This is default featured slide 1 title
Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.
This is default featured slide 2 title
Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.
This is default featured slide 3 title
Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.
This is default featured slide 4 title
Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.
This is default featured slide 5 title
Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.
মহাত্মা বুদ্ধ কি সনাতন ধর্ম বিরোধী ছিলেন ?
ব্রহ্মচারী ও ব্রহ্মচারিণীদের গুণ কর্ম স্বভাব
ব্রহ্মচারী ও ব্রহ্মচারিণীদের গুণ-কর্ম-স্বভাব
আমাদের বৈদিক শাস্ত্রে যে ৪ টি আশ্রম রয়েছে তার মধ্যে প্রথমটিই হলো ব্রহ্মচর্য তারপর গৃহস্থ, বানপ্রস্থ ও সন্ন্যাস। প্রতিটি আশ্রমই নিজ নিজ জায়গায় শ্রেষ্ঠ, কিন্তু সকলে মনুষ্য কে ব্রহ্মচর্য পালন করা আবশ্যিক কারণ ব্রহ্মচার্য পালন না করে সরাসরি গৃহস্থ আশ্রমে যাওয়া সম্ভব নয়। বেদে বলা হয়েছে 'ব্রহ্মর্য়েণ তপসা দেবা মৃত্যুপাঘ্নত' অথর্ববেদ ১১/৫/১৯ অর্থাৎ ব্রহ্মচর্যের তপস্যা দ্বারা মৃত্যু কে জয় করা যায়। ঋষি দয়ানন্দ সত্যার্থ প্রকাশে এবং সংস্কার বিধি আদি গ্রন্থে ব্রহ্মচর্য পালন বিষয়ে নানান শাস্ত্র আদির প্রমাণ দ্বারা খুবই সুন্দর ভাবে লিখেছেন, তারই সংক্ষিপ্ত ভাব তুলে ধরা হলো____
য়মান সেবেত সততং ন নিয়মান্ কেবলান্ বুধঃ।
য়মান্ পতত্যকুর্বাণো নিয়মান্ কেবলান্ ভজন।।
#মনুস্মৃতি ৪/২০৪
তত্রাহিংসাসত্যাস্তেয়ব্রহ্মচর্য়াপরিগ্রহা য়মাঃ।
#যোগদর্শন ২/৩০
ঋষি পতঞ্জলি যোগ দর্শনে যোগের আটটি অঙ্গ বিষয়ে লিখেছেন - য়ম, নিয়ম, আসন, প্রাণায়াম, প্রত্যাহার, ধারণা, ধ্যান ও সমাধি এগুলোকে অষ্টাঙ্গ যোগও বলা হয়ে থাকে। আবার য়মকে পাঁচ ভাগে ভাগ করা হয়েছে যেমন- সদা শরীর, বচন ও মন দ্বারা সর্বপ্রকারে সকল প্রাণীমাত্রেরই সাথে বিদ্বেষ ভাব পরিত্যাগ করে, প্রেম, প্রীতি সহিত অবস্থান করাকে (অহিংসা) বলে। যে পদার্থ যেমন তাকে তেমনই বোঝা, তেমনই বলা ও তেমনই করাই হলো (সত্য)। চুরি আদি বিষয় ত্যাগ করাকে (অস্তেয়) বলা হয়। বিদ্যা অভ্যাসের জন্য বাল্য অবস্থা থেকে সর্বথা বীর্য় রক্ষা করা অর্থাৎ জিতেন্দ্রিয় হওয়া, বেদ আদি শাস্ত্র অধ্যায়ন করা, উপস্থেন্দ্রিয়কে সংযমে রাখা হলো (ব্রহ্মচর্য়্য) বিষয় ও অভিমান আদি দোষ রহিত হওয়া হলো (অপরিগ্রহ)। এই পঞ্চবিধ ‘যম’ সর্বদা সেবন করিবে। কেবল নিয়ম সেবন অর্থাৎ___
