google01b5732cb2ec8f39 2020 ~ আর্যবীর आर्यवीर aryaveer

Recent News

This is default featured slide 1 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 2 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 3 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 4 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 5 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

বৈদিক সৃষ্টি বিজ্ঞানের সাথে মিথ্যা বিগ ব্যাং তত্ত্বের কোনো মিল নেই

বৈদিক সৃষ্টি বিজ্ঞানের সাথে বিগ ব্যাং তত্ত্বের সাদৃশ্য যারা খুঁজে পায় সেই সমস্ত কথিত আর্যের জন্য 


আমি অনেক আর্য সমাজের মধ্যেই আবাল দেখছি যারা বিগ ব্যাং থিওরি সাথে বেদে থাকা থিওরির মিল খুঁজে পায়। এমন করে কোন লাভটি পাই এরা ? যারা এমন পাগলামিটি করে তাদের কি আদৌ সংস্কৃত ভাষা সম্পর্কে কোনো যোগ্যতা আছে ? বেদের ৬টি অঙ্গ সম্পর্কে যোগ্যতা কতটা ? বেদের ব্যাখ্যা শাস্ত্র হলো ব্রাহ্মণ, এরা জীবনেও ব্রাহ্মণ শাস্ত্র কি পড়ার ক্ষমতা রেখেছে ? বেদানুকূল ৬টি দর্শনের প্রতিটি সূত্রে কিরূপ কথন আছে তা নিয়ে কখনোই কি চর্চা করেছে ? এগুলো সম্পর্কে কিছুই না জানা সত্ত্বেও এরা আধুনিক বিজ্ঞানের তৈরি বিগ ব্যাং তত্ত্বের সাথে বেদের সৃষ্টি বিজ্ঞানের মিল খুঁজতে যায় কোন মূর্খতায় ? মোল্লারা এমনটা করে যে আধুনিক বিজ্ঞান যা কিছু আবিষ্কার করবে তারপর এরা বলে উঠবে যে ১৪০০ বছর আগের থেকেই এই কথাটি কুরআনে লিখাই ছিল। এইটা হাস্যকর ছাড়া অন্য কিছুই নয়, ঠিক এমনই করছে আমাদের আর্য সমাজের কিছু ব্যক্তি! আমাদের আর্যদের একটি পরিষ্কার বিষয় বলে দেই যে বিগ ব্যাং থিওরি বর্তমানে শত শত প্রশ্নের সামনে পড়েছে, ২০০৪ সালে ভারতের  বিজ্ঞানী আভাস মিত্র প্রথম এই বিগ ব্যাং থিওরিকে খণ্ডন করেছে, এখন তো অনেকে বিজ্ঞানীই এই তত্ত্ব কে মিথ্যা কল্পনা ছাড়া অন্য কিছুই মানছে না। আমাদের আর্য সমাজের বর্তমানের সবচেয়ে বড়ো বিদ্বান আমার মতে আচার্য অগ্নিব্রত নৈষ্টিক জী। তিনি ঋগ্বেদের ব্যাখ্যা শাস্ত্র ঐতরেয় ব্রাহ্মণের ভাষ্য করেছেন যার নাম দেওয়া হয়েছে "বেদ বিজ্ঞান আলোক"। এই গ্রন্থে যে সমস্ত পদার্থ বিজ্ঞানের কথন করা হয়েছে সেখানে আজও আধুনিক বিজ্ঞান পৌঁছাতেই পারেনি, নৈষ্টিক জী আধুনিক বিজ্ঞানের অনেক ভ্রান্তিকে খণ্ডন করেছেন এবং আমাদের শাস্ত্রে থাকা সৃষ্টি বিজ্ঞানটিও তুলে ধরেছেন, তিনি এটাও বলেছেন বিগ ব্যাং তত্ত্বের সাথে আমাদের বৈদিক সৃষ্টি বিদ্যার কোনো মিল নেই। নৈষ্টিক জীর ইউটিউব চ্যালেন vaidic physics 👇👇


এখানে আপনারা বৈদিক সৃষ্টি বিজ্ঞান সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারবেন, নৈষ্টিক জী "বেদ বিজ্ঞান আলোক" থেকে প্রায় 75 টি ক্লাস নিয়েছে, আরও নানান বিষয়ে চর্চা করেছেন। নৈষ্টিক জী এই সমস্ত ক্লাস নেওয়া ফলে এবং আধুনিক বিজ্ঞানের নানান বিষয়কে খণ্ডন করার ফলে তাকে দেশ বিদেশ থেকে নানান প্রকারের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। নৈষ্টিক এখন নিরুক্ত এর ভাষ্য করছেন, তিনি বলেছেন নিরুক্ত ভাষ্য হওয়ার পর আর কোনো বেদ বিরোধীরা বেদের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তোলার ক্ষমতা রাখবে না, ঐতরেয় ব্রাহ্মণে যা বিজ্ঞান আছে তার থেকে বেশি বিজ্ঞান আছে মহর্ষি য়াস্ক এর নিরুক্তের মধ্যে। তাই আমি আমাদের ওই আর্যদের বলছি যারা আধুনিক বিজ্ঞানের তৈরি যে কোনো বিষয়কে বেদে আছে বলে চালিয়ে দেয়, বলছি তোমরা বা আমরা কিন্তু আমাদের আর্য সমাজের বিদ্বানের ব্যাখ্যা করা গ্রন্থ পড়ি, ডাইরেক্ট বৈদিক শাস্ত্র পড়ার কোনো যোগ্যতা আমাদের নাই! তাই আমাদের দেখা উচিত আমাদের আর্য বিদ্বানরা যুক্তি তর্কশীল এবং শাস্ত্রীয় ব্যাখ্যা দিয়ে উক্ত বিষয়ে কি বলছে, আধুনিক বিজ্ঞান কি করছে তার সাথে বেদের মিল খোঁজানোর বিষয় বন্ধ করুন, নয়তো সমাজের কাছে নিজেরা হাস্যকর হয়ে উঠবেন! 

নমস্তে

যোগীরাজ মহাদেবের সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য এবং তার বাণী

যোগীরাজ মহাদেবের সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য এবং তার বাণী


আমরা জানি যে পরমাত্মার এক গৌণ নাম হলো মহাদেব কিন্তু মহাদেব নামের একটি মহাপুরুষও ছিলেন, যার স্ত্রীর নাম ছিল উমা দেবী, যোগীরাজ মহাদেব হিমালয়ে বসবাস করতেন, যিনি একজন মহান বৈজ্ঞানিক ছিলেন, এই বিষয়টি একটু পরিষ্কার করিয়ে দেই যে সমস্ত ঋষি, মহর্ষিরা কিন্তু যোগী আর যিনি যোগী তিনি সবর্দা পরমাত্মার সাথে যুক্ত হতে পারেন এবং যে কোনো সময় পদার্থ বিদ্যা বা আধ্যাত্মিক বিদ্যা সম্পর্কে সমস্ত তত্ত্ব জানতে সক্ষম হন। কাজেই মহাদেব কে বৈজ্ঞানিক বলা যথাযথ কারণ তিনি একজন মহাযোগী ছিলেন, মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী পুনাতে প্রবচন দিয়েছিলেন, সেখানে মহর্ষি দয়ানন্দ যোগীরাজ মহাদেব বা শিবের বিষয়ে আলোচনা করেছেন, কয়েকদিনের মধ্যেই মহর্ষি দয়ানন্দ জীর "পুনা প্রবচন" গ্রন্থ টি pdf রূপে দেবো, সকলে পড়বেন অবশ্যই, বহু শাস্ত্রীয় জ্ঞান এবং বহু ইতিহাস আলোচনা করেছিলেন মহর্ষি দয়ানন্দ জী পুনা শহরের প্রবচনে। যোগীরাজ মহাদেবের বিষয়ে আলোচনা কিছু পাওয়া যায় মহাভারতের মধ্যে পিতামহ ভীষ্ম কুরুক্ষেত্রে মৃত্যু শয্যায় মহাদেবের বহু বাণী প্রকাশ করেছিলেন। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় এই যে  মহা বৈজ্ঞানিক যোগীরাজ শিব কে মাল পুরাণ কাহিনীতে মহা লুচ্চা, কামী বানিয়েছে আর এই পুরাণ গুলোকে মেনে চলে আমাদের হিন্দু সমাজ। আমি পূর্বেও বলেছি আবারও বলছি যে আমাদের মহাপুরুষদের চরিত্র কে কুলষিত করার জন্য  কেউ বা কারা যদি পরিকল্পনা নিয়ে থাকে তাহলে তারা হলো 18+ পর্ণ পুরাণের মহাভণ্ড লেখক গণ। দেখুন পুরাণে যোগী শিব কে নিয়ে কিরূপ অশ্লীল কাহিনী বানিয়েছে____


দারু বনে ঋষিদের সৃষ্টির সাথে যৌন ক্রীড়ার জন্য ঋষিদের অভিশাপে শিবের লিঙ্গ বা গোপনাঙ্গ কেটে পড়ার কাহিনী। শিব পুরাণের এই কাহিনী হতেই শিব লিঙ্গ পূজা শুরু হয়েছে
👇


শিবের গোপনাঙ্গ দিয়ে শুক্রাচার্যের জন্মের কাহিনী 👇👇


ভবিষ্য পুরাণে আর এক কাহিনী আছে যে অত্ৰী মুনির স্ত্রী অনসুয়াকে ধর্ষণের চেষ্টা করার জন্য, তার অভিশাপে  শিবের গোপনাঙ্গ বা লিঙ্গ পূজার কাহিনী
👇👇



যোগেশ্বর শ্রীকৃষ্ণের মতো আপ্ত পুরুষ কে ভাগবত পুরাণ, ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ, বিষ্ণু পুরাণ আদিতে মহা লুচ্চা বানিয়েছে, ঋষি ব্রহ্মা কে লুচ্চা বানিয়েছে। এই সমস্ত অশ্লীল পুরাণ কে আজও মেনে চলা হচ্ছে হিন্দু সমাজে ধর্ম গ্রন্থ হিসেবে, তাতে কারোর কোনো মাথা ব্যাথা নেই কিন্তু আমরা যদি পুরাণের অশ্লীলতার বিরুদ্ধে কথা বলি তাহলে আমরা(আর্য) খারাপ, আর আমরাই নাকি সনাতন ধর্মকে বিনাশ করছি! লেও দেহি ঠ্যালা💥 সনাতন ধর্ম কে বিকৃত ভাবে বিনাশের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য পুরাণের ভূমিকা ১০০%, হিন্দুরা সেদিন একতা হবে যেদিন হিন্দুরা পুরাণ কে বাদ দিয়ে বেদ অনুসারে চলবে বৈদিক শাস্ত্র কে মেনে চলবে।


যোগীরাজ শিবের যে সমস্ত বাণী পিতামহ ভীষ্ম মৃত্যু শয্যায় বলেছিল তার মধ্য থেকে কিছু বাণী সম্পর্কে আজ জানুন। জানুন শিব জী কি বলেছে মোক্ষ লাভ বিষয়ে, যে কিরূপ ধার্মিক ব্যক্তিরা মোক্ষ লাভের অধিকারী হয়_______

