google01b5732cb2ec8f39 November 2022 ~ আর্যবীর आर्यवीर aryaveer

Recent News

This is default featured slide 1 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 2 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 3 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 4 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 5 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

কিভাবে নিরাকার সর্বব্যাপক ঈশ্বরের পূজা করতে হবে ?

কিভাবে নিরাকার সর্বব্যাপক ঈশ্বরের পূজা করতে হবে ?



প্রায়ই সাকারবাদী পৌরাণিক বন্ধুরা জানতে চায় যে নিরাকার ঈশ্বরের পূজা কিভাবে করা উচিত। আমার জানা মতে 'পূজা' শব্দের অর্থ শ্রদ্ধা, সম্মান কে বোঝায়। বস্তু ভেদে শ্রদ্ধা, সম্মান নানান ধরণের হয়ে থাকে। যেমন আপনি আপনার বৃদ্ধ পিতা মাতার পূজা করেন অর্থাৎ এর মানে বুঝতে হবে আপনি যথাযথ ভাবে আপনার পিতা মাতাকে ভোজন, পোশাক, ঔষধ আদি দিয়ে সেবা যত্ন করেন। কিন্তু আপনি তা না করে যদি প্রতিদিন পিতা মাতার চরণে গড়াগড়ি করেন আর তাদের আবশ্যিক বস্তু সমূহ না দেন, তাহলে সেটা কখনোই পিতা মাতার পূজা বলে গণ্য হবেনা। মৃত পিতা মাতার পূজা কিভাবে করা যায় ? মৃত পিতা মাতার সকল সৎ গুণ-কর্ম-স্বভাবকে মনন করা এবং সেগুলোকে ধারণ করার চেষ্টা করাই হলো তাদের পূজা। কিন্তু তা না করে যদি মৃত মাতা পিতার ছবির সাথে জীবিত পিতা মাতার সাদৃশ্য পূজা *[সেই ছবি গুলোকে অন্ন, ফল ইত্যাদি খেতে দেওয়া, সেই ছবিকে জীবিত ব্যক্তির মতন ভেবে প্রণাম করা] করা হয় কিন্তু তাদের গুণ-কর্ম-স্বভাবকে ধারণ করার কোনো চেষ্টা না করা হয়, তাহলে কখনোই তা পূজা হতে পারে না। 

এইবার প্রশ্ন হচ্ছে তাহলে কিভাবে ঈশ্বরের পূজা করা উচিত ? যে ঈশ্বর এই জগৎ তৈরির পূর্বেও বিদ্যমান ছিলেন এবং এই জগৎ ধ্বংসের পরেও বিদ্যমান থাকবেন, সেই অনন্ত শক্তিমান স্রষ্টা কি কোনো কিছু জাগতিক ভোজন করার দরকার পড়ে ? কিন্তু আমরা সেই স্রষ্টা কে অন্ন, ফল, পায়রা, মহিষ, পাঠা ইত্যাদি খেতে দেই। আমরা ভুলে যাই যে স্রষ্টা স্বয়ং শক্তিস্বরূপ; তারই শক্তিতে জগতের প্রতিটি পদার্থ গতিশীল হচ্ছে, তার কখনোই ভোজন করার দরকার পড়ে না, শুধু পরমাত্মার নয় জীবাত্মারও ভোজন করার দরকার পড়ে না। আমাদের ভোজন করতে হয় এই জীবকে চালানোর জন্য। এই দেহ ভোজন করে এবং মলত্যাগ করে কিন্তু পরমাত্মা এবং জীবাত্মা না ভোজন করে আর না মলত্যাগ করে। কিছু পৌরাণিক বন্ধুরা বলে থাকে যে আমরা স্রষ্টা কে খেতে দেইনা, আমরা আগে যেকোনো খাদ্যবস্তু স্রষ্টাকে অর্পণ করি তারপর আমরা তা গ্রহণ করি। এই পৌরাণিক বন্ধুরা ভুলে যায় যে স্রষ্টা কিন্তু সেই অর্পণ করা খাদ্যবস্তুর মধ্যেও বিরাজমান রয়েছেন, তিনিই খাদ্যবস্তুকে সৃষ্টি করেছেন, সেই খাদ্যবস্তুর প্রতিটি অনু পরমাণু আদি সূক্ষ্ম কণা গুলোকেও তিনিই সঞ্চালন করছেন এবং তাহলে যেকোনো বস্তু স্রষ্টাকে অর্পণ করা কিভাবে সম্ভব ? এমন বহু প্রশ্ন রয়েছে যার উত্তর নেই। এবিষয়ে বেদে হয়েছে- 