শৌচসন্তোষপঃস্বাধ্যায়েশ্বরপ্রণিধানানি নিয়মাঃ।।
#যোগদর্শন ২/৩২
(শৌচ) অর্থাৎ অন্তর ও বাহ্য উভয় দিক দিয়ে পবিত্র থাকা (সন্তোষ) সম্যকরূপে প্রসন্ন হয়ে উদ্যম শূন্য থাকা সন্তোষ নয়, কিন্তু যথাসাধ্য পুরুষার্থ করা এবং হানি-লাভে-শোক বা হর্ষ প্রকাশ না করা, (তপঃ) অর্থাৎ কষ্ট সহ্য করেও ধর্মযুক্ত কর্মের অনুষ্ঠান করা, (স্বাধ্যায়) বেদ আদি শাস্ত্র অধ্যয়ন ও অধ্যাপনা (ঈশ্বর প্রণিধান) ঈশ্বরের প্রতি প্রগাঢ় ভক্তিতে আত্মাকে অর্পিত রাখা এই পাঁচটি 'নিয়ম'। য়ম ব্যতীত কেবলমাত্র নিয়ম ধারণ করবে না, কিন্তু ‘য়ম নিয়ম’ উভয়ই ধারণ করবে। যে ব্যক্তি যম পরিত্যাগ করে কেবল নিয়ম ধারণ করে, সে উন্নতি লাভ করতে পারে না, বরং অধোগতি অর্থাৎ সংসারে পতিত অবস্থায় থাকে।
কামাত্মতা ন প্রশস্তা ন চৈবেহস্ত্যকামতা।
কাম্যো হি বেদাধিগমঃ কর্ময়োগশ্চ বৈদিকঃ।।
#মনুস্মৃতি ২/২
অত্যন্ত কামাতুরতা এবং নিষ্কামতা কারোরও পক্ষে শ্রেষ্ঠ নয়। কারণ কামনা ব্যতীত বেদজ্ঞান এবং বেদবিহিত কর্মাদি উত্তম কর্ম কারোরও দ্বারা সম্পন্ন হতে পারে না। অতএব___
স্বাধ্যয়েন ব্ৰতৈহোমৈস্ত্ৰৈবিদ্যেনেজায়া সুতৈঃ।
মহায়চৈ চৈ ব্রাহ্মীয়ং ক্রিয়তে তনুঃ।।
#মনুস্মৃতি ২/২৮
(স্বাধ্যায়) সকল বিদ্যার পঠন পাঠন (ব্রত) ব্রহ্মচার্য ও সত্যভাষণাদি নিয়মপালন (হোম) অগ্নিহোত্রাদি হোম, সত্যগ্রহণ, অসত্য বর্জন এবং সত্যবিদ্যা দান; (ত্রৈবিদ্যেন) বেদস্থ কর্ম, উপাসনা, জ্ঞান, বিদ্যাগ্রহণ; (ইজ্যয়া) পক্ষেষ্টি যজ্ঞ প্রভৃতি কর্ম (সুতৈঃ) সুসন্তানোৎপত্তি; (মহায়জ্ঞৈ) ব্রহ্ম, দেব, পিতৃ, বৈশ্বদেব এবং অতিথিদের সেবারূপ পঞ্চমহাযজ্ঞ এবং (য়জ্ঞৈঃ) অগ্নিষ্টোমাদি, শিল্পবিদ্যা, ও বিজ্ঞানাদি যজ্ঞানুষ্ঠান দ্বারা এই শরীরকে ব্রাহ্মী অর্থাৎ বেদ ও পরমেশ্বরের ভক্তির আধার স্বরূপ ব্রাহ্মণ-শরীর করা যায়। এই সকল সাধন ব্যতীত ব্রাহ্মণ শরীর হতে পারে না।
ইন্দ্রিয়াণাং বিচরতং বিষয়েষ্বপহারিষু।
সংয়মে য়ত্বমাতিষ্ঠেদ্বিদ্বান্ য়ন্তেব বাজিনাম্।।
#মনুস্মৃতি ২/৮৮
