত করে দেবতাদের অমৃত খাইয়ে ছিলেন, শঙ্করজীর এই প্রার্থনা শুনে বিষ্ণু রাজি হলেন। 




ভাগবত পুরাণ ৮/১২/১৯-২৫ শ্লোক

বিষ্ণুর সেই মোহিনী রূপ খুবই সুন্দর ছিল, তা দেখে শঙ্করজী সতী এবং তার গুণ কে ভুলে গেলেন এবং কামী হয়ে ওঠেন, একসময় মোহিনী দৌড়াতে শুরু করলেন, তার পিছে  শঙ্করজীও মোহিনীর পিছে পিছে দৌড়াতে শুরু করলেন, পেছনে ভগবান শঙ্করকে দেখতে দেখতে বাতাস দ্বারা মোহিনীর শাড়ি খুলে বিবস্ত্র হয়ে জান, মোহিনীর এক এক অঙ্গ খুবই রুচিকর ছিল, এই দৃশ্য দেখে ভগবান শঙ্করের মন আকৃষ্ট হয়ে যায়, বিষ্ণুর সেই মোহিনী রূপ শঙ্করজীর বিবেক কে হরণ করেন, সেই রূপ দেখে কভগবান শঙ্কর কামুক হয়ে  জান, তিনি সমস্ত লজ্জা ত্যাগ করে মোহিনীর কাছে চলতে থাকেন। 



ভাগবত পুরাণ ৮/১২/২৬-২৭ শ্লোক

মোহিনী জী তো পূর্ব থেকেই বিবস্ত্র ছিল, তাই ভগবান শঙ্করকে নিজের দিকে আসতে দেখে মোহিনী লজ্জিত হন, মোহিনী এক বৃক্ষের আড়ালে গিয়ে লুকিয়ে পড়েন আর হাসতে লাগল ভগবান শঙ্করের স্বভাব দেখে। ভগবান শঙ্করের ইন্দ্রিয় নিজের বশে ছিল না বরং তিনি কামবশে ছিল। মেয়ে হাতির পেছনে  ছেলে হাতির সাদৃশ্যে  তারা দৌড়াতে শুরু করেন। 

এই কাহিনী এখানেই শেষ নয়_____

ভাগবত পুরাণ ৮/১২/২৮-৩২

ইহার পর ভগবান শঙ্কর মোহিনী কে ধরে ফেলেন, আর তাকে দুই হাতে হৃদয় ভরে জড়িয়ে ধরেন , যেভাবে ছেলে হাতি মেয়ে হাতির সাথে আলিঙ্গন করে সেভাবে ভগবান শঙ্কর মোহিনী কে জড়িয়ে ধরেন, অনেক চেষ্টার পর মোহিনী শঙ্করের কাছ থেকে ছাড়া পান তারপর পুণরায় দৌড়াতে শুরু করে, ভগবান শঙ্করও সেই মোহিনী রূপধারী বিষ্ণুর পিছে চলতে থাকে, কামুক পুরুষ হাতির পেছনে মহিলা হাতির সমান সে মোহিনীর পিছে দৌড়াতে থাকে। ইহার পর ভগবান শঙ্করের বীর্য বেরিয়ে আসে।  


জীবনেও কি এমন হাস্যকর অশ্লীল কাহিনী দেখেছেন ? যদি না দেখেন তো দেখেনিন ভাগবত পুরাণের ডেঞ্জারেস কাহিনী,  এইবার এই কাহিনীর মধ্যেই মহা বিজ্ঞানের আবির্ভাব____

ভাগবত পুরাণ ৮/১২/৩৩

ভগবান শঙ্করের সেই বীর্য পৃথিবীতে যেখানে যেখানে পরে সেখানে সেখানে সোনা রুপার গহনা তৈরি হয়ে যায়।