💢যোগীরাজ শিবের বচনামৃত💢


वीतरागा विमुच्यन्ते पुरुषाः कर्मबन्धनैः।
कर्मणा मनसा वाचा ये न हिंसन्ति किंचन।। ७।।

যিনি মন, বাণী এবং ক্রিয়া দ্বারা কোনো প্রকারের হিংসা করেনা আর যাহার আসক্তি সর্বথা দূর হয়ে গেছে, সেই পুরুষ কর্মবন্ধন হতে মুক্ত হয়।।৭৷।


ये न सज्जन्ति कसि्ंमश्चित् ते न बद्ध्यन्ति कर्मभिः। प्राणातिपाताद् विरताः शीलवन्तो दयान्विताः। तुल्यद्वेष्यप्रिया दान्ता मुच्यन्ते कर्मबन्धनैः।।८।।

যিনি কোথাও আসক্ত হন না, যিনি কোনো প্রাণীকে হত্যা করেনা তথা যিনি সুশীল এবং দয়ালু, যাহার কাছে শত্রু ও প্রিয় মিত্র উভয়ই সমান, সেই জিতেন্দ্রীয় পুরুষ কর্ম হতে মুক্ত হয়।।৮।।


सर्वभूतदयावन्तो विश्वास्याः सर्वजन्तुषु।।
त्यक्तहिंसासमाचारास्ते नराः स्वार्गगामिनः।।९।।

যিনি সকল প্রাণীদের ওপর দয়াশীল, সমস্ত জীবকে বিশ্বাসের পাত্র তথা হিংসাময় আচরণকে ত্যাগ করেন, সেই মনুষ্য স্বর্গ লাভ করে।।৯।।


परस्वे निर्ममा नित्यं परदारविवर्जकाः।
धर्मलब्धान्नभोक्तारस्ते नराः स्वर्गगामिनः।।१०।।

যিনি অন্যের ধন আদিতে মমতা রাখেনা, প্রিয় স্ত্রী হতে সদা দূরে থাকে আর যিনি ধর্মানুসারে প্রাপ্ত করা অন্ন কে ভোজন করে, সেই মনুষ্য স্বর্গ লাভ করে।।১০।।
                                                                

(মহাভারত, অনুশাসন পর্ব, দানধর্ম পর্ব, অধ্যায় 144, গীতা প্রেস ভাষ্য)

বিবর্তনবাদ খণ্ডন সাধারণ জ্ঞান দ্বারা


সাধারণ জ্ঞান দ্বারা বিবর্তনবাদ খণ্ডন বিষয়ক কিছু সামান্য লিখন




1) বিবর্তনবাদ বলে যে পাখিদের ডানা পূর্বে ছিল না কিন্তু যখন পাখিরা নানান জন্তুর থেকে নিজেকে বাঁচার চেষ্টা করেছিল উড়ার চেষ্টা করেছিল তখন তাদের ডানা তৈরি হয়েছে। এই অনুযায়ী বলা যায় যে প্রথমে বনমনুষ্যও তো  জঙ্গলে জন্মেছিল তারাও তো বাঘ, সিংহ, ভাল্লুকদের কাছ থেকে নিজেকে রক্ষা করার চেষ্টা করেছিল তো তাদের কেন পাখির মতো ডানার বিবর্তন হয়নি ? মানুষেরও তো ডানা থাকা উচিত ছিল ?

2) বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় নানান উদ্দেশ্যে সাপদের ধরা হয় এবং হত্যাও করা হয় তা সাপ কি নিজেকে রক্ষা করার চেস্টা করেনা ? আর যদি করেও থাকে তাহলে আজও কেন সাপের কোনো হাত পা তৈরি হয়নি, যাতে সাপ নিজেকে রক্ষা করতে পারে ?

2) বিশ্বের প্রায় ৯৮% মানুষ মাংস, মাছ আহার করে।  গরু, শুয়োর, ছাগল, মহিষ, ভেড়া, মাছ আদিকে হত্যা করে ভক্ষণ করে, তা আজও কেন এই সমস্ত জীবের মধ্যে  কোনো বিবর্তন হলো না যাতে তারা আমাদের থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারে ? তারাও তো নিজের জীবন কে বাঁচানোর চেষ্টা করে তবুও কেন বিবর্তন হলো না ? এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর বিবর্তনবাদিদের কাছে নেই।


3) বিবর্তনবাদ বলে যে যে জিনিসের ব্যবহার করা হয়না তা লুপ্ত হয়ে যায় যেমন মনুষ্যের লেজ লুপ্ত হয়েছে।। এখানে প্রশ্ন তৈরি হয় যে বাদর তার দিয়ে কি কাজ করে ? যদি বলো যে "বাদর লাফিয়ে বেড়ায় তাই তাদের লেজ আছে"। তো মনুষ্য কি লাফিয়ে বেড়ানো বন্ধ করেছে ? বাঁদরের চেয়েও মনুষ্য বেশি কাজ করে,  তো মনুষ্যের লেজ কেন লুপ্ত হলো ?

4) বিরবর্তনবাদ বলে যে একসময় জিরাফের গলা এই কারণেই লম্বা হয়েছে যে একসময় মাটির ঘাস শুকে গিয়েছিল তখন জিরাফ গাছের পাতা খাওয়ার চেষ্টা করেছিল কাজেই তাদের গলা লম্বা হয়ে গেছে।। বিরবর্তনবাদের ছাগলামী কথনের মধ্যে অন্যতম হল এই কথন টি, এই মূর্খরা জিরাফের গলার কাহিনী কল্পনা করতে গিয়ে এইটা ভুলে যায় যে জঙ্গলে তো শুধু জিরাফ থাকেনা গরু, মহিষ, হরিণ আদি নানান জীব থাকে তারাও ঘাস খায়। তো ঘাস শুকে যাওয়ার জন্য শুধুমাত্র জিরাফের গলা লম্বা হল কেন গরু, মহিষ, হরিণ গণ্ডারের তো জিরাফের মতো গলা লম্বা হওয়া উচিত ছিল, তাহলে এদের গলা কেন লম্বা হয়নি ? আর কত বছর ধরে মাটির ঘাস শুকনো অবস্থায় ছিল ? কত বছর ধরে জিরাফের গলা লম্বা হয়েছিল ? জিরাফের গলা লম্বা না হওয়ার আগে সে কি খেয়ে বেঁচে ছিল ? উত্তর আছে ?

 লক্ষ করে দেখবে যে ছাগলও মাঝে মাঝে সামনের দুটি পা উঁচু করে গাছের পাতা খায় তা আজ পর্যন্ত ছাগলের গলা জিরাফের মতো কেন লম্বা হলো না ?


5) বর্ষাকালে নানান পতঙ্গ আগুনের দিকে ছুটে যায় আর তাদের মৃত্যু হয়। তা আজ পর্যন্ত এই পতঙ্গ সমস্ত পতঙ্গ গুলোর জ্ঞানের বিবর্তন কেন হলো না ? উত্তর আছে ?

6) বিবর্তনবাদের সবচেয়ে হাস্যকর বিষয় হলো এই যে সমস্ত জীবের বিবর্তন হলো কিন্তু মনুষ্যের কাছে এসে থেমে গেল, আর মনুষ্যের আর কোনো ভাবেও বিবর্তন হচ্ছে না, এমন কেন ?

#বিবর্তনবাদ একটি মহান মিথ্যার তত্ত্ব যা পুরোই যুক্তিহীন, বিবর্তনবাদ কে বহু বিজ্ঞানী খণ্ডন করেছে তাদের মধ্যে একজন অন্যতম হল "স্যার রিচার্ড ওয়েন" যিনি এক বিখ্যাত জীবাশ্ম বিষয়ক বিজ্ঞানী ছিলেন। ইনি বিবর্তনবাদের ঘোর বিরোধী ছিলেন, আজ আধুনিক বিজ্ঞানের মধ্যে এই মূর্খতা পূর্ণ বিবর্তনবাদ কে ছোট থেকে বড় ছাত্র ছাত্রীদের পড়ানো হয়, কিন্তু কোথাও পড়ানো হয়না যে এই বিবর্তনবাদ কে অনেক বিজ্ঞানী খণ্ডনও করেছে, এমন কেন ? অর্থাৎ বলা যায় মিথ্যার ওপরেও এখন বিজ্ঞান চলছে!এই সমস্ত নাস্তিক কথিত বিজ্ঞানীরা বুক ফুলে বলে যে ধার্মিক রা অন্ধবিশ্বাসী, যুক্তিহীন বিষয়কে বিশ্বাস করে, তা আজ বিবর্তনবাদের মতো মিথ্যা বিষয় কে মেনে চলা বিজ্ঞানী আর একটি অন্ধবিশ্বাসী কথিত ধর্মীকের পার্থক্য থাকলো কোথায় ? একই অবস্থা ।