বিদ্বান সারথি যেরূপ অশ্ব সমূহকে নিয়মে রাখে সেইরূপ মন এবং আত্মাকে কুকর্মে আকর্ষণকারী ও বিষয় মধ্যে বিচরণশীল ইন্দ্রিয় সমূহের নিগ্রহ অর্থে সর্ব প্রকার যত্ন করবে। কারণ___
ইন্দ্রিয়াণাং প্রসঙ্গেন দোষম্ ঋচ্ছত্যসংশয়ম্।
সংনিয়ম্য তু তান্যেব ততঃ সিদ্ধিং নিয়চ্ছতি।।
#মনুস্মৃতি ২/৯৩
জীবাত্মা ইন্দ্রিয় সমূহের বশীভূত হয়ে নিশ্চয়ই নানা প্রকার বড় বড় দোষ প্রাপ্ত হয় এবং যখন সে ইন্দ্রিয় সমূহকে নিজের বশীভূত করে, তখনই সিদ্ধিলাভ হয়।
বেদাস্ত্যাগশ্চ য়জ্ঞাশ্চ নিয়মাশ্চ তপাংসি চ।
ন বিপ্ৰদুষ্টভাবস্য সিদ্ধিং গচ্ছন্তি কর্হিচিত্।।
#মনুস্মৃতি ২/৯৭
যে ব্যক্তি দুরাচারী ও অজিতেন্দ্রিয় তাহার বেদ, ত্যাগ, যজ্ঞ, নিয়ম, তপ এবং অন্যান্য সৎকর্ম কখনও সিদ্ধ হয় না
বেদোপকরণে চৈব স্বাধ্যায়ে চৈব নৈত্যকে।
নানুরোধোऽস্ত্যনধ্যায়ে হোমমন্ত্ৰেষু চৈব হি।।
নৈত্যকে নাস্ত্যনধ্যায়ো ব্রহ্মসত্রং হি তত্স্মৃতম্। ব্রহ্মাহুতিহুতং পূণ্যম্ অনধ্যায়বষট্কৃতম্।।
#মনুস্মৃতি ২/১০৫,১০৬
বেদের পঠন, পাঠন, সন্ধ্যোপাসনাদি পঞ্চ মহাযজ্ঞের অনুষ্ঠানে এবং হোমমন্ত্র সম্বন্ধে অনধ্যায় অনুরোধ (আগ্রহ) নাই। কেননা নিত্যকর্মে অনধ্যায় হয়না যেরূপ সর্বদা শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ করতে হয় কখনও বন্ধ করা যায় না, সেইরূপ প্রতিদিন নিত্যকর্ম কৰ্ত্তব্য। নিত্যকর্ম কখনোই পরিত্যাগ করবে না। কেননা অনধ্যায়েও অনুষ্ঠিত অগ্নিহোত্রাদি উত্তম কর্ম পুণ্যকর। যেরূপ মিথ্যা বললে সর্বদা পাপ এবং সত্য বললে সর্বদা পুণ্য হয়, সেইরূপ কুকর্মে সর্বদা অনধ্যায় ও সুকর্মে সর্বদা স্বাধ্যায়ই হয়ে থাকে৷
অভিবাদনশীলস্য নিত্যং বৃদ্ধোপসেবিনঃ।
চত্বারি তস্য বর্দ্ধন্ত আয়ুবিদ্যা য়শোবলম্।।
#মনুস্মৃতি ২/১২১
যে সর্বদা নম্র, সুশীল এবং বৃদ্ধসেবী, তার আয়ু, বিদ্যা, কীৰ্ত্তি এবং বল— এই চার বিষয় সর্বদা বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়। আর যে ব্যক্তি এইরূপ করে না তার আয়ু প্রভৃতি চারিটি বিষয় বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয় না।
অহিংসয়ৈব ভূতানাং কার্য়ং শ্ৰেয়োऽনুশাসনম্।
বাক্ চৈব মধুরা শ্লক্ষ্ণা প্রয়োজ্যা ধৰ্ম্মমিচ্ছতা।।
য়স্য বাঙ্ঘনসে শুদ্ধে সম্যগ্গুপ্তে চ সর্বদা।
স বৈ সৰ্বমবাপ্নোতি বেদান্তোপগতং ফলম্।।
মনুস্মৃতি ৪/১৫৯,১৬০