ঈশা বাস্যমিদং সর্বং য়ত্ কিঞ্চ জগত্যাং জগৎ ।

তেন ত্যক্তেন ভুঞ্জীথা মা গৃধঃ কস্য স্বিদ্ধনম্ ॥১॥(য়জু ৪০/১) 


অতএব সেই সর্বশক্তিমান ঈশ্বর আমাদের সর্বদা সমস্ত দিক হতে প্রত্যক্ষ করছেন; এই জগত ঈশ্বর দ্বারা ব্যাপ্ত অর্থাৎ সকল স্থানে ঈশ্বর বিদ্যমান রয়েছেন। এই জগতে সে সকল ভোগ্য বস্তু রয়েছে তা আমাদের কারোরই নয় কেননা এগুলো স্রষ্টার সৃষ্ট বস্তু। তাই আমাদের উচিত আমরা যেন এই সকল বস্তুকে ত্যাগ পূর্বক ভোগ করি, আমরা যেন কোনো জাগতিক বস্তুতে আসক্ত না হই। ঈশ্বর কে অর্পণ করার বাস্তবিক স্বরূপ এই মন্ত্রে তুলে ধরা হয়েছে। 

ঈশ্বরের বাস্তবিক পূজা হয়ে থাকে স্তুতি, প্রার্থনা ও উপাসনার মাধ্যমে। ঋষি দয়ানন্দ বলেছেন -স্তুতি দ্বারা ঈশ্বরের প্রতি প্রীতি জন্মে। তার গুণ কর্ম স্বভাব দ্বারা নিজ গুণ কর্ম স্বভাবের সংশোধন হয়। প্রার্থনা দ্বারা নিরভিমানতা, উৎসাহ ও সাহায্য লাভ হয় এবং উপাসনা দ্বারা স্রষ্টার সাথে মিলন ঘটে, তার সাথে সাক্ষাৎকার হয়। স্তুতি ও প্রার্থনা বিষয়ে পূর্বে আলোচনা করা হয়েছে। দেখেনিন- 

ঈশ্বরের স্তুতি

https://aryaveeratwa.blogspot.com/2022/11/blog-post_18.html

প্রার্থনা

https://aryaveeratwa.blogspot.com/2022/11/blog-post.html

আজকে আলোচনা করা হবে উপাসনা বিষয়ে; উপাসনার মূল হলো য়োগ। ঋষি পতঞ্জলি য়োগ বিষয়ে একটি শাস্ত্র লিখেছেন যা য়োগদর্শন নামে পরিচিত। *[অনেকেই প্রশ্ন করতে পারে যে আমি যোগ না লিখে য়োগ কেন লিখছি ? এমনটা লিখছি এই কারণেই যাতে আপনারা শুদ্ধ উচ্চারণ করতে সক্ষম হন। দেবনাগরী লিপিতে 'य' অক্ষরের উচ্চারণ য় হয়। আর বাংলায় আমরা 'য' অক্ষরের উচ্চারণ জ করি। তাই শুদ্ধ উচ্চারণের জন্য য না লিখে য় লেখাই উচিত]। কারোর মনে প্রশ্ন উৎপন্ন হতে পারে যে ঋষি পতঞ্জলির য়োগদর্শন লিখিত হওয়ার আগে কি য়োগ ছিল না ? হ্যাঁ অবশ্যই ছিল, ঈশ্বরের সাক্ষাৎকার হওয়ার একমাত্র পথ হলো য়োগ। ঋষি পতঞ্জলি মনুষ্যের হিতার্থে য়োগ বিষয়ক একটি শাস্ত্রই লিখেছেন। ভগবান শ্রীকৃষ্ণও অর্জুনকে য়োগবিষয়ে বহুবার বলেছেন যা আমরা গীতার মধ্যে পেয়ে থাকি।


য়োগ কি ? 


♦️ঋষি পতঞ্জলি লিখেছেন- 

য়োগঃ চিত্ত-বৃত্তি-নিরোধঃ। [য়োগদর্শন ১/২] 

=> চিত্ত বা মনের সকল বৃত্তির নিরোধ হওয়াকে য়োগ বা সমাধি বলা হয়। 


♦️য়ম-নিয়ম-আসন-প্রাণায়াম-প্রত‍্যাহার-ধারণা-ধ‍্যান-সমাধয়ঃ অষ্টৌ অঙ্গানি। [য়োগদর্শন ২/২৯]

=> য়োগের ৮ টি অঙ্গ রয়েছে- য়ম্, নিয়ম, আসন, প্রাণায়াম, প্রত্যাহার, ধারণা, ধ্যান ও সমাধি। 


