google01b5732cb2ec8f39 আর্যবীর आर्यवीर aryaveer

Recent News

This is default featured slide 1 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 2 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 3 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 4 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 5 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

মোক্ষ লাভ করা খুবই সহজ নাকি কঠিন ? আসুন জানি





অর্থাৎ সমাজে যে সমস্ত যোগী বা মোক্ষ লাভ করা ব্যক্তির নাম শোনেন সেগুলো ১০০% ভণ্ড এইটা নিশ্চিত রূপে খেয়াল রাখবেন। হিন্দু সমাজ ধর্ম সম্পর্কে মহামূর্খ হওয়ার কারণে হিন্দু সমাজে যোগী ব্যক্তি, সিদ্ধি লাভ করা ব্যক্তির শেষ নাই, যে কোনো অশিক্ষিত ব্যক্তিও নিজেকে সিদ্ধিলাভ কারী বলে প্রচার করে এবং নানান বাবা সাজে। কিন্তু আর্যদের কাছে এদের কোনো ছাড় নেই হিন্দু সমাজ যদি আর্যসমাজ কে সহযোগীতা করে তাহলে ভারত বা বাংলাদেশের সমস্ত ভণ্ড বাবাদের জেলে ঢোকাবে! এমন কয়েকটি বাবা এখন ভারতের জেলে আছে! যে ভণ্ডরা ফিজিক্স সম্পর্কে কিছুই জানেনা, যারা ভূত, পরমাণু, অনু, রশ্মি, আলোককণা, মহতত্ব, অহংকার আদি  নানান পদার্থ কিরূপ ভাবে কাজ করে তা সম্পর্কে কিছুই জানেনা, এই সমস্ত পদার্থ কে পরমাত্মা কিভাবে বানিয়েছে সেই সম্পর্কে কিছুই জানেনা সেই সমস্ত মহামূর্খ প্রাণীরা আজ হিন্দু সমাজে নিজেকে যোগী মনে করে, নিজেকে মোক্ষ লাভকারী ব্যক্তি মনে, আর আমাদের গান্ডু হিন্দু সমাজ তাদের কাছে গিয়ে বহু স্বঅর্থ ধ্বংস করে। এই বিষয়টি সকলে জেনে নিন যে ব্যক্তি ভৌতিক বিদ্যা অর্থাৎ পদার্থ বিদ্যা অর্থাৎ অপরা বিদ্যা সম্পর্কে কিছুই ঠিক ভাবে জানেনা তিনি কখনোই আধ্যাত্মিক বিদ্যা অর্থাৎ পরা বিদ্যাকে জানতে পারবে না যথাযথ ভাবে! পরমাত্মা কে জানতে গেলে আগে জানতে হবে পরমাত্মা করা সৃষ্টি সম্পর্কে, পরমাত্মা সৃষ্টি হলো এই জগৎ, এই জগৎ তৈরি নানান পদার্থ দ্বারা আর এই সমস্ত স্থূল বা সূক্ষ্ম পদার্থ তৈরি হয়েছে মূল উপাদান কারণ প্রকৃতি। তাই পরমাত্মা সৃষ্টি বিদ্যা সম্পর্কে না জানতে পরমাত্মা কর্ম স্বভাব গুণ সম্পর্কে সঠিক ভাবে জানা সম্ভব নয়! এর একটি সামান্য উদাহরণ মহর্ষি ব্যাস দিয়েছে ব্রহ্মসূত্রে___

ব্রহ্মসূত্র ১/১/১ -অথাতো ব্রহ্মজিজ্ঞাসা = এখন ব্রহ্ম কে জানার ইচ্ছা করি। 

অর্থাৎ এখানে ব্রহ্ম কে জানার কথা বলছে সেই ব্রহ্ম কে বা কেমন, এখন পরের ২য় সূত্রে মহর্ষি ব্যাস লিখেছে______

ব্রহ্মসূত্র ১/১/২ -জন্মাদ্যস্য য়তঃ= এই সমস্ত সংসারের জন্ম, স্থিতি তথা প্রলয় যার দ্বারা হয়, তিনিই ব্রহ্ম।



পরমাত্মা কে জানার প্রথম পথই হল তার কার্যরূপ সৃষ্টিকে জানা, আর এই সৃষ্টি কে জানলেই পরমাত্মাকে জানা যায়, অর্থাৎ এইটাই বলা যায় যে শুধু মাত্র আধ্যাত্মিক বিদ্যা দ্বারা মুক্তি লাভ হবে আর না শুধু মাত্র পদার্থ বিদ্যা দ্বারা মুক্তি লাভ হয়, এই দুই বিদ্যা সম্পর্কে যখন মনুষ্যের যথাযথ জ্ঞান হবে একমাত্র তখনই জীবাত্মার মুক্তি হবে। আমাদের হিন্দু সমাজে তো কথিত আধ্যাত্মিক গুরুর শেষ নেই শত শত গুরু(গরু) তাদের জ্ঞান শুনে আমাদের আবাল হিন্দুরা বিশাল প্রশংসিত হয়, আর হবারই কথা কারণ কুয়ার ব্যাং কুয়া কেই জগৎ ভাবে আর কুয়ার সবচেয়ে বড়ো ব্যাং কে শ্রেষ্ঠ মনে করে ঠিক এমনই অবস্থা হিন্দুদের, এই ভারত বা বাংলাদেশের যত কথিত সিদ্ধ পুরুষ বা যোগী আছে তাদের গিয়ে যদি সাধারণ একটি প্রশ্ন করা হয় যে অনু বা মলিকিউল কিভাবে কাজ করে, কিভাবে সৃষ্টি হয় এবং কিভাবে ধ্বংস হয় ? এই একটি সামান্য প্রশ্ন করলে এদের উত্তর দেওয়ার ক্ষমতা নাই কারণ তারা সকলেই মহাভণ্ড কিন্তু নিজেকে আবার মহাযোগী পুরুষ এবং সিদ্ধ পুরুষ মনে করে! যারা পরমাত্মাকে প্রাপ্ত হয় তার কাছে কিছু বিদ্যাই জানার বাকি থাকেনা। আমাদের সকল ধর্ম অজ্ঞ হিন্দু ভাইদের উচিত এই সমস্ত নানান কথিত যোগী এবং সিদ্ধ পুরুষদের হতে দূরে থাকুন, এরা ধর্মের নামে ব্যবসা ছাড়া কিছুই জানেনা, বৈদিক শাস্ত্র কে জানার চেষ্টা করুন, বিচার করে কর্ম করুন, অন্ধবিশ্বাস কে বাদ দিন, যারা বিচার করে কর্ম করে তাদেরই মানুষ বলা হয়েছে শাস্ত্রে ,নিরুক্ত ৩/৭। 