আমাকে কোনো দাদারা বলবেন যে এগুলোকে কোন যুক্তিতে ধর্ম গ্রন্থ বলা হয় ? কি আশ্চর্য্য বিষয়! আর এগুলো যদি ধর্ম গ্রন্থ হয় তাহলে অধর্মের গ্ৰন্থ কেমন হবে ? আর এগুলো কি সাধারণ বিজ্ঞান নাকি মহা বিজ্ঞান ?  অনেক পৌরাণিক ভাই এই সমস্ত কাহিনী দেখে ত্যানা পেঁচানোর জন্য একটা কথা বলে থাকে যে -'এই সমস্ত পুরাণ কে মুঘল কালে বিকৃত করা হইয়াছে'। যারা এমন কথা বলে উক্ত প্রকারের অশ্লীল কাহিনীকে এড়িয়ে যায় আমি তাদের বলছি শুনুন, মুঘল কালে মুসলিমরা আপনাদের পুরাণ কে বিকৃত করলো আর আপনার পূর্ব পুরুষরা তখন কি আঙ্গুল চুষছিল ? আর আপনারা যদি জানেন যে পুরাণ বিকৃত তাহলে আজও কেন এই সমস্ত কাহিনী পুরাণে রেখেই দেওয়া হয়েছে ? বাদ কেন দেওয়া হয়নি ? মুখে বলেন পুরাণ বিকৃত অথচ এমন অশ্লীল কাহিনী রেখেই দিয়েছেন পুরাণের মধ্যে এর দ্বারা প্রমান হয় যে মোল্লারা আপনাদের পুরাণ কে বিকৃত করেনি পূর্বে যেমন ছিল ঠিক তেমনই আছে। নয়তো পুরাণ যদি বিকৃত হতো তাহলে এই সমস্ত বিকৃত পুরাণের বিকৃত অংশকে বাদ দিয়ে শুদ্ধ পুরাণ তৈরি করতো পৌরানিকরা, কিন্তু তা কখনোই করা হয়নি। পৌরানিকগণ যে অশ্লীল ছিল ইহার এক জলজ্যান্ত প্রমাণ হলো মধ্যপ্রদেশের 'খাজুরাহ মন্দির' যে মন্দির তৈরি হয় মুসলিম নামক প্রাণীরা আমাদের দেশে প্রবেশ করার পূর্বে, এই মন্দিরের গায়ে নানান মূর্তি আছে যেমন- পশুর সাথে মনুষ্যেরন ক্রীড়া করার মূর্তি এবং নারী পুরুষের গুপ্ত অঙ্গ নিয়ে নানান অশ্লীল আকারের মূর্তি আছে এই মন্দিরের গায়ে। কোনো পৌরাণিকরা আবার বলে থাকে যে এই মূর্তি গুলো নাকি শিল্পকলা, তা যারা এই সমস্ত মূর্তিকে শিল্পকলা বলে আমি তাদের বলবো যে, যখন এগুলো শিল্প কলা খারাপের কিছু নয় তাহলে একটা কাজ করুন খাজুরাহ মন্দিরের ওই সমস্ত প্রকারের ছবি(পশুর সাথে মানুষের যৌন ক্রীড়া, নারী পুরুষের গোপনাঙ্গতে মুখ আদি নানান ছবি) গুলো আপনাদের বাড়ির প্রথম দরজার সামনে টাঙ্গিয়ে রাখুন কারণ শিল্প কলা যা আপনাদের গর্ব!




নমস্তে


दैत्यगुरु शुक्राचार्य की शिव के शिश्न से उत्पत्ति

दैत्यगुरु शुक्राचार्य की शिव के शिश्न से उत्पत्ति



दैत्यगुरु शुक्राचार्य की उत्पत्ति का पौराणिक वृत्तांत

दानवराज अंधकासुर और महादेव के मध्य घोर युद्ध चल रहा था | अन्धक के प्रमुख सेनानी युद्ध में मारे गए पर भार्गव ने अपनी संजीवनी विद्या से उन्हें पुनर्जीवित कर दिया | पुनः जीवित हो कर कुजम्भ आदि दैत्य फिर से युद्ध करने लगे | इस पर नंदी आदि गण महादेव से कहने लगे कि जिन दैत्यों को हम मार गिराते हैं उन्हें दैत्य गुरु संजीवनी विद्या से पुनः जीवित कर देते हैं , ऐसे में हमारे बल पौरुष का क्या महत्व है | यह सुन कर महादेव ने दैत्य गुरु को अपने मुख से निगल कर उदरस्थ कर लिया | उदर में जा कर कवि ने शंकर कि स्तुति आरम्भ कर दी जिस से प्रसन्न हो कर शिव ने उन को बाहर निकलने कि अनुमति दे दी | भार्गव श्रेष्ठ एक दिव्य वर्ष तक महादेव के उदर में ही विचरते रहे पर कोई छोर न मिलने पर पुनः शिव स्तुति करने लगे | बार बार प्रार्थना करने पर भगवान शंकर ने हंस कर कहा कि मेरे उदर में होने के कारण तुम मेरे पुत्र हो गए हो अतः मेरे शिश्न से बाहर आ जाओ | आज से समस्त चराचर जगत में तुम शुक्र के नाम से ही जाने जाओगे | शुक्रत्व पा कर भार्गव भगवान शंकर के शिश्न से निकल आये और दैत्य सेना कि और प्रस्थान कर गए | तब से कवि शुक्राचार्य के नाम से विख्यात हुए |
(शिव पुराण, रूद्र संहिता 2, पंचम युद्ध खंड)

अब देखो पौराणिक विज्ञानं की, एक पुरुष ने दूसरे पुरुष को अपने मुह में रख कर पेट में डाल दिया, और वो पेट में (गर्भ) में १ वर्ष तक रहा, बाद में शिश्न (लिंग) से वीर्य की भाँती शिव ने बाहर निकाल दिया।
ये कौन सा विज्ञानं है ? क्या पुरुषो में गर्भ होता है ?
कोई पुरुष कैसे किसी दूसरे पुरुष को खाकर गर्भ में रखता है ?
क्या शिश्न (लिंग) से कोई पुरुष बाहर आ सकता है ?
क्या कोई पुरुष एक पुरुष को खा लेवे तो वो नरभक्षी न हो ?
ये कैसा अंधकार पौराणिकों ने चलाया है ?

