google01b5732cb2ec8f39 May 2022 ~ আর্যবীর आर्यवीर aryaveer

Recent News

This is default featured slide 1 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 2 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 3 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 4 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 5 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

সাত্ত্বিক, রাজসিক, তামসিক মনুষ্যের লক্ষণ

 সাত্ত্বিক, রাজসিক, তামসিক মনুষ্যের লক্ষণ



জীবাত্মা এবং পরমাত্মা ইতর যে সকল পদার্থ এই জগতে রয়েছে তার মূল হলো অব্যক্ত প্রকৃতি যার মধ্যে সত্ত্ব রজঃ তমঃ এই তিন গুণ সমান ভাবে বিদ্যমান রয়েছে। এই তিন গুণের প্রকৃতিই হলো এই জগৎ সৃষ্টির উপাদান পদার্থ এবং পরমাত্মা হলেন জগতের নির্মাণ কর্তা। যেহেতু এই জগতের প্রতিটি বস্তুর মধ্যে প্রকৃতির এই তিন গুণ বিদ্যমান রয়েছে সেহেতু মনুষ্যের শরীরের মধ্যেও এই তিন গুণ বিদ্যমান রয়েছে। মনুষ্যের মধ্যে কিরূপ লক্ষণ দেখা দিলে বোঝা সম্ভব যে তার সত্ত্ব, রজঃ, বা তমঃ গুণের প্রধানতা রয়েছে, এই বিষয়ে ঋষি মনু সুন্দর ভাবে আলোচনা করেছেন। 


মনুস্মৃতি ১২ অধ্যায়

যখন আত্মায় জ্ঞান থাকে তখন সত্ত্বগুণ, যখন আত্মায় অজ্ঞানতা থাকে তখন তমঃ গুণ, যখন আত্মায় রাগ-দ্বেষ থাকে তখন রজোগুণ প্রবল বলে জানবে। প্রকৃতির এই তিন গুণ সাংসারিক যাবতীয় পদার্থের মধ্যে ব্যাপ্ত হয়ে আছে।।২৬।।

যখন আত্মায় প্রসন্নতা থাকে, মন প্রসন্ন এবং প্রশান্ত অবস্থার ন্যায় শুদ্ধ ভাবযুক্ত থাকে, তখন বুঝতে হবে যে সত্ত্বগুণ প্রধান, রজঃ ও তমোগুণ অপ্রধান রয়েছে ৷৷ ২৭।।

যখন আত্মা ও মন দুঃখিত ও অপ্রসন্ন হয়ে বিষয়ে ইতস্ততঃ বিচরণ করে, তখন বুঝতে হবে যে, রজোগুণ প্রধান এবং সত্ত্ব ও তমোগুণ অপ্রধান রয়েছে ।।২৮

আত্মা মোহযুক্ত, খারাপ ভালো বিষয়ে জ্ঞান শূন্য, কোনো প্রকার বিচারে অস্পষ্টতা ইন্দ্রিয়ের বিষয়ে আসক্ত তর্ক বিতর্ক শূন্য কোনো বিষয়ে স্পষ্ট জানতে অক্ষম  এমন আচরণকারীর মধ্যে তমোগুণের প্রধানতা রয়েছে।।২৯।।

বেদ অভ্যাস, ধর্ম অনুষ্ঠান, জ্ঞান উন্নতি, পবিত্রতা লাভের ইচ্ছা, ইন্দ্রিয় নিগ্রহ, ধর্মক্রিয়া এবং আত্মচিন্তন হলো সত্ত্বগুণের লক্ষণ।।৩১।।

যখন রজোগুণের উদয় এবং সত্ত্ব ও তমোগুণের আবির্ভাব ঘটে, তখন কার্য আরম্ভে অরুচি, ধৈর্য্যত্যাগ, অসৎ কর্ম- গ্রহণ এবং নিরন্তর বিষয়ভোগে প্রীতি হয়ে থাকে। তখনই বুঝতে হবে যে আমার মধ্যে রজোগুণ প্রধানরূপে কাজ করছে।।৩২।।