⭕️য়ম্⭕️


♦️অহিংসা-সত‍্য-অস্তেয়-ব্রহ্মচর্য়-অপরিগ্রহাঃ য়মাঃ। [য়োগদর্শন ২/৩০]

=>য়োগের প্রথম অঙ্গ য়মকে ৫ ভাগে ভাগ করা হয়েছে- অহিংসা, সত্য, আস্তেয়, ব্রহ্মচর্য় এবং অপরিগ্রহ। ঋষি ব্যাস অহিংসা বিষয়ে লিখেছেন 'তত্রাহিংসা সর্বথা সর্বদা সর্বভূতানামনভিদ্রোহঃ।'[য়োগদর্শন ভাষ্য ২/৩০] অর্থাৎ সর্বত্র ভাবে সমস্তকালে সমস্ত প্রাণীদের দুঃখ না দেওয়া অহিংসা। অশাস্ত্রীয় অর্থাৎ অবৈধ ভাবে অন্যের ধন গ্রহণ করা হলো 'স্তেয়' অতএব চৌর্যবৃত্তি আদি ত্যাগ করা 'অস্তেয়'। যে পদার্থ যেমন তার বিষয়ে তেমনই বাণীতে ও মনে হওয়াই 'সত্য'। 'ব্রহ্মচর্য়' বিদ্যা অভ্যাস করা, বীর্য রক্ষা করা, জিতেন্দ্রিয় আদি হওয়া। অভিমান আদি দোষ হতে পৃথক হওয়া 'অপরিগ্রহ'। 



⭕️নিয়ম⭕️


♦️শৌচ-সন্তোষ-তপঃ-স্বাধ‍্যায়-ঈশ্বরপ্রণিধানানি নিয়মাঃ। [য়োগদর্শন ২/৩২]

=> য়োগের দ্বিতীয় অঙ্গ নিয়মকে ৫ ভাগে ভাগ করা হয়েছে- শৌচ, সন্তোষ, তপঃ, স্বাধ্যায় এবং ঈশ্বরপ্রণিধান। শৌচ- ধর্মাচরণ, সত্যভাষণ, বিদ্যাভ‍্যাস আদি দ্বারা অন্তরের শুদ্ধিকরণ এবং জল আদি দ্বারা শারীরিক শুদ্ধিকরণ। সন্তোষ- পুরুষার্থের পশ্চাদ যা পাওয়া যায় তাতে সন্তুষ্ট থাকা, তার থেকে অধিক কিছু পাওয়ার ইচ্ছা না করা। তপঃ- ধর্মাচারণ দ্বারা হানি-লাভ, সুখ-দুঃখ, মান-অপমান, শীত-গ্রীষ্ম আদিতে সহনশীল থাকা। স্বাধ্যায় বিষয়ে ঋষি ব্যাস লিখেছেন- 'স্বাধ্যায়ো মোক্ষশাস্ত্রাণামধ‍্যয়নম্ প্রণবজপো বা' [য়োগদর্শন ব্যাস ভাষ্য ২/৩২] অর্থাৎ মোক্ষ বিষয়ক বেদ আদি শাস্ত্র অধ্যয়ন এবং প্রণব জপ।  ঈশ্বরপ্রণিধান- পরম গুরু পরমেশ্বরে সমস্ত কর্ম সমর্পিত করা, তার ভক্তি করা, তার আদেশ আদি পালন করা। 



⭕️আসন⭕️


♦️স্থির- সুখম্ আসন। [য়োগদর্শন ২/৪৬]

=> যে অবস্থায় শরীর স্থির ও সুখযুক্ত হয় তা আসন। এই কথাটি না বললেও নয় যে ঋষি পতঞ্জলি এখানে স্পষ্ট ভাবে লিখেছেন আসন স্থির ও সুখ যুক্ত,যেমন- পদ্মাসন, বীরাসন আদি। আসন প্রাণায়াম, ধ্যান আদি সিদ্ধির জন্য প্রয়োগ করা হয়। কিন্তু বর্তমান সময়ে এমন এমন কিছু আসন রয়েছে যার সাথে য়োগ শাস্ত্রের আসনের দূর দূর কোনো সম্পর্ক নেই আর না সেই সকল আসন প্রয়োগ করে ধ্যান, সমাধি করা সম্ভব, তবুও সেগুলোকে য়োগাসন নামে প্রচার করা হচ্ছে। যেমন- ধনুরাসন, ভুজঙ্গাসন, নৌকাসন, শশাঙ্কাসন ইত্যাদি। এই সকল আসন স্থির হলেও কখনোই সুখযুক্ত নয়, কাজেই এগুলো বাস্তবিক আসন নয়। ঋষি ব্যাস জি য়োগদর্শন ভাষ্যে কয়েকটি আসনের কথা উল্লেখ করেছেন- পদ্মাসন, বীরাসন, ভদ্রাসন, স্বস্তিক, দণ্ডাসন আদি। 