अब देखो, पौराणिक शिव की लीला, एक तो कमजोर, असहाय, बताओ वैसे तो पौराणिक कहते हैं शिव इतना शक्तिशाली की सब कुछ कर सकता है, वही दूसरी और साधारण जीवो से लड़ना पड़ता है, ये कैसा ईश्वर है जो साधारण मनुष्यो, राक्षसो, दानवो पर अपना जीत दिखाकर, वीरता की डींगे भरता है ?
क्या ऐसा भी कोई ईश्वर होता है ? अरे वीरता है तो अपने सामान ईश्वर से लड़ो, लेकिन नहीं जीतेंगे कैसे ? इसलिए साधारण मनुष्यो, दानवो पर जीत दर्ज करके अपनी सर्वशक्तिमत्ता प्रकट करो, क्या ये सर्वशक्तिमत्ता है ?
और देखो, दानव कैसे वीर हुए जो शिव को भी लड़ने को मजबूर कर दिया, एक ईश्वर को स्वयं मनुष्यो से लड़ना पड़ा, वाह रे वाह पौराणिकों तुम तो ईसाई और मुसलमानो के लड़क्कड़ खुदा से भी दो कदम आगे अपने इष्ट को ले गए।
ऐसे काम तो कोई ईश्वर न करता, वो तो लड़ना भी नहीं पड़ता, वैसे ही कर देता है, कर्मो के फल देकर, देखो निराकार ईश्वर इतना सर्वशक्तिमान सिद्ध हुआ, और तुम्हारा साकार इष्ट तो तुच्छ मनुष्यो में ही अपनी शक्ति व्यर्थ किया।

इसलिए वेदों की ओर लौटो |

শ্রীকৃষ্ণকে যদি ঈশ্বর ভাবা হয় তাহলে গীতার শ্লোক স্ববিরোধী এবং ভ্রান্তি পূর্ণ

শ্রীকৃষ্ণকে যোগী না ভেবে যদি ঈশ্বর ভাবা হয় তাহলে গীতার শ্লোক স্ববিরোধী এবং গীতা একটি ভ্রান্তি পূর্ণ গ্রন্থ হবে






শ্রীকৃষ্ণ ভক্ত অর্থাৎ বৈষ্ণব আদিরা গীতার সুবিশাল আকারের মাহাত্ম্য তুলে ধরে বলে যে গীতা শ্রেষ্ঠ, গীতাই সব, বেদের থেকেও নাকি গীতা শ্রেষ্ঠ। এরা এই প্রকারের যারা নিজের বাপকে বাদ দিয়ে কাকুকে শ্রেষ্ঠ বলে, গীতা অনুযায়ীই জানা যায় যে শ্রীকৃষ্ণ একজন যোগী ছিল গীতা ১১/৪,৯ শ্লোক এবং গীতার শেষের দিকে অর্থাৎ ১৮ অধ্যায়ের ৭৫ এবং ৭৮ শ্লোক দেখুন সেখানে সঞ্জয় কৃষ্ণ কে 'যোগেশ্বর' বলে কথন করেছে, আর যোগেশ্বর এর অর্থ যোগেন্দ্র, মহাযোগী, শ্রেষ্ঠযোগী। বেদ, উপনিষদ, দর্শনের জ্ঞান না থাকলে জানা যায়না যে যোগী কিরূপ হয়, এই সমস্ত কৃষ্ণ ভক্তরা বেদানুকূল কোনো শাস্ত্র মানেনা, এরা মানে অশ্লীল পুরাণ কাহিনী আর  গীতার  কয়েকটা শ্লোক পড়ে কৃষ্ণকে ঈশ্বর ঈশ্বর বলে চেল্লায়, গীতায় কৃষ্ণ যে শ্লোক গুলো যোগ যুক্ত মুক্ত আত্মা হিসাবে নিজেকে ঈশ্বর বলেছে সেই শ্লোক ধরে কৃষ্ণভক্তরা কৃষ্ণকে ঈশ্বর বানিয়ে দেয় আর যে শ্লোক গুলোতে কৃষ্ণ নিজেকে ঈশ্বর হতে ভিন্ন মেনেছে সেই সমস্ত শ্লোকের কোনো ব্যাখ্যা দেওয়ার ক্ষমতা তাদের নাই, কারণ তারা পুরাণ কাহিনী ছাড়া কোনো বৈদিক শাস্ত্র সম্পর্কে জ্ঞান রাখেনা। আজ শ্রীকৃষ্ণের ওই গাঢ় ভক্তদের একটু দেখিয়ে দেই যে কৃষ্ণকে ঈশ্বর ভাবলে গীতা কেমন স্ববিরোধী এবং ভ্রান্ত পূর্ন হয়। আসুন দেখি__________


গীতা ৪ অধ্যায়, ৫-৬ শ্লোক

 ভগবান বললেন -হে পরন্তপ অর্জুন আমার এবং তোমার বহুজনম অতিত হয়েছে, আমি সে সমস্ত জন্মের কথা মনে করতে পারি তুমি তা পার না।৫। 

 যদিও আমি জন্ম রহিত এবং আমার চিন্ময় দেহ অব্যয় এবং যদিও আমি সর্ব ভূতের ঈশ্বর তবুও আমার অন্তরঙ্গা শক্তিকে আশ্রয় করে আমি স্বীয় মায়ার দ্বারা অবতির্ন হই।৬।