নমস্তে ।।




আসুন জানি মহর্ষি নারদ জী কত বড় বৈজ্ঞানিক ছিলেন

আসুন জানি মহর্ষি নারদ জী কত বড় বৈজ্ঞানিক ছিলেন




আমাদের প্রায়ই টিভির সিরিয়ালে বা পৌরাণিক কাহিনীতে মহর্ষি নারদ কে দেখি, তার চরিত্র টি পৌরাণিক কাহিনীতে এই রূপ পাওয়া যায় যে তিনি শুধু মাত্র চুগলি করে বেড়াত, আর "নারায়ণ নারায়ণ" বলে। তিনিই কি সত্যি এমন ছিল ? যে নারদ জীকে দেবর্ষী, ঋষি, মহর্ষি বলে কথন করা এই সে ব্যক্তি কি এমন করতে পারে ? ঋষি মহর্ষিরা এমনি চুগলি করে বেড়াতো ? আমি পূর্বেও বহুবার বলেছি যে আমাদের ঋষি মহর্ষি এবং নানান বীরপুরুষদের চরিত্র কে কুলষিত করার পরিকল্পনা যদি কেউ বা কারা নিয়ে তাহলে তারা হলো পুরাণের লেখক গণ! বর্তমানে বৈদিক সনাতন ধর্মের লোপ পাওয়ার মূল কারণ হলো মালপুরাণ, যে পুরাণে শিব কে কামী বানিয়েছে, শ্রীকৃষ্ণকে লুচ্চা-ব্যভিচারী বানিয়েছে, ঋষি ব্রহ্মা কে তো নিজের মেয়ের সাথেও কাম কর্মে লিপ্ত করিয়েছে এই পুরাণ কাহিনী, আর আজ এই পৌরাণিক সমাজ অন্ধের মতো মেনে চলে সেই সমস্ত ১৮+ পুরাণ, কাজেই পৌরাণিক সমাজের আজ অবস্থা খুবই খারাপ, এই পৌরণিকরা এতটাই অন্ধবিশ্বাসী! নাস্তিকরা ভাগবত পুরাণ, ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ অনুযায়ী শ্রীকৃষ্ণ কে মহা লুচ্চা বলে কিন্তু শ্রীকৃষ্ণের সেই উজ্জ্বল চরিত্র সম্পর্কে আমাদের(আর্য) জানা থাকা সত্ত্বেও আমাদের চুপ থাকতে হয় কারণ সকল পৌরাণিক সমাজ এই পুরাণ গুলোকে মেনে চলে। যোগীরাজ শ্রীকৃষ্ণের আপ্ত চরিত্র মহাভারতের মধ্যে পাওয়া যায় যে শ্রীকৃষ্ণ আজীবন অধর্মের বিরুদ্ধে লড়েছে এবং ধর্মের প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেছে, তার একটি মাত্র স্ত্রী ছিল যার নাম রুক্মিণী, যে শ্রীকৃষ্ণ এক মহান বৈজ্ঞানিক ছিলেন, মহর্ষি দয়ানন্দ বলেছেন শ্রীকৃষ্ণ জীবনেও কোনো অধার্মিক কোনো কাজ করেনি। আমি সেই শ্রীকৃষ্ণ কে কোটি কোটি নমন জানায়, তিনি আমাদের আদর্শ, সেই যোগেশ্বর শ্রীকৃষ্ণের ১ ভাগ গুণও যদি আমরা ধারণ করার ক্ষমতা রাখি সেটিই আমাদের কাছে অনেক! মহাভারতের মধ্যে  শ্রীকৃষ্ণ একজন আপ্তপুরুষ মহযোদ্ধা, আর পৌরাণিক কাহিনী শ্রীকৃষ্ণ কে নৃত্যকারী বানিয়ে দিয়েছে! নানান গোপীদের সাথে কাম, ক্রীড়া আদি কর্মে লিপ্ত করেছে! নিষ্কলঙ্ক যোগীরাজ শ্রীকৃষ্ণ কে পৌরণিকরা কলঙ্কিত বানিয়েছে এই পাপের ফল আবাল পৌরাণিকরা বহু দিন ধরে পাচ্ছে আর আগামী দিনেও পাবে এমন বলছে থাকলে! 