⭕️প্রাণায়াম⭕️


♦️বাহ‍্য-আভ‍্যন্তর-স্তম্ভবৃত্তিঃ--দেশ-কাল-সংখ‍্যাভিঃ পরিদৃষ্টঃ দীর্ঘ-সূক্ষ্মঃ। বাহ‍্যাভ‍্যন্তরবিষয়াক্ষেপী চতুর্থঃ। [য়োগদর্শন ২/৫০,৫১] 

=> য়োগশাস্ত্র অনুযায়ী ৪টি প্রাণায়াম রয়েছে-বাহ্য প্রাণায়াম, আভ্যন্তর প্রাণায়াম, স্তম্ভবৃত্তিপ্রাণায়াম ও বাহ্য আভ্যন্তর বিষয়াক্ষেপী। 



⭕️প্রত্যাহার⭕️


♦️স্ববিষয়াসম্প্রয়োগে চিত্তস‍্য স্বরূপানুকার ইবেন্দ্রিয়াণাং প্রত‍্যাহারঃ। 

=> প্রত্যাহার- ইন্দ্রিয় সমূহের নিজ নিজ বিষয়ের সাথে সংযোগ না থাকার কারণে চিত্তের স্বরূপের অনুকরণ করা অর্থাৎ চিত্ত নিরুদ্ধ হওয়ার পশ্চাদ চিত্তের সাদৃশ্য সকল ইন্দ্রিয় নিরুদ্ধ হয়ে যায়। যেমন রানী মৌমাছির উড়লে সকল মৌমাছি উড়ে থাকে, সে বসলে সকলে বসে ঠিক তেমনি চিত্ত নিরুদ্ধের কারণে সকল ইন্দ্রিয় নিরুদ্ধ হয়ে যায়। 



⭕️ধারণা⭕️


♦️দেশবন্ধশ্চিত্তস‍্য ধারণা। [য়োগদর্শন ৩/১] 

=> দেশ বা স্থান বিশেষে চিত্তকে স্থির করাই হলো ধারণা। ঋষি ব্যাস ধারণা বিষয়ে লিখেছেন-'নাভিচক্রে, হৃদয়পুণ্ডরীকে, মূর্ধ্নি জ্যোতিষি, নাসিকাগ্রে, জিহ্বাগ্র ইত‍্যেবমাদিষু দেশেষু বাহ‍্যে বা বিষয়ে চিত্তস‍্য বৃত্তিমাত্রেণ বন্ধ ইতি ধারণা' অর্থাৎ নাভিচক্রে, হৃদয়ে, মস্তকগত প্রকাশে, নাসিকার অগ্রভাগে, জিহ্বার অগ্রভাগে অথবা বাহ্য বিষয়ে চিত্তকে কেবল

বৃত্তির সাথে জড়ানোর প্রক্রিয়াকে ধারণা বলা হয়। 


⭕️ধ্যান⭕️


♦️তত্র প্রত‍্যয়ৈকতানতা ধ‍্যানম্। [য়োগদর্শন ৩/২] 

=>যে স্থানে ধারণা করা হয়েছে ওই স্থানে জ্ঞেয় বিষয়ক জ্ঞান একই থাকা অর্থাৎ জ্ঞেয় বিষয়ক জ্ঞান হতে ভিন্ন জ্ঞান উপস্থিত না করাই হলো ধ্যান। যোগ জিজ্ঞাসুদের উচিত ধ্যান বিষয়ে বিশেষ ভাবে জ্ঞান রাখা। ঈশ্বরের ধ্যানকারী সাধকের উচিত প্রথমে শব্দ প্ৰমাণ অথবা অনুমান প্রমাণ এর সাহায্যে ঈশ্বরের স্বরূপ সম্পর্কে যথাযথভাবে জ্ঞাত হওয়া। যদি সাধক ঈশ্বরের স্বরূপ সম্পর্কে সঠিক না জানে অথবা বিপরীত জানে তাহলে ধ্যানের সফলতা লাভ হয়না। যেমন শব্দ প্ৰমাণ দ্বারা জানা যায় যে ঈশ্বর সর্ব-ব্যাপক, সর্বজ্ঞ, সর্বশক্তিমান, আনন্দস্বরূপ। ধ্যানের সময়ে এই প্রকারে ঈশ্বরের সঠিক স্বরূপকে জেনে তার ধ্যান করতে হবে।


⭕️সমাধি⭕️


♦️তদেবার্থমাত্রনির্ভাসং স্বরূপশুন‍্যমিব সমাধিঃ।[য়োগদর্শন ৩/৩] 