যখন তমোগুণের আবির্ভাব এবং অন্য দুই গুণের অন্তৰ্ভাব ঘটে, তখন অত্যাধিক লোভ অর্থাৎ সকল পাপের বৃদ্ধি পায়, অত্যাধিক আলস্য ও নিদ্রা, ধৈর্য্য নাশ, ক্রূরতা জন্মে, নাস্তিক্য অর্থাৎ বেদ ও ঈশ্বরের প্রতি অশ্রদ্ধা জন্মে, অন্তঃকরণের বিভিন্ন বৃত্তি ও একাগ্রতা,  অভাব যার তার নিকট ভিক্ষা করা, প্রমাদ অর্থাৎ মদ্যপান আদিতে বিশেষ আসক্তি জন্মে তখন বুঝতে হবে যে আমার মধ্যে তমোগুণ প্রধান রূপে কাজ করছে।।৩৩।।

কোনো কর্ম করতে এবং করার ইচ্ছে হলে নিজের আত্মায় লজ্জা, সংশয় ও ভয় অনুভব হয় তখন বুঝতে হবে যে আত্মার মধ্যে তমোগুণের প্রাবল্য হয়েছে।।৩৫।।

যখন জীবাত্মা কর্ম দ্বারা ইহলোকে বিপুল য়শ লাভের আকাঙ্ক্ষা করে এবং দরিদ্র হয়েও প্রসিদ্ধি লাভের জন্য চারণ, ভাট আদিকে দান দেওয়া ত্যাগ করেনা, তখন বুঝতে হবে আমার আত্মায় রজোগুণ প্রবল হয়েছে।।৩৬।।

যখন মনুষ্যের আত্মা সর্বত্র জ্ঞানলাভের ইচ্ছা করে, নানান গুণ গ্রহণ করে থাকে, সৎকর্মে লজ্জা অনুভব করেনা এবং সৎকর্মে প্রসন্ন হয় অর্থাৎ ধর্ম আচরণে রুচি থাকে, তখন বুঝতে হবে আমার মধ্যে সত্ত্বগুণ প্রবল হয়েছে।।৩৭।।

তমোগুণের লক্ষণ কাম, রজোগুণের লক্ষণ অর্থসংগ্রহের ইচ্ছা এবং সত্ত্বগুণের লক্ষণ ধর্ম সেবা। তমোগুণ অপেক্ষা রজোগুণ এবং রজোগুণ অপেক্ষা সত্ত্বগুণ শ্রেষ্ঠ।।৩৮।।

কেউ যদি এমন ভেবে থাকে যে সাত্ত্বিক ব্যক্তির শরীরে শুধুমাত্র সত্ত্ব গুণ রয়েছে বা তামসিক ব্যক্তির শরীরে শুধুমাত্র তমঃ গুণ রয়েছে, তাহলে সেটা ভাবা ভুল হবে।প্রকৃতির মধ্যে এই তিন গুণ সমভাবে রয়েছে কাজেই মনুষ্যের শরীরের মধ্যেও এই তিনগুণ সমভাবে রয়েছে। কিন্তু যার শরীরে যখন সত্ত্বগুণ বা রজঃ গুণ বা তমঃ গুণ প্রধান রূপে কাজ তখন উক্ত প্রকারের লক্ষণ গুলো দেখা দেবে।


সত্যার্থ প্রকাশ সপ্তম সমুল্লাস

সকলকে নমস্তে

কৃণ্বন্তো বিশ্বমার্য়ম্🚩🚩




হিন্দুদের মূর্তি ভেঙ্গে ফেলা নিয়ে ঋষি দয়ানন্দের নামে অপপ্রচারের জবাব

নিষ্কলঙ্ক ঋষি দয়ানন্দ 



আর্য সমাজের জনপ্রিয়তা দেখে পৌরাণিক বন্ধুদের শরীরে আগুন জ্বলতে শুরু করেছে, কাজেই সব সময় পোড়া পোড়া গন্ধ পাওয়া যায়। পৌরাণিক বন্ধুরা কোমড়ে গামছা বেঁধে ঋষি দয়ানন্দের নামে মিথ্যাচার করার সঙ্কল্প নিয়েছে। পৌরাণিক বন্ধুদের নতুন এক অপপ্রচার হলো মাদাম ব্লাভাটস্কি নামের এক বিদেশী তার এক গ্রন্থে লিখেছে যে ঋষি দয়ানন্দ নাকি হিন্দুদের ১০০ টি মূর্তি ভেঙেছিল আদি আদি।