এইবার আসি আসল কথায়, আজ জানুন যে মহর্ষি নারদ কে পৌরাণিক কাহিনীর জানোয়ার লেখক রা চুগলি চরিত্রের ব্যক্তি বানিয়েছে সেই মহর্ষি নারদ করো বড়ো বৈজ্ঞানিক ছিল তা জানুন বৈদিক শাস্ত্র হতে______

ছান্দোগ‍্য উপনিষদের মধ্যে একটি কথন পাওয়া যায়, মহর্ষি নারদ এবং মহর্ষি সনৎকুমারের। একসময় নারদ জী সনৎকুমার জীর কাছে গিয়ে বলেন যে হে ভগবান! আপনি আমাকে জ্ঞান দিন, আমি শোক সাগরে ডুবে আছি, তখন সনৎকুমার জী তাকে বললেন যে তুমি কি কি তা আগে আমাকে জানাও তারপর তোমায় আমি শিক্ষা দেবো, তারপর মহর্ষি নারদ নিজের জ্ঞাত শিক্ষা সম্পর্কে বলতে থাকেন- তিনি ঋগবেদ- য়জুর্বেদ- সামবেদ-অথর্ববেদ পড়েছে, পুরাণ অর্থাৎ ব্রাহ্মণ শাস্ত্র পড়েছে, অর্থশাস্ত্র পড়েছে, গণিত শাস্ত্র পড়েছে, জ্যোতিষশাস্ত্র পড়েছে, জগৎ উৎপত্তি বিজ্ঞান পড়েছে, প্রাণী আদির সম্পর্কে নানান বিদ্যা পড়েছে, নীতি শাস্ত্র পড়েছে, ধনুর্বেদ পড়েছে, ভূত বিদ্যা অর্থাৎ জল, বায়ু, ভূমি আদির বিদ্যা সম্পর্কে পড়েছে, তর্ক শাস্ত্র পড়েছে। ছান্দোগ‍্য উপনিষদ ৭/১/১-২//// মহর্ষি নারদ এই সমস্ত বিদ্যা সম্পর্কে পড়েছিল ভাবতে পারছেন তিনি কত বড়ো মাপের বৈজ্ঞানিক ছিলেন ? এত কিছুর জ্ঞান থাকা সত্ত্বেও মহর্ষি নারদ দুঃখ থেকে পরিত্রাণ পাইনি কারণ তিনি সমস্ত পদার্থ বিদ্যা সম্পর্কে পূর্ণ জ্ঞান রাখলেও আধ্যাত্মিক বিদ্যা সম্পর্কে পূর্ণ জ্ঞান রাখেনি। এই ছিল মহর্ষি নারদ যাকে পৌরাণিকরা চুগলি সম্পন্ন ব্যক্তি বানিয়েছে! আমাদের পৌরাণিক সমাজে তো মোক্ষ লাভের যে যে উপায় গুলো কথিত আছে তা শুনলে খুবই হাসি পায় যেমন গঙ্গা স্নান করলেই মুক্তি, হরে কৃষ্ণ গান করলেই মুক্তি, হর হর মহাদেব বললেও মুক্তি, ওঁ নাম জপ করলেই মুক্তি, কেউ আবার মূর্তি পূজার মাধ্যমে মুক্তি খোঁজে!  যারা এই সমস্ত কথনকে মুক্তি লাভের উপায় মনে করেন আমি তাদের বলছি, যে মহর্ষি নারদ এত বড় বৈজ্ঞানিক হওয়া সত্ত্বেও তিনি শোক সাগরে ছিলেন এক সময়, তা ভাবুন মহর্ষি নারদ জীর যে সমস্ত মহান বিদ্যা সম্পর্কে জ্ঞান ছিল তার ১০০ ভাগের ১ ভাগেরও অর্ধেক জ্ঞান কি আপনাদের হয়েছে আজও ? হয়নি এখনো আর আপনারা ডাইরেক্ট মোক্ষ লাভের জন্য লাফালাফি করেন এইটা কি ঠিক বলুন তো ? য়জুর্বেদে ৪০/১১ মন্ত্রের তাৎপর্য এই যে যিনি জগৎ সৃষ্টির নানান পদার্থ সম্পর্কে জ্ঞান রাখে তিনিই অমৃতম্ অর্থাৎ মোক্ষ সুখ লাভ করে।। তাই সবার আগে পদার্থ বিদ্যা এবং আধ্যাত্মিক বিদ্যা সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান অর্জন করতে হবে  তারপর মোক্ষ লাভের চিন্তা করা উচিত আমাদের।।




নমস্তে



৩৩ কোটি দেবতা সম্পর্কে আলোচনা

৩৩ কোটি দেবতা সম্পর্কে শাস্ত্রীয় ব্যাখ্যা


আমাদের সনাতনীরা বেশির ভাগই জানেনা যে ৩৩ কোটি দেবতা কোন গুলো, অনেকেই মনে করে যে  দুর্গা, কালী, মনসা ,গণেশ ,কার্তিক ইত্যাদি এগুলোই হয়তো ৩৩ কোটি দেবতার মধ্যে পরে, কিন্তু ইহা পুরোই ভুল ধারণা, আসুন জানি শাস্ত্র কি বলে এই দেবতা সম্পর্কে_____

দেবতা তাকেই বলা হয় যার দিব্য গুণ আছে এবং যার দিব্য গুণ দ্বারা এই জীব জগতে চলছে তাকেই দেবতা বলা হয়, যেমন -সূর্য, চন্দ্র, পৃথিবী ইত্যাদি। আর এই দেবতা সংখ্যা হলো ৩৩ টি, এখানে 'কোটি' শব্দের অর্থ হলো প্রকার। এই সমস্ত দেবতারও দেব হলো পরমাত্মা তাই তার এক নাম হলো মহাদেব যজুর্বেদ ১৪/৩১ মন্ত্রে বলা আছে যে "ত্রয়স্ত্রিংশৎত্রিশতা" এবং  শতপথ ব্রাহ্মণ ১৪/৫ তেও  ৩৩ প্রকার দেবতার কথা বলা আছে, আর এই বিষয়টি সকলের জেনে রাখা উচিত যে ৩৩ টি দেবতার মধ্যে ৩২ টি দেবতাই কিন্তু জড় পদার্থ আর একটি মাত্র চেতন দেবতা সেটি হলো  'জীবাত্মা'।  ৮ বসু, ১১ রুদ্র, ১২আদিত্য, ইন্দ্র ও প্রজাপতি এই হলো  ৩৩ দেবতা। আসুন জেনে নেই ৩৩ টি দেবতার নাম____