ওপরের দুটি শ্লোক স্ববিরোধী কারণ ওপরের শ্লোকে কৃষ্ণ বলেছে তার অনেক বার জন্ম হয়েছে , কিন্তু দেখুন পরের শ্লোকে কৃষ্ণ বলছে যে আমি জন্ম রহিত অর্থাৎ তার জন্ম হয়না।

গীতা ৯ অধ্যায়, ২৯ শ্লোক

আমি সর্বভূতে সমান ভাবে বিরাজ করি, কেউ আমার প্রিয় নয় ও অপ্রিয়ও নয়।২৯।

গীতা ১৮ অধ্যায়, ৬৫-৬৯ শ্লোক

তুমি আমাতে চিত্ত স্থির কর এবং আমার ভক্ত হও। আমার পুজা কর এবং আমাকে নমস্কার কর। তুমি আমার অত্যন্ত প্রিয়। এই জন্য আমি প্রতিজ্ঞা করছি যে এই ভাবে তুমি আমাকে প্রাপ্ত হবে।৬৫। 

 পৃথিবীতে মানুষদের মধ্যে তার থেকে অধিক প্রিয়কারি এবং আমার প্রিয় আর কেউ নেই এবং ভবিষ্যতে কখন হবেও  না।৬৯।

ওপরের শ্লোকে কৃষ্ণ বলছে তার কাছে কেও প্রিয়ও নয় এবং অপ্রিয়ও নয়। কিন্তু নিম্নের শ্লোকে কৃষ্ণজী অর্জুন কে প্রিয় বলছে এমন কেন ? কৃষ্ণ দুই ধরনের স্ববিরোধী কথা কেন বলছে গীতায় ? আবার নিচের শ্লোকে বলছে তার মতো প্রিয় কেও হবেনা, উত্তর আছে কি কোনো কৃষ্ণভক্তদের ? এখানেই শেষ নয় আরও আছে আসুন_____


গীতা ৭ অধ্যায়, ৬ শ্লোক


হে অর্জুন! সর্বভূত(জড় ও চেতন) এই উভয় প্রকৃতি হতেই উৎপন্ন বলে জানবে এবং  আমি সমস্ত জগতের উৎপত্তি এবং প্রলয়রূপ অর্থাৎ সমগ্র জগতের মূল কারণ।৬।


গীতা ১৮ অধ্যায়, ৪৬ শ্লোক

যে পরমেশ্বর হতে সমস্ত প্রাণীর উৎপত্তি হয়েছে, যিনি এই সমগ্র জগৎ পরিব্যাপ্ত আছেন, সেই পরমেশ্বর কে নিজের স্বাভাবিক কর্মের দ্বারা  অর্চনা করে মানুষ সিদ্ধি লাভ করে।৪৬।

ওপরের শ্লোকে কৃষ্ণ বলছে যে কৃষ্ণই সমগ্র জগতের মূল কারণ, কিন্তু পরের শ্লোকে কৃষ্ণ স্বয়ং বলছে যে 'যে পরমেশ্বর হতে সমস্ত প্রাণীর উৎপত্তি হয়েছে, যিনি এই সমগ্র জগৎ পরিব্যাপ্ত আছেন'। বলছি গীতায় ঈশ্বর সংখ্যা কয়টা ? আর কৃষ্ণ একবার নিজেই নিজেকে ঈশ্বর বলছে আবার কৃষ্ণ নিজেই ঈশ্বরকে 'যিনি, সেই' বলে কথন করছে, বলছি গীতার শ্লোক এমন উল্টো পাল্টা স্ববিরোধী কেন ?

 গীতা ৯ অধ্যায়, ২৮ শ্লোক

 এই ভাবে, আমাতে সমস্ত কর্ম অর্পণ দ্বারা সন্ন্যাসযোগে যুক্ত হয়ে তুমি শুভাশুভ ফলরূপ দ্বারা কর্মবন্ধন হতে মুক্ত হবে এবং এ থেকে মুক্ত হয়ে আমাকেই প্রাপ্ত হবে।

 গীতা ১৮ অধ্যায়, ৬২ শ্লোক

হে ভারত! তুমি সর্বত্রভাবে সেই পরমেশ্বরই শরনাগত হও। তার কৃপায় তুমি পরমশক্তি এবং সনাতন পরমধাম প্রাপ্ত হয়।৬২।


ওপরের শ্লোকে কৃষ্ণজী বলছে যে 'আমাকেই প্রাপ্ত হবে'। কিন্তু নিচের শ্লোকটি দেখুন এখানে কৃষ্ণজী বলছে 'তুমি সর্বত্রভাবে সেই পরমেশ্বরই শরনাগত হও। তার কৃপায় তুমি পরমশক্তি এবং সনাতন পরমধাম প্রাপ্ত হয়'। এখানে কৃষ্ণজী 'সেই, তার' বলেছে ঈশ্বরকে অর্থাৎ কৃষ্ণজী এখানে ঈশ্বর কে নিজের থেকে ভিন্ন বলছে, কারণ কি ?  উত্তর আছে কোনো ইসকন পাদ ভক্ত ? গীতার মধ্যে কৃষ্ণ এমন স্ববিরোধী কথন করছে কেন ? আসুন আরও দেখি_____