পৌরাণিকরা ঋষি দয়ানন্দের নামে যে সকল অপপ্রচার করে তার জবাব দেওয়া উচিতই নয়, কারণ মূর্খদের তৈরি মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে কিছু লিখলে নিজেকেও মূর্খ মনে হয়, তবুও মাঝে মাঝে সময় পেলে জবাব হিসেবে কিছু লিখি। পৌরাণিক বন্ধুদের মানসিকতা দেখে কষ্ট হয়, কারণ ঋষি দয়ানন্দ এর বিরোধিতা করতে করতে তাদের বুদ্ধি দিনের পর দিন দ্বিগুণ পরিমানে হ্রাস পাচ্ছে। তারা আর্য সমাজের বই থেকে অপপ্রচার করতে অক্ষম হওয়ার দুঃখে পৌরাণিক বন্ধুরা ঋষি দয়ানন্দ বিরোধিতা করার জন্য মুসলিম বা খ্রিষ্টান বা পৌরাণিকদের বইয়ের প্রমাণ ব্যবহার করছে। পৌরণিকদের সামান্য এই বুদ্ধি নেই যে মুসলিম, নাস্তিক বা খ্রিস্টানরা  নিজেদের স্বার্থে সনাতন ধর্ম বিষয়ে যে সকল গ্রন্থ লিখেছে সে সকল গ্রন্থ কে কি পৌরাণিক বন্ধুরা প্রামাণ্য মানে ? কখনোই মানেনা! কিন্তু ঋষি দয়ানন্দ এর বিরোধিতা করার জন্য অন্য মতবাদীদের গ্রন্থ কে প্রামাণ্য মানছে। ব্যাপারটা কতটা হাস্যকর দেখুন।

ঋষি দয়ানন্দ আজীবন মূর্তি পূজার বিরোধিতা করেছে, সেটা আমি নিজেও করি। ঋষি দয়ানন্দ সত্যার্থ প্রকাশে মূর্তি পূজার খণ্ডন করেছেন বহু জায়গায় বৈদিক শাস্ত্র প্রমাণ ও তর্ক দ্বারা। কিন্তু তিনি কোথাও মূর্তি ভাঙার কথা বলেনি। ঋষি দয়ানন্দ সত্যার্থ প্রকাশের ১৪ সমুল্লাসে কুরআনের আয়াত তুলে ধরে কুরআন কে তর্ক দ্বারা খণ্ডন করেছেন। মুসলিমরা মূর্তি পূজার বিরোধিতা করে কিন্তু বাস্তবে মুসলিমরা নিজেই মূর্তি পূজারী পৌরাণিকদের মতোই। আসুন দেখি 'সত্যার্থ প্রকাশ' এর মধ্যে ইসলামের বিরুদ্ধে ঋষি দয়ানন্দ সরস্বতীর তর্ক রূপী তির!_____

কুরআনে বলা আছে,

'নিশ্চয়, আমি তোমাকে আকাশের দিকে মুখ ফেরাতে দেখেছি। নিশ্চয় আমি তোমাকে সেই কাবা অভিমুখী করব; তা তোমার পক্ষে প্রীতিকর হইবে। অতএব তোমার মুখ মসজিদুল হরামের দিকে ফিরাও। যেখানেই থাক না কেন তোমার মুখ সেই দিকেই ফিরিয়ে নেও।” কুরআন ২/১৪৪

ঋষি দয়ানন্দ-> ইহা কি ছোটো খাটো পৌত্তলিকতা? ইহা যে মস্ত বড় পৌত্তলিকতা। 

মুসলিম-> আমরা মুসলমানেরা মূর্তিপূজক নহি, কিন্তু মূর্তিভঞ্জক। আমরা মক্কার মসজিদকে খুদা মানি না।

ঋষি দয়ানন্দ-> তোমরা যাদেরকে পৌত্তলিক মনে কর তারাও নানা প্রকার মূর্ত্তিকে ঈশ্বর মানে না, কিন্তু তাদের সম্মুখে পরমেশ্বরেরই পূজা করে। তোমরা মূর্তিভঞ্জক হলে সেই বড় মূর্তি মক্কার মসজিদ্ ভগ্ন কর না কেন? 