৮ টি বসু - পৃথিবী, জল, অগ্নি, বায়ু, আকাশ, চন্দ্রমা, সূর্য এবং নক্ষত্র। সকল সৃষ্টির নিবাস স্থান এই কারণে এ সকলের নাম ৮ বসু।

১১টি রুদ্র- প্রাণ, অপান, ব্যান, উদান, সমান, নাগ, কূর্ম, কৃকল, দেবদত্ত, ধনঞ্জয় ও জীবাত্মা এই ১১টি দেবতা।

১২ টি আদিত্য- সংবৎসরের ১২ মাস সকলের আয়ু হরণ করে বলে এই সকলকে আদিত্য বলে।

পরম ঐশ্বর্য্যের হেতু বলে বিদ্যুতের নাম ইন্দ্র এবং প্রজাপতি অর্থাৎ যজ্ঞ, ইহা দ্বারা বায়ু ও বৃষ্টির জলের শুদ্ধি হয়ে থাকে, এর দ্বারা উত্তম অন্নাদি উৎপন্ন হয়। এই হলো আমাদের ৩৩ দেবতা। কাজেই দেবতা এবং পরমাত্মা বা ঈশ্বর কে গুলিয়ে ফেললে চলবে না। ৩৩ টি দেবতা উপাসনা কিন্তু শাস্ত্রে কোথাও করতে বলা হয়নি, যজুর্বেদ ৪০/৯ মন্ত্রে স্পষ্ট ভাবে বলা হয়েছে যে যিনি পরমাত্মার উপাসনা না করে জড় বিকার সহিত পদার্থ অর্থাৎ গাছ-পালা, সূর্য, চন্দ্র, নক্ষত্র আদি পদার্থের উপাসনা করে তিনি গাঢ় অবিদ্যা যুক্ত অন্ধকারে প্রবেশ করে। একমাত্র পরমাত্মার উপাসনা করা উচিত যিনি নিরকার, সর্ব জায়গায় বিরাজমান, যিনি পবিত্র, যিনি সূক্ষ্ম এবং স্থূল কারণ রহিত, যিনি নাড়ি রহিত, পরমাত্মা ভিন্ন অন্য কারোর উপাসনা করা চলবে না।

নমস্তে



पौराणिकों के ईश्वर ओर अल्लाह की सदृश्य

पौराणिकों के ईश्वर ओर अल्लाह की सदृश्य 




पौराणिक कहानी और मुल्लो की इस्लाम की सदृश्य 


 1) मुसलमानों का मानना ​​है कि उनका अल्लाह सर्व ब्यापक है फिर भी इनके अल्लाह 7 आसमान पर बैठता है, 😆 और पौराणिकों का ईश्वर सर्व ब्यापक है फिर भी इनके  भगवान पैदा होता है, मनुष्य, सुअर, कछुए के रुप में🥴

 2) मुसलमान मानते हैं कि अल्लाह इस जगत को बनाया उनके अल्लाह ही इस जगत का उपादान एवं निर्माण कारण हैओर दूसरी तरफ पौराणिकों भी यही मानते हैं कि उनकी ईश्वर  जगत का उपादान एवं निर्माण कारण है🥴

 3) मुसलमान भी मांस खाते हैं, जबकि पौराणिक भी मांस खाते हैं।😠

 4) पौराणिक भी अपने ईश्वर के नाम पर विभिन्न जानवरों की बलि देते हैं और मुसलमान भी अल्लाह के नाम पर कुर्बानी देते हैं।😠

 ५) पुराणों में असंख्य अश्लीलताए है -पिता ब्रह्मा पुत्री सरस्वती के साथ काम क्रीड़ा, शिव पुराण की दारु वन में शिव के लिंग काटने की कहानी, भगवत पुराण में कृष्ण और विभिन्न गोपियों के साथ यौन क्रीड़ा आदि बहुत अश्लीलताएँ हैं यौन पुराण मै। ओर मुस्लिमों भी ऐसा है- लूत इस्लाम ने किया था अपने २ बेटी के साथ यौन क्रीड़ा, अदम की बेटी और बेटा के साथ विबाह, मुहम्मद ने किया था ६ उम्र की आयेशा को बिबाह। 🤣😆


 7) पौराणिक अनार्यो अद्भुत कहानियों में विश्वास करती हैं जैसे कि उनके ईश्वर सूअर, मछली, कछुए, शेर का रूप लेते हैं। 😆 कृष्ण ने अपने हाथ की उंगलियों से पर्वत को सीधा किया, शिव के लिंग से शुक्राचार्य का जन्म हुआ था।😆 दूसरी ओर, मुस्लिम भी ऐसे कहानी पर विश्वास रखते हैं - मुहम्मद ने किया था चांद को दो टुकड़े 😆 मुहम्मद की रैकेट बरख की कहानी, 7 दिनों में अल्लाह ने किया दुनिया का निर्माण, ज़मज़म के पानी में मुहम्मद के दिल को धोने की कहानी।😆