বৈরবুদ্ধি পরিত্যাগ করে সকলকে কল্যাণ মার্গের উপদেশ প্রদান করা বিদ্বান এবং বিদ্যার্থীদের কৰ্ত্তব্য। উপদেষ্টা সর্বদা সুশীলতা যুক্ত বাণী বলবেন। যিনি ধর্মের উন্নতি কামনা করেন, তিনি সত্যপথে চলবেন এবং সত্যেরই উপদেশ দিবেন। যাঁর বাণী এবং মন শুদ্ধ ও সুরক্ষিত, তিনিই সমস্ত বেদান্ত অর্থাৎ সমগ্র বেদের সিদ্ধান্ত রূপ ফল প্রাপ্ত হন।
অনেন ক্রময়োগেন সংস্কৃতাত্মা দ্বিজঃ শনৈঃ।
গুরৌ বসন্ সঞ্চিনুবাদ ব্ৰহ্মাধিগামিকং তপঃ।।
#মনুস্মৃতি ২/১৬৪
এইরূপ কৃতোপনয়ন দ্বিজ ব্রহ্মচারী কুমার এবং ব্রহ্মাচারিণী কন্যা ধীরে ধীরে বেদার্থজ্ঞানরূপ
উত্তম তপ কে বৃদ্ধি করতে থাকবে।।
বর্জয়েন্মধুমাংসঞ্চ গন্ধং মাল্যং রসান্ স্ত্রিয়ঃ।
শুক্তানি য়ানি সৰ্বাণি প্ৰাণিণাং চৈব হিংসনম্।।
অভ্যঙ্গমঞ্জনং চাক্ষ্ণোরুপানচ্ছত্রধারণম্।
কামং ক্রোধং চ লোভং চ নৰ্ত্তনং গীতবাদনম্।।
দ্যূতং চ জনবাদং চ পরিবাদং তথানৃতম্ ।
স্ত্ৰীণাং চ প্রেক্ষণালম্ভমুপঘাতং পরস্য চ।।
একঃ শয়ীত সর্বত্র ন রেতঃ স্কন্দয়েত্ক্বচিত্।
কামাদ্ধি স্কন্দয়ন রেতো হিনস্তি ব্রতমাত্মানঃ।।
#মনুস্মৃতি ২/১৭৭,১৭৮,১৭৯,১৮০
ব্রহ্মচারী ও ব্রহ্মচারিণী মদ্য, মাংস, মাল্য, রস, স্ত্রী-পুরুষ সংসর্গ সর্বপ্রকার অম্ল, প্রাণি হিংসা৷
অঙ্গ-মর্দন, অকারণে উপস্থেন্দ্রিয় স্পর্শ, নেত্রাঞ্জন, জুতা-ছত্র ধারণ কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ, ভয়, শোক ঈর্ষা, দ্বেষ ও নৃত্য, গীত, বাদ্য বাদন। দ্যুত, পরচর্চা, নিন্দা, মিথ্যাভাষণ, স্ত্রী দর্শন, পরনির্ভরশীলতা এবং পরের অপকার ইত্যাদি কুকর্ম সর্বদা পরিত্যাগ করবে। সর্বত্র একাকী শয়ন করবে, কখনও বীর্য স্খলন করবে না। যদি কামনা বশতঃ কেউ বীৰ্য স্খলন করে, সে তার নিজের ব্রহ্মচর্য্য ব্রত নাশ করে ফেলেছে এমনটা জানো।।
বেদমনুচ্যাচার্য়োऽন্তেবাসিনমনুশাস্তি। সত্যং বদ। ধর্মং চর। স্বাধ্যায়াত্মা প্রমদঃ। আচার্য়্যায় প্রিয়ং ধনমাহৃত্য প্রজাতন্তুং মা ব্যবচ্ছেত্সীঃ। সত্যান্ন প্রমদিতব্যম্। ধর্মান্ন প্রমদিতব্যম্। কুশলান্ন প্রমদিতব্যম্।স্বাধ্যায়প্রবচনাভ্যাং ন প্ৰমদিতব্যম দেবপিতৃত্কার্য়্যাভ্যাং ন প্রমদিতব্যম্।।
মাতৃদেবো ভব। পিতৃদেবো ভব। আচার্য়্যদেব ভব। অতিথিদেবো ভব। য়ান্যনবদ্যানি কর্মাণিতানি সেবিতব্যানি নো ইতরাণি। য়ান্যস্মাক সুচরিতানি তানি ত্বয়োপাস্যানি নো ইতরাণি।।