=> সেই ধ্যান= ধ্যেয় বিষয়ক জ্ঞানই কেবল বস্তুর স্বরূপকে প্রকাশকারী নিজ স্বরূপ হতে শুন্য হয় তা সমাধি। ধ্যানকালে ধ্যাতা= যিনি ধ্যান করেন, ধ্যান= যে জ্ঞানের দ্বারা ধ্যেয় বস্তুর গবেষণা করা হয় সেই জ্ঞান এবং ধ্যেয়= যে বস্তুর গবেষণা করা হয় সেই বস্তু ভিন্ন ভিন্ন রূপে ভাসতে থাকে। কিন্তু সমাধি অবস্থায় ধ্যেয় বস্তুর স্বরূপ মুখ্য রূপে প্রকাশিত হয় অর্থাৎ সমাধি অবস্থায় ধ্যান গৌণ হয়ে যায় এবং পদার্থের স্বরূপই মুখ্য থাকে। স্বরূপ শূন্য এই কথনের তাৎপর্য এই নয় যে যোগীর জ্ঞান শুন্য হয়ে যায়।  এই কথনের তাৎপর্য এই যে ধ্যেয় বস্তুর সাক্ষাৎকার সমাধি অবস্থায় মুখ্য হয়ে থাকে। যোগী যে বস্তুর ধ্যান করে সমাধি অবস্থায় সেই বস্তুর পূর্ণাঙ্গ স্বরূপ কে জানতে পারে। 


আজকে য়োগ বিষয়ে খুবই সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হলো। আমি পরবর্তী সময়ে য়োগের এক একটি অঙ্গের বিস্তৃত আলোচনা করবো।যদি কেউ য়োগ বিষয়ে খুবই বিস্তারিত জানতে চান তাহলে য়োগদর্শন অবশ্যই পড়বেন। কিছু ব্যক্তি এমন আছে যারা শুরুতেই ধর্ম বিষয়ে কিছু জানার পরেই ধ্যান করতে চায়, কেউ কেউ বলে থাকে যে সে যখন ধ্যানে বসে তখন তার মন স্থির হয়না, চঞ্চলই থাকে। আমি এই সকল বন্ধুদের বলতে চাই যে ধ্যান হলো য়োগের ৭ নং অঙ্গ। য়ম্, নিয়ম, আসন, প্রাণায়াম, প্রত্যাহার ঠিক ভাবে পালন না করে সরাসরি 'ধ্যান' অঙ্গে লাফিয়ে গেলে ধ্যানের সিদ্ধিলাভ কিভাবে সম্ভব হবে ? ১-৯ শ্রেণীর শিক্ষা অর্জন না করে ১০ শ্রেণীতে শিক্ষা অর্জন করা যেমন বোকামী ঠিক তেমনি য়োগের ৬ অঙ্গ না মেনে ধ্যানে লাফিয়ে যাওয়া বোকামী মাত্র। যে ব্যক্তি শুরুর য়ম্, নিয়ম ঠিক ভাবে পালন করতে সক্ষম হবে তিনি একসময় বাদবাকি ৬ অঙ্গকে অবশ্যই লাভ করতে পারবে। কেননা য়ম্ ও নিয়মের মধ্যে যে ১০ টি বিষয় রয়েছে তা যথাযথ ভাবে পালন করা বর্তমান সময়ে অত্যন্ত কঠিন।


■যে ব্যক্তি এই অষ্ট অঙ্গকে লাভ করতে পারেন, তিনিই য়োগী হন। সেই য়োগী যখন পরমাত্মার মাধ্যমে অপরা- পরা বিদ্যা কে যথাযথ ভাবে জানতে পারেন, তখন তিনি মুক্তি লাভ করেন। যেমন #ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন যিনি প্রকৃতি কে এবং ঈশ্বর সম্পর্কে জ্ঞাত হন তিনি মুক্তিলাভ করেন [গীতা ১৩/২৪] আশা রাখি আমি আপনাদের মধ্যে উপাসনা বিষয়ে সাধারণ ধারণা দিতে সক্ষম হয়েছি। 


নমস্তে🙏

সনাতন ধর্মের জয় হোক 🚩🚩

জয় আর্য়াবর্ত🚩🚩

কৃণ্বান্তো বিশ্বমার্য়ম্🚩🚩



ঈশ্বরের স্তুতি কেন করা হয় ?

 স্তুতি কেন করা হয় ? 