 7) पौराणिकों और मुसलमानों दोनों ही  ज्ञान, विज्ञान को दुश्मन समझते है।

 7) पौराणिकों तर्क को नही मानते  जैसे कि मुस्लिमों भी तर्क को नही मानते हैं।😅

 9) पौराणिकों के स्वर्ग और नरक के एक स्थान विशेष है।  दूसरी ओर, मुल्लाओं का जन्नत और जहन्नम एक स्थान विशेष है।

 10. पौराणिकों मूर्ति पूजा करते हैं, जबकि मुल्ला भी मूर्तियों (काबा घर, हजरे असवद योनी) की पूजा करते हैं।😆

 11. जैसा कि मुसलमानों भी वेद की निंदा करते है और पौराणिक भी वेद की निंदा करते है। 😡

 12. मुसलमानों चिल्लाकर अल्लाह की पूजा(आजन). करते हैं और  पौराणिक भी चिल्लाकर ढोल, नगाड़े, घंटियाँ बजाकर अपने ईश्वर की पूजा करते हैं।😄

 13. मुल्ला लोग रोजा की समय  उपवास करते हैं, ओर पौराणिकों  मूर्ति पूजा का समय उपवास करते है।😅

 14. कुरान में देखा गया है कि अल्लाह शैतान से भी लड़ता है और दूसरी ओर पौराणिक कथाओं के अनुसार,उकने ईश्वर  भी राक्षसों से लड़ते हैं।😋

 15. पौराणिक लोग तथाकथित भूतों में विश्वास करते हैं, और मुसलमान भी जिन्न पर विश्वास करते हैं।🤣

 16.  पौराणिक ईश्वर पापी के पाप क्षमा करता है, और अल्लाह भी क्षमा करता है।😂

 17. मुसलमान हज करने की मक्का  जाते हैं, और पौराणिकों  गया, काशी, केदारनाथ आदि में जाते हैं तीर्थ करने के लिए ।🤣

 18. अधर्म के समय, अल्लाह पृथ्वी पर एक पैगंबर भेजता है और अधर्म के समय पौराणिक भगवान खुद अवतार लेते है।🤣

 19. पौराणिकों स्वयं को हिंदू कहते हैं, लेकिन यदि हम अपने धर्मग्रंथों को देखें, तो हिंदू शब्द कहीं नहीं पाया जाता है, क्योंकि हमारे धर्मग्रंथों के अनुसार, हमारा नाम 'आर्य' है, मुस्लिम मुगलों द्वारा दिया गया नाम 'हिंदू' है।

अर्थात  मुल्ले का दलाल हिन्दू ही है, ओर आर्य उसको कहते है जो बेदानुकूल शास्त्र को मानते हैं✌️

ব্যভিচারী পুরুষ ও মহিলার জন্য মনুস্মৃতির কঠোর দণ্ড! এই দণ্ড আজ ভারতে থাকলে ধর্ষণ আদি কোনো ব্যভিচার থাকতো না এই বিশ্বে

ব্যভিচারী পুরুষ ও মহিলার জন্য মনুস্মৃতির কঠোর দণ্ড! এই দণ্ড আজ ভারতে থাকলে ধর্ষণ আদি কোনো ব্যভিচার থাকতো না এই বিশ্বে!



আমাদের ভারতে এত পরিমানে ধর্ষণ হচ্ছে শুধু ধর্ষণই নয় ধর্ষণ কে মেরে ফেলা হচ্ছে নৃশংস ভাবে। কিন্তু ভারতের চামার সংবিধানে এর কোনো যথাযথ শাস্তি নেই! ভারতের সংবিধানের মতো বাজে সংবিধান বিশ্বে আর নেই, আজ যদি মহর্ষি মনু মহারাজের তৈরি বেদানুকূল সংবিধান থাকতো তাহলে কোনো প্রকারের ব্যভিচার করার কেউ সাহস পেতো না! কোটি কোটি বছর ধরে এই মনুস্মৃতিই ছিল আমাদের সংবিধান রামায়ণ এবং মহাভারতের সময়েও এই মনুস্মৃতিই ছিল আমাদের সংবিধান। শ্রীরাম বালি কে হত্যা করেছিল মনুস্মৃতিরই আইন অনুযায়ী দেখে নেবেন এই বিষয়ে আমার পোষ্টটি___
শ্রীরামও মনুস্মৃতির আইন কে মেনে চলতেন, জানুন বিস্তারিত


দেখেনিন মনুস্মৃতিতে ব্যভিচারী পুরুষ এবং নারীর বিষয়ে কিরূপ দণ্ডের বিধান আছে_____



পুরুষের ক্ষেত্রে____

মনুস্মৃতি ৮/৩৭২

যে পুরুষ স্ত্রীকে ত্যাগ করে পরস্ত্রী বা বেশ্যাগমন করে, সেই পাপীকে উত্তপ্ত লোহার পালঙ্কে শায়িত করে বহু লোকের সামনে জীবিত জ্বালিয়ে দেওয়া হবে।

আছে এমন আইন আজ শ্রীরাম, শ্রীকৃষ্ণের সেই আর্যবর্ত দেশে ?

এইবার মহিলার ক্ষেত্রে দেখুন____

মনুস্মৃতি ৮/৩৭১

যে স্ত্রী স্বজাতির অহঙ্কারে স্বামীকে ত্যাগ করে পরপুরুষের সাথে ব্যভিচার করে, সেই মহিলাকে বহু লোকের সামনে কুকুর দষ্ট(কুকুরের কামড়ের দ্বারা) করে হত্যা করা হবে।


এমন বিধান যদি ভারতে থাকতো তাহলে কোনো মহিলা বা পুরুষ ব্যভিচার করার সাহস পেতো না! এখন ভারতের এমনই অবস্থা যে এখানে ব্যভিচার করার জন্য আইন তৈরি করা হচ্ছে পরকীয়া, সমকামিতার মতো সুন্দর আইন। এই ভাবে চলতেই থাকলে একসময় এই ভারতেই পর্ণ ফিল্ম করাকেও বৈধ করবে সুপ্রিমকোর্ট আমার ধারনা!