য়ে কে চাস্মচ্ছেয়াংসো ব্রাহ্মণাস্তেষাং ত্বয়াসনেন প্রশ্বসিতব্যম্। শ্রদ্ধয়া দেয়ম্। অশ্রদ্ধয়া দেয়ম্। শ্রিয়া দেয়ম্। হ্রিয়া দেয়ম্। ভিয়া দেয়ম্। সংবিদা দেয়ম্। অথ য়দি তে কর্মবিচিকিৎসা বা বৃত্তবিচিকিৎসা বা স্যাত্৷।
য়ে তত্ৰ ব্ৰাহ্মণাঃ সমদর্শিনো য়ুক্তা অয়ুক্তা অলূক্ষা ধর্মকামাঃ স্যূর্য়থা তে তত্র বর্ত্তেরন্। তথা তত্র বৰ্ত্তেথাঃ। এষ আদেশঃ এর উপদেশঃ এষা বেদোপনিষত্। এতদনুশাসনম্। এবমুপাসিতব্যম্। এবমু চৈতদুপাস্যম্।।
#তৈত্তিরীয় উপনিষদ ১/ ১১/ ১,২,৩,৪
আচার্য্য অন্তেবাসী অর্থাৎ নিজ শিষ্যদের এইরূপ উপদেশ দিবেন :– তুমি সর্বদা সত্য বলবে, ধর্মচারণ করবে, পূর্ণ ব্রহ্মচর্য দ্বারা সমস্ত বিদ্যাগ্রহণ করবে এবং আচার্য্যকে প্রিয়ধন প্রদান পূর্বক বিবাহ করে সন্তানোৎপত্তি করবে। প্রমাদ বশতঃ কখনও সত্য পরিত্যাগ করবে না। প্রমাদ বশতঃ কখনও ধর্ম পরিত্যাগ করবে না। প্রমাদ বশতঃ আরোগ্য ও নিপুণতা ত্যাগ করবে না। প্রমাদ বশতঃ কখনও পঠন-পাঠন পরিত্যাগ করবে না। যেরূপ বিদ্বান ব্যক্তিদের সম্মান করবে, সেইরূপ মাতা, পিতা আচার্য্য এবং অতিথিদেরও সর্বদা সেবা করবে। মিথ্যা ভাষণাদি কখনও করবেনা। আমাদের সুচরিত্র অর্থাৎ ধর্মযুক্ত কর্ম গ্রহণ করবে এবং আমাদের পাপাচরণ কখনও গ্রহণ করবে না। আমাদের মধ্যে যারা উত্তম বিদ্বান ও ধর্ম্মাত্মা ব্রাহ্মণ, তাদেরই সমীপে উপবেশন করবে এবং তাদের সকলকে বিশ্বাস করবে। শ্রদ্ধা সহকারে দান করবে। অশ্রদ্ধা থাকলেও দান করবে। শোভনতা সহকারে দান করবে। লজ্জার সহিত দান করবে। ভীত হয়েও দান করবে। প্রতিজ্ঞা বশতঃ দান করবে। কর্মশীল, উপাসনা ও জ্ঞান সম্বন্ধে কখনও কখনও সংশয় উপস্থিত হলে বিচারশীল, পক্ষপাতশূণ্য, যোগী অথবা অযোগী কোমল চিত্ত ধর্মাভিলাষী এবং ধৰ্ম্মাত্মাগণ যে যে ধর্মপথে থাকেন তুমিও সেই পথে থাকবে। এটিই আদেশ, এটিই আজ্ঞা,এটিই উপদেশ, এটিই বেদোপনিষদ্ এবং এটিই শিক্ষা। এইরূপ আচরণ করা এবং স্বীয় আচরণকে সংশোধিত করা কর্তব্য।
বৈদিক সৃষ্টি বিজ্ঞানের সাথে মিথ্যা বিগ ব্যাং তত্ত্বের কোনো মিল নেই