আর্য সমাজ প্রকাশিত বাংলা শাস্ত্রীয় গ্রন্থ আদি pdf


আর্য সমাজ প্রকাশিত বাংলা শাস্ত্রীয় গ্রন্থ আদি pdf ডাউনলোড করুন 




সত্যার্থ প্রকাশ 
ডাউনলোড PDF

ঋগ্বেদাদীভাষ্য ভূমিকা 
 ডাউনলোড প্রথম খণ্ড PDF
 ডাউনলোড দ্বিতীয় খণ্ড PDF

সংস্কারবিধি
ডাউনলোড PDF


আর্যোদ্দেশ্য রত্নমালা 
ডাউনলোড PDF

ব্যবহার ভানু 
ডাউনলোড PDF

আর্য্যাভিবিনয়
ডাউনলোড PDF

অথ গোকরুণানিধিঃ  
ডাউনলোড PDF

পুনা প্রবচন

ডাউনলোড PDF


 না আছে বাইবেলে, না আছে কোরানে, জীবন পেলাম বেদের কল্যাণে
 ডাউনলোড PDF

সৃষ্টি বিদ্যা বিষয়
ডাউনলোড PDF
   
বঙ্গে দয়ানন্দ
ডাউনলোড PDF

বিবাহ সংস্কার বিধি   
ডাউনলোড PDF

শিখা-সূত্র
ডাউনলোড PDF

আর্যত্বের অভিমুখে 

দয়ানন্দ প্রসঙ্গ
ডাউনলোড PDF

পুরাণের কৃষ্ণ
ডাউনলোড PDF

বৈদিক ধর্মধারা
ডাউনলোড PDF

মৃত্যুর পরপারে 
ডাউনলোড PDF

রামায়ণ দর্পণ 
ডাউনলোড PDF

সত্যার্থ প্রকাশ এক মূল্যাঙ্কণ 
ডাউনলোড PDF

ভক্তের দুর্গতি  
ডাউনলোড PDF

বৈদিক উপাসনা ও অগ্নিহোত্র পদ্ধতি
ডাউনলোড PDF

 সাংখ্য দর্শন 


মোক্ষ লাভ করা খুবই সহজ নাকি কঠিন ? আসুন জানি





অর্থাৎ সমাজে যে সমস্ত যোগী বা মোক্ষ লাভ করা ব্যক্তির নাম শোনেন সেগুলো ১০০% ভণ্ড এইটা নিশ্চিত রূপে খেয়াল রাখবেন। হিন্দু সমাজ ধর্ম সম্পর্কে মহামূর্খ হওয়ার কারণে হিন্দু সমাজে যোগী ব্যক্তি, সিদ্ধি লাভ করা ব্যক্তির শেষ নাই, যে কোনো অশিক্ষিত ব্যক্তিও নিজেকে সিদ্ধিলাভ কারী বলে প্রচার করে এবং নানান বাবা সাজে। কিন্তু আর্যদের কাছে এদের কোনো ছাড় নেই হিন্দু সমাজ যদি আর্যসমাজ কে সহযোগীতা করে তাহলে ভারত বা বাংলাদেশের সমস্ত ভণ্ড বাবাদের জেলে ঢোকাবে! এমন কয়েকটি বাবা এখন ভারতের জেলে আছে! যে ভণ্ডরা ফিজিক্স সম্পর্কে কিছুই জানেনা, যারা ভূত, পরমাণু, অনু, রশ্মি, আলোককণা, মহতত্ব, অহংকার আদি  নানান পদার্থ কিরূপ ভাবে কাজ করে তা সম্পর্কে কিছুই জানেনা, এই সমস্ত পদার্থ কে পরমাত্মা কিভাবে বানিয়েছে সেই সম্পর্কে কিছুই জানেনা সেই সমস্ত মহামূর্খ প্রাণীরা আজ হিন্দু সমাজে নিজেকে যোগী মনে করে, নিজেকে মোক্ষ লাভকারী ব্যক্তি মনে, আর আমাদের গান্ডু হিন্দু সমাজ তাদের কাছে গিয়ে বহু স্বঅর্থ ধ্বংস করে। এই বিষয়টি সকলে জেনে নিন যে ব্যক্তি ভৌতিক বিদ্যা অর্থাৎ পদার্থ বিদ্যা অর্থাৎ অপরা বিদ্যা সম্পর্কে কিছুই ঠিক ভাবে জানেনা তিনি কখনোই আধ্যাত্মিক বিদ্যা অর্থাৎ পরা বিদ্যাকে জানতে পারবে না যথাযথ ভাবে! পরমাত্মা কে জানতে গেলে আগে জানতে হবে পরমাত্মা করা সৃষ্টি সম্পর্কে, পরমাত্মা সৃষ্টি হলো এই জগৎ, এই জগৎ তৈরি নানান পদার্থ দ্বারা আর এই সমস্ত স্থূল বা সূক্ষ্ম পদার্থ তৈরি হয়েছে মূল উপাদান কারণ প্রকৃতি। তাই পরমাত্মা সৃষ্টি বিদ্যা সম্পর্কে না জানতে পরমাত্মা কর্ম স্বভাব গুণ সম্পর্কে সঠিক ভাবে জানা সম্ভব নয়! এর একটি সামান্য উদাহরণ মহর্ষি ব্যাস দিয়েছে ব্রহ্মসূত্রে___

ব্রহ্মসূত্র ১/১/১ -অথাতো ব্রহ্মজিজ্ঞাসা = এখন ব্রহ্ম কে জানার ইচ্ছা করি। 

অর্থাৎ এখানে ব্রহ্ম কে জানার কথা বলছে সেই ব্রহ্ম কে বা কেমন, এখন পরের ২য় সূত্রে মহর্ষি ব্যাস লিখেছে______

ব্রহ্মসূত্র ১/১/২ -জন্মাদ্যস্য য়তঃ= এই সমস্ত সংসারের জন্ম, স্থিতি তথা প্রলয় যার দ্বারা হয়, তিনিই ব্রহ্ম।



পরমাত্মা কে জানার প্রথম পথই হল তার কার্যরূপ সৃষ্টিকে জানা, আর এই সৃষ্টি কে জানলেই পরমাত্মাকে জানা যায়, অর্থাৎ এইটাই বলা যায় যে শুধু মাত্র আধ্যাত্মিক বিদ্যা দ্বারা মুক্তি লাভ হবে আর না শুধু মাত্র পদার্থ বিদ্যা দ্বারা মুক্তি লাভ হয়, এই দুই বিদ্যা সম্পর্কে যখন মনুষ্যের যথাযথ জ্ঞান হবে একমাত্র তখনই জীবাত্মার মুক্তি হবে। আমাদের হিন্দু সমাজে তো কথিত আধ্যাত্মিক গুরুর শেষ নেই শত শত গুরু(গরু) তাদের জ্ঞান শুনে আমাদের আবাল হিন্দুরা বিশাল প্রশংসিত হয়, আর হবারই কথা কারণ কুয়ার ব্যাং কুয়া কেই জগৎ ভাবে আর কুয়ার সবচেয়ে বড়ো ব্যাং কে শ্রেষ্ঠ মনে করে ঠিক এমনই অবস্থা হিন্দুদের, এই ভারত বা বাংলাদেশের যত কথিত সিদ্ধ পুরুষ বা যোগী আছে তাদের গিয়ে যদি সাধারণ একটি প্রশ্ন করা হয় যে অনু বা মলিকিউল কিভাবে কাজ করে, কিভাবে সৃষ্টি হয় এবং কিভাবে ধ্বংস হয় ? এই একটি সামান্য প্রশ্ন করলে এদের উত্তর দেওয়ার ক্ষমতা নাই কারণ তারা সকলেই মহাভণ্ড কিন্তু নিজেকে আবার মহাযোগী পুরুষ এবং সিদ্ধ পুরুষ মনে করে! যারা পরমাত্মাকে প্রাপ্ত হয় তার কাছে কিছু বিদ্যাই জানার বাকি থাকেনা। আমাদের সকল ধর্ম অজ্ঞ হিন্দু ভাইদের উচিত এই সমস্ত নানান কথিত যোগী এবং সিদ্ধ পুরুষদের হতে দূরে থাকুন, এরা ধর্মের নামে ব্যবসা ছাড়া কিছুই জানেনা, বৈদিক শাস্ত্র কে জানার চেষ্টা করুন, বিচার করে কর্ম করুন, অন্ধবিশ্বাস কে বাদ দিন, যারা বিচার করে কর্ম করে তাদেরই মানুষ বলা হয়েছে শাস্ত্রে ,নিরুক্ত ৩/৭। 




নমস্তে ।।




আসুন জানি মহর্ষি নারদ জী কত বড় বৈজ্ঞানিক ছিলেন

আসুন জানি মহর্ষি নারদ জী কত বড় বৈজ্ঞানিক ছিলেন




আমাদের প্রায়ই টিভির সিরিয়ালে বা পৌরাণিক কাহিনীতে মহর্ষি নারদ কে দেখি, তার চরিত্র টি পৌরাণিক কাহিনীতে এই রূপ পাওয়া যায় যে তিনি শুধু মাত্র চুগলি করে বেড়াত, আর "নারায়ণ নারায়ণ" বলে। তিনিই কি সত্যি এমন ছিল ? যে নারদ জীকে দেবর্ষী, ঋষি, মহর্ষি বলে কথন করা এই সে ব্যক্তি কি এমন করতে পারে ? ঋষি মহর্ষিরা এমনি চুগলি করে বেড়াতো ? আমি পূর্বেও বহুবার বলেছি যে আমাদের ঋষি মহর্ষি এবং নানান বীরপুরুষদের চরিত্র কে কুলষিত করার পরিকল্পনা যদি কেউ বা কারা নিয়ে তাহলে তারা হলো পুরাণের লেখক গণ! বর্তমানে বৈদিক সনাতন ধর্মের লোপ পাওয়ার মূল কারণ হলো মালপুরাণ, যে পুরাণে শিব কে কামী বানিয়েছে, শ্রীকৃষ্ণকে লুচ্চা-ব্যভিচারী বানিয়েছে, ঋষি ব্রহ্মা কে তো নিজের মেয়ের সাথেও কাম কর্মে লিপ্ত করিয়েছে এই পুরাণ কাহিনী, আর আজ এই পৌরাণিক সমাজ অন্ধের মতো মেনে চলে সেই সমস্ত ১৮+ পুরাণ, কাজেই পৌরাণিক সমাজের আজ অবস্থা খুবই খারাপ, এই পৌরণিকরা এতটাই অন্ধবিশ্বাসী! নাস্তিকরা ভাগবত পুরাণ, ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ অনুযায়ী শ্রীকৃষ্ণ কে মহা লুচ্চা বলে কিন্তু শ্রীকৃষ্ণের সেই উজ্জ্বল চরিত্র সম্পর্কে আমাদের(আর্য) জানা থাকা সত্ত্বেও আমাদের চুপ থাকতে হয় কারণ সকল পৌরাণিক সমাজ এই পুরাণ গুলোকে মেনে চলে। যোগীরাজ শ্রীকৃষ্ণের আপ্ত চরিত্র মহাভারতের মধ্যে পাওয়া যায় যে শ্রীকৃষ্ণ আজীবন অধর্মের বিরুদ্ধে লড়েছে এবং ধর্মের প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেছে, তার একটি মাত্র স্ত্রী ছিল যার নাম রুক্মিণী, যে শ্রীকৃষ্ণ এক মহান বৈজ্ঞানিক ছিলেন, মহর্ষি দয়ানন্দ বলেছেন শ্রীকৃষ্ণ জীবনেও কোনো অধার্মিক কোনো কাজ করেনি। আমি সেই শ্রীকৃষ্ণ কে কোটি কোটি নমন জানায়, তিনি আমাদের আদর্শ, সেই যোগেশ্বর শ্রীকৃষ্ণের ১ ভাগ গুণও যদি আমরা ধারণ করার ক্ষমতা রাখি সেটিই আমাদের কাছে অনেক! মহাভারতের মধ্যে  শ্রীকৃষ্ণ একজন আপ্তপুরুষ মহযোদ্ধা, আর পৌরাণিক কাহিনী শ্রীকৃষ্ণ কে নৃত্যকারী বানিয়ে দিয়েছে! নানান গোপীদের সাথে কাম, ক্রীড়া আদি কর্মে লিপ্ত করেছে! নিষ্কলঙ্ক যোগীরাজ শ্রীকৃষ্ণ কে পৌরণিকরা কলঙ্কিত বানিয়েছে এই পাপের ফল আবাল পৌরাণিকরা বহু দিন ধরে পাচ্ছে আর আগামী দিনেও পাবে এমন বলছে থাকলে! 