গীতা ১৩ অধ্যায়, ১৪, ১৫,১৬ শ্লোক

তার সর্বদিকে হস্ত, পদ, চক্ষু, মস্তক, কান ও মুখ, কারণ তিনি সমগ্র জগতকে ব্যাপ্ত করে আবৃত বিরাজিত আছেন।১৪।

তিনি সমস্ত ইন্দ্রিয়ের বিষয় সমূহের জ্ঞাতা হয়েও প্রকৃত পক্ষে ইন্দ্রিয় রহিত এবং অনাসক্ত হয়েও সকলের ধারক ও পোষক, নির্গুণ হয়েও সমস্ত গুণের ভোক্তা।১৫। 

চর, অচর অর্থাৎ জঙ্গম ও স্থাবর সর্বভূতের ভেতর ও বাইরে এবং স্থাবর-জঙ্গম রূপেও তিনি বিরাজিত। অতি সূক্ষ্ম হওয়া সত্ত্বেও অবিজ্ঞেয়, তিনি জ্ঞানীর অতি নিকটে এবং অজ্ঞানীর অত্যন্ত দূরে।১৬। 


এখানে কৃষ্ণজী নিজেই ঈশ্বরকে 'তার' বলছে কৃষ্ণজী বলছে যে 'তার সর্বদিকে হস্ত, পদ, চক্ষু, মস্তক, কান ও মুখ, কারণ তিনি সমগ্র জগতকে ব্যাপ্ত করে আবৃত বিরাজিত আছেন'
অর্থাৎ ঈশ্বর সমস্ত দিকেই ব্যাপক আছে বলে কৃষ্ণজী এমন বলছে, পৌরানিকরা এই সমস্ত শ্লোক দেখে তো ঈশ্বর যে সাকার বানিয়ে দেবে কিন্তু দেখুন কৃষ্ণ ওপরের শ্লোকে বলেছে যে 'তিনি সমস্ত ইন্দ্রিয়ের বিষয় সমূহের জ্ঞাতা হয়েও প্রকৃত পক্ষে ইন্দ্রিয় রহিত ' এখানে কৃষ্ণজী বলছে যে ঈশ্বর প্রকৃত পক্ষে ইন্দ্রিয় রহিত অর্থাৎ ঈশ্বরের কোনো ইন্দ্রিয় নেই তিনি নিরাকার। তা কৃষ্ণ ভক্তরা উত্তর দিতে পারবে যে কৃষ্ণ যখন নিজেই ঈশ্বর তাহলে এখানে কৃষ্ণ কাকে 'তিনি' বলছে ? গীতা এমন কেন স্ববিরোধী উল্টো পাল্টা ?



পৌরানিকরা গীতার ওই শ্লোক গুলো ধরে টানে যে যেখানে কৃষ্ণ বলেছে যে আমিই ব্যাসদেব, আমিই কপিলমুনি, আমিই নারদ, আমিই সামবেদ, আমিই ওঙ্কার, আমিই ইন্দ্র আদি আমিই জগতের ঈশ্বর। গীতার এই সমস্ত বাণী গুলোকে প্রয়োগ করে কৃষ্ণভক্তরা কৃষ্ণকেই ঈশ্বর বানিয়ে দেয়। 
 কৃষ্ণজী 'আমি' শব্দ দ্বারা বলেছে যে 'আমিই ঈশ্বর, আমিই জগতের মূল কারণ' অর্থাৎ কৃষ্ণই ঈশ্বর, এমন যুক্তি দ্বারা যদি কৃষ্ণকে ঈশ্বর ভাবা হয় তাহলে আমি এদেরই এই যুক্তিতেই ফেঁসে দেবো, দেখুন গীতা ১০/৩৭ শ্লোকে কৃষ্ণ বলেছে যে 'বৃঞ্চীনাম্‌ বাসুদেব অস্মি পাণ্ডবানাম্‌ ধনঞ্জয়ঃ' কৃষ্ণ বলেছেন যে 'পাণ্ডবের মধ্যে আমিই ধনঞ্জয়'। এই শ্লোকে কৃষ্ণ স্পষ্ট ভাবে বলেছে যে কৃষ্ণ নিজেই ধনঞ্জয় অর্থাৎ অর্জুন, তাহলে কৃষ্ণ যদি নিজেই অর্জুন হয় তাহলে ফালতু ফালতু যুদ্ধে  সময় নষ্ট করে গীতার এতগুলো বাণী অর্জুন বলার কি দরকার  কি ছিল ? এখানে তো অবশ্যই বলা যায় যে কৃষ্ণ নিজেই অর্জুন হওয়া সত্ত্বেও গীতার জ্ঞান দেওয়ার নাটক কেন করলো যুদ্ধের মাঠে ? যদি কেউ বলে যে 'কৃষ্ণ মানব জাতিকে জ্ঞান দেওয়ার জন্য এমন করেছিল'। এই কথা বলাও ভুল হবে কারণ কৃষ্ণ যখন নিজেই অর্জুন তাহলে যুদ্ধের মাঠে গীতার জ্ঞান দিয়ে যুদ্ধের সময় নষ্ট করার কোনো মানেই ছিলনা, এই জ্ঞান তো কৃষ্ণজী তাদের বাড়িতে এসেই দিতে পারতো, আর এই (গীতা ১০/৩৭) শ্লোক অনুযায়ী গীতার ওই বিশ্বরূপ দর্শন অধ্যায়টি পুরোই একটা নাটকের অধ্যায় তা  প্রমাণ হয় কারণ কৃষ্ণ যখন নিজেই অর্জুন তাহলে ফালতু কেন কৃষ্ণজী অর্জুন কে বিশ্বরূপ দেখাতে গেল ? বলুন কৃষ্ণভক্তরা কৃষ্ণকে ঈশ্বর ভাবলে তো গীতা একটা স্ববিরোধী এবং নাটক পূর্ণ গ্রন্থ হবে তাই না ? আবার দেখুন কৃষ্ণই যখন  অর্জুন তাহলে গীতা ২/২ শ্লোকে কৃষ্ণ নিজেই অর্জুনকে অনার্য অর্থাৎ অসভ্য, মূর্খ বলেছে। তাহলে যুক্তিটি তো এই দাঁড়ায় যে কৃষ্ণ নিজেই নিজেকে অনার্য অর্থাৎ মূর্খ, অসভ্য বলেছে ? এমন উল্টো পাল্টা কেন গীতা ? এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর কি ১০০০০ বছরে খুঁজে পাবেন কৃষ্ণভক্তরা ? বৈদিক শাস্ত্র সম্পর্কে যতদিন অজ্ঞ থাকবে কৃষ্ণভক্তরা ততদিন এই সমস্ত গীতার শ্লোকের যুক্তিপূর্ণ ব্যাখ্যা দেওয়ার ক্ষমতা হবেনা।