মুসলিম-> বেশ তো মহাশয়। আমাদের প্রতি কুরাণের আদেশ আছে যে, মক্কার দিকে মুখ ফেরাতে হবে। কিন্তু তাদের প্রতি বেদের আদেশ নাই; সুতরাং তারা পৌত্তলিক নহে কেন? আমরা কেন পৌত্তলিক হইতে যাইব? আমাদের পক্ষে খুদার আদেশ পালনীয়।

ঋষি দয়ানন্দ -> তোমাদের পক্ষে যেমন কুরাণকে খুদার বাণী, পৌরণিকেরাও সেইরূপ পুরাণকে ঈশ্বরের অবতার ব্যাসদেবের বাণী মনে করেন। পৌত্তলিকতা বিষয়ে তোমাদের ও এদের মধ্যে কোন প্রভেদ নাই, বরং তোমরা বৃহৎ এবং এরা ক্ষুদ্র মূর্তির পূজক। যেমন কেউ নিজের গৃহ হতে বিড়াল তাড়াতে না তাড়াতে তন্মধ্যে উষ্ট্র প্রবেশ করে, সেইরূপ মহম্মদও মুসলমান মত হইতে ক্ষুদ্র মূর্তিটি অপসারিত করলেন সত্য কিন্তু মক্কার মসজিদরূপী পর্বতাকার বৃহৎ মূর্ত্তি মুসলমানদের মতে প্রবিষ্ট করালেন। এটা কি ছোটোখাটো পৌত্তলিকতা? অবশ্য তোমরাও যদি আমাদের ন্যায় বৈদিক ধর্ম অবলম্বন কর তা হলে মূর্ত্তিপূজাদি কুকর্ম হতে অব্যাহতি পেতে পার; নতুবা নয়। যতদিন তোমরা নিজেদের বৃহৎ মূর্তিকে অপসারিত না কর, ততদিন পর্যন্ত ক্ষুদ্র মূর্তিপূজা খণ্ডন করতে লজ্জাবোধ করা উচিত এবং মূর্তিপূজা হতে বিরত থাকা নিজেদের পবিত্র করা কর্তব্য।

■গ্রন্থঃ সত্যার্থ প্ৰকাশ, চতুর্দশ সমুল্লাস যবনমত সমীক্ষা।■

ঋষি দয়ানন্দ সত্যার্থ প্রকাশে সুন্দর ভাবে প্রমাণ করে দিয়েছেন যে মুসলিমরা হিন্দুদের থেকেও বৃহৎ মূর্তি পূজারী এবং যে সকল মোল্লারা মূর্তি ভাঙতে প্রস্তুত থাকে তাদের উদ্দেশ্যে লিখেছেন মুসলিমরা যদি সত্যি ই মূর্তি ভঞ্জক হয়ে থাকে তাহলে সবার আগে কাবা মসজিদ ভেঙে ফেলা উচিত! ঋষি দয়ানন্দের বদনাম করার জন্য পৌরাণিক বন্ধুরা খ্রিস্টান বা মুসলিমদের লেখা গ্রন্থের সাহায্য নেয় কিন্তু দুঃখের বিষয় পৌরাণিকরা নিজেদেরই ধর্মীয় গ্রন্থের বাণীকে সত্য হিসেবে মানেনা, আসুন দেখি এই বিষয়ে_____

ভাগবত পুরাণ ১০/৮৪/১৩ এই শ্লোকে কাঠ মাটি পাথর আদি বিকার সমূহ পদার্থে যারা ইষ্ট ভক্তি রাখে তারা নিম্নমানের পশু তুল্য। প্রকাশক-গীতাপ্রেস