আমি অনেক আর্য সমাজের মধ্যেই আবাল দেখছি যারা বিগ ব্যাং থিওরি সাথে বেদে থাকা থিওরির মিল খুঁজে পায়। এমন করে কোন লাভটি পাই এরা ? যারা এমন পাগলামিটি করে তাদের কি আদৌ সংস্কৃত ভাষা সম্পর্কে কোনো যোগ্যতা আছে ? বেদের ৬টি অঙ্গ সম্পর্কে যোগ্যতা কতটা ? বেদের ব্যাখ্যা শাস্ত্র হলো ব্রাহ্মণ, এরা জীবনেও ব্রাহ্মণ শাস্ত্র কি পড়ার ক্ষমতা রেখেছে ? বেদানুকূল ৬টি দর্শনের প্রতিটি সূত্রে কিরূপ কথন আছে তা নিয়ে কখনোই কি চর্চা করেছে ? এগুলো সম্পর্কে কিছুই না জানা সত্ত্বেও এরা আধুনিক বিজ্ঞানের তৈরি বিগ ব্যাং তত্ত্বের সাথে বেদের সৃষ্টি বিজ্ঞানের মিল খুঁজতে যায় কোন মূর্খতায় ? মোল্লারা এমনটা করে যে আধুনিক বিজ্ঞান যা কিছু আবিষ্কার করবে তারপর এরা বলে উঠবে যে ১৪০০ বছর আগের থেকেই এই কথাটি কুরআনে লিখাই ছিল। এইটা হাস্যকর ছাড়া অন্য কিছুই নয়, ঠিক এমনই করছে আমাদের আর্য সমাজের কিছু ব্যক্তি! আমাদের আর্যদের একটি পরিষ্কার বিষয় বলে দেই যে বিগ ব্যাং থিওরি বর্তমানে শত শত প্রশ্নের সামনে পড়েছে, ২০০৪ সালে ভারতের বিজ্ঞানী আভাস মিত্র প্রথম এই বিগ ব্যাং থিওরিকে খণ্ডন করেছে, এখন তো অনেকে বিজ্ঞানীই এই তত্ত্ব কে মিথ্যা কল্পনা ছাড়া অন্য কিছুই মানছে না। আমাদের আর্য সমাজের বর্তমানের সবচেয়ে বড়ো বিদ্বান আমার মতে আচার্য অগ্নিব্রত নৈষ্টিক জী। তিনি ঋগ্বেদের ব্যাখ্যা শাস্ত্র ঐতরেয় ব্রাহ্মণের ভাষ্য করেছেন যার নাম দেওয়া হয়েছে "বেদ বিজ্ঞান আলোক"। এই গ্রন্থে যে সমস্ত পদার্থ বিজ্ঞানের কথন করা হয়েছে সেখানে আজও আধুনিক বিজ্ঞান পৌঁছাতেই পারেনি, নৈষ্টিক জী আধুনিক বিজ্ঞানের অনেক ভ্রান্তিকে খণ্ডন করেছেন এবং আমাদের শাস্ত্রে থাকা সৃষ্টি বিজ্ঞানটিও তুলে ধরেছেন, তিনি এটাও বলেছেন বিগ ব্যাং তত্ত্বের সাথে আমাদের বৈদিক সৃষ্টি বিদ্যার কোনো মিল নেই। নৈষ্টিক জীর ইউটিউব চ্যালেন vaidic physics 👇👇
যোগীরাজ মহাদেবের সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য এবং তার বাণী
বিবর্তনবাদ খণ্ডন সাধারণ জ্ঞান দ্বারা
সাধারণ জ্ঞান দ্বারা বিবর্তনবাদ খণ্ডন বিষয়ক কিছু সামান্য লিখন
1) বিবর্তনবাদ বলে যে পাখিদের ডানা পূর্বে ছিল না কিন্তু যখন পাখিরা নানান জন্তুর থেকে নিজেকে বাঁচার চেষ্টা করেছিল উড়ার চেষ্টা করেছিল তখন তাদের ডানা তৈরি হয়েছে। এই অনুযায়ী বলা যায় যে প্রথমে বনমনুষ্যও তো জঙ্গলে জন্মেছিল তারাও তো বাঘ, সিংহ, ভাল্লুকদের কাছ থেকে নিজেকে রক্ষা করার চেষ্টা করেছিল তো তাদের কেন পাখির মতো ডানার বিবর্তন হয়নি ? মানুষেরও তো ডানা থাকা উচিত ছিল ?
2) বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় নানান উদ্দেশ্যে সাপদের ধরা হয় এবং হত্যাও করা হয় তা সাপ কি নিজেকে রক্ষা করার চেস্টা করেনা ? আর যদি করেও থাকে তাহলে আজও কেন সাপের কোনো হাত পা তৈরি হয়নি, যাতে সাপ নিজেকে রক্ষা করতে পারে ?
2) বিশ্বের প্রায় ৯৮% মানুষ মাংস, মাছ আহার করে। গরু, শুয়োর, ছাগল, মহিষ, ভেড়া, মাছ আদিকে হত্যা করে ভক্ষণ করে, তা আজও কেন এই সমস্ত জীবের মধ্যে কোনো বিবর্তন হলো না যাতে তারা আমাদের থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারে ? তারাও তো নিজের জীবন কে বাঁচানোর চেষ্টা করে তবুও কেন বিবর্তন হলো না ? এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর বিবর্তনবাদিদের কাছে নেই।
3) বিবর্তনবাদ বলে যে যে জিনিসের ব্যবহার করা হয়না তা লুপ্ত হয়ে যায় যেমন মনুষ্যের লেজ লুপ্ত হয়েছে।। এখানে প্রশ্ন তৈরি হয় যে বাদর তার দিয়ে কি কাজ করে ? যদি বলো যে "বাদর লাফিয়ে বেড়ায় তাই তাদের লেজ আছে"। তো মনুষ্য কি লাফিয়ে বেড়ানো বন্ধ করেছে ? বাঁদরের চেয়েও মনুষ্য বেশি কাজ করে, তো মনুষ্যের লেজ কেন লুপ্ত হলো ?
4) বিরবর্তনবাদ বলে যে একসময় জিরাফের গলা এই কারণেই লম্বা হয়েছে যে একসময় মাটির ঘাস শুকে গিয়েছিল তখন জিরাফ গাছের পাতা খাওয়ার চেষ্টা করেছিল কাজেই তাদের গলা লম্বা হয়ে গেছে।। বিরবর্তনবাদের ছাগলামী কথনের মধ্যে অন্যতম হল এই কথন টি, এই মূর্খরা জিরাফের গলার কাহিনী কল্পনা করতে গিয়ে এইটা ভুলে যায় যে জঙ্গলে তো শুধু জিরাফ থাকেনা গরু, মহিষ, হরিণ আদি নানান জীব থাকে তারাও ঘাস খায়। তো ঘাস শুকে যাওয়ার জন্য শুধুমাত্র জিরাফের গলা লম্বা হল কেন গরু, মহিষ, হরিণ গণ্ডারের তো জিরাফের মতো গলা লম্বা হওয়া উচিত ছিল, তাহলে এদের গলা কেন লম্বা হয়নি ? আর কত বছর ধরে মাটির ঘাস শুকনো অবস্থায় ছিল ? কত বছর ধরে জিরাফের গলা লম্বা হয়েছিল ? জিরাফের গলা লম্বা না হওয়ার আগে সে কি খেয়ে বেঁচে ছিল ? উত্তর আছে ?
