google01b5732cb2ec8f39 আসুন জানি মহর্ষি নারদ জী কত বড় বৈজ্ঞানিক ছিলেন ~ আর্যবীর आर्यवीर aryaveer

Recent News

আসুন জানি মহর্ষি নারদ জী কত বড় বৈজ্ঞানিক ছিলেন

আসুন জানি মহর্ষি নারদ জী কত বড় বৈজ্ঞানিক ছিলেন




আমাদের প্রায়ই টিভির সিরিয়ালে বা পৌরাণিক কাহিনীতে মহর্ষি নারদ কে দেখি, তার চরিত্র টি পৌরাণিক কাহিনীতে এই রূপ পাওয়া যায় যে তিনি শুধু মাত্র চুগলি করে বেড়াত, আর "নারায়ণ নারায়ণ" বলে। তিনিই কি সত্যি এমন ছিল ? যে নারদ জীকে দেবর্ষী, ঋষি, মহর্ষি বলে কথন করা এই সে ব্যক্তি কি এমন করতে পারে ? ঋষি মহর্ষিরা এমনি চুগলি করে বেড়াতো ? আমি পূর্বেও বহুবার বলেছি যে আমাদের ঋষি মহর্ষি এবং নানান বীরপুরুষদের চরিত্র কে কুলষিত করার পরিকল্পনা যদি কেউ বা কারা নিয়ে তাহলে তারা হলো পুরাণের লেখক গণ! বর্তমানে বৈদিক সনাতন ধর্মের লোপ পাওয়ার মূল কারণ হলো মালপুরাণ, যে পুরাণে শিব কে কামী বানিয়েছে, শ্রীকৃষ্ণকে লুচ্চা-ব্যভিচারী বানিয়েছে, ঋষি ব্রহ্মা কে তো নিজের মেয়ের সাথেও কাম কর্মে লিপ্ত করিয়েছে এই পুরাণ কাহিনী, আর আজ এই পৌরাণিক সমাজ অন্ধের মতো মেনে চলে সেই সমস্ত ১৮+ পুরাণ, কাজেই পৌরাণিক সমাজের আজ অবস্থা খুবই খারাপ, এই পৌরণিকরা এতটাই অন্ধবিশ্বাসী! নাস্তিকরা ভাগবত পুরাণ, ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ অনুযায়ী শ্রীকৃষ্ণ কে মহা লুচ্চা বলে কিন্তু শ্রীকৃষ্ণের সেই উজ্জ্বল চরিত্র সম্পর্কে আমাদের(আর্য) জানা থাকা সত্ত্বেও আমাদের চুপ থাকতে হয় কারণ সকল পৌরাণিক সমাজ এই পুরাণ গুলোকে মেনে চলে। যোগীরাজ শ্রীকৃষ্ণের আপ্ত চরিত্র মহাভারতের মধ্যে পাওয়া যায় যে শ্রীকৃষ্ণ আজীবন অধর্মের বিরুদ্ধে লড়েছে এবং ধর্মের প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেছে, তার একটি মাত্র স্ত্রী ছিল যার নাম রুক্মিণী, যে শ্রীকৃষ্ণ এক মহান বৈজ্ঞানিক ছিলেন, মহর্ষি দয়ানন্দ বলেছেন শ্রীকৃষ্ণ জীবনেও কোনো অধার্মিক কোনো কাজ করেনি। আমি সেই শ্রীকৃষ্ণ কে কোটি কোটি নমন জানায়, তিনি আমাদের আদর্শ, সেই যোগেশ্বর শ্রীকৃষ্ণের ১ ভাগ গুণও যদি আমরা ধারণ করার ক্ষমতা রাখি সেটিই আমাদের কাছে অনেক! মহাভারতের মধ্যে  শ্রীকৃষ্ণ একজন আপ্তপুরুষ মহযোদ্ধা, আর পৌরাণিক কাহিনী শ্রীকৃষ্ণ কে নৃত্যকারী বানিয়ে দিয়েছে! নানান গোপীদের সাথে কাম, ক্রীড়া আদি কর্মে লিপ্ত করেছে! নিষ্কলঙ্ক যোগীরাজ শ্রীকৃষ্ণ কে পৌরণিকরা কলঙ্কিত বানিয়েছে এই পাপের ফল আবাল পৌরাণিকরা বহু দিন ধরে পাচ্ছে আর আগামী দিনেও পাবে এমন বলছে থাকলে! 