পদার্থ বিদ্যা এবং আধ্যাত্মিক বিদ্যা সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞান না থাকলে কখনোই জীবের মুক্তি হয়না জানুন শাস্ত্র হতে

পদার্থ বিদ্যা এবং আধ্যাত্মিক বিদ্যা সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞান না থাকলে কখনোই জীবের মুক্তি হয়না জানুন শাস্ত্র হতে





আমাদের সমাজে যে সমস্ত যোগী বা মোক্ষ লাভ করা ব্যক্তির নাম শোনেন সেগুলো ১০০% ভণ্ড এইটা নিশ্চিত রূপে খেয়াল রাখবেন। হিন্দু সমাজ ধর্ম সম্পর্কে মহামূর্খ হওয়ার কারণে হিন্দু সমাজে যোগী ব্যক্তি, সিদ্ধি লাভ করা ব্যক্তির শেষ নাই, যে কোনো অশিক্ষিত ব্যক্তিও নিজেকে সিদ্ধিলাভ কারী বলে প্রচার করে এবং নানান বাবা সাজে। কিন্তু আর্যদের কাছে এদের কোনো ছাড় নেই হিন্দু সমাজ যদি আর্যসমাজ কে সহযোগীতা করে তাহলে ভারত বা বাংলাদেশের সমস্ত ভণ্ড বাবাদের জেলে ঢোকাবে! এমন কয়েকটি বাবা এখন ভারতের জেলে আছে! যে ভণ্ডরা ফিজিক্স সম্পর্কে কিছুই জানেনা, যারা ভূত, পরমাণু, অনু, রশ্মি, আলোককণা, মহতত্ব, অহংকার আদি  নানান পদার্থ কিরূপ ভাবে কাজ করে তা সম্পর্কে কিছুই জানেনা, এই সমস্ত পদার্থ কে পরমাত্মা কিভাবে বানিয়েছে সেই সম্পর্কে কিছুই জানেনা সেই সমস্ত মহামূর্খ প্রাণীরা আজ হিন্দু সমাজে নিজেকে যোগী মনে করে, নিজেকে মোক্ষ লাভকারী ব্যক্তি মনে, আর আমাদের গান্ডু হিন্দু সমাজ তাদের কাছে গিয়ে বহু স্বঅর্থ ধ্বংস করে। এই বিষয়টি সকলে জেনে নিন যে ব্যক্তি ভৌতিক বিদ্যা অর্থাৎ পদার্থ বিদ্যা অর্থাৎ অপরা বিদ্যা সম্পর্কে কিছুই ঠিক ভাবে জানেনা তিনি কখনোই আধ্যাত্মিক বিদ্যা অর্থাৎ পরা বিদ্যাকে জানতে পারবে না যথাযথ ভাবে! পরমাত্মা কে জানতে গেলে আগে জানতে হবে পরমাত্মা করা সৃষ্টি সম্পর্কে, পরমাত্মা সৃষ্টি হলো এই জগৎ, এই জগৎ তৈরি নানান পদার্থ দ্বারা আর এই সমস্ত স্থূল বা সূক্ষ্ম পদার্থ তৈরি হয়েছে মূল উপাদান কারণ প্রকৃতি। তাই পরমাত্মা সৃষ্টি বিদ্যা সম্পর্কে না জানতে পরমাত্মা কর্ম স্বভাব গুণ সম্পর্কে সঠিক ভাবে জানা সম্ভব নয়! এর একটি সামান্য উদাহরণ মহর্ষি ব্যাস দিয়েছে ব্রহ্মসূত্রে___

ব্রহ্মসূত্র ১/১/১ -অথাতো ব্রহ্মজিজ্ঞাসা = এখন ব্রহ্ম কে জানার ইচ্ছা করি।

অর্থাৎ এখানে ব্রহ্ম কে জানার কথা বলছে সেই ব্রহ্ম কে বা কেমন, এখন পরের ২য় সূত্রে মহর্ষি ব্যাস লিখেছে______

ব্রহ্মসূত্র ১/১/২ -জন্মাদ্যস্য য়তঃ= এই সমস্ত সংসারের জন্ম, স্থিতি তথা প্রলয় যার দ্বারা হয়, তিনিই ব্রহ্ম।