নমস্তে



भगवान शंकर ने किया भगवान विष्णु का बलात्कार, प्रचार में भागवत पुराण


पौराणिक भगवान शंकर ने किया भगवान विष्णु का बलात्कार, प्रचार में भागवत पुराण






भाइयो आपको पोस्ट थोड़ा अश्लील लगेगा, मगर क्या करे जो पुराण में सत्य है, लिखा है, वो तो पौराणिकों को मानना पड़ेगा न, सत्य तो यही है की पौराणिकों के देवी देवता कामुक और अश्लील कार्य करने में कभी हिचकते नहीं, शायद यही वजह है की पौराणिक बंधू भी गाली गलौच जैसे असभ्य कार्यो से कभी दूर नहीं रहते, क्योंकि जैसे इनके देवी देवता के कुकर्म पुराणो में भरे हैं, वैसी ही शिक्षा तो पौराणिक ग्रहण करेंगे।

देखिये श्रीमद्भगवतम् पुराण में भगवान शिव ने कैसे दूसरे भगवान विष्णु का बलात्कार कर डाला :

भगवान शंकर ने विष्णु से कहा की हमें वो मोहिनी रूप दिखाए जिसने असुरो से अमृत कलश छीन लिया, तब विष्णु जी ने कहा वो रूप बहुत ही काम उत्पन्न करने वाला है, लेकिन शंकर जी के हठ करने पर विष्णु जी मान गए। (स्कंध ८ अध्याय १२ श्लोक १३-१६)

एक सुंदर उपवन में शंकर जी अपनी पत्नी सती देवी के साथ बैठे थे, इतने में उपवन के चारो और शंकर जी ने निगाहे दौड़ाई तो पता चला एक सुंदरी गेंद को उछाल उछाल कर खेल रही थी,

वो इतनी सुंदरी थी और उसने सुन्दर साडी पहन रखी थी उसकी कमर में करधनी की लड़िया लटक रही हैं (१८)

गेंद के उछलने और लपककर पकड़ने से उसके स्तन और उनपर पड़े हुए हार हिल रहे हैं ऐसा जान पड़ता था मानो इनके भार से उसकी पतली कमर पग पग पर टूटते टूटते बच जाती है वह अपने लाल लाल पल्ल्वो के सामान सुकुमार चरणो से बड़ी कला के साथ ठुमुक ठुमुक कर चल रही थी (१९)

आगे और अश्लीलता है वो मैं नहीं लिख सकता आप स्वयं पढ़ लेवे।

इसके बाद शंकर जी सुद बुद्ध खो बैठे और सती को छोड़ उस स्त्री की और भागे मोहिनी अपनी गेंद के पीछे भागी तो हवा ने उसकी साडी उड़ा दी, मोहिनी निर्वस्त्र हो गयी (२३)

मोहिनी का एक एक अंग बड़ा ही रुचिकर और मनोरम था, जहाँ आँख लग जाती वहीँ रमण करने लगता ऐसे दशा में भगवान शंकर जी उस मोहिनी पर आकृष्ट हो गए, उन्हें लगा मोहिनी भी उनके प्रति आसक्त है (२४)