এইবার আসি আসল কথায়, আজ জানুন যে মহর্ষি নারদ কে পৌরাণিক কাহিনীর জানোয়ার লেখক রা চুগলি চরিত্রের ব্যক্তি বানিয়েছে সেই মহর্ষি নারদ করো বড়ো বৈজ্ঞানিক ছিল তা জানুন বৈদিক শাস্ত্র হতে______

ছান্দোগ‍্য উপনিষদের মধ্যে একটি কথন পাওয়া যায়, মহর্ষি নারদ এবং মহর্ষি সনৎকুমারের। একসময় নারদ জী সনৎকুমার জীর কাছে গিয়ে বলেন যে হে ভগবান! আপনি আমাকে জ্ঞান দিন, আমি শোক সাগরে ডুবে আছি, তখন সনৎকুমার জী তাকে বললেন যে তুমি কি কি তা আগে আমাকে জানাও তারপর তোমায় আমি শিক্ষা দেবো, তারপর মহর্ষি নারদ নিজের জ্ঞাত শিক্ষা সম্পর্কে বলতে থাকেন- তিনি ঋগবেদ- য়জুর্বেদ- সামবেদ-অথর্ববেদ পড়েছে, পুরাণ অর্থাৎ ব্রাহ্মণ শাস্ত্র পড়েছে, অর্থশাস্ত্র পড়েছে, গণিত শাস্ত্র পড়েছে, জ্যোতিষশাস্ত্র পড়েছে, জগৎ উৎপত্তি বিজ্ঞান পড়েছে, প্রাণী আদির সম্পর্কে নানান বিদ্যা পড়েছে, নীতি শাস্ত্র পড়েছে, ধনুর্বেদ পড়েছে, ভূত বিদ্যা অর্থাৎ জল, বায়ু, ভূমি আদির বিদ্যা সম্পর্কে পড়েছে, তর্ক শাস্ত্র পড়েছে। ছান্দোগ‍্য উপনিষদ ৭/১/১-২//// মহর্ষি নারদ এই সমস্ত বিদ্যা সম্পর্কে পড়েছিল ভাবতে পারছেন তিনি কত বড়ো মাপের বৈজ্ঞানিক ছিলেন ? এত কিছুর জ্ঞান থাকা সত্ত্বেও মহর্ষি নারদ দুঃখ থেকে পরিত্রাণ পাইনি কারণ তিনি সমস্ত পদার্থ বিদ্যা সম্পর্কে পূর্ণ জ্ঞান রাখলেও আধ্যাত্মিক বিদ্যা সম্পর্কে পূর্ণ জ্ঞান রাখেনি। এই ছিল মহর্ষি নারদ যাকে পৌরাণিকরা চুগলি সম্পন্ন ব্যক্তি বানিয়েছে! আমাদের পৌরাণিক সমাজে তো মোক্ষ লাভের যে যে উপায় গুলো কথিত আছে তা শুনলে খুবই হাসি পায় যেমন গঙ্গা স্নান করলেই মুক্তি, হরে কৃষ্ণ গান করলেই মুক্তি, হর হর মহাদেব বললেও মুক্তি, ওঁ নাম জপ করলেই মুক্তি, কেউ আবার মূর্তি পূজার মাধ্যমে মুক্তি খোঁজে!  যারা এই সমস্ত কথনকে মুক্তি লাভের উপায় মনে করেন আমি তাদের বলছি, যে মহর্ষি নারদ এত বড় বৈজ্ঞানিক হওয়া সত্ত্বেও তিনি শোক সাগরে ছিলেন এক সময়, তা ভাবুন মহর্ষি নারদ জীর যে সমস্ত মহান বিদ্যা সম্পর্কে জ্ঞান ছিল তার ১০০ ভাগের ১ ভাগেরও অর্ধেক জ্ঞান কি আপনাদের হয়েছে আজও ? হয়নি এখনো আর আপনারা ডাইরেক্ট মোক্ষ লাভের জন্য লাফালাফি করেন এইটা কি ঠিক বলুন তো ? য়জুর্বেদে ৪০/১১ মন্ত্রের তাৎপর্য এই যে যিনি জগৎ সৃষ্টির নানান পদার্থ সম্পর্কে জ্ঞান রাখে তিনিই অমৃতম্ অর্থাৎ মোক্ষ সুখ লাভ করে।। তাই সবার আগে পদার্থ বিদ্যা এবং আধ্যাত্মিক বিদ্যা সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান অর্জন করতে হবে  তারপর মোক্ষ লাভের চিন্তা করা উচিত আমাদের।।




নমস্তে



৩৩ কোটি দেবতা সম্পর্কে আলোচনা

৩৩ কোটি দেবতা সম্পর্কে শাস্ত্রীয় ব্যাখ্যা


আমাদের সনাতনীরা বেশির ভাগই জানেনা যে ৩৩ কোটি দেবতা কোন গুলো, অনেকেই মনে করে যে  দুর্গা, কালী, মনসা ,গণেশ ,কার্তিক ইত্যাদি এগুলোই হয়তো ৩৩ কোটি দেবতার মধ্যে পরে, কিন্তু ইহা পুরোই ভুল ধারণা, আসুন জানি শাস্ত্র কি বলে এই দেবতা সম্পর্কে_____

দেবতা তাকেই বলা হয় যার দিব্য গুণ আছে এবং যার দিব্য গুণ দ্বারা এই জীব জগতে চলছে তাকেই দেবতা বলা হয়, যেমন -সূর্য, চন্দ্র, পৃথিবী ইত্যাদি। আর এই দেবতা সংখ্যা হলো ৩৩ টি, এখানে 'কোটি' শব্দের অর্থ হলো প্রকার। এই সমস্ত দেবতারও দেব হলো পরমাত্মা তাই তার এক নাম হলো মহাদেব যজুর্বেদ ১৪/৩১ মন্ত্রে বলা আছে যে "ত্রয়স্ত্রিংশৎত্রিশতা" এবং  শতপথ ব্রাহ্মণ ১৪/৫ তেও  ৩৩ প্রকার দেবতার কথা বলা আছে, আর এই বিষয়টি সকলের জেনে রাখা উচিত যে ৩৩ টি দেবতার মধ্যে ৩২ টি দেবতাই কিন্তু জড় পদার্থ আর একটি মাত্র চেতন দেবতা সেটি হলো  'জীবাত্মা'।  ৮ বসু, ১১ রুদ্র, ১২আদিত্য, ইন্দ্র ও প্রজাপতি এই হলো  ৩৩ দেবতা। আসুন জেনে নেই ৩৩ টি দেবতার নাম____


৮ টি বসু - পৃথিবী, জল, অগ্নি, বায়ু, আকাশ, চন্দ্রমা, সূর্য এবং নক্ষত্র। সকল সৃষ্টির নিবাস স্থান এই কারণে এ সকলের নাম ৮ বসু।

১১টি রুদ্র- প্রাণ, অপান, ব্যান, উদান, সমান, নাগ, কূর্ম, কৃকল, দেবদত্ত, ধনঞ্জয় ও জীবাত্মা এই ১১টি দেবতা।

১২ টি আদিত্য- সংবৎসরের ১২ মাস সকলের আয়ু হরণ করে বলে এই সকলকে আদিত্য বলে।

পরম ঐশ্বর্য্যের হেতু বলে বিদ্যুতের নাম ইন্দ্র এবং প্রজাপতি অর্থাৎ যজ্ঞ, ইহা দ্বারা বায়ু ও বৃষ্টির জলের শুদ্ধি হয়ে থাকে, এর দ্বারা উত্তম অন্নাদি উৎপন্ন হয়। এই হলো আমাদের ৩৩ দেবতা। কাজেই দেবতা এবং পরমাত্মা বা ঈশ্বর কে গুলিয়ে ফেললে চলবে না। ৩৩ টি দেবতা উপাসনা কিন্তু শাস্ত্রে কোথাও করতে বলা হয়নি, যজুর্বেদ ৪০/৯ মন্ত্রে স্পষ্ট ভাবে বলা হয়েছে যে যিনি পরমাত্মার উপাসনা না করে জড় বিকার সহিত পদার্থ অর্থাৎ গাছ-পালা, সূর্য, চন্দ্র, নক্ষত্র আদি পদার্থের উপাসনা করে তিনি গাঢ় অবিদ্যা যুক্ত অন্ধকারে প্রবেশ করে। একমাত্র পরমাত্মার উপাসনা করা উচিত যিনি নিরকার, সর্ব জায়গায় বিরাজমান, যিনি পবিত্র, যিনি সূক্ষ্ম এবং স্থূল কারণ রহিত, যিনি নাড়ি রহিত, পরমাত্মা ভিন্ন অন্য কারোর উপাসনা করা চলবে না।

নমস্তে



पौराणिकों के ईश्वर ओर अल्लाह की सदृश्य

पौराणिकों के ईश्वर ओर अल्लाह की सदृश्य 




पौराणिक कहानी और मुल्लो की इस्लाम की सदृश्य 


 1) मुसलमानों का मानना ​​है कि उनका अल्लाह सर्व ब्यापक है फिर भी इनके अल्लाह 7 आसमान पर बैठता है, 😆 और पौराणिकों का ईश्वर सर्व ब्यापक है फिर भी इनके  भगवान पैदा होता है, मनुष्य, सुअर, कछुए के रुप में🥴

 2) मुसलमान मानते हैं कि अल्लाह इस जगत को बनाया उनके अल्लाह ही इस जगत का उपादान एवं निर्माण कारण हैओर दूसरी तरफ पौराणिकों भी यही मानते हैं कि उनकी ईश्वर  जगत का उपादान एवं निर्माण कारण है🥴

 3) मुसलमान भी मांस खाते हैं, जबकि पौराणिक भी मांस खाते हैं।😠

 4) पौराणिक भी अपने ईश्वर के नाम पर विभिन्न जानवरों की बलि देते हैं और मुसलमान भी अल्लाह के नाम पर कुर्बानी देते हैं।😠

 ५) पुराणों में असंख्य अश्लीलताए है -पिता ब्रह्मा पुत्री सरस्वती के साथ काम क्रीड़ा, शिव पुराण की दारु वन में शिव के लिंग काटने की कहानी, भगवत पुराण में कृष्ण और विभिन्न गोपियों के साथ यौन क्रीड़ा आदि बहुत अश्लीलताएँ हैं यौन पुराण मै। ओर मुस्लिमों भी ऐसा है- लूत इस्लाम ने किया था अपने २ बेटी के साथ यौन क्रीड़ा, अदम की बेटी और बेटा के साथ विबाह, मुहम्मद ने किया था ६ उम्र की आयेशा को बिबाह। 🤣😆


 7) पौराणिक अनार्यो अद्भुत कहानियों में विश्वास करती हैं जैसे कि उनके ईश्वर सूअर, मछली, कछुए, शेर का रूप लेते हैं। 😆 कृष्ण ने अपने हाथ की उंगलियों से पर्वत को सीधा किया, शिव के लिंग से शुक्राचार्य का जन्म हुआ था।😆 दूसरी ओर, मुस्लिम भी ऐसे कहानी पर विश्वास रखते हैं - मुहम्मद ने किया था चांद को दो टुकड़े 😆 मुहम्मद की रैकेट बरख की कहानी, 7 दिनों में अल्लाह ने किया दुनिया का निर्माण, ज़मज़म के पानी में मुहम्मद के दिल को धोने की कहानी।😆

 7) पौराणिकों और मुसलमानों दोनों ही  ज्ञान, विज्ञान को दुश्मन समझते है।

 7) पौराणिकों तर्क को नही मानते  जैसे कि मुस्लिमों भी तर्क को नही मानते हैं।😅

 9) पौराणिकों के स्वर्ग और नरक के एक स्थान विशेष है।  दूसरी ओर, मुल्लाओं का जन्नत और जहन्नम एक स्थान विशेष है।

 10. पौराणिकों मूर्ति पूजा करते हैं, जबकि मुल्ला भी मूर्तियों (काबा घर, हजरे असवद योनी) की पूजा करते हैं।😆

