উত্তরঃ না কখনোই নয়, মনুষ্যের মতো দেখতে যদি সকল কে মনুষ্য বলা হয় তাহলে সেই কথা বেদ আদি শাস্ত্র এবং যুক্তি বিরুদ্ধ হবে। কারণ ঋগ্বেদের মধ্যে বলা হয়েছে যে 'मनुर्भव' অর্থাৎ 'মানুষ হও' ঋগ্বেদ ১০/৫৩/৬। এইবার ভাবুন তো মনুষ্য আকার সকল কে যদি প্রকৃত অর্থে মানুষ বলা হয় তাহলে বেদ শাস্ত্র কাকে মানুষ হতে বলছে ? এই মনুষ্যের পরিভাষা করতে গিয়ে মহর্ষি যাস্ক বলেছেন যে - 'मनुष्यः कस्मात् मत्वा कर्माणि सीव्यति' निरूक्त ३/७ অর্থাৎ 'যিনি বিচার পূর্বক কর্ম করে তিনিই হলো মনুষ্য' নিরুক্ত ৩/৭। কাজেই সকল কে মনুষ্য বলা প্রকৃত অর্থে ঠিক না, একমাত্র যে ব্যক্তির মধ্যে মনুষ্যের গুণ থাকে একমাত্র তাকেই মনুষ্য বলা যাবে।
কাজেই আচার্য্য চাণক্য মনুষ্য আকার অমানুষের সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলছেন যে -মূর্খকে দূর করা উচিত, কারণ ইহারা দেখতে মনুষ্যের মতো কিন্তু যথার্থ ভাবে দেখো তো দুই পায়ের পশু। চাণক্যনীতি ৩/৭। আচার্য্য চাণক্যজী মূর্খকে পশু বলেছে, কিন্তু মূর্খ কে পশু বললে যদি কোনো ব্যক্তি বলে যে এইটা একটা গালি, তো সেই ব্যক্তিকেও পশু বলা যাবে কারণ তার কোনো এই বিষয়ে যোগ্যতা নেই তবুও মূর্খের মতো কথা বলতে এসেছে। এরূপ যোগীরাজ কৃষ্ণও অর্জুনের মূর্খতা দেখে তাকে অনার্য অর্থাৎ অসভ্য, অশ্রেষ্ঠ বলেছিল, গীতা ২/২।
নমস্তে
![]() |
মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী |
হুম খুব ভালো
ReplyDelete