मोहिनी वस्त्रहीन तो पहले ही हो चुकी थी, शंकर जी को अपनी और आते देख बहुत लज्जित हो गयी वह एक वृक्ष से दूसरे वृक्ष की आड़ में जाकर छिप जाती और हंसने लगती। परन्तु कहीं ठहरती न थी (२६)

भगवान शंकर की इन्द्रियां अपने वश में नहीं रही, वे कामवश हो गए थे, अतः हथिनी के पीछे हाथी की तरह उसके पीछे पीछे दौड़ने लगे (२७)

उन्होंने अत्यंत वेग से उसका पीछा करके पीछे से उका जूड़ा पकड़ लिया और उसकी (मोहिनी) की इच्छा न होने पर भी उसे दोनों भुजाओ में भरकर ह्रदय से लगा लिया (२८)

जैसे हाथी हथनी का आलिंगन करता है, वैसे ही भगवन शंकर ने उसका आलिंगन किया। वह इधर उधर खिसककर छुड़ाने की चेष्टा करने लगी, इस छिना झपटी में उसके सर के बाल बिखर गए (२९)

आगे और भी अश्लीलता है, संकोच वश नहीं लिख सकता, स्वयं पढ़े।

कामुक हथनी के पीछे दौड़ने वाले मंदोमत्त हाथी के सामान वे मोहिनी के पीछे पीछे दौड़ रहे थे, यद्यपि भगवान शंकर का वीर्य अमोघ है, फिर भी मोहिनी की माया से वह स्वखलित हो गया। (३२)

तो भाइयो इस तरह पौराणिक भगवन शंकर ने - दूसरे भगवान विष्णु का बलात्कार अंजाम दिया, अब वीर्य जो स्वखलित हुआ उसका चमत्कार देखिये :

भगवन शंकर का वीर्य पृथ्वी पर जहाँ जहाँ गिरा, वहां वहां सोने चांदी की खाने बन गयी (३३)

मेरे पौराणिक मित्रो, इन झूठी कपोल कल्पित कथाओ के द्वारा हमारे ऋषि मुनियो, महपुरषो का बड़ा अपमान होता है, देखो शंकर जी जैसा महापुरुष कैसा कुकर्म किया की अपनी पत्नी सती को छोड़ एक पुरुष (विष्णु) मोहिनी के साथ बलात्कार किया।

और भी सोचो की वीर्य से सोने चांदी की खाने बन गयी। क्या ऐसा हो सकता है ?

कृपया इन व्यर्थ के पुराणो को त्यागो, अश्लीलता के शिव इनमे कुछ नहीं, आओ महर्षि दयानंद के बताये ऋषि मार्ग पर चलकर पुनः वेद की और लौटे।

इस राष्ट्र को पुनः वास्तविक स्वरुप में लाये, इसलिए लौटो वेदो की और।

यज्ञ विध्वंसक पुराणिक शंकर और लिंगपति अश्लील!


यज्ञ विध्वंसक पुराणिक शंकर और लिंगपति अश्लील !







यज्ञ को वैदिक वांग्मय में श्रेष्ट कर्म कहा है | लेकिन कोई यज्ञ में निंदनीय अश्लील कर्म करे उसे क्या कहेंगे -

पद्मपुराण सृष्टि खंड अध्याय १७ में एक कथा आती है - " एक समय ब्रह्मा
जी यज्ञ कर रहे थे | शंकर जी यज्ञ शाला में एक हाथ में मानव खोपड़ी ले कर रित्विज्यो के पास आ कर बेठ गये | उनके इस प्रकार निंदनीय वेश को देख वेद पाठी ब्राह्मणों ने उन्हें यज्ञ से जाने को कहा लेकिन वे नही गये तब उन्हें यज्ञ शाला में भोजन करा कर संतुष्ट किया गया |तब कही यह कह कर कि पुष्कर स्नान के लिए जा रहे है वे वहा से चले गये लेकिन कपाल को यज्ञ शाळा में ही छोड़ गये | जब ब्राह्मणों ने कपाल को फेका तो वहा उसकी जगह दूसरा कपाल आ गया इस तरह यह सब १००० बार हुआ और १००० बार नया कपाल आ जाता | फिर ब्रह्मा ने शंकर की स्तुति की तब वहा से सारे कपाल गायब हुए | इसके बाद १ मन्वन्तर के बाद पुन ब्रह्मा ने यज्ञ किया लेकिन इस बार शंकर जी नग्न हो कर हाथ में उपस्थेन्द्रीय (लिंग ) लेकर यज्ञ मंडप में आ गये | वहा उपस्थित लोगो ने उन्हें धिक्कारा घसीटकर बाहर किया और कहा कि स्त्रियों की उपस्थति में तुम्हारा इस प्रकार प्रवेश करना निंदनीय है | इस बात से गुस्सा हो कर शंकर ने ब्राह्मणों को अनेक शाप दिए |