 11. जैसा कि मुसलमानों भी वेद की निंदा करते है और पौराणिक भी वेद की निंदा करते है। 😡

 12. मुसलमानों चिल्लाकर अल्लाह की पूजा(आजन). करते हैं और  पौराणिक भी चिल्लाकर ढोल, नगाड़े, घंटियाँ बजाकर अपने ईश्वर की पूजा करते हैं।😄

 13. मुल्ला लोग रोजा की समय  उपवास करते हैं, ओर पौराणिकों  मूर्ति पूजा का समय उपवास करते है।😅

 14. कुरान में देखा गया है कि अल्लाह शैतान से भी लड़ता है और दूसरी ओर पौराणिक कथाओं के अनुसार,उकने ईश्वर  भी राक्षसों से लड़ते हैं।😋

 15. पौराणिक लोग तथाकथित भूतों में विश्वास करते हैं, और मुसलमान भी जिन्न पर विश्वास करते हैं।🤣

 16.  पौराणिक ईश्वर पापी के पाप क्षमा करता है, और अल्लाह भी क्षमा करता है।😂

 17. मुसलमान हज करने की मक्का  जाते हैं, और पौराणिकों  गया, काशी, केदारनाथ आदि में जाते हैं तीर्थ करने के लिए ।🤣

 18. अधर्म के समय, अल्लाह पृथ्वी पर एक पैगंबर भेजता है और अधर्म के समय पौराणिक भगवान खुद अवतार लेते है।🤣

 19. पौराणिकों स्वयं को हिंदू कहते हैं, लेकिन यदि हम अपने धर्मग्रंथों को देखें, तो हिंदू शब्द कहीं नहीं पाया जाता है, क्योंकि हमारे धर्मग्रंथों के अनुसार, हमारा नाम 'आर्य' है, मुस्लिम मुगलों द्वारा दिया गया नाम 'हिंदू' है।

अर्थात  मुल्ले का दलाल हिन्दू ही है, ओर आर्य उसको कहते है जो बेदानुकूल शास्त्र को मानते हैं✌️

ব্যভিচারী পুরুষ ও মহিলার জন্য মনুস্মৃতির কঠোর দণ্ড! এই দণ্ড আজ ভারতে থাকলে ধর্ষণ আদি কোনো ব্যভিচার থাকতো না এই বিশ্বে

ব্যভিচারী পুরুষ ও মহিলার জন্য মনুস্মৃতির কঠোর দণ্ড! এই দণ্ড আজ ভারতে থাকলে ধর্ষণ আদি কোনো ব্যভিচার থাকতো না এই বিশ্বে!



আমাদের ভারতে এত পরিমানে ধর্ষণ হচ্ছে শুধু ধর্ষণই নয় ধর্ষণ কে মেরে ফেলা হচ্ছে নৃশংস ভাবে। কিন্তু ভারতের চামার সংবিধানে এর কোনো যথাযথ শাস্তি নেই! ভারতের সংবিধানের মতো বাজে সংবিধান বিশ্বে আর নেই, আজ যদি মহর্ষি মনু মহারাজের তৈরি বেদানুকূল সংবিধান থাকতো তাহলে কোনো প্রকারের ব্যভিচার করার কেউ সাহস পেতো না! কোটি কোটি বছর ধরে এই মনুস্মৃতিই ছিল আমাদের সংবিধান রামায়ণ এবং মহাভারতের সময়েও এই মনুস্মৃতিই ছিল আমাদের সংবিধান। শ্রীরাম বালি কে হত্যা করেছিল মনুস্মৃতিরই আইন অনুযায়ী দেখে নেবেন এই বিষয়ে আমার পোষ্টটি___
শ্রীরামও মনুস্মৃতির আইন কে মেনে চলতেন, জানুন বিস্তারিত


দেখেনিন মনুস্মৃতিতে ব্যভিচারী পুরুষ এবং নারীর বিষয়ে কিরূপ দণ্ডের বিধান আছে_____



পুরুষের ক্ষেত্রে____

মনুস্মৃতি ৮/৩৭২

যে পুরুষ স্ত্রীকে ত্যাগ করে পরস্ত্রী বা বেশ্যাগমন করে, সেই পাপীকে উত্তপ্ত লোহার পালঙ্কে শায়িত করে বহু লোকের সামনে জীবিত জ্বালিয়ে দেওয়া হবে।

আছে এমন আইন আজ শ্রীরাম, শ্রীকৃষ্ণের সেই আর্যবর্ত দেশে ?

এইবার মহিলার ক্ষেত্রে দেখুন____

মনুস্মৃতি ৮/৩৭১

যে স্ত্রী স্বজাতির অহঙ্কারে স্বামীকে ত্যাগ করে পরপুরুষের সাথে ব্যভিচার করে, সেই মহিলাকে বহু লোকের সামনে কুকুর দষ্ট(কুকুরের কামড়ের দ্বারা) করে হত্যা করা হবে।


এমন বিধান যদি ভারতে থাকতো তাহলে কোনো মহিলা বা পুরুষ ব্যভিচার করার সাহস পেতো না! এখন ভারতের এমনই অবস্থা যে এখানে ব্যভিচার করার জন্য আইন তৈরি করা হচ্ছে পরকীয়া, সমকামিতার মতো সুন্দর আইন। এই ভাবে চলতেই থাকলে একসময় এই ভারতেই পর্ণ ফিল্ম করাকেও বৈধ করবে সুপ্রিমকোর্ট আমার ধারনা!




পদার্থ বিদ্যা এবং আধ্যাত্মিক বিদ্যা সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞান না থাকলে কখনোই জীবের মুক্তি হয়না জানুন শাস্ত্র হতে

পদার্থ বিদ্যা এবং আধ্যাত্মিক বিদ্যা সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞান না থাকলে কখনোই জীবের মুক্তি হয়না জানুন শাস্ত্র হতে





আমাদের সমাজে যে সমস্ত যোগী বা মোক্ষ লাভ করা ব্যক্তির নাম শোনেন সেগুলো ১০০% ভণ্ড এইটা নিশ্চিত রূপে খেয়াল রাখবেন। হিন্দু সমাজ ধর্ম সম্পর্কে মহামূর্খ হওয়ার কারণে হিন্দু সমাজে যোগী ব্যক্তি, সিদ্ধি লাভ করা ব্যক্তির শেষ নাই, যে কোনো অশিক্ষিত ব্যক্তিও নিজেকে সিদ্ধিলাভ কারী বলে প্রচার করে এবং নানান বাবা সাজে। কিন্তু আর্যদের কাছে এদের কোনো ছাড় নেই হিন্দু সমাজ যদি আর্যসমাজ কে সহযোগীতা করে তাহলে ভারত বা বাংলাদেশের সমস্ত ভণ্ড বাবাদের জেলে ঢোকাবে! এমন কয়েকটি বাবা এখন ভারতের জেলে আছে! যে ভণ্ডরা ফিজিক্স সম্পর্কে কিছুই জানেনা, যারা ভূত, পরমাণু, অনু, রশ্মি, আলোককণা, মহতত্ব, অহংকার আদি  নানান পদার্থ কিরূপ ভাবে কাজ করে তা সম্পর্কে কিছুই জানেনা, এই সমস্ত পদার্থ কে পরমাত্মা কিভাবে বানিয়েছে সেই সম্পর্কে কিছুই জানেনা সেই সমস্ত মহামূর্খ প্রাণীরা আজ হিন্দু সমাজে নিজেকে যোগী মনে করে, নিজেকে মোক্ষ লাভকারী ব্যক্তি মনে, আর আমাদের গান্ডু হিন্দু সমাজ তাদের কাছে গিয়ে বহু স্বঅর্থ ধ্বংস করে। এই বিষয়টি সকলে জেনে নিন যে ব্যক্তি ভৌতিক বিদ্যা অর্থাৎ পদার্থ বিদ্যা অর্থাৎ অপরা বিদ্যা সম্পর্কে কিছুই ঠিক ভাবে জানেনা তিনি কখনোই আধ্যাত্মিক বিদ্যা অর্থাৎ পরা বিদ্যাকে জানতে পারবে না যথাযথ ভাবে! পরমাত্মা কে জানতে গেলে আগে জানতে হবে পরমাত্মা করা সৃষ্টি সম্পর্কে, পরমাত্মা সৃষ্টি হলো এই জগৎ, এই জগৎ তৈরি নানান পদার্থ দ্বারা আর এই সমস্ত স্থূল বা সূক্ষ্ম পদার্থ তৈরি হয়েছে মূল উপাদান কারণ প্রকৃতি। তাই পরমাত্মা সৃষ্টি বিদ্যা সম্পর্কে না জানতে পরমাত্মা কর্ম স্বভাব গুণ সম্পর্কে সঠিক ভাবে জানা সম্ভব নয়! এর একটি সামান্য উদাহরণ মহর্ষি ব্যাস দিয়েছে ব্রহ্মসূত্রে___

ব্রহ্মসূত্র ১/১/১ -অথাতো ব্রহ্মজিজ্ঞাসা = এখন ব্রহ্ম কে জানার ইচ্ছা করি।

অর্থাৎ এখানে ব্রহ্ম কে জানার কথা বলছে সেই ব্রহ্ম কে বা কেমন, এখন পরের ২য় সূত্রে মহর্ষি ব্যাস লিখেছে______

ব্রহ্মসূত্র ১/১/২ -জন্মাদ্যস্য য়তঃ= এই সমস্ত সংসারের জন্ম, স্থিতি তথা প্রলয় যার দ্বারা হয়, তিনিই ব্রহ্ম।


পরমাত্মা কে জানার প্রথম পথই হল তার কার্যরূপ সৃষ্টিকে জানা, আর এই সৃষ্টি কে জানলেই পরমাত্মাকে জানা যায়, অর্থাৎ এইটাই বলা যায় যে শুধু মাত্র আধ্যাত্মিক বিদ্যা দ্বারা মুক্তি লাভ হবে আর না শুধু মাত্র পদার্থ বিদ্যা দ্বারা মুক্তি লাভ হয়, এই দুই বিদ্যা সম্পর্কে যখন মনুষ্যের যথাযথ জ্ঞান হবে একমাত্র তখনই জীবাত্মার মুক্তি হবে। আমাদের হিন্দু সমাজে তো কথিত আধ্যাত্মিক গুরুর শেষ নেই শত শত গুরু(গরু) তাদের জ্ঞান শুনে আমাদের আবাল হিন্দুরা বিশাল প্রশংসিত হয়, আর হবারই কথা কারণ কুয়ার ব্যাং কুয়া কেই জগৎ ভাবে আর কুয়ার সবচেয়ে বড়ো ব্যাং কে শ্রেষ্ঠ মনে করে ঠিক এমনই অবস্থা হিন্দুদের, এই ভারত বা বাংলাদেশের যত কথিত সিদ্ধ পুরুষ বা যোগী আছে তাদের গিয়ে যদি সাধারণ একটি প্রশ্ন করা হয় যে অনু বা মলিকিউল কিভাবে কাজ করে, কিভাবে সৃষ্টি হয় এবং কিভাবে ধ্বংস হয় ? এই একটি সামান্য প্রশ্ন করলে এদের উত্তর দেওয়ার ক্ষমতা নাই কারণ তারা সকলেই মহাভণ্ড কিন্তু নিজেকে আবার মহাযোগী পুরুষ এবং সিদ্ধ পুরুষ মনে করে! যারা পরমাত্মাকে প্রাপ্ত হয় তার কাছে কিছু বিদ্যাই জানার বাকি থাকেনা। আমাদের সকল ধর্ম অজ্ঞ হিন্দু ভাইদের উচিত এই সমস্ত নানান কথিত যোগী এবং সিদ্ধ পুরুষদের হতে দূরে থাকুন, এরা ধর্মের নামে ব্যবসা ছাড়া কিছুই জানেনা, বৈদিক শাস্ত্র কে জানার চেষ্টা করুন, বিচার করে কর্ম করুন, অন্ধবিশ্বাস কে বাদ দিন, যারা বিচার করে কর্ম করে তাদেরই মানুষ বলা হয়েছে শাস্ত্রে ,নিরুক্ত ৩/৭।