পৌরাণিক বন্ধুরা এবার বলুন ভাগবত পুরাণ আর্য সমাজী, খ্রিস্টান বা মোল্লাদ বা নাস্তিকদের প্রামাণ্য গ্রন্থ নাকি আপনাদেরই ? আপনাদেরই ধর্মীয় গ্রন্থে আপনাদেরই নিম্নমানের পশু (শুয়োর, কুকুর, গাধা,ভেড়া আদি) বলা হচ্ছে।

ঋষি দয়ানন্দ মূর্তি পূজার বিরোধিতা করেছে তাই পৌরাণিক বন্ধুদের প্রচুর রাগ, কিন্তু হিন্দু সমাজের মহান সন্ন্যাসী স্বামী বিবেকানন্দ নিজে একজন মূর্তি পূজারী ছিল আজীবন মূর্তি পূজা করেছে, সে আবার নিজেও সকল মূর্তি ভেঙে ফেলার আদেশও দিয়েছে।

গ্রন্থঃ-স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা খণ্ড-৭> মিস মেরী হেল কে লিখিত  ১৮৯৭ সাল ৯ জুলাই। 



পৌরাণিক বন্ধুদের মহান সন্ন্যাসী, ঋষি তুল্য স্বামী বিবেকানন্দ বলেছে বেদে গরু খাওয়া রয়েছে, তিনি এটাও বলেছে যে বৌদ্ধরা মূর্তি পূজা শুরু করেছে, তিনি এটাও বলেছে যে মূর্তি পূজা সকল শাস্ত্রে অধম বা নিকৃষ্ট বলা হয়েছে।



স্বামী বিবেকানন্দ মূর্তি পূজার উৎপত্তির বিষয়ে বলতে গিয়ে বলেন 'তাহারা জানেন না যে, বৌদ্ধধর্মই ভারতে পৌরোহিত্য ও প্রতিমাপূজা সৃষ্টি করিয়াছিল।' গ্রন্থঃ স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা খণ্ড-৫> ভারতীয় মহাপুরুষগণ> মান্দ্রাজে বক্তৃতা।




স্বামী বিবেকানন্দ বলেছে 'এই মূর্তি পূজা আমাদের সকল শাস্ত্রেই অধমাধম বলিয়া বর্ণিত হইয়াছে।' গ্রন্থঃ স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা খণ্ড-৫> আমাদের জন্মপ্রাপ্ত ধর্ম> ১৯০১ সালে ৩১ মার্চ ঢাকায় পগোজ স্কুলে স্বামীজীর ইংরেজী বক্তৃতা।


স্বামী বিবেকানন্দ বলেন 'বেদ পাঠ করিলে দেখিতে পাইবে, কোনো বড়ো সন্ন্যাসী বা রাজা বা অন্য কোনো বড়োলোক আসিলে ছাগ বা গোহত্যা করিয়া তাহাদিগকে ভোজন করানোর প্রথা ছিল।' গ্রন্থঃ স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা খণ্ড-৫> ভারতে বিবেকানন্দ> মাদুরা অভিনন্দের উত্তর। 