আমরা সনাতনীরা সনাতন ধর্ম কে ঠিকভাবে বুঝি আর নাই বা বুঝি, তবুও আমরা কম-বেশি ঈশ্বরের স্তুতি করে থাকি। যেমন তিনি সচ্চিদানন্দ স্বরূপ অর্থাৎ ঈশ্বর সত্য-চেতন যুক্ত ও আনন্দ স্বরূপ, তিনি শিব স্বরূপ অর্থাৎ তিনি জীবের মঙ্গলকারী ইত্যাদি। আমরা ঈশ্বরের নানান গুণগত নাম দ্বারা স্তুতি করে থাকি। স্তুতির বিষয়ে ঋষি দয়ানন্দ বলেছেন-''ঈশ্বরের স্তুতি করলে তার প্রতি প্রীতি জন্মে। তার গুণ-কর্ম-স্বভাব দ্বারা নিজ গুণ কর্ম স্বভাবের সংশোধন হয়'' [সত্যার্থ প্রকাশ, সপ্তম সমুল্লাস] । যেমন ঈশ্বরের এক নাম 'শিব' [য়জুর্বেদ ১৬/২,৩,৪ ১৩] অর্থাৎ তিনি কল্যাণকারী, এই স্তুতি থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়া উচিত যে আমরাও যেন কল্যাণকারী হই। ঈশ্বরের আর এক নাম 'কবি' [য়জুর্বেদ ৪০/৮]  অর্থাৎ তিনি সর্বজ্ঞ। এই স্তুতি থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়া উচিত যে আমরাও যেন বেদ আদি শাস্ত্র দ্বারা অপরা-পরা বিদ্যা সম্পর্কে জ্ঞাত হই। ঈশ্বরের আর এক নাম 'শুদ্ধম্' অর্থাৎ তিনি শুদ্ধ, তিনি অবিদ্যা আদি দোষ রহিত, তাই আমরাও যেন অবিদ্যা আদি দোষ রহিত হতে পারি এবং শারীরিক ও মানসিক দিক দিয়ে শুদ্ধ থাকি। ঈশ্বর 'অপাপবিদ্ধম্' অর্থাৎ তিনি কখনই পাপের সহিত যুক্ত, পাপকারী এবং পাপের প্রতি আকৃষ্ট হয়না, তাই আমরাও যেন পাপ কাজ না করি। ঈশ্বর ন্যায়কারী তাই আমাদেরও ন্যায়কারী হওয়া উচিত। ঈশ্বরের আর এক নাম 'মিত্র' অর্থাৎ আমাদের উচিত সকলের সাথে মিত্র ভাব রাখা। ঈশ্বরের এমন নানান গুণগত নাম রয়েছে যেগুলো আমাদের ধারণ করা উচিত। 

আমরা যদি ইশ্বরের গুণ গুলোর সম্পর্কে জ্ঞাত হয়ে তার কীর্তন করি, তাহলে আমাদের মধ্যে ঈশ্বরে প্রতি প্রীতি ভাব উৎপন্ন হবে এবং তার যে সকল গুলো আমাদের কাছে ধারণের যোগ্য, সেগুলো ধারণ করার ফলে আমাদের গুণ-কর্ম-স্বভারের সংশোধন হবে। কিন্তু আমরা যদি শুধুই ঈশ্বরের স্তুতি করি এবং তার গুণ কর্ম স্বভাব কে ধারণ করার কোনো চেষ্টা না করে ঈশ্বরের গুণ কর্ম স্বভাবের বিপরীত কুকর্ম করি, তাহলে স্তুতি করে কোনো লাভ নাই। ঋষি দয়ানন্দ বলেছেন- যে ব্যক্তি ভণ্ডের ন্যায় পরমেশ্বরের গুণ কীর্তন করে থাকে এবং নিজ চরিত্র সংশোধন করে না তার স্তুতি নিষ্ফল। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় যে কোনো এক ব্যক্তি য়জুর্বেদ ৪০/৮ মন্ত্র দ্বারা ঈশ্বরের স্ততি করেন এবং তিনি এই মন্ত্র দ্বারা জানতে পারেন যে ঈশ্বর পাপ কাজ করে না। কিন্তু সেই ব্যক্তি নিয়ত চুরি করে এবং চুরি করাকে সে পেশা মনে করে। তাহলে তার কি লাভ ঈশ্বরের স্তুতি করে ? অতএব আমরা স্তুতিতে ঈশ্বরের যে সকল গুণের কীর্তন করি তার দ্বারা আমাদের গুণ কর্ম স্বভাবকে সংশোধন করতে হবে, তাহলেই আমাদের উপকার হওয়া সম্ভব।

ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা কেন করা হয় ?

 

প্রার্থনা কেন করা হয় ? 