নমস্তে ।।





দেখুন মহর্ষি মনু মহারাজ মনুস্মৃতিতে ৪ বর্ণের করা কোনো পাপের শাস্তির কিরূপ বিধান করেছে, মনুস্মৃতি যে যারা শুদ্র বিরোধী বলে তারা যেন অবস্যই দেখে এই লিখা

দেখুন মহর্ষি মনু মহারাজ মনুস্মৃতিতে ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য এবং শুদ্রের করা কোনো পাপ কর্মের জন্য শাস্তির বিধান করেছে, মনুস্মৃতি যে যারা শুদ্র বিরোধী বলে তারা যেন অবস্যই দেখে এই লিখা




সকলে এইটি অবশ্যই জানে যে ডক্টর আম্বেদকর মনুস্মৃতিকে জ্বালিয়ে দিয়েছিল! যা খুবই দুঃখজনক, অনেকেই বলতে পারে যে আম্বেদকর মোল্লার দালাল ছিল বলেই হিন্দুদের ধর্মগ্রন্থ জ্বালিয়ে দিয়েছিল। এই ভাবনা যদি কেউ ভেবে থাকে তাহলে তার ভাবনা ভুল,   আম্বেদকরের জন্ম শুদ্র বর্ণের ঘরে ছোটো বেলায় তার ওপর অনেক অত্যাচার হয়েছে শুদ্র শুদ্র হওয়ার কারণে আর এই অত্যাচার করেছে পুতুল পূজারী নামধারী ব্রাহ্মণরা। আমি এদের নামধারী ব্রাহ্মণ এজন্যই বললাম যে ব্রাহ্মণ তাকেই বলে যিনি ব্রহ্মজ্ঞানী(বেদজ্ঞ) আর এই প্রকৃত ব্রাহ্মণ কখনোই শুদ্রদের ওপর অত্যাচার করবেনা, যিনি বেদ কে জেনেছে তিনি প্রতিটি জীব কে সমান চোখে দেখেছে। মহর্ষি দয়ানন্দই আধুনিকে এই প্রকার ব্যক্তি যিনি দলিত বা শুদ্রদের বুকে জড়িয়ে নিয়েছিল এবং তাদের আর্য বলে ডেকেছিল। মধ্যকালে শুদ্রদের ওপর যারা অত্যাচার করেছে তারা সবাই এই নামধারী মূর্তি পূজারী ব্রাহ্মণ! আম্বেদকর বড়ো হয়ে মনুস্মৃতিকে পড়েছিল মোটামুটি ভাবে আর মনুস্মৃতির ওপর তার খুবই রাগ ছিল কারণ মনুস্মৃতির মধ্যে বহু শ্লোক আছে যেখানে নারীদের ঘৃণা, শুদ্রদের ঘৃণা করা আদি নানান বিধান আছে । এগুলো দেখেই আম্বেদকর মনুস্মৃতি জ্বালিয়েছিল, এখন অবশ্যই প্রশ্ন    এক প্রশ্ন জাগতে পারে যে মনুস্মৃতি কি পূর্বেও এমন ছিল ? মনুস্মৃতি পূর্বে কখনোই এমন ছিলোনা, মহর্ষি দয়ানন্দ জী সর্বপ্রথম বলেছেন যে মনুস্মৃতি প্রক্ষিপ্ত অর্থাৎ মনুস্মৃতির মধ্যে অনেক শ্লোক ঢোকানো হয়েছে যা পুরোই বেদ বিরোধী, এবং দয়ানন্দ জী এই বেদ বিরোধী শ্লোক গুলোকে বাদ দিতে বলেছে। আমাদের আর্যসমাজের বিদ্বান ডক্টর সুরেন্দ্রকুমার মনুস্মৃতি নিয়ে গবেষণা করার পর তিনি মনুস্মৃতি থেকে বেদানুকূল শ্লোক ১২১৪ টি পেয়েছে এবং বেদ বিরোধী প্রক্ষিপ্ত শ্লোক ১৪৭১ টি পেয়েছে, মনুস্মৃতি মোট শ্লোক ২৬৮৫ টি অর্থাৎ বেশির ভাগ শ্লোকই প্রক্ষিপ্ত। আপনারা কেউ যদি মনুস্মৃতি সম্পূৰ্ণ ভাবে পড়েন কিনা তাহলে স্পষ্ট ভাবে বুঝতে পারবেন যে মনুস্মৃতিতে ১২১৪ শ্লোকের সাথে ১৪৭১ শ্লোক পুরোই স্ববিরোধী, ইহার দ্বারা স্পষ্ট বোঝা যায় যে মনুস্মৃতির মধ্যে এই বেদ বিরোধী শ্লোক গুলো ঢুকানো হয়েছে আর এই শ্লোক গুলোতে আছে মাংস খাওয়া, পশুবলি, শুদ্রদের ঘৃণা করা, নারীদের ঘৃণা করা এবং কিছু অশ্লীলতা আর অপর বেদানুকূল শ্লোক গুলোতে নারীদের এবং পুরুষ কে সম সম্মান, শুদ্রদের কোনো প্রকারের ঘৃণা করে হয়নি, জীব হত্যাকারীকে মহাপাপি বলেছে, গুণ ও কর্ম অনুযায়ী ৪ বর্ণ হয় জন্ম অনুযায়ী নয় আদি নানান বেদানুকূল বিষয়।  স্বার্থবাদী নামধারী ব্রাহ্মণরা নিজেদের ভালোর জন্য এই শ্লোক গুলো ঢুকিয়েছিল। মহর্ষি দয়ানন্দের অনুসারে মহর্ষি মনু মহারাজ ছিল জগতের প্রথম রাজা এবং তিনি মনুস্মৃতি রচনা করেছিলেন মানব জাতির জন্য, এই মনুস্মৃতির আইন রামায়ণের সময়েও, মহাভারতের সময়েও ছিল, কোটি কোটি বছর ধরে এই মনুস্মৃতিই ছিল আমাদের সংবিধান, এখন হিন্দু সমাজ মনুস্মৃতিকে গুরুত্ব না দিলেও আমাদের(আর্য) সংবিধান কিন্তু এই মনুস্মৃতিই। আসুন এইবার আসল বিষয়টি দেখি যে মনু মহারাজ ৪ বর্ণের কোনো পাপের জন্য কিরূপ শাস্তির বিধান করেছে মনুস্মৃতিতে, আসুন দেখি_______



মনুস্মৃতি ৮ অধ্যায়, ৩৩৭-৩৩৮ শ্লোক


এখানে বলা হয়েছে যে- কোনো শুদ্র যদি নিজের কিঞ্চিৎ বিবেক দ্বারা চুরি করে তাহলে তাকে আট গুণ শাস্তি দেওয়া হবে, এই একই চুরি যদি কোনো বৈশ্য করে তাহলে তাকে ষোলো গুণ শাস্তি বেশি দেওয়া হবে, এই একই চুরি যদি কোনো ক্ষত্রিয় করে তাহলে তাকে বত্রিশ গুণ শাস্তি বেশি দেওয়া হবে, আবার এই একই চুরি যদি কোনো ব্রাহ্মণ করে তাহলে তাকে চৌষট্টি গুণ অথবা একশ গুণ অথবা একশ আঠাশ গুণ শাস্তি বেশি দেওয়া হবে। অর্থাৎ এর তাৎপর্য এই যে শুদ্ররা (যারা শাস্ত্রীয় কোনো জ্ঞান রাখেনা, এবং সকল বর্ণের সেবা করে) মূর্খ হয় কাজেই তাদের জ্ঞান কম হয় সে ভুল কাজ করে ফেলে অজ্ঞানতায় যার তাই শুদ্র যদি চুরি করে তাহলে তাকে শাস্তি ৪ গুণ দেওয়া হবে। শুদ্রদের থেকে একটু বেশি জ্ঞানী হয় বৈশ্য (যারা ব্যাবসা-বাণিজ্য, কৃষিকাজ আদি করে) তাই বৈশ্য কে ৮ গুণ বেশি শাস্তি দেওয়া হবে, আর বৈশ্যের চেয়ে ক্ষত্রিয় বেশি জ্ঞানী হয়, কারণ ক্ষত্রিয়ের কাজ হলো দেশ কে শাসন করা, দেশ কে রক্ষা করে তো এই ক্ষত্রিয়ই যদি চুরি করে তাহলে তো দেশের পতন ঘটবে কাজেই ক্ষত্রিয় কে ৩২ গুণ শাস্তি দেওয়া হবে। আর ব্রাহ্মণ হলো সর্বশ্রেষ্ঠ জ্ঞানী যিনি বেদজ্ঞ হয়, তো যিনি সকল বৰ্ণকে শিক্ষা দেয় যিনি ধর্মকে সম্পূর্ণ রূপে জানে সেই ব্রাহ্মণই যদি চুরি করে তাহলে ৬৪ গুণ বা ১০০ গুণ বা ১২৮ গুণ শাস্তি দেওয়া হবে।

যে মনুস্মৃতিতে এমন বিধান আছে সেই মনুস্মৃতিকে আজ ভারতের বহু সম্প্রদায় শুদ্র বা দলিত বিরোধী বলেই চেনে! যারা মনু বিরোধী তাদের চোখে এই সমস্ত শ্লোক গুলো  পড়েনা, কারণ তাদের কাজই হলো অপপ্রচার করা। আজ যদি এই মনুস্মৃতিই আমাদের সংবিধান হতো তাহলে এতো জাতিভেদ হিন্দু সমাজে কখনোই থাকতো না। 




নমস্তে

কুরআন কি আল্লাহর সৃষ্টি ? আসুন জানি



মালকুরআন






■ কোরআন কী আল্লাহর সৃষ্টি?