লক্ষ করে দেখবে যে ছাগলও মাঝে মাঝে সামনের দুটি পা উঁচু করে গাছের পাতা খায় তা আজ পর্যন্ত ছাগলের গলা জিরাফের মতো কেন লম্বা হলো না ?
5) বর্ষাকালে নানান পতঙ্গ আগুনের দিকে ছুটে যায় আর তাদের মৃত্যু হয়। তা আজ পর্যন্ত এই পতঙ্গ সমস্ত পতঙ্গ গুলোর জ্ঞানের বিবর্তন কেন হলো না ? উত্তর আছে ?
6) বিবর্তনবাদের সবচেয়ে হাস্যকর বিষয় হলো এই যে সমস্ত জীবের বিবর্তন হলো কিন্তু মনুষ্যের কাছে এসে থেমে গেল, আর মনুষ্যের আর কোনো ভাবেও বিবর্তন হচ্ছে না, এমন কেন ?
#বিবর্তনবাদ একটি মহান মিথ্যার তত্ত্ব যা পুরোই যুক্তিহীন, বিবর্তনবাদ কে বহু বিজ্ঞানী খণ্ডন করেছে তাদের মধ্যে একজন অন্যতম হল "স্যার রিচার্ড ওয়েন" যিনি এক বিখ্যাত জীবাশ্ম বিষয়ক বিজ্ঞানী ছিলেন। ইনি বিবর্তনবাদের ঘোর বিরোধী ছিলেন, আজ আধুনিক বিজ্ঞানের মধ্যে এই মূর্খতা পূর্ণ বিবর্তনবাদ কে ছোট থেকে বড় ছাত্র ছাত্রীদের পড়ানো হয়, কিন্তু কোথাও পড়ানো হয়না যে এই বিবর্তনবাদ কে অনেক বিজ্ঞানী খণ্ডনও করেছে, এমন কেন ? অর্থাৎ বলা যায় মিথ্যার ওপরেও এখন বিজ্ঞান চলছে!এই সমস্ত নাস্তিক কথিত বিজ্ঞানীরা বুক ফুলে বলে যে ধার্মিক রা অন্ধবিশ্বাসী, যুক্তিহীন বিষয়কে বিশ্বাস করে, তা আজ বিবর্তনবাদের মতো মিথ্যা বিষয় কে মেনে চলা বিজ্ঞানী আর একটি অন্ধবিশ্বাসী কথিত ধর্মীকের পার্থক্য থাকলো কোথায় ? একই অবস্থা ।
আর্য সমাজ প্রকাশিত বাংলা শাস্ত্রীয় গ্রন্থ আদি pdf
আর্য্যাভিবিনয়
অথ গোকরুণানিধিঃ
পুনা প্রবচন
ডাউনলোড PDF
না আছে বাইবেলে, না আছে কোরানে, জীবন পেলাম বেদের কল্যাণে
ডাউনলোড PDF
সৃষ্টি বিদ্যা বিষয়
ডাউনলোড PDF
বঙ্গে দয়ানন্দ
ডাউনলোড PDF
বিবাহ সংস্কার বিধি
ডাউনলোড PDF
শিখা-সূত্র
ডাউনলোড PDF
আর্যত্বের অভিমুখে
ডাউনলোড PDF
পুরাণের কৃষ্ণ
ডাউনলোড PDF
বৈদিক ধর্মধারা
ডাউনলোড PDF
মৃত্যুর পরপারে
ডাউনলোড PDF
রামায়ণ দর্পণ
ডাউনলোড PDF
সত্যার্থ প্রকাশ এক মূল্যাঙ্কণ
ডাউনলোড PDF
ভক্তের দুর্গতি
ডাউনলোড PDF
বৈদিক উপাসনা ও অগ্নিহোত্র পদ্ধতি
ডাউনলোড PDF