এইবার আসি আসল কথায়, আজ জানুন যে মহর্ষি নারদ কে পৌরাণিক কাহিনীর জানোয়ার লেখক রা চুগলি চরিত্রের ব্যক্তি বানিয়েছে সেই মহর্ষি নারদ করো বড়ো বৈজ্ঞানিক ছিল তা জানুন বৈদিক শাস্ত্র হতে______

ছান্দোগ‍্য উপনিষদের মধ্যে একটি কথন পাওয়া যায়, মহর্ষি নারদ এবং মহর্ষি সনৎকুমারের। একসময় নারদ জী সনৎকুমার জীর কাছে গিয়ে বলেন যে হে ভগবান! আপনি আমাকে জ্ঞান দিন, আমি শোক সাগরে ডুবে আছি, তখন সনৎকুমার জী তাকে বললেন যে তুমি কি কি তা আগে আমাকে জানাও তারপর তোমায় আমি শিক্ষা দেবো, তারপর মহর্ষি নারদ নিজের জ্ঞাত শিক্ষা সম্পর্কে বলতে থাকেন- তিনি ঋগবেদ- য়জুর্বেদ- সামবেদ-অথর্ববেদ পড়েছে, পুরাণ অর্থাৎ ব্রাহ্মণ শাস্ত্র পড়েছে, অর্থশাস্ত্র পড়েছে, গণিত শাস্ত্র পড়েছে, জ্যোতিষশাস্ত্র পড়েছে, জগৎ উৎপত্তি বিজ্ঞান পড়েছে, প্রাণী আদির সম্পর্কে নানান বিদ্যা পড়েছে, নীতি শাস্ত্র পড়েছে, ধনুর্বেদ পড়েছে, ভূত বিদ্যা অর্থাৎ জল, বায়ু, ভূমি আদির বিদ্যা সম্পর্কে পড়েছে, তর্ক শাস্ত্র পড়েছে। ছান্দোগ‍্য উপনিষদ ৭/১/১-২//// মহর্ষি নারদ এই সমস্ত বিদ্যা সম্পর্কে পড়েছিল ভাবতে পারছেন তিনি কত বড়ো মাপের বৈজ্ঞানিক ছিলেন ? এত কিছুর জ্ঞান থাকা সত্ত্বেও মহর্ষি নারদ দুঃখ থেকে পরিত্রাণ পাইনি কারণ তিনি সমস্ত পদার্থ বিদ্যা সম্পর্কে পূর্ণ জ্ঞান রাখলেও আধ্যাত্মিক বিদ্যা সম্পর্কে পূর্ণ জ্ঞান রাখেনি। এই ছিল মহর্ষি নারদ যাকে পৌরাণিকরা চুগলি সম্পন্ন ব্যক্তি বানিয়েছে! আমাদের পৌরাণিক সমাজে তো মোক্ষ লাভের যে যে উপায় গুলো কথিত আছে তা শুনলে খুবই হাসি পায় যেমন গঙ্গা স্নান করলেই মুক্তি, হরে কৃষ্ণ গান করলেই মুক্তি, হর হর মহাদেব বললেও মুক্তি, ওঁ নাম জপ করলেই মুক্তি, কেউ আবার মূর্তি পূজার মাধ্যমে মুক্তি খোঁজে!  যারা এই সমস্ত কথনকে মুক্তি লাভের উপায় মনে করেন আমি তাদের বলছি, যে মহর্ষি নারদ এত বড় বৈজ্ঞানিক হওয়া সত্ত্বেও তিনি শোক সাগরে ছিলেন এক সময়, তা ভাবুন মহর্ষি নারদ জীর যে সমস্ত মহান বিদ্যা সম্পর্কে জ্ঞান ছিল তার ১০০ ভাগের ১ ভাগেরও অর্ধেক জ্ঞান কি আপনাদের হয়েছে আজও ? হয়নি এখনো আর আপনারা ডাইরেক্ট মোক্ষ লাভের জন্য লাফালাফি করেন এইটা কি ঠিক বলুন তো ? য়জুর্বেদে ৪০/১১ মন্ত্রের তাৎপর্য এই যে যিনি জগৎ সৃষ্টির নানান পদার্থ সম্পর্কে জ্ঞান রাখে তিনিই অমৃতম্ অর্থাৎ মোক্ষ সুখ লাভ করে।। তাই সবার আগে পদার্থ বিদ্যা এবং আধ্যাত্মিক বিদ্যা সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান অর্জন করতে হবে  তারপর মোক্ষ লাভের চিন্তা করা উচিত আমাদের।।




নমস্তে



0 Reviews:

Post a Comment