আমাদের সমাজে এমন ব্যক্তিদের সংখ্যা অনেক যারা আজও বিশ্বাস করে যে ঈশ্বরের কাছে কিছু প্রার্থনা করলেই তা সফল হয়। প্রায় সকল গ্রামে গেলেই শোনা যায় যে অমুক কালী, অমুক শিব খুবই আদি জাগ্রত, তাদের কাছে যা প্রার্থনা করবে তা সফল হবেই হবে। এইরূপ মান্যতা সম্পূর্ণ রূপে একপ্রকার অন্ধবিশ্বাস মাত্র, এতে কোনো সত্যতা নেই, এই বিষয়ে নীচে চর্চা করা হবে। এখন প্রশ্ন রয়ে যায় যে এগুলো যদি মিথ্যা হয় তাহলে বেদে কেন প্রার্থনা বিষয়ক নানান মন্ত্র রয়েছে ? ঋষি দয়ানন্দ প্রার্থনা বিষয়ে বলেছেন 'প্রার্থনা করলে নিরভিমানতা, উৎসাহ এবং সাহায্য লাভ হয়।' [সত্যার্থ প্রকাশ, সপ্তম সমুল্লাস] 


অতএব ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করলে অভিমান রহিত হয়, নিজের মধ্যে উৎসাহ লাভ ও সাহায্য লাভ হয়। সমাজে এমন অনেক ব্যক্তি অনেক আছে যারা নিজের অভিমানের জন্য জরুরি অবস্থাতেও অন্যের কাছে কিছু চাইতে পারে না। কিন্তু আমরা যদি নিয়মিত শুদ্ধ চিত্তে পরমেশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি তাহলে আমাদের মধ্য থেকে অভিমান দূর হয়ে যাবে। প্রার্থনা বিষয়ক মন্ত্র-


বিশ্বানি দেব সবিতর্দুরিতানি পরা সুব।য়দ্ভদ্রম্ তন্নঽআ সুব।। 

[য়জুর্বেদ ৩০/৩]


এই মন্ত্রে বলা হয়েছে যে পরমেশ্বর যেন আমাদের মধ্যে থেকে দুষ্ট গুণ দূর করেন এবং যা কল্যাণকর তা দান করেন। আমরা পরমেশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছি যে আমাদের মধ্যে থেকে সকল দুর্গুণ নষ্ট হোক এবং যা যা কল্যাণকর তা তা যেমন আমাদের দান করেন। যেমন এক নিষ্ঠাবান সন্তান তার পিতা মাতার কাছে প্রার্থনা করে যে সে যেন সত্যের পথে চলে, অন্যের মঙ্গল করতে পারে এবং কখনোই অধর্ম আচরণ না করে। সন্তানের এইরূপ কথা শুনে পিতা মাতা তাকে তার সেই পথে এগিয়ে চলার প্রেরণা দিয়ে থাকে। যা থেকে সেই সন্তানের মধ্যে একপ্রকার উৎসাহ ও সাহায্য লাভ হয়। ঠিক তেমনি ঈশ্বরের আছে ধর্ম অনুকূল প্রার্থনা করলে উৎসাহ লাভ হয়ে থাকে। 


ঋষি দয়ানন্দ বলেছেন -'যে ব্যক্তি যে বিষয়ে প্রার্থনা করবে, তার উচিত সেইরূপ আচরণ করা। কেউ যদি সর্ব উত্তম বুদ্ধি লাভ করার জন্য পরমেশ্বরের নিকট প্রার্থনা করে, তাহলে তাকে সেই বিষয়ে যথা সম্ভব প্রযত্ন করতে হবে। অর্থাৎ নিজ পুরুষার্থের অতিরিক্ত প্রার্থনাও করা উচিত। বেদে বলা হয়েছে- 


কুর্বন্নেবেহ কর্মাণি জিজীবিষেচ্ছতং সমাঃ। [য়জুর্বেদ ৪০/২] 

এখানে পরমেশ্বর আজ্ঞা দিচ্ছেন যে মনুষ্য যেন শত বছর পর্যন্ত অর্থাৎ আজীবন কর্ম করতে করতে জীবন ধারণের ইচ্ছে করে। কখনই অলস যেন না হয়। 