স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা ১-১০ খণ্ডের প্রকাশক আর্য সমাজ বা কোনো হিন্দু বিরোধী সম্প্রদায় নয় বরং উদ্বোধন কার্যালয় যা রামকৃষ্ণ মিশন বা বেলুর মঠের নিজস্ব প্রকাশনা। শুধু উদ্বোধন কার্যালয়ই নয় সারা ভারতে স্বামী বিবেকানন্দের এই বাণী ও রচনা ১-১০ খণ্ড হিন্দি বাংলা ইংরেজীতে পাওয়া যায়, এই বিষয়ে কারোর সংশয় থাকলে স্বয়ং রামকৃষ্ণ মিশনে গিয়ে বা যেকোনো জায়গা থেকে এই গ্রন্থ ক্রয় করে রেফারেন্স অনুযায়ী মিলিয়ে নিন। যে সকল পৌরাণিক বন্ধুরা ঋষি দয়ানন্দের  নামে বদনাম করার জন্য খ্রিস্টান, মুসলিম বা পৌরাণিকদের লেখা গ্রন্থের সাহায্য নেয় তাদের কাছে প্রশ্ন আমার, যে বিবেকানন্দ কে আপনারা মহান সন্ন্যাসী, যোগী মনে করেন সেই বিবেকানন্দ এর কথাকে প্রামাণ্য মনে করে নিশ্চয় মূর্তি ভাঙা শুরু করবেন ? বিবেকানন্দ এর কথা অনুসারে গরু খাওয়া শুরু করবেন ? বিবেকানন্দ এর কথা অনুসারে মূর্তি পূজারীরা নিকৃষ্ট তাই আপনারা নিজেদের নিকৃষ্ট হিসেবে স্বীকার করবেন ? #আমি ১০০% বিশ্বাস করি যাঁরা ঋষি দয়ানন্দের মত উজ্জ্বল নক্ষত্র কে বদনাম করার জন্য মুসলিম বা খ্রিস্টানের লেখা কাল্পনিক গ্রন্থ কে প্রামাণ্য মানেন, তারা নিশ্চয় পৌরাণিক সমাজের বিখ্যাত সন্ন্যাসী বিবেকানন্দের উক্ত বাণী গুলো অবশ্যই গ্রহণ করে যথাযথ রূপে পালন করবে!

পৌরাণিক বন্ধুরা একবারও ভেবে দেখেনা যে তাদেরই ধর্ম গ্রন্থ ১৮+ পুরাণের মধ্যে কিপ্রকারে অশ্লীলতা, অবৈজ্ঞানিক কথন রয়েছে। যখন কোনো মুসলিম ব্রহ্মবৈবর্ত, ভাগবত আদি পুরাণ হাতে নিয়ে শ্রীকৃষ্ণ কে গালি দেয় তখন উত্তর দিতে না পেরে সকল পৌরাণিকরা গর্তে ঢুকে যায়। কিন্তু যে ঋষি দয়ানন্দ সরস্বতী ভারতে প্রথম কুরআন, বাইবেল আদি অধার্মিক গ্রন্থ কে খণ্ডন করে বেদানুকূল সনাতন ধর্ম কে শ্রেষ্ঠ প্রমাণ করেছিলেন, সেই ঋষি দয়ানন্দ এর মত ব্যক্তিকে কিছু পৌরাণিক বন্ধুরা গালি দেওয়ার জন্য তৈরি থাকে।

আমি মনে করি যে সকল পৌরাণিক বন্ধুদের মধ্যে সামান্য বিচার বিবেক রয়েছে তারা কখনোই ঋষি দয়ানন্দের নামে মিথ্যাচার করবে না। আমিও একজন পৌরাণিক ঘরের সন্তান। আমি এখন মনে করি আজ যদি ঋষি দয়ানন্দের মান্যতার সন্ধান না পেতাম তাহলে এতদিনে নাস্তিক হয়ে যেতাম, কারণ যে ব্যক্তি যুক্তিবাদী হয় সেই ব্যক্তি যদি আমাদের পৌরাণিক নানান দেবদেবীর আকৃতি আদি, পৌরাণিক কাহিনী আদি এবং বেদ আদি শাস্ত্রের বিকৃত ব্যাখ্যা নিয়ে বিচার করে তাহলে সে নিঃসন্দেহে নাস্তিক হয়ে যাবে। আমি পৌরাণিক বন্ধুদের মিত্রের চোখে দেখি, তারা আমাদের শত্রু নয়, তারা বিবেকহীন হয়ে ঋষি দয়ানন্দ কে গালি দেয় মাত্র। আমি আশা রাখি তারা যদি ঋষি দয়ানন্দের বেদানুকূল মান্যতা নিয়ে যুক্তিবিচার সহকারে চর্চা করে তাহলে তারা অবশ্যই প্রকৃত সত্যটা জানতে পারবে। 


সকলকে নমস্তে

কৃণ্বন্তো বিশ্বমার্য়ম্