समीक्षा-  देखो पोरानिको क्या कोई बतायेगा ये तुम्हारे शंकर जी जहा जाते थे लिंग हाथ में ले कर क्यूँ जाते थे ? मोहिनी के पीछे लिंग ले कर, अनसूया के पास लिंग ले कर और ब्रह्मा के यज्ञ में लिंग ले कर | यदि वे लेकर घूमते हैं
तो तुम लोग उनका अनुपालन किस भय से नही करते हो? इस पौराणिक
विज्ञान का रहस्य दुनिया को भी पता चलने दो | चलो बताओ उपरोक्त दोनों कर्मो से शंकर जी ने यज्ञ का मान बढाया या यज्ञ का नाश किया उसका अपमान किया ? यह सब विचार कर पुराणों को अवश्य त्यागे |

स्वामी विवेकानंद ३१ बीमारियों से पीड़ित थे

विवेकानंद ३१ बीमारीयों से पीड़ित थे, ये एक नंबर का मांसाहारी प्राणी थे!




स्वामी विवेकानंद ३१ बीमारियों से पीड़ित थे। शायद यही वजह रही कि इस नकली संन्यासी का महज ३९ साल की उम्र में ही कामतमाम हो गया।

मशहूर बांग्ला लेखक शंकर की पुस्तक ‘द मॉन्क एस मैन’ में कहा गया है कि निद्रा, यकृत, गुर्दे, मलेरिया, माइग्रेन, मधुमेह व दिल सहित ३१ बीमारियों से स्वामी विवेकानंद को जूझना पड़ा था। शंकर ने स्वामी विवेकानंद की बीमारियों का उल्लेख संस्कृत के एक श्लोक ‘शरियाम ब्याधिकमंदिरम’ से किया है।
इसका मतलब है कि ‘शरीर बीमारियों का मंदिर होता है।’
इतनी बीमारियों का सामना करने वाले विवेकानंद ने शारीरिक मजबूती पर
जोर दिया था। उन्होंने कहा था कि गीता पढ़ने से अच्छा फुटबॉल खेलना है। विवेकानंद की एक बीमारी उनका निद्रा रोग से ग्रसित होना था। उन्होंने २९
मई, १८९७] को शशिभूषण घोष के नाम लिखे पत्र में कहा था कि मैं अपनी जिंदगी में कभी बिस्तर पर लेटते ही नहीं सो सका।

यह भी पता चला है कि विवेकानंद मधुमेह से भी पीड़ित थे और उस वक्त इस बीमारी की कारगर दवा उपलब्ध नहीं थी। शंकर लिखते हैं कि विवेकानंद ने बीमारियों से निजात पाने के लिए उपचार के कई माध्यमों का सहारा लिया। इसमें एलोपैथिक, होम्योपैथिक और आयुर्वेद की विधाएं शामिल थीं।
लेखक के अनुसार स्वामी विवेकानंद १८९७ में अधिक तनाव और भोजन की कमी के कारण काफी बीमार हो गए थे। उसी दौरान वह पित्त में पथरी और दस्त से भी पीड़ित हुए। कई बीमारियों से लड़ते हुए चार जुलाई १९०२ को विवेकानंद का ३९ साल की उम्र में निधन हो गया। उनके निधन की वजह तीसरी बार दिल का दौरा पड़ना था।

शंकर ने इस बात का भी खुलासा किया कि स्वामी विवेकानंद ने भारत लौटने के लिए अपनी मिस्र की यात्रा में कटौती क्यों की थी। दरअसल विवेकानंद ने मिस्र में घोषणा की थी कि ४ जुलाई को उनका देहांत हो जाएगा। उनका कहना था कि मृत्यु के समय वे भारत में अपने गुरुभाइयों के समीप रहना चाहते हैं।
बहुत लोगों का मानना है कि अधिक मांस मछली खाने से उनकी अतंडियां भी गल गई थीं ज्स कारण इतनी अल्प आयु में उनकी मृत्यु हो गई |

ये एक का नंबर ढोंगी मक्कार और मांसाहारी था|

पौराणिक काहानी मे पुरखे कन्या का रज पीने का विधान है


पौराणिक काहानी मे पुरखे कन्या का रज पीने का विधान है







प्राप्ते तु द्वादशे वर्षे यः कन्यां न प्रयच्छति ।
मासि मासि रजस्तस्याः पिबन्ति पितरः स्वयम्‌ |
(पराशर स्मृति अध्याय ७ श्लोक ७)

अर्थात- बारह वर्ष होने के बाद भी जो कन्या का विवाह नही करता उस कन्या का ‘रज’ उसके पुरखे अर्थात पितर प्रत्येक मास स्वयं पीते हैं |

समीक्षा- पौराणिको के घर के भी विधान बड़े अजीब हैं, भला ये स्वधारस पौराणिक पितरों को क्यूँ पिलाया जा रहा है ? अब किसी पौराणिक कन्या विवाह १२ वर्ष नही होता तो क्या ये माना जाये कि उसका ‘रज’ उसके पुरखे गटकते होंगे ?? पौराणिको होश में आओ ! अपने पितरों को बचाओ, और अपनी कन्यायों का विवाह हर हाल में १२ वर्ष के पहले करो |

आर्य समाजियों की नक़ल छोड़ो | करके दिखाओ अपनी कन्यायों का विवाह १२ वर्ष के पहले |