  • ইসলামের প্রথম যুগের বেশ পরে তৎকালীন আলেমদের মধ্যে একটি প্রশ্ন খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে যে, কোরআন কি অনাদি অনন্ত, নাকি আল্লাহ পাকের সৃষ্ট? মু‘তাযিলী দার্শনিকগণ কোরআন মজীদকে আল্লাহর সৃষ্ট বলে দাবী করেন এবং অদৃষ্টবাদী (জাবারী) আলেমগণ কোরআনকে অনাদি বলে দাবী করেন। এ বিষয়টিকে কেন্দ্র করে এক পক্ষ আরেক পক্ষকে কাফের ও মুরতাদ এবং হত্যাযোগ্য বলে ফতোয়া দিতে শুরু করে। পরবর্তীতে আব্বাসীয় খিলাফতে শাসকরা বহু আলেমকে এই দ্বন্দ্বে হত্যা করে। বর্তমানে শিয়া-সুন্নী নির্বিশেষে মুসলমানদের মধ্যে মোটামুটিভাবে এ ধারণা বিরাজ করে যে, যেহেতু আল্লাহ্ তা‘আলা ছাড়া আর কোনো কিছুই অনাদি নয়, সুতরাং কোরআন মজীদও অনাদি নয়, তথা আল্লাহ্ কর্তৃক সৃষ্ট। কিন্তু পরবর্তীকালে ইবনে তাইমীয়াহ্ ও ‘আবদুল ওয়াহ্হাব্ নজদীর মাধ্যমে ইসলামে যে গোঁড়া ইফরাত্বী ধারা গড়ে ওঠে তারা এ বিষয়টিকে নতুন করে গুরুত্ব প্রদান করে এবং যারা কোরআনকে অনাদি বলে স্বীকার করে না তাদেরকে কাফের বলে অভিহিত করে।
‘কোরআন আল্লাহর সৃষ্টি নয়’- এই বিষয়ে বেশ কিছু বিখ্যাত ইসলামিক আলেমের মতামত পাওয়া যায়, সেগুলো হচ্ছে,
ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রা. বলেন,
“কোরআন আল্লাহ কালাম (বাণী); মাখলুক বা সৃষ্ট নয়। যে ব্যক্তি মনে করে যে, কোরআন আল্লাহর মাখলুক (সৃষ্ট) সে জাহমী-কাফির। আর যে ব্যক্তি কোরআন আল্লাহর কালাম বলে চুপ থাকে- মাখলুক না কি মাখলুক নয় সে ব্যাপারে কোন মন্তব্য করে না-সে ১ম ব্যক্তির থেকেও নিকৃষ্ট।
ইমাম ইবনে আব্দুল ইয আল হানাফি (তাহাবীয়া গ্রন্থের ভাষ্যকার), বলেন:
“চার মাযহাব সহ পূর্বসূরি ও পরবর্তী মনিষীদের সকলেই একমত যে, আল্লাহর কালাম মাখলুক নয়।
ইমাম ইবনে তাইয়িমা রাহ .এর ব্যাপারে অত্যন্ত দৃঢ়তা সূলভ বক্তব্য আছে। তিনি ‘কোরআন আল্লাহর সৃষ্টি’ মতবাদে বিশ্বাসীদেরকে অত্যন্ত শক্তিশালীভাবে জবাব দিয়েছেন।
শায়খ হাফেয আল হাকামী রহ. বলেন:
“কোরআন প্রকৃত অর্থেই আল্লাহর কালাম বা বাণী। অক্ষর-সমূহ এবং তার অর্থ উভয়ই আল্লাহর পক্ষ থেকে এসেছে। এ নয় যে, আল্লাহর কালাম বলতে শুধু কুরআনের শব্দগুলোকে বুযায়। এমনিভাবে শব্দ ছাড়া শুধু অর্থগুলোর নাম আল্লাহর কালাম নয়। আল্লাহ তা’আলা কুরআনের মাধ্যমে কথা বলেছেন এবং তাঁর নবির উপর অহি আকারে তা নাযিল করেছেন। মুমিনগণ তা বিশ্বাস করেছে।
সুতরাং আঙ্গুলের মাধ্যমে কোরআন লিখা, জবানের মাধ্যমে তা তেলাওয়াত করা, অন্তরের মাধ্যমে তা মুখস্থ করা, কান দিয়ে শুনা এবং চোখ দিয়ে দেখলেই তা আল্লাহর কালাম থেকে বের হয়ে যায় না। আঙ্গুল, কালি, কলম এবং কাগজ এগুলোর সবই আল্লাহর সৃষ্টি । কিন্তু এ সব দিয়ে যা লেখা হয়েছে তা সৃষ্টি নয়। ঠিক তেমনি জবান এবং আওয়াজ আল্লাহর সৃষ্টি। কিন্তু জবান দিয়ে তা তেলাওয়াত করা হচ্ছে তা মাখলুক তথা সৃষ্টি নয়। বক্ষসুমহ আল্লাহর সৃষ্টি, কিন্তু তাতে যে কোরআন সংরক্ষিত আছে, তা মাখলুক নয়। কান-সমূহ আল্লাহর সৃষ্টি কিন্তু কান দিয়ে কোরআন আমরা শুনছি, তা মাখলুক নয়।
অধিকাংশ ইসলামিক আলেমের মত হচ্ছে, কোরআন হচ্ছে আল্লাহর কালাম। তা আল্লাহর পক্ষ থেকে এসেছে। আল্লাহর কাছে তা পুনরায় ফেরত যাবে। আল্লাহর কালাম তাঁর সিফাত বা গুণাগুন বা বৈশিষ্ট্যের অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং যে বলবে আল্লাহর কোন সিফত বা গুণ হচ্ছে সৃষ্টি বা মাখলুক, সে কাফের ও মুরতাদ। তাকে পুনরায় ইসলামে ফেরত আসতে বলা হবে। ফিরে আসলে তো ভাল, অন্যথায় তাকে কাফের হিসেবে হত্যা করা হবে। এই বিষয়ে আরো জানার জন্য [ তথ্যসূত্র ২,৩ ] পড়ুন। উল্লেখ্য, এই অংশে উল্লেখিত তিনটি রেফারেন্স একটি ইসলামিক ওয়েবসাইট থেকে যাচাই করা ছাড়া নেয়া হয়েছে।

■ কোরআন কী সরাসরি আল্লাহর বাণী?