দেখুন, সৃষ্টিতে যত প্রাণী ও অপ্রাণী  রয়েছে, তারা সকলেই নিজ নিজ কর্মে এবং সচেষ্ট থাকে। পিপীলিকা আদি সদা কর্মে রত থাকে, পৃথিবী আদি ভ্রমণ করে, বৃক্ষ আদি বৃদ্ধি ও হ্রাস পায়। এই সকল দৃষ্টান্ত মনুষ্যেরও গ্রহণ করা উচিত। যেরূপ পুরুষার্থে রত থাকা ব্যক্তির সহায়তা অন্যরা করে থাকে, সেইরূপ পরমেশ্বরও ধর্মপথে পুরুষার্থকারীর সহায়তা হয়ে থাকে।  যেমন কর্মঠ ব্যক্তিদের যেমন সেবক রূপে নিযুক্ত করা হয়, অলস ব্যক্তিকে করা হয়না, যেরূপ দর্শন করতে ইচ্ছুক এবং যার নেত্র রয়েছে সেই পুরুষকে কোনো বস্তু দেখানো যায়, অন্ধকে নয়। সেইরূপ পরমেশ্বর সকলের উপকার কর্মে সহায়ক হয়, হানিকারক কর্মে নয়। যেমন কেউ যদি বলে গুড় মিষ্টি, এই কথা বলা মাত্র সে যেমন গুড় প্রাপ্ত হয়না, বা গুড়ের স্বাদ পায়না, কিন্তু যত্নবান পুরুষ শীঘ্র অথবা বিলম্বে হোক, একসময় গুড় পেয়েই থাকে।'


অতএব বলা যায় যে ঈশ্বরের কাছে কোনো বিষয়ে প্রার্থনা করলেই সেটা সফল হয়ে যাবে এমনটা কিন্তু নয়। এই বিষয়ে আরও একটা উদাহরণ হিসেবে উপস্থাপন করছি যেমন- কোনো এক ব্যক্তি মনে করলেন যে এই উক্ত 'বিশ্বানি দেব' মন্ত্র জপ করলেই তার মধ্যে থেকে সকল দুষ্ট গুণ দূর হয়ে যাবে। সেই ব্যক্তি এই মন্ত্র জপ করেন ঠিকই কিন্তু তিনি নিজের কুকর্ম ত্যাগ করার কোনো প্রকার প্রচেষ্টা করেন না। তাহলে কি কোনো লাভ আছে ? নাহ নেই। আমরা যেমন দুষ্টগুণ দূর করার ইচ্ছা প্রকাশ করে পরমাত্মার কাছে প্রার্থনা করছি ঠিক সেই অনুযায়ী আমাদের এমন কর্মও করতে হবে, যার মাধ্যমে সকল দুষ্ট গুণ যেন দূর হয় এবং কল্যাণকর গুণ লাভ হয়। তাই কোনো ব্যক্তি যদি এই মন্ত্র প্রতিদিন কয়েক হাজারবার জপ করার পরেও নিজের কুকর্ম ত্যাগ না করে তাহলে, এই মন্ত্র জপ করার কোনো লাভ নেই। 


ঈশ্বরের কাছে কোনো প্রার্থনা করলেই যদি তা সফল হতো, তাহলে এই সংসারে কেউই অসুখী হতো না, ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করে সকলেই নিজের সমস্ত কামনা পূরণ করে নিতো। আমাদের পশ্চিম বাংলার, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় একটা বিখ্যাত মাকালী রয়েছে যার নাম বোল্লা কালী। এই মা কালীর পূজার সময় হাজার- হাজার পাঠা বলি হয়ে থাকে, বোল্লা কালীর মূর্তিতে কয়েক কেজি সোনার গহনাও দেওয়া হয়। একবার ভেবে দেখুন তো এগুলো কারা দেয় ? এগুলো তারাই দেয় যারা মনে করে বোল্লা কালী খুবই জাগ্রত এবং মাকালীর কাছে  প্রার্থনা করার পর যাদের কামনা সফল হয়েছিল। এই সকল ব্যক্তিরা ভুলেই যায় যে সে নিজের কর্মের জন্য সফল হয়েছে, মা কালীর কাছে প্রার্থনা করার কারণে নয়। অনেক ব্যক্তি এমনও আছে যারা এই মা কালীর কাছে অনেক প্রার্থনা করা সত্ত্বেও তাদের কামনা পূর্ণ হয়নি। তাহলে এইবার কি বলবেন ? নাস্তিকেরা তো ঈশ্বরই মানেনা, কারোর কাছে প্রার্থনা করা তো দূরের কথা, তাহলে তারা কি নিজের কর্মে সফল হয় না ? যদি একজন মুসলিম বা খ্রিস্টান বা ইহুদি বা নাস্তিক ব্যক্তি সৎ হয় এবং তার সাথে যদি কোনো প্রকারের অন্যায় না হয় তাহলে সেই ব্যক্তি অবশ্যই কোনো একদিন নিজ কর্মের সফলতা অর্জন করবেই। যা কর্মের নিয়ম। অতএব ঋষি দয়ানন্দ প্রার্থনা বিষয়ে যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তা যথার্থ। 


নমস্তে।