পরমাত্মা কে জানার প্রথম পথই হল তার কার্যরূপ সৃষ্টিকে জানা, আর এই সৃষ্টি কে জানলেই পরমাত্মাকে জানা যায়, অর্থাৎ এইটাই বলা যায় যে শুধু মাত্র আধ্যাত্মিক বিদ্যা দ্বারা মুক্তি লাভ হবে আর না শুধু মাত্র পদার্থ বিদ্যা দ্বারা মুক্তি লাভ হয়, এই দুই বিদ্যা সম্পর্কে যখন মনুষ্যের যথাযথ জ্ঞান হবে একমাত্র তখনই জীবাত্মার মুক্তি হবে। আমাদের হিন্দু সমাজে তো কথিত আধ্যাত্মিক গুরুর শেষ নেই শত শত গুরু(গরু) তাদের জ্ঞান শুনে আমাদের আবাল হিন্দুরা বিশাল প্রশংসিত হয়, আর হবারই কথা কারণ কুয়ার ব্যাং কুয়া কেই জগৎ ভাবে আর কুয়ার সবচেয়ে বড়ো ব্যাং কে শ্রেষ্ঠ মনে করে ঠিক এমনই অবস্থা হিন্দুদের, এই ভারত বা বাংলাদেশের যত কথিত সিদ্ধ পুরুষ বা যোগী আছে তাদের গিয়ে যদি সাধারণ একটি প্রশ্ন করা হয় যে অনু বা মলিকিউল কিভাবে কাজ করে, কিভাবে সৃষ্টি হয় এবং কিভাবে ধ্বংস হয় ? এই একটি সামান্য প্রশ্ন করলে এদের উত্তর দেওয়ার ক্ষমতা নাই কারণ তারা সকলেই মহাভণ্ড কিন্তু নিজেকে আবার মহাযোগী পুরুষ এবং সিদ্ধ পুরুষ মনে করে! যারা পরমাত্মাকে প্রাপ্ত হয় তার কাছে কিছু বিদ্যাই জানার বাকি থাকেনা। আমাদের সকল ধর্ম অজ্ঞ হিন্দু ভাইদের উচিত এই সমস্ত নানান কথিত যোগী এবং সিদ্ধ পুরুষদের হতে দূরে থাকুন, এরা ধর্মের নামে ব্যবসা ছাড়া কিছুই জানেনা, বৈদিক শাস্ত্র কে জানার চেষ্টা করুন, বিচার করে কর্ম করুন, অন্ধবিশ্বাস কে বাদ দিন, যারা বিচার করে কর্ম করে তাদেরই মানুষ বলা হয়েছে শাস্ত্রে ,নিরুক্ত ৩/৭।




নমস্তে ।।





দেখুন মহর্ষি মনু মহারাজ মনুস্মৃতিতে ৪ বর্ণের করা কোনো পাপের শাস্তির কিরূপ বিধান করেছে, মনুস্মৃতি যে যারা শুদ্র বিরোধী বলে তারা যেন অবস্যই দেখে এই লিখা

দেখুন মহর্ষি মনু মহারাজ মনুস্মৃতিতে ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য এবং শুদ্রের করা কোনো পাপ কর্মের জন্য শাস্তির বিধান করেছে, মনুস্মৃতি যে যারা শুদ্র বিরোধী বলে তারা যেন অবস্যই দেখে এই লিখা




সকলে এইটি অবশ্যই জানে যে ডক্টর আম্বেদকর মনুস্মৃতিকে জ্বালিয়ে দিয়েছিল! যা খুবই দুঃখজনক, অনেকেই বলতে পারে যে আম্বেদকর মোল্লার দালাল ছিল বলেই হিন্দুদের ধর্মগ্রন্থ জ্বালিয়ে দিয়েছিল। এই ভাবনা যদি কেউ ভেবে থাকে তাহলে তার ভাবনা ভুল,   আম্বেদকরের জন্ম শুদ্র বর্ণের ঘরে ছোটো বেলায় তার ওপর অনেক অত্যাচার হয়েছে শুদ্র শুদ্র হওয়ার কারণে আর এই অত্যাচার করেছে পুতুল পূজারী নামধারী ব্রাহ্মণরা। আমি এদের নামধারী ব্রাহ্মণ এজন্যই বললাম যে ব্রাহ্মণ তাকেই বলে যিনি ব্রহ্মজ্ঞানী(বেদজ্ঞ) আর এই প্রকৃত ব্রাহ্মণ কখনোই শুদ্রদের ওপর অত্যাচার করবেনা, যিনি বেদ কে জেনেছে তিনি প্রতিটি জীব কে সমান চোখে দেখেছে। মহর্ষি দয়ানন্দই আধুনিকে এই প্রকার ব্যক্তি যিনি দলিত বা শুদ্রদের বুকে জড়িয়ে নিয়েছিল এবং তাদের আর্য বলে ডেকেছিল। মধ্যকালে শুদ্রদের ওপর যারা অত্যাচার করেছে তারা সবাই এই নামধারী মূর্তি পূজারী ব্রাহ্মণ! আম্বেদকর বড়ো হয়ে মনুস্মৃতিকে পড়েছিল মোটামুটি ভাবে আর মনুস্মৃতির ওপর তার খুবই রাগ ছিল কারণ মনুস্মৃতির মধ্যে বহু শ্লোক আছে যেখানে নারীদের ঘৃণা, শুদ্রদের ঘৃণা করা আদি নানান বিধান আছে । এগুলো দেখেই আম্বেদকর মনুস্মৃতি জ্বালিয়েছিল, এখন অবশ্যই প্রশ্ন    এক প্রশ্ন জাগতে পারে যে মনুস্মৃতি কি পূর্বেও এমন ছিল ? মনুস্মৃতি পূর্বে কখনোই এমন ছিলোনা, মহর্ষি দয়ানন্দ জী সর্বপ্রথম বলেছেন যে মনুস্মৃতি প্রক্ষিপ্ত অর্থাৎ মনুস্মৃতির মধ্যে অনেক শ্লোক ঢোকানো হয়েছে যা পুরোই বেদ বিরোধী, এবং দয়ানন্দ জী এই বেদ বিরোধী শ্লোক গুলোকে বাদ দিতে বলেছে। আমাদের আর্যসমাজের বিদ্বান ডক্টর সুরেন্দ্রকুমার মনুস্মৃতি নিয়ে গবেষণা করার পর তিনি মনুস্মৃতি থেকে বেদানুকূল শ্লোক ১২১৪ টি পেয়েছে এবং বেদ বিরোধী প্রক্ষিপ্ত শ্লোক ১৪৭১ টি পেয়েছে, মনুস্মৃতি মোট শ্লোক ২৬৮৫ টি অর্থাৎ বেশির ভাগ শ্লোকই প্রক্ষিপ্ত। আপনারা কেউ যদি মনুস্মৃতি সম্পূৰ্ণ ভাবে পড়েন কিনা তাহলে স্পষ্ট ভাবে বুঝতে পারবেন যে মনুস্মৃতিতে ১২১৪ শ্লোকের সাথে ১৪৭১ শ্লোক পুরোই স্ববিরোধী, ইহার দ্বারা স্পষ্ট বোঝা যায় যে মনুস্মৃতির মধ্যে এই বেদ বিরোধী শ্লোক গুলো ঢুকানো হয়েছে আর এই শ্লোক গুলোতে আছে মাংস খাওয়া, পশুবলি, শুদ্রদের ঘৃণা করা, নারীদের ঘৃণা করা এবং কিছু অশ্লীলতা আর অপর বেদানুকূল শ্লোক গুলোতে নারীদের এবং পুরুষ কে সম সম্মান, শুদ্রদের কোনো প্রকারের ঘৃণা করে হয়নি, জীব হত্যাকারীকে মহাপাপি বলেছে, গুণ ও কর্ম অনুযায়ী ৪ বর্ণ হয় জন্ম অনুযায়ী নয় আদি নানান বেদানুকূল বিষয়।  স্বার্থবাদী নামধারী ব্রাহ্মণরা নিজেদের ভালোর জন্য এই শ্লোক গুলো ঢুকিয়েছিল। মহর্ষি দয়ানন্দের অনুসারে মহর্ষি মনু মহারাজ ছিল জগতের প্রথম রাজা এবং তিনি মনুস্মৃতি রচনা করেছিলেন মানব জাতির জন্য, এই মনুস্মৃতির আইন রামায়ণের সময়েও, মহাভারতের সময়েও ছিল, কোটি কোটি বছর ধরে এই মনুস্মৃতিই ছিল আমাদের সংবিধান, এখন হিন্দু সমাজ মনুস্মৃতিকে গুরুত্ব না দিলেও আমাদের(আর্য) সংবিধান কিন্তু এই মনুস্মৃতিই। আসুন এইবার আসল বিষয়টি দেখি যে মনু মহারাজ ৪ বর্ণের কোনো পাপের জন্য কিরূপ শাস্তির বিধান করেছে মনুস্মৃতিতে, আসুন দেখি_______



মনুস্মৃতি ৮ অধ্যায়, ৩৩৭-৩৩৮ শ্লোক


এখানে বলা হয়েছে যে- কোনো শুদ্র যদি নিজের কিঞ্চিৎ বিবেক দ্বারা চুরি করে তাহলে তাকে আট গুণ শাস্তি দেওয়া হবে, এই একই চুরি যদি কোনো বৈশ্য করে তাহলে তাকে ষোলো গুণ শাস্তি বেশি দেওয়া হবে, এই একই চুরি যদি কোনো ক্ষত্রিয় করে তাহলে তাকে বত্রিশ গুণ শাস্তি বেশি দেওয়া হবে, আবার এই একই চুরি যদি কোনো ব্রাহ্মণ করে তাহলে তাকে চৌষট্টি গুণ অথবা একশ গুণ অথবা একশ আঠাশ গুণ শাস্তি বেশি দেওয়া হবে। অর্থাৎ এর তাৎপর্য এই যে শুদ্ররা (যারা শাস্ত্রীয় কোনো জ্ঞান রাখেনা, এবং সকল বর্ণের সেবা করে) মূর্খ হয় কাজেই তাদের জ্ঞান কম হয় সে ভুল কাজ করে ফেলে অজ্ঞানতায় যার তাই শুদ্র যদি চুরি করে তাহলে তাকে শাস্তি ৪ গুণ দেওয়া হবে। শুদ্রদের থেকে একটু বেশি জ্ঞানী হয় বৈশ্য (যারা ব্যাবসা-বাণিজ্য, কৃষিকাজ আদি করে) তাই বৈশ্য কে ৮ গুণ বেশি শাস্তি দেওয়া হবে, আর বৈশ্যের চেয়ে ক্ষত্রিয় বেশি জ্ঞানী হয়, কারণ ক্ষত্রিয়ের কাজ হলো দেশ কে শাসন করা, দেশ কে রক্ষা করে তো এই ক্ষত্রিয়ই যদি চুরি করে তাহলে তো দেশের পতন ঘটবে কাজেই ক্ষত্রিয় কে ৩২ গুণ শাস্তি দেওয়া হবে। আর ব্রাহ্মণ হলো সর্বশ্রেষ্ঠ জ্ঞানী যিনি বেদজ্ঞ হয়, তো যিনি সকল বৰ্ণকে শিক্ষা দেয় যিনি ধর্মকে সম্পূর্ণ রূপে জানে সেই ব্রাহ্মণই যদি চুরি করে তাহলে ৬৪ গুণ বা ১০০ গুণ বা ১২৮ গুণ শাস্তি দেওয়া হবে।

যে মনুস্মৃতিতে এমন বিধান আছে সেই মনুস্মৃতিকে আজ ভারতের বহু সম্প্রদায় শুদ্র বা দলিত বিরোধী বলেই চেনে! যারা মনু বিরোধী তাদের চোখে এই সমস্ত শ্লোক গুলো  পড়েনা, কারণ তাদের কাজই হলো অপপ্রচার করা। আজ যদি এই মনুস্মৃতিই আমাদের সংবিধান হতো তাহলে এতো জাতিভেদ হিন্দু সমাজে কখনোই থাকতো না। 




নমস্তে