বেশিরভাগ মুসলমানই এই কথা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে, কোরআনের প্রতিটি বাক্য হচ্ছে সরাসরি আল্লাহর মুখ থেকে মানুষের জন্য সুনির্দিষ্ট বাণী বা নির্দেশনা কিংবা বলা যেতে পারে জীবন বিধান। কোরআনেই বলা আছে,
এবং এটা কোন কবির কালাম নয়; তোমরা কমই বিশ্বাস কর।
এবং এটা কোন অতীন্দ্রিয়বাদীর কথা নয়; তোমরা কমই অনুধাবন কর।
এটা বিশ্বপালনকর্তার কাছ থেকে অবতীর্ণ
সে যদি আমার নামে কোন কথা রচনা করত,
তবে আমি তার দক্ষিণ হস্ত ধরে ফেলতাম,
অতঃপর কেটে দিতাম তার গ্রীবা।
তোমাদের কেউ তাকে রক্ষা করতে পারতে না।
কোরআন ৬৯ আয়াত ৪১ – ৪৭
ধরে নিচ্ছি কোরআন আল্লাহর সরাসরি বানী, এবং তা সৃষ্টির আদিকাল থেকে লাওহে মাহফুজে লিখিতভাবে সংরক্ষিত ছিল। এরপরে নবী মুহাম্মদ নবুয়ত লাভ করেন, জিব্রাইলের মাধ্যমে আল্লাহ সেই পবিত্র কেতাবে আল্লাহ পাক যা বলেছিলেন তা মুহাম্মদের কাছে প্রেরণ করেন। এসব ধরে নিলে বোঝা যাচ্ছে, কোরআনের মূল বক্তা আল্লাহ পাক, এবং নবী মুহাম্মদের ওপর তা নাজিল হয়েছে মাত্র। জিব্রাইল ছিলেন বাহক মাত্র, মুহাম্মদ ছিলেন মেসেজঞ্জার নবী/রাসুল। জিব্রাইল এবং মুহাম্মদের দায়িত্ব ছিল, আল্লাহ পাক যা সরাসরি বলেছেন, হুবুহু সেইসব আমাদের কাছে পৌঁছে দেয়া। নিজেরা সেই কথাগুলোর মধ্যে কোন বক্তব্য না ঢোকানো বা কোন কথার সামান্যতম কোন পরিবর্তন না করা। কিন্তু কোরআনে এই ধারাটি ঠিক রাখা হয় নি। কোথাও আল্লাহ বলছেন, কোথাও নবী বলছেন, আবার কোথাও মনে হচ্ছে এগুলো জিব্রাইলের বক্তব্য, আবার কোথাও আল্লাহর বান্দারা আল্লাহকে উদ্দেশ্য করে বলছেন। এরকম অসংখ্য সূরা পাওয়া যায়, সেখানে এক এক সময় বক্তা এক এক রকম। সব যে আল্লাহর সরাসরি বক্তব্য না, তার অসংখ্য প্রমাণ আছে। যেমন ধরুন, নিচের সূরাটি। এই সূরাটি কী কোন অবস্থাতেই আল্লাহর বক্তব্য বলে মেনে নেয়া যায়? তাহলে আল্লাহ কোন আল্লাহর কাছে সাহায্য চাচ্ছে? স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে, বক্তব্যগুলো অন্য কারো, সরাসরি আল্লাহর বক্তব্য হতেই পারে না।
  • পরম করুণাময়, অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে (শুরু করছি)।
  • আল্লাহরই জন্য সমস্ত প্রশংসা, যিনি বিশ্বজগতের রাব্ব।
  • যিনি পরম দয়ালু, অতিশয় করুণাময়।
  • যিনি বিচার দিনের মালিক।
  • আমরা আপনারই ইবাদাত করছি এবং আপনারই নিকট সাহায্য চাচ্ছি।
  • আমাদেরকে সরল সঠিক পথ প্রদর্শন করুন।
  • তাদের পথ, যাদের আপনি অনুগ্রহ করেছেন। তাদের পথে নয়, যাদের প্রতি আপনার গযব বর্ষিত হয়েছে, তাদের পথও নয় যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে। ( সূরা ফাতিহা )
যেমন ধরুন, করিম বলছে তার ছেলেকে রহিমকেঃ
হে রহিম, বেশি করে পুষ্টিকর খাবার খাও, যা তোমার শরীরের জন্য ভাল।
অথবাঃ
হে রহিম, বেশি করে পুষ্টিকর খাবার খাও, যা আমি তোমার জন্য নিয়ে আসি। নিশ্চয়ই আমি উত্তম খাবার বাজার থেকে কিনে আনি।
কিন্তু এই কথা পিতা করিম তার ছেলে রহিমকে কখনই বলবে না, এরকম কেউ বললে কথাগুলো তার ছেলে রহিমের বক্তব্য বলেই বোঝা যাবেঃ
  • শুরু করছি বাজার থেকে উত্তম খাবার নিয়ে আসা পিতা করিমের নামে
  • সম্মানীত পিতা করিমই উত্তম খাবার বাজার করে আনেন
  • যিনি অত্যন্ত দয়ালু, খুবই উদার
  • বাজারের তাজা সবজি আর মাছ উনিই সবচেয়ে ভাল চেনেন
  • আমরা আপনার কাছ থেকেই স্কুল টিফিনের টাকা পাই
  • আমরা আপনার কাছ থেকেই স্কুলের বেতনের টাকা চাই
  • হে পিতা, আমাদেরকে বিকাল বেলা ফুটবল খেলতে দিন
  • আর যারা আপনার খাবার খেয়ে আপনার তোষামোদি করে না,
  • আপনার মাথা আর পিঠ টিপে দেয় না,
  • তাদের ওপর গযব নাজিল করুন
আবার যেমন নিচের সূরাটি লক্ষ্য করি।
  • হে মানবসমাজ, তোমরা তোমাদের পালনকর্তাকে ভয় কর, যিনি তোমাকে এক ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছেন ও যিনি তার থেকে তার সঙ্গিনীকে সৃষ্টি করেছেন। [ কোরআন ৪ঃ১ ]
  • যে কেউ আল্লাহ ও রাসুলের অবাধ্যতা করে ও তার সীমা অতিক্রম করে তিনি তাকে আগুনে প্রবেশ করাবেন । [ কোরআন ৪ঃ১৪ ]
  • আর তোমরা আকাংক্ষা করো না এমন বিষয়ে যাতে আল্লাহ তায়ালা তোমাদের একের ওপর অন্যের শ্রেষ্টত্ব দান করেছেন। পুরুষ যা অর্জন করে সেটা তার অংশ, নারী যা অর্জন করে সেটা তার অংশ। আর আল্লাহর কাছে অনুগ্রহ প্রার্থনা কর। নিশ্চয়ই আল্লাহতায়ালা সর্ব বিষয়ে জ্ঞাত। [ কোরআন ৪ঃ৩২ ]
উপরের সূরার আয়াতগুলো পড়ে স্পষ্টই মনে হচ্ছে, কথাগুলো সরাসরি আল্লাহ পাকের কথা নয়। মুহাম্মদের কথা, জিব্রাইল কিংবা অন্য কারো। কোরআনের প্রতিটি শব্দ যদি আল্লাহ পাকেরই বক্তব্য হয়ে থাকে, তাহলে এই সূরাগুলো হওয়ার কথা নিম্নরূপঃ
  • হে মানবসমাজ, তোমরা তোমাদের পালনকর্তা অর্থাৎ আমাকে ভয় কর, আমি তোমাদেরকে এক ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছি ও আমি তার থেকে তার সঙ্গিনীকে সৃষ্টি করেছি
  • যে কেউ আমার এবং আমার রাসুলের অবাধ্যতা করে ও তার সীমা অতিক্রম করে, আমি তাকে আগুনে প্রবেশ করাবো
  • আর তোমরা আকাংক্ষা করো না এমন বিষয়ে যাতে আমি তোমাদের একের ওপর অন্যের শ্রেষ্টত্ব দান করেছি। পুরুষ যা অর্জন করে সেটা তার অংশ, নারী যা অর্জন করে সেটা তার অংশ। আর আমার কাছে অনুগ্রহ প্রার্থনা কর। নিশ্চয়ই আমি সর্ব বিষয়ে জ্ঞাত।
তাহলে, এই সূরাগুলোর এইসব বক্তব্য কী আল্লাহ নিজ মুখে বলেছেন? নাকি আল্লাহ বলেছেন একভাবে, জিব্রাইল বলেছে আরেকভাবে, আর মুহাম্মদ লিখেছে আরেকভাবে? মানে, ব্যক্তি ভেদে বক্তব্যের কী পরিবর্তিত হয়েছে? সরাসরি আল্লাহর বানী হলে তো অন্যরকম হওয়া উচিত ছিল।
অনেক মুসলিমই বলবেন, এগুলো আল্লাহ পাক বলে আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন, কীভাবে আল্লাহর কাছে প্রার্থণা করতে হয়। তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে, এই সূরাটিও কী আল্লাহর মুখের বাণী?
তিনি তাদেরকে জান্নাতে দাখিল করবেন, যার তলদেশে নদী প্রবাহিত। তারা তথায় চিরকাল থাকবে। আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট এবং তারা আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট। তারাই আল্লাহর দল। জেনে রাখ, আল্লাহর দলই সফলকাম হবে।
কোরআন ৫৮ঃ২২
এরকম অসংখ্য সূরা আছে, যেখানে মূল বক্তা আল্লাহ ছাড়া অন্য কেউ বলেই বোঝা যায়। তাহলে বোঝা যাচ্ছে, আল্লাহ মুহাম্মদের কাছে সূরাটি একভাবে পাঠিয়েছিলেন, আর মুহাম্মদ সূরাটি নিজের মত করে বলেছেন। আল্লাহ আসলে বলেছিলেন,
আমি তাদেরকে জান্নাতে দাখিল করবো, যার তলদেশে নদী প্রবাহিত। তারা তথায় চিরকাল থাকবে। আমি(আল্লাহ) তাদের প্রতি সন্তুষ্ট এবং তারা আমার (আল্লাহর) প্রতি সন্তুষ্ট। তারাই আমার (আল্লাহর) দল। জেনে রাখ, আমার (আল্লাহর) দলই সফলকাম হবে।
এই বক্তব্যটি জিব্রাইলকে বলা হয়েছিল, যেখানে জিব্রাইল কথাটি শুনে মুহাম্মদকে বলেছেন, মুহাম্মদ মুসলিমদের বলেছেন। যার কারণে বাচ্য পরিবর্তিত হয়ে গেছে।
যেমন ধরুন, আল্লাহ বলছেঃ “আমি সর্বশক্তিমান। আমি সব করতে সক্ষম।” এই কথাটি জিব্রাইল শুনলো। এবং তিনি মুহাম্মদকে বললেন, “আল্লাহ বলেছেন যে, তিনি সর্বশক্তিমান। তিনি সব করতে সক্ষম।” মুহাম্মদ কথাটি শুনলো। এবং তিনি মুসলিমদের বললেন যে, আল্লাহর কাছ থেকে ওহী আসলো যে, আল্লাহ জানিয়েছেন, “আল্লাহ সর্বশক্তিমান। তিনি সব করতে সক্ষম। ”
লক্ষ্য করে দেখুন, একই বক্তব্য, তিনজনার কাছে এসে বক্তব্যগুলোর কিছু পরিবর্তন ঘটে গেল। তাহলে, কোরআনে মুহাম্মদ বা জিব্রাইল বা বান্দাদের যেসকল বক্তব্য পাওয়া যায়, সেগুলো তো আল্লাহর সরাসরি বক্তব্য হতে পারে না। আল্লাহ তো কথাগুলো সেভাবে বলবেন না।
আবার ধরুন, নিচের আয়াতটি লক্ষ্য করুনঃ
তিনিই আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেছেন অতঃপর আমি এর দ্বারা সর্বপ্রকার উদ্ভিদ উৎপন্ন করেছি, অতঃপর আমি এ থেকে সবুজ ফসল নির্গত করেছি, যা থেকে যুগ্ম বীজ উৎপন্ন করি। খেজুরের কাঁদি থেকে গুচ্ছ বের করি, যা নুয়ে থাকে এবং আঙ্গুরের বাগান, যয়তুন, আনার পরস্পর সাদৃশ্যযুক্ত এবং সাদৃশ্যহীন। বিভিন্ন গাছের ফলের প্রতি লক্ষ্য কর যখন সেুগুলো ফলন্ত হয় এবং তার পরিপক্কতার প্রতি লক্ষ্য কর। নিশ্চয় এ গুলোতে নিদর্শন রয়েছে ঈমানদারদের জন্যে।
কোরআন ৬ঃ৯৯
এবারে ভেবে বলুন তো, উপরের আয়াতে তিনিই কে এবং আমি কে? একই বাক্যের মধ্যে যদি তিনি এবং আমি ব্যবহৃত হয়, তা কী একই জনকে উদ্দেশ্য করে বলা হতে পারে?
আরো দেখুনঃ
তিনিই তোমাদের জন্য নক্ষত্রপুঞ্জ সৃজন করেছেন যাতে তোমরা স্থল ও জলের অন্ধকারে পথ প্রাপ্ত হও। নিশ্চয় যারা জ্ঞানী তাদের জন্যে আমি নির্দেশনাবলী বিস্তারিত বর্ণনা করে দিয়েছি।
কোরআন ৬ঃ৯৭
তিনিই তোমাদের কে এক ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছেন। অনন্তর একটি হচ্ছে তোমাদের স্থায়ী ঠিকানা ও একটি হচ্ছে গচ্ছিত স্থল। নিশ্চয় আমি প্রমাণাদি বিস্তারিত ভাবে বর্ণনা করে দিয়েছি তাদের জন্যে, যারা চিন্তা করে।
কোরআন ৬ঃ৯৮
লক্ষ্য করুন, একই আয়াতে একবার বলা হচ্ছে তিনি, আবার বলা হচ্ছে আমি। এই আয়াতটির মূল বক্তা কে? আল্লাহ, নবী, জিব্রাইল না বান্দা?
আবার ধরুন, নিচের আয়াতটি যদি পর্যালোচনা করিঃ
আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যাতীত কোন কাজের ভার দেন না, সে তাই পায় যা সে উপার্জন করে এবং তাই তার উপর বর্তায় যা সে করে। হে আমাদের পালনকর্তা, যদি আমরা ভুলে যাই কিংবা ভুল করি, তবে আমাদেরকে অপরাধী করো না। হে আমাদের পালনকর্তা! এবং আমাদের উপর এমন দায়িত্ব অর্পণ করো না, যেমন আমাদের পূর্ববর্তীদের উপর অর্পণ করেছ, হে আমাদের প্রভূ! এবং আমাদের দ্বারা ঐ বোঝা বহন করিও না, যা বহন করার শক্তি আমাদের নাই। আমাদের পাপ মোচন কর। আমাদেরকে ক্ষমা কর এবং আমাদের প্রতি দয়া কর। তুমিই আমাদের প্রভু। সুতরাং কাফের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদের কে সাহায্যে কর।
কোরআন ২ঃ ২৮৬
উপরের সূরার আয়াতটি কার বক্তব্য? প্রথম লাইনটি আল্লাহ বা নবী বা জিব্রাইলের বক্তব্য হতে পারে। কিন্তু পরের লাইনগুলো তো পরিষ্কারভাবেই মানুষের বক্তব্য। কোন মানুষের প্রার্থণা, বা প্রত্যাশা। মানুষের কথাবার্তা কোরআনে আল্লাহর বানী হিসেবে প্রচারিত হচ্ছে কীভাবে? তাছাড়া, আল্লাহ শুরুর লাইনে যেখানে বলেই দিচ্ছেন, আল্লাহ সাধ্যাতীত কাজের ভার কারো ওপর চাপান না, পরের লাইনে আবার বলা হচ্ছে, আমাদের ওপর এমন ভার চাপিও না যা বহন করার শক্তি আমাদের নেই। পূর্ববর্তীদের ওপর যা চালিয়েছো! আয়াতটির মধ্যে প্রবল স্ববিরোধীতা লক্ষ্য করছেন?
এরকম ভাষাগত এবং ব্যাকরণগত আরো অসংখ্য সমস্যা পাওয়া যায়, যার তালিকা আমরা ভবিষ্যতে প্রস্তুত করবো বলে আশা রাখি। আপাতত অন্যান্